কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে
০১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
দেউলিয়া ঘোষিত শ্রীলংকায় মূল্যস্ফীতির হার ৬-৭%। ভারতেও তাই। বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের মূল্য অনেক কমেছে। বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ১০%। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার আরো বেশি, প্রায় ১৩%, যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ! আলুর উৎপাদন চাহিদার অনেক বেশি। তবুও এর মূল্য বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি! জঙ্গলের কচু, শাকপাতার মূল্য অত্যাধিক! সব খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। এতে পুষ্টিহীনতা বাড়ছে। গত ১২ জুলাই প্রকাশিত জাতিসংঘের পাঁচ সংস্থার (এফএও, ইফাদ, ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপি এবং ডব্লিউএইচও) ‘দ্য স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশের সোয়া পাঁচ কোটির বেশি মানুষ মাঝারি থেকে তীব্র ধরনের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় আছে। তন্মধ্যে ১.৮৭ কোটি মানুষ তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় আছে। দেশে মূল্যস্ফীতির হার ৬% এ নামিয়ে আনতে প্রায় বছর খানেক লাগবে বলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন সম্প্রতি। খাদ্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির নানা কারণ রয়েছে, যার অন্যতম হচ্ছে, উৎপাদন ব্যয় অত্যধিক, বেশিরভাগ পণ্য আমদানিনির্ভর, ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা ও সরকারের অনেক সংস্থা থাকা সত্ত্বেও বাজার তদারকির অভাব। সম্প্রতি সরকার পেঁয়াজ, ডিম, আলুর মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি (অতীতেও তাই হয়েছে)। মূল্য নির্ধারণও সঠিকভাবে হয়নি। বিশ্বে প্রতি ডিমের মূল্য ৫ টাকা ও ভারতে ৬ টাকা। অথচ দেশে প্রতি ডিমের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ টাকা। এখানে উৎপাদন ব্যয় ১০.৫ পড়ে বলে বলা হয়েছে। তবুও নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি না হওয়ায় ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ডিম প্রতি ১২ টাকা। কিন্তু কেন আমদানিকৃত ডিমের মূল্য এত হবে? বিশ্বে ও ভারতে খুচরা পর্যায়ে ডিম প্রতি মূল্য ৫-৬ টাকা। সে ডিম পাইকারীভাবে আমদানি করে এনে ১২ টাকায় বিক্রি করা কেন? একটি ডিমের আমদানি ব্যয় কি ৬ টাকা হয়? দ্বিতীয়ত: দেশে ডিম প্রতি উৎপাদন ব্যয় ১০.৫ টাকা পড়বে কেন? অপরদিকে, নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি না হওয়ায় হুংকার দিয়ে বলা হলো, কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালানো হবে। দু’দিন পরই বলা হলো, আলু আমদানি করা হবে! কেন এই সিদ্ধান্তহীনতা/নমনীয়তা? বাণিজ্য সচিব সম্প্রতি বলেছেন, ব্রাজিল ও আর্জেটিনা থেকে গরুর মাংস আমদানি করা হলে তা ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি করা যাবে। ভারতেও গরুর মাংস প্রতি কেজি ৩০০ টাকা। অথচ দেশে গরুর মাংসের মূল্য কেজি প্রতি ৭০০-৮০০ টাকা। তবুও গরুর মাংস আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না কেন? মাছের উৎপাদন ব্যাপক বেড়ে প্রায় স্বয়ংসম্পন্ন হয়েছে। তবুও মূল্য ব্যাপক কেন? আর ইলিশ মাছ তো আকাশচুম্বি। তবুও ভারতে ৪ হাজার টন ইলিশ মাছ রফতানি করা হচ্ছে কেজি প্রতি ১,১০০ টাকায়। কেন? ভারত কি একই কাজ করবে বা করেছে? মোটেও না। বরং সে পণ্যমূল্য বেড়ে গেলেই রফতানি বন্ধ করে দেয়, অথবা রফতানিতে অনেক শুল্ক আরোপ করে। যা’হোক, ভারতে ইলিশ রফতানির কারণে দেশে তার মূল্য অনেক বেড়েছে। এদিকে, মাছ ও মাংসের মূল্য ব্যাপক বৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষ এসব খাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছে। