সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কি এভাবেই ঘটতে থাকবে?
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
দেশের কোনো না কোনো স্থানে প্রায় প্রতিদিনই সড়ক-দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। সংবাদপত্রে যে সব দুর্ঘটনার খবর প্রকাশিত হয় তার বাইরেও অনেক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে থাকে। বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষত প্রত্যন্ত এলাকায় যে সব সড়ক-দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়, তার সব ক’টির খবর সংগ্রহ করা এবং সংবাদপত্রে প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। বস্তুত, দূরপাল্লার সড়ক পথে এবং বিশেষত হাইওয়েতে আর রাজধানী নগরীসহ দেশের বিভিন্ন শহর-বন্দরে যেসব সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় ও জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে থাকে, প্রধানত সে সবের খবর সংবাদপত্রে ও অন্যান্য প্রচার মাধ্যমে রেডিও-টেলিভিশনে প্রচার পেয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ও ছোট-বড় সড়কপথে প্রায় প্রতিদিন যেমন দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে, তেমনি অনেক মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শুধু দূর পাল্লার পথে ও হাইওয়েতে এবং দেশের বিভিন্ন শহর-বন্দরেই নয়, রাজধানীতে সংঘটিত হচ্ছে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা। নগরীর অভ্যন্তরীন রাