সংকটে অর্থনীতি : যা করতে হবে
২৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৩ এএম | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৩ এএম
দেশের অর্থনীতি নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে যাওয়া ও উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের পথ চলার কথা ছিল। সে লক্ষ্যে কি অর্থনীতি চালিত হচ্ছে? সামনে রয়েছে অনেক সমস্যা। তা হলো অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক। রয়েছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ, আছে সম্ভাবনাও। গত পাঁচ দশকে কখনও বেশি অর্জন কখনও কম অর্জন এভাবে আমরা চলেছি। আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ হলো, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া। আমাদের অর্থনীতিতে বর্তমানে যে সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করা উচিত। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মূল্যস্ফীতিরতর ঊর্ধ্বমুখী অবস্থান, টাকার অবমূল্যায়ন, রিজার্ভ কমে যাওয়া, ব্যাংকিং খাতে মুদ্রাপাচার, দুর্নীতি আয় ও সম্পদের বৈষম্য বেড়ে যাওয়া এবং কর্মসংস্থানের অপ্রতুলতা। পাশাপাশি রয়েছে নীতির দুর্বলতা ও অথনৈতিক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক-আমলাতান্ত্রিক প্রভাব।
এসব সমস্যা আমরা অনায়াসে সমাধান করতে পারতাম। শুধু বাহ্যিক সমস্যা যেমন কোভিড-১৯ এর প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের কারণে ঘটেনি বরং এর জন্য অব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলাহীনতা ও সিদ্ধান্তহীনতা অনেকাংশে দায়ী। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ২০২১ অর্থ বছরে আমদানি কমে গেলেও পরের বছর প্রায় দ্বিগুণ পণ্য আমদানি হয়। কিন্তু সেই সময়ে এটি নিয়ন্ত্রণের কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে আরও দীর্ঘ হয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে অনেক দেশ ব্যবস্থা নিতে শুরু করলেও বাংলাদেশ তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ঋণের সুদহারও বাজারের ওপরে ছেড়ে দেয়নি।
ডলার সংকটের কারণে একদিকে যেমন রিজার্ভ কমতে শুরু করে পাশাপাশি কড়াকড়ির কারণে কাঁচামাল আমদানি কমে যাওয়ার প্রভাব পড়ে রপ্তানি খাতে। আমাদের যে পরিমাণ রপ্তানি হয় সে অনুযায়ী ডলার দেশে না এসে পাচার হয়ে যায়। সে বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, রাজস্ব আদায়ে নি¤œহার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো খাতে বিনিয়োগ করতে না পারা, বৈদেশিক বিনিয়োগের ভঙ্গুর অবস্থা, রিজার্ভের খারাপ অবস্থাসহ সব সূচকেই তা নেতিবাচক হয়ে পড়ছে। তথ্য উপাত্তের ঘাটতির পাশাপাশি বাজারের ওপরে সরকারের নিয়ন্ত্রণে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগের ডিস্ট্রিংগুইশ ও ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বিবিসি বাংলায় এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘আমি মনে করি, অর্থনীতি ভুলপথে চলছে। তবে পথ যতখানি ভুল হয়েছে সেটার চেয়ে বড় কথা হলো, সেই পথ কখন ও কোথায় বাঁক নিতে হবে, কোথায় নামতে হবে সেটাকে আমরা সংস্কার বলি, সেখানে নীতি প্রণয়নে আর বাস্তবায়নে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। ফলে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।’ বৈদেশিক মুদ্রার মজুত প্রতি মাসেই কমছে। আইএমএফ হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, বিজার্ভ বর্তমানে ২ হাজার ৯০ কোটি (২০.৯০ বিলিয়ন) ডলার। তবে সরকার আই.এম.এফ-কে যে হিসাব দেয় সে অনুযায়ী দেশের প্রকৃত রিজার্ভ ১ হাজার ৭০০ কোটি (১৭ বিলিয়ন) ডলার। অর্থনীতিবিদদের হিসাবে গত ২ বছরে প্রতি ১০০ কোটি ডলার করে রিজার্ভ কমেছে। ২০২২ সাল থেকে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি কমেছে। ২০২২ সালে যেখানে মাসে প্রায় ২০০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় আসতো, সেখানে ২০২৩ সালে প্রথম তিন প্রান্তিকে প্রতি মাসে গড়ে ১৫০-১৬০ কোটি ডলার এসেছে। বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়ে রপ্তানি আয়, রেমিটেন্স, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বৈদেশিক অনুদান থেকে। এই চার খাতেই আয়ের ধারা নি¤œমুখী। বাংলাদেশ ব্যাংকের বহুমুখী সিদ্ধান্তে ও সুফল আসছে না। এতে টাকার মান আরও কমে যাচ্ছে, মূল্যস্ফীতিতে চাপ বাড়ছে ডলারের প্রবাহ বাড়াতে হলে রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে। সেটি সম্ভব হচ্ছেনা। কারণ, বৈশি^ক মন্দায় শিল্পের কাঁচামাল আমদানি জুলাই-আগস্ট (২০২৩) কমেছে ২৮ শতাংশ ও এলসি খোলা কমেছে ১৭ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি আয় বেড়েছিল ৩৪.