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারও দায়ী। সরকারের অনেকে বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসায়ী বান্ধব। বাস্তবেও তাই। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ব্যবসায়ীদের হাতে ন্যস্ত করাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আর সে কারণেই বাজার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা বাটপারি করে মোটাতাজা হচ্ছে আর ভোক্তাদের হচ্ছে সর্বনাশ! ডলার সংকটের কারণে আমদানি নিয়ন্ত্রণ, টাকার মান অনেক কমে যাওয়া, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আমদানি নির্ভরতা ইত্যাদি পণ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য বিশেষভাবে দায়ী। চাল, আলু, মাছ, মাংস ও সবজি ছাড়া বাকী খাদ্যপণ্যের বেশিরভাগ আমদানিনির্ভর! এমনকি চালও আমদানি করতে হয়। গম চাহিদার ৭৫% আমদানি করতে হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এক দৈনিকে প্রকাশ, ‘চাল আমদানি করা হয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০.৫৫ লাখ টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯.৮৭ লাখ টন ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৩.৫৯ লাখ টন। এছাড়া, গম আমদানি করা হয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৮.৭৫ লাখ টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪০.১২ লাখ টন ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৩.৪২ লাখ টন। এর আগে চাল ও গম আমদানির পরিমাণ আরো অনেক বেশি ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ গত ২৩ আগস্ট প্রকাশিত এক পূর্বাভাসে বলেছে, চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বাংলাদেশে ৩.৬৪ কোটি টন চাল উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই ১০ লাখ টন চাল আমদানি করতে হবে। সরকারও গত ২০ আগস্ট ভারতের কাছে ১৫.৫০ লাখ টন চালের চাহিদাপত্র দিয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। এফএও’র প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশকে বছরে ১ কোটি টনেরও বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, বছরে গড়ে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়। গত ৫ জুলাই প্রকাশিত খবরে প্রকাশ, ভারতের কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ভারতের কৃষিপণ্য রফতানির শীর্ষ গন্তব্য বাংলাদেশ। চোরাচালানের মাধ্যমেও অনেক খাদ্যপণ্য দেশে আসে, যার মূল্য অনেক। অবশ্য, দেশে খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এফএও-এর তথ্য মতে, ২০২১ সালের তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক কৃষিপণ্য (শুধু ফসল) উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১৪তম। উপরন্তু বাংলাদেশ ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে। মোট উৎপাদনের পরিমাণ ৯.৩৩ কোটি টন। মূল্য ৩,৬১১ কোটি মার্কিন ডলার। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের প্রধান শস্য উৎপাদন ৪-৫ গুণ বেড়েছে। কিছু কৃষিপণ্য রফতানিও হচ্ছে। যেমন: পাট, চামড়া, মৎস্যজাত পণ্য ও সবজি। দেশে যে খাদ্যপণ্য উৎপাদন হয় তার বিরাট অংশ নষ্ট ও অপচয় হয়। জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স-২০২১ মতে, বাংলাদেশে বছরে ১.