ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

নীতি নৈতিকতা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ

Daily Inqilab মুহাম্মদ শাহ আলম

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:০২ পিএম | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম

ছুটির দিনে গ্রামের এক চায়ের দোকানে চা পান করছি। সন্ধ্যায় দোকান ভর্তি মানুষ। কেউ চা, পান খাচ্ছে কেউ, কেউ আয়েশি ভঙ্গিতে দোকানের টেলিভিশনে চোখ রেখে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করছে। নির্বাচন এই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে, নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে, এ নিয়ে আলোচনা করছে। বিরোধীদল আন্দোলন করে এই সরকারের পতন ঘটাতে পারবে কিনা? বর্তমান প্রশাসন এখনো সরকারের পক্ষে আছে কিনা? বিদেশি রাষ্ট্রসমূহ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য, ভারত, চীন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন-এর মধ্যে কোন কোন দেশ সরকারের পক্ষে, আর কোন দেশ সরকারের বিপক্ষে কিংবা বিএনপির পক্ষে তা নিয়ে বিশ্লেষণ করছে। আলোচনায় উঠে এসেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ-এর দুই দিনের বাংলাদেশ সফর,ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সফর। এই অতিথিদের আগমনে আমাদের কি লাভ হয়েছে। ভারতে জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের সাক্ষাৎ এবং সেলফি তোলার বিষয়, একই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে প্রধান মন্ত্রীর একান্ত বৈঠক ইত্যাদি নানাবিধ বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করছে। এইসব আলোচনার মাঝে হঠাৎ একজন বলেন, প্রশ্নই উঠে না, সরকার ক্ষমতা ছাড়বে না। সংবিধান মতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। অপর একজন বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সাল আর ২০২৩ সাল এক রকম হবে না। দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকারের ও মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বেশ সোচ্চার। যা আগে ছিলো না। তাছাড়া বিএনপিসহ অনেকগুলো বিরোধীদল রাজপথে লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছে।

আলোচনা থেকে বাদ যায়নি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন, বিরোধীদল ও জোটের রাজনৈতিক কর্মকা-, কর্মসূচী, ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন-পীড়ন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা- মোকদ্দমা, গুম, খুন, বিদেশে টাকা পাচার, বেগমপাড়া, দুর্নীতি, শেয়ার মার্কেট কেলেংকারী, বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত হত্যাকাষ্ড, অতীতে কোন সরকার কি কাজ করেছে ইত্যাদি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে, টকশো চলছে। দোকানে অবস্থানরত লোকদের এসব আলোচনার মাঝে একজন বলে বসেন আমরা অহেতুক এইসব নিয়ে আলাপ-আলোচনা তর্ক-বির্তক করছি। আমাদের আলাপ-আলোচনায় কি লাভ হবে, কার কি আসে যায়! আমাদের কথা কেউ শুনবে না। যত বড়সড় অপরাধ আর দুর্নীতি আছে সবই শিক্ষিত, ক্ষমতাবান ও জ্ঞানী মানুষ করে থাকে। আমাদের কি যোগ্যতা ও ক্ষমতা আছে বড়সড় অপরাধ করার। গ্রামের সাধারণ কেউ কোনো বাড়িতে বা রাস্তা-ঘটে চুরি-ডাকাতি করলে দুই, চার, দশ, বিশ হাজার টাকার মাল চুরি করে। তাও ধরা পড়লে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়, জেলে দেয়। আর যারা শিক্ষিত ও ক্ষমতাবান দুর্নীতিবাজ, রাষ্ট্রীয় স¤পদ চুরি করে তাদের সাধারণত কিছুই হয় না। সব সময় থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অনেকক্ষেত্রে এদের অনেকেই মসজিদ-মাদরাসা কমিটির সভাপতি এমনকি জনপ্রতিনিধি হয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হন।

জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার কারণে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন ইস্যুতে বিরোধীদলগুলোর লাগাতার আন্দোলন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতা ইত্যাদি নানা কারণে পত্র-পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টেলিভিশন, বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউবে কূটনৈতিক বিষয়গুলো ব্যাপকভাবে আলোচনা-পর্যালোচনা হওয়ার কারণে দেশের সাধারণ মানুষও এ ব্যাপারে নিজেদের চোখ-কান খোলা রেখে আলাপ আলোচনা করতে পছন্দ করে। ফলে ভারতে অনুষ্ঠিত জি- ২০ সম্মেলনে কি হয়েছে, কে কার সাথে ছবি বা সেলফি তুলেছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ এসে কি বলেছে, এ নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের ব্যাপক আগ্রহ ও কৌতূহল রয়েছে। এক কাপ চা নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দেশের রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করে যাচ্ছে অবলীলায়।