৩৮ শতাংশ। গত অর্থ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ৬.৬৭ শতাংশ। ১ বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রায় ২৭ শতাংশ। গত অর্থ বছরের জুলাই-আগস্টের তুলনায় চলতি অর্ধবছরের এ সময়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। রেমিটেন্সের দিকে দেখলে তা দেখা যায় এ বছর জুনে রেমিট্যান্স এসেছে ২২০ কোটি ডলার, জুলাইয়ে তা কমে ১৬৭ কোটি ডালার, আগষ্টে তা আর ও কমে ১৬০ কোটি ডলার এসেছে। ৩ মাসের হিসাবে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৭৭ কোটি ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমেছিল ১৫.১২ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে এসেছিল ১২.২৭ শতাংশ। চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের একই সময়ে বাড়ার পরিবর্তে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৩.৫৬ শতাংশ। বৈদেশিক অনুদানের গতি ও নি¤œমুখী।
২০২১-২২ অর্থবছরে অনুদান বেড়ে ছিল ৫১.৭৪ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাইয়ে বেড়েছিল ৮৪.৩৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) একই সময়ে কমেছে ৩.১৩ শতাংশ। বৈদেশিক বিনিয়োগ ২০২১-২২ অর্থবছরে এসেছিল ১৮৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে এসেছে ১৬১ কোটি ডলার। গত বছরে জুলাইয়ে এসেছে ১৭ কোটি ও চলতি বছরের একই সময়ে এসেছে ১৮ কোটি ডলার। এর বিপরীতে শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগ তুলে নেয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি সময়ে বৈদিশিক ঋণপ্রবাহ ও কমে গেছে। একারনে ডলারের প্রবাহ বাড়ছেনা। আগে বৈদেশিক ঋণের সুদের হার ছিল কম। এখন বেড়ে যাওয়া চড়া সুদে কেউ ঋণ নিতে চাচ্ছে না। বর্তমানে লাইবারের রেট বেড়ে ডলারে ৫.৯০ শতাংশ এবং ইউরোতে ৪.৮ শতাংশ ওঠেছে। এর সুদের আড়াই শতাংশ যোগ করলে সুদের হার দাঁড়ায় ডলারে ৮.৪০ শতাংশ এবং ইউরোতে ৭.৩০ শতাংশ ঋণের সুদের হার বেড়ে যাচ্ছে।
ফলে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ কমে গেছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় দেশের রিজার্ভ কমেছে। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামছুল আলম একটি দৈনিক সাক্ষাতকারে বলেন, বৈদেশিক সহায়তা আপ এন্ড ডাউন থাকবেই। এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা এখনও প্রচুর বৈদেশিক ঋণ নিতে পারি। স্বাধীনতার পর থেকে আমরা কখনও কিস্তি পরিশোধে খেলাপি হয়নি। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩৫০ কোটি ডলারের মত ঋণ পরিশোধ করে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের পর এটি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৪৫০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার। কিন্তু সে তুলনায় যদি বৈদেশিক মুদ্রা আয় না বাড়ে তাহলে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। ডলার সংকটের কারণে ব্যালেন্স অব পেমেন্টে ও চাপ আশার আশংকা রয়েছে। বিশ^ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ঘাটতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়ে চলেছে। বিশ^ব্যাংক পূর্ভাবাস করেছে। বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) আগের অবস্থায় ফেরার আগে ২০২৪ অর্থ বছরে কমে ৫.৬ শতাংশে দাঁড়াবে।
রপ্তানি আয়ের গুরুত্ব ও সবচেয়ে বেশি অংশীদার গার্মেন্টসে ও গত ৭ মাসে রপ্তানি কমেছে ২৯ শতাংশ। যা মোট রপ্তানির একতৃতীয়াংশ, ইউরোপের বাজারে ও কমেছে ১৪.৫০ শতাংশ। পাশাপাশি জ¦ালানির দাম বৃদ্ধিও দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ায় এ খাতে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ খাতটিও অত্যন্ত চাপে পড়েছে। অর্থনীতির এমন মন্দার মধ্যে দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে ঋণমান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান মুডিস, স্ট্যান্ডার্ড এন্ড পুওরস এর পর আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিচ রেটিংসও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পূর্বাবাসকে স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক দিকে ধাবিত হওয়ার খবর দিয়েছে।