০৬ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয়। এখানে খাদ্য উৎপাদন ব্যয়ও অত্যধিক, যার অন্যতম কারণ হচ্ছে, কৃষি ব্যবস্থা সেকেলে, প্রযুক্তির ব্যবহার সামান্য, কৃষি উপকরণের মূল্য ও পরিবহন ব্যয় অত্যধিক, চাঁদাবাজি, কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি ও মজুরি বেশি এবং ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা। উৎপাদনে ব্যয়বৃদ্ধির সর্বাধিক কারণ হচ্ছে, উৎপাদন হার খুব কম। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী কিছু দিন আগে বলেন, ‘বর্তমানে হেক্টর প্রতি চাল উৎপাদন বাংলাদেশে ২.৭৪ টন, জাপানে ৫ টন, চীনে ৬.৫ টন, ভিয়েতনামে ৫.৮৪ টন’।ওয়ার্ল্ড ইন ডাটার তথ্য মতে, ‘২০২১ সালে বিশ্বে গরু প্রতি গড় মাংসের পরিমাণ ২১৮ কেজি, যা বাংলাদেশে মাত্র ৭১ কেজি’। এরূপ অবস্থা দেশের কৃষির সব পণ্যেই। উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারের স্বল্পতার কারণেই এটা হয়েছে। বর্তমানে চীনে ধানের ৬০% জমিতে হাইব্রিড ব্যবহার হচ্ছে, যা বাংলাদেশে খুব কম। উপরন্তু চীন মহাকাশে বিভিন্ন ফসলের বীজের অংকুরোদগম ঘটিয়ে তা দেশে চাষ করছে, যার নাম দিয়েছে মহাকাশ বীজ। এই বীজ পাকিস্তানকেও দিয়েছে।
যা’হোক, দেশে বছরে একদিকে মানুষ বাড়ছে ২০ লাখ করে, অন্যদিকে কৃষি জমি কমছে ৮ হেক্টর করে। এছাড়া, নানা সংকট তথা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদীভাঙ্গন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত ফসলহানি তো রয়েছেই। উপরন্তু দেশের মানুষের আয় যত বাড়বে, খাদ্যের চাহিদাও তত বাড়বে। সর্বোপরি বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট চলছে। মূল্যও অত্যধিক। তাই দেশকে সব খাদ্যপণ্যের উৎপাদনে স্বয়ংভরতা অর্জন করতে হবে। সে লক্ষ্যে সব কৃষিপণ্যের উৎপাদন হার দ্বিগুণ-তিনগুণ বাড়াতে হবে। সে জন্য সর্বত্রই লেটেস্ট আবিষ্কৃত হাইব্রিড ব্যবহার করা দরকার। এছাড়া, চাষযোগ্য সব পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনা, চাষের সব জমিকে সেচের আওতায় আনা ও সব সেচ যন্ত্রকে বিদ্যুৎ চালিত করা, সর্বত্রই শস্য বহুমুখীকরণ করা, নির্ভুল পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে পরিকল্পনামাফিক তথা চাহিদা অনুযায়ী ফসল ফলানো, পানিতে ভাসমান সবজি ও মাছ চাষ এবং ছাদ বাগান বৃদ্ধি, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ বৃদ্ধি, খাদ্য পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং কৃষি উপকরণের মূল্যে কমাতে হবে। এসব হলে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে ও মূল্য কমবে। উপরন্তু কৃষি পণ্যের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। সে জন্য কৃষিকে শতভাগ যান্ত্রিকরণ, প্রযুক্তিরনির্ভর ও মানসম্পন্ন করতে হবে। এসব হলে উৎপাদন অনেক বাড়বে এবং অপচয় কমবে। ফলে উৎপাদন ব্যয় কমবে। কৃষি শ্রমিকের সংকট দূর হবে। সর্বোপরি বাজার মনিটরিং করতে হবে সার্বক্ষণিক এবং তাতে মূল্যবৃদ্ধিকারকদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে তাৎক্ষণিকভাবে। কৃষিখাত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে হবে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং জ্বালানি ও আসবাবপত্রের কাঠের চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় বৃক্ষ রোপণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফলজ বৃক্ষ রোপণের দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। উপরন্তু দেশে প্রয়োজনীয় কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠা, কৃষিতে উচ্চতর গবেষণা ও উদ্ভাবন অব্যাহত রাখতে হবে। এসব করতে ব্যাপক বিনিয়োগ দরকার, যা