গ্রামের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি সাধারণ মানুষের এসব কথা শুনে আমার কাছে মনে হয়েছে, ওদের মূল্যায়ন কতই না সঠিক। আসলেই তো বড়সড় অপরাধ দুর্নীতির সাথে কারা জড়িত? গ্রামের সাধারণ দু›একজন হয়তো কিছুটা লোভে পড়ে পাশের জমির আইল কেটে নিজের জমিটা একটু বড় করার চেষ্টা করে। দুধের সাথে পানি মিশিয়ে বাজারে বিক্রি করে কিংবা ওজনে কম দেওয়ার চেষ্টা করে। যদিও এইসব করতে গিয়ে ধরা পড়লে সমাজ কঠিন এবং লজ্জাজনক বিচার করে থাকে। ফলে এই অপরাধগুলো এখনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। কিন্তু যারা ব্যাংক ও শেয়ার মার্কেটের জনগণের টাকা হরিলুট করে, ঘুষ দুর্নীতি করে বিলাসী জীবনযাপন করে বেগম পাড়া গড়ে তুলে, সরকারি উন্নয়ন কাজে এক নম্বর ইটের বদলে তিন নম্বর ইট, রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করে, তারা লজ্জিত না হয়ে উল্টো অহঙ্কার ও ক্ষমতার দাম্ভিকতা দেখায়। তারা তো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং তাদেরকে যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারাও। তাঁদের দৌরাত্ম্যের লাগাম টানার দায়িত্ব যাদের উপর ন্যস্ত প্রত্যেকেই শিক্ষিত এবং ক্ষমতাধর শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।

স্বাধীনতার ৫২ বছরেও গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন, বাকস্বাধীনতা ইত্যাদির জন্যে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গুম, খুনের শিকার অসহায় পরিবারগুলোর কান্নায় রাজপথ সিক্ত হচ্ছে। মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ে রাজপথে রক্ত, ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার এবং একটি অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্টানের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনরত বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত পুলিশের হয়রানি, গ্রেফতার ও মামলা-হামলার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অবজারভেশন রিপোর্ট অফ বাংলাদেশ (এইচআরএসএস)-এর প্রকাশিত তথ্য মতে, শুধুমাত্র গত আগস্ট মাসে সারাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ২৭টি রাজনৈতিক মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ১২ হাজার ১২৮ জনকে। আসামিদের মধ্যে নাম উল্লেখ রয়েছে ১ হাজার ৩৩ জনের। আর অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা ১১ হাজার ৯৫ জন। বিএনপির দাবী অনুযায়ী, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সারা দেশে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৩৪টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে ৪৯ লাখ ৪০ হাজার ৪৯২ জন নেতা-কর্মীকে। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৭টি, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ৯৮টি। এর মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে ভোর রাতে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর করার মত হাস্যকর অভিযোগে দায়ের করা মামলার ট্রায়াল শুরু হয়েছে।

এই যে রাজনৈতিক হয়রানিরর সাথে কোন শ্রেণী পেশার মানুষ জড়িত? দুর্নীতি বেড়ে যাওয়ার কারণ কি? গত ২৫ মে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা ‘২০২৩-২৪: বৈষম্য নিরসনে জনগণতান্ত্রিক বাজেট’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত-এর প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ৫০ বছরে কালো টাকা ও অর্থপাচারের পরিমাণ ১৪৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে পুঞ্জীভূত কালো টাকার পরিমাণ ১৩২ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, আর বিদেশে অর্থপাচারের পরিমাণ ১১ লাখ ৯২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বা ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছিল। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গত ৫ বছরে তৈরি পোশাক রপ্তানির আড়ালে ১৪টি প্রতিষ্ঠান অন্তত ৬৮২ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। ২০১১ সালে হলমার্ক কেলেংকারী, ১৯৯৬ ও ২০১১ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে পুঁজিবাজারে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি ও আস্থার সঙ্কট সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অনেকে পথের ফকির হয়ে যায়। তাছাড়া পর্দা ও বালিশ কা-সহ এরকম অসংখ্য অন্যায় অনিয়মের তথ্য আমাদের সমাজে রয়েছে।

এসব অন্যায় অনিয়ম, কালোটাকা, অর্থ পাচার, ব্যাংক ঋণের নামে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সাথে কারা জড়িত, সমাজের কোন স্তরের মানুষ জড়িত? নিশ্চয়ই সমাজ বা রাষ্ট্রের কতিপয় শিক্ষিত, জ্ঞানী, ক্ষমতাধর, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এর সাথে জড়িয়ে আছে। আজকের বাস্তবতায় সারা বিশ্বের প্রতিটি দেশে আমলাতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠিত ও গুরুত্বপূর্ণ শাসনকাঠামোর অংশ। স্বৈরতন্ত্র ও অগণতান্ত্রিক শক্তি ছাড়া গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিয়ম মাফিক পরিবর্তন হয়। জনসাধারণের ভোটে পাঁচ বছরের জন্য এমপি-মন্ত্রী হয়। আবার চলে যেতে হয়। রাজনীতিকরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা-যাওয়া করেন, কিন্তু আমলাতন্ত্র একটি স্থায়ী কাঠামো। যে দেশের আমলাতন্ত্র যত সৎ, দক্ষ, শক্তিশালী এবং দেশপ্রেমিক সেই দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন, বাকস্বাধীনতা ততই মজবুত হয়ে থাকে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা পালনে সক্ষম হয়। আমলারা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের তথা সরকারের জনকল্যাণে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনগণের সেবক হিসাবে রুল অফ বিজনেজ মেনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে। চাকরিবিধিতেই আমলাদের রাজনীতি করার ওপর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী, সরকারের কোন অন্যায় আদেশ কার্যকর করতে সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ বাধ্য নয়। দেশের পররাষ্ট্র নীতি, উন্নয়ন অগ্রগতি শুরু করে নির্বাচন প্রতিটি ক্ষেত্রে আমলার ভূমিকা অনস্বীকার্য। কাজেই আমলাদেরকে নীতি, নৈতিকতার আলোকে রুল অফ বিজনেজ অনুযায়ী সততা, দক্ষতা, জ্ঞান, মেধা দিয়ে কাজ করবে বলে দেশবাসী প্রত্যাশা করে। নীতি-নৈতিকতা এমন একটা বিষয়, যা মানুষের বিবেক-বিবেচনাকে সর্বাবস্থায় জাগ্রত রাখে। ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য অনুধাবন করে ন্যায়সঙ্গত কাজ করতে সাহায্য করে। নৈতিকতা এমনই একটি গুণ, যা মানুষকে অন্যায় থেকে বিরত রাখে। যার বিবেক বিবেচনা নাই, তাকে লোকজন পশু অথবা মৃতমানুষের সাথে তুলনা করে থাকে। সমাজ বা রাষ্ট্রের কর্ণধারদের নীতি-নৈতিকতার ঘাটতি থাকলে আইনের অপপ্রয়োগ হয়। সমাজে চুরি-ডাকাতি, দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, প্রতারণা, মাদক, ইভটিজিং ইত্যাদি ঘৃণিত কাজ বৃদ্ধি পেতে থাকে। মানুষের মধ্যে দয়া, মায়া ও ভালোবাসা প্রভৃতি সদগুণাবলী বিলুপ্তির আশংকা দেখা দেয়। মানুষ একে অপরকে অবিশ্বাস ও সন্দেহ করতে শরু করে এবং সমাজে নানা অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির সৃষ্টি হয়। কাজেই, আমরা আশা করবো, সততা দক্ষতা, নীতি নৈতিকতা ও সৎসাহস নিয়ে সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ তাদের উপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব পালন করবেন। বলা বাহুল্য, অনেকেই সততার সাথে দায়িত্ব পালনে স্বচষ্ট। সততার সাথে দায়িত্ব পালন করলে, কেউ আঙুল তুলে বলতে পারবে না, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ দলকানা, সরকারের আজ্ঞাবহ। আমলারা সৎ হলে দেশ থেকে টাকা পাচার, ঘুষ, দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

লেখক : আইনজীবী।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

তোফাজ্জলের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন হলো বাবা-মা ও ভাইয়ের কবরের পাশে

তোফাজ্জলের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন হলো বাবা-মা ও ভাইয়ের কবরের পাশে

দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

গণপিটুনিতে হত্যা: ঢালাওভাবে ছাত্রদের বিজয়কে খাটো করতে আওয়ামী মিডিয়ার আস্ফালন, সমালোচনার ঝড়

গণপিটুনিতে হত্যা: ঢালাওভাবে ছাত্রদের বিজয়কে খাটো করতে আওয়ামী মিডিয়ার আস্ফালন, সমালোচনার ঝড়

সাবেক এমপি ইয়াকুবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

সাবেক এমপি ইয়াকুবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে

ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫

ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫

লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি

লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি

দোয়ারাবাজার সীমান্তে মহিষসহ মাছের চালান জব্ধ

দোয়ারাবাজার সীমান্তে মহিষসহ মাছের চালান জব্ধ

সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, নারী গ্রেফতার

সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, নারী গ্রেফতার

আশ্বিনকেও ফেরালেন তাসকিন

আশ্বিনকেও ফেরালেন তাসকিন

কক্সবাজার পাহাড়তলীতে অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ মানুষ, বাধা দেয়ায় বাসার মালিকের উপর হামলা

কক্সবাজার পাহাড়তলীতে অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ মানুষ, বাধা দেয়ায় বাসার মালিকের উপর হামলা

অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে ইইউ

অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে ইইউ

তাসকিনের জোড়া আঘাত, লিটনের রেকর্ড

তাসকিনের জোড়া আঘাত, লিটনের রেকর্ড

ডিবির আলোচিত ডিসি মশিউর গ্রেপ্তার

ডিবির আলোচিত ডিসি মশিউর গ্রেপ্তার

১৯৯ রানের জুটি ভাঙলেন তাসকিন

১৯৯ রানের জুটি ভাঙলেন তাসকিন

গণপিটুনিতে দুই মাসে ৩৩ জনের মৃত্যু

গণপিটুনিতে দুই মাসে ৩৩ জনের মৃত্যু

ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়

ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়

মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ

মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ

বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই

বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই

জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