অর্থনীতি যে, ভয়াবহ সংকটের মধ্যে আছে তার আর একটি নমুনা হল আমাদের ব্যাংকিং খাত। বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের ছাড় দেওয়ার পরও খেলাপি ঋণ কমাতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ হিসাবও বলছে, জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়ে গেছে। এপ্রিল-জুন/২০২৩ সময়ে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। জানুয়ারি-জুন/২০২৩ ছয় মাসে বেড়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বেশি, সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। খেলাপি গ্রাহকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বিশেষজ্ঞগণ ঋণ খেলাপি ট্রাইবুনাল গঠনের কথা বলেছেন। ট্রাইবুনালে প্রত্যেক ব্যাংকের শীর্ষ খেলাপিদের বিচার করতে হবে। উন্নত দেশগুলোর মতো খেলাপি গ্রাহকদের মাল ক্রোক করাসহ তাদের জেলে পাঠাতে হবে। বিচারে কোনো আপিলের সুযোগ রাখা যাবে না। অর্থ ঋণ আদালতের কাজ দ্রুত ও যুগোপযোগী করতে হবে। খেলাপি ঋণ বাড়ার অন্যতম কারণ হলো, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া। ব্যাংকগুলোর উচ্চ পর্যায়ে থাকা লোকদের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ও খেলাপি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়াও ব্যাংকের অব্যবস্থাপনায়, তদারকি ঘাটতি, অনিয়ম জালিয়াতি ও অর্থ আত্বসাতের ঘটনাও রয়েছে। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা আনতে হলে কঠোরভাবে এসব অনিয়ম দূর করতে হবে। এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ব্যাংক খাতে সুশাসনের অভাব রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে ঋণ বিতরনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। প্রভাবশালী, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সুপারিশে বা যোগসাসে বিতরণকৃত ঋণই খেলাপি হয়ে থাকে। এসব ঋণ আদায়ে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নানা দিক থেকে হয়রানি হতে হয়। নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করেও ঋণ ফেরৎ দিতে চায় না। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও কঠোর হওয়া উচিত। খেলাপি ঋণের কারণে শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোই যে সমস্যা পড়ছে তা নয়, সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনিয়ম বন্ধ হলে, ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে খেলাপি ঋণ কমে আসতে বাধ্য। বর্তমান ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারি সম্পদের অপচয় রোধ করতে হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় আনতে হবে। অপচয় রোধ করতে হবে ও নিয়মনীতিসমূহ যতেœর সাথে পরিপালন করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিকতা, মানবিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করে আগামী প্রজন্মকে সুশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল জাতিতে পরিণত করতে হবে। অসৎ ব্যবসায়িরা যেন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশ্রয় না পায়, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, জনগণকে মানসম্মত রাষ্ট্রীয় সেবা দিতে রাজস্বের পরিমাণ আরো বাড়ানো উচিত। অর্থনীতিকে মজবুত করতে হলে, ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করতে হবে। ব্যাংকের প্রতি আমানতকারীদের আস্থা ফিরাতে হবে। অনিয়ম দুর্নীতি অরাজকতাও দূর করে সুশাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানীমুখী শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি রেমিট্যান্স বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি বিদেশে পাঠিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশে সম্পদ অনেক। জনসংখ্যা আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। সকল সম্পদের হেফাযত ও সঠিক ব্যবহার করে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। ৎ
লেখক: অর্থনীতি বিশ্লেষক
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শম্ভুর ধরা পড়ায় এলাকায় আনন্দের বন্যা
রাজবাড়ীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাচ্ছেনা আর্জেন্টিনা
খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস অপু
পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক তল্লাশি
আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলার
অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয় : রিজভী
পার্লামেন্টে ক্ষমা
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তায় নতুন প্রহরী: রোবট কুকুর!
লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার
মাকে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখা ছেলে গ্রেফতার
সীমান্তে ৪ বাংলাদেশী নারী আটক
গুলি বর্ষণকারী ৭৪৭ পুলিশ শনাক্ত গ্রেফতারের উদ্যোগ নেই
সিলেটে মতবিনিময় সভা করলো নেজামে ইসলাম পার্টির
স্বামী স্ত্রীকে শর্ত লাগিয়ে তালাক দেওয়ার পর শর্ত উঠিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে।
আন্তঃনগর ট্রেনের সময় পরিবর্তন করুন
জনপ্রশাসনে মেধাশূন্যতা : কারণ ও প্রতিকার
ভারতীয় হেজিমনি ও আওয়ামী লীগের আত্মঘাতী রাজনীতি
বিতর্ক পরিহার করতে হবে