বেসরকারি পর্যায়ে সহজে হবে না। তাই সরকারকেই এটা করতে হবে। গত ২ আগস্ট প্রকাশিত এক গবেষণা রিপোটে মতে, দেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষিখাতে ১২০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করলে ১,১৬০ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। উৎপাদন বৃদ্ধিতে ‘সমলয় পদ্ধতি’ খুবই কল্যাণকর। এই নবতর পদ্ধতি হচ্ছে: এলাকা ভিত্তিক সব জমিকে একত্র করে একই ফসল ফলানো। এতে যন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবহার সহজতর হয় এবং উৎপাদন ব্যয় অনেক কম হয়। তাই এই পদ্ধতিকে দেশব্যাপী কার্যকর করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
কৃষিখাতের উন্নতির সাথে কৃষকের উন্নতির বিষয় জড়িত। কারণ, ফসল ফলিয়ে যদি কৃষকের লাভ না হয়, তাহলে তারা কৃষি কাজে নিরুৎসাহী হয়। তাতে কৃষি খাতের অবনতি হয়, যার ব্যাপক প্রভাব পড়ে জাতীয় অর্থনীতিতে। তাই কৃষির উন্নতির সাথে সাথে কৃষকেরও উন্নতি ঘটাতে হবে। এর জন্য প্রতিটি ফসল উঠার সাথে সাথে তা ন্যায্যমূল্যে সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ক্রয় করে সরকারি গুদামে সংরক্ষণ করতে হবে। এতে কৃষকও লাভবান হবে, খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে। উপরন্তু প্রয়োজনীয় কৃষিঋণও স্বল্প সুদে ও বিনা ঝামেলায় কৃষককে দিতে হবে। এসব হলে কৃষক কৃষি কাজে অধিক উৎসাহী হবে। স্মরণীয় যে, চলতি বছর দেশের সোনালি আঁশ পাট কৃষকের গলার ফাঁসে পরিণত হয়েছে মূল্য অনেক কম হওয়ার কারণে। তাই পাটচাষিরা চরম ক্ষুব্ধ ও পাট চাষে অনাগ্রহী হয়েছে। সরকারি সব পাটকল বন্ধ করে দেওয়ার কারণেই পাটের মূল্যে ধস নেমেছে। তাই সরকারি সব পাটকল দ্রুত পুনঃচালু করা দরকার। বন্ধ হয়ে থাকা চিনিকলগুলোও দ্রুত পুনঃচালু করা প্রয়োজন। এসব হলে বহু শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে। দেশেরও কল্যাণ হবে। মনে রাখতে হবে, কৃষিভিত্তিক দেশে কৃষির উন্নতির উপরই তার সার্বিক ও টেকসই উন্নতি নির্ভরশীল।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নেত্রকোনার পূর্বধলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ইসলামী যুব আন্দোলনের কম্বল বিতরণ
আটঘরিয়ায় নারীর মৃতদেহ উদ্ধার
রামপালে ইউপি চেয়ারম্যান নাসির বরখাস্ত
রাজবাড়ীর কালুখালীতে এনআরবিসি ব্যাংকের ১০৮তম শাখার উদ্বোধন
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান শাখায় অপ্রীতিকর ঘটনা
খুলনা বারের সাবেক সম্পাদক কারাগারে
ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেল ‘রূপসী বাংলা’ ট্রেন, উৎফুল্ল যাত্রীরা
'মেসির সম্মান রক্ষার্থেই বার্সা ছাড়েন নেইমার'
সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির আল্টিমেটাম মোংলায় প্রতিবাদ সভা এবং বিক্ষোভ
সংস্কার কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচনের সূচি: আসিফ মাহমুদ
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন
ইজতেমার মাঠে মুসল্লিদের উপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
কলাপাড়ায় দিনমজুরের বসত ঘর পুড়ে ছাই
মেলবোর্নে অনিশ্চিত হেড, অভিষেক হচ্ছে কনস্টাসের
বিমানবন্দরে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের কলমবিরতি
এস আলমের চিনি, ইস্পাত ও ব্যাগ কারখানা বন্ধ ঘোষণা
পটুয়াখালীতে সুবিধা বঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার দুর্যোগের প্রভাব বিষয়ক প্রজেক্ট ওরিয়েন্টশন
ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকে মারধোর
মুফতি মুতাজ সভাপতি মুফতি শুয়াইব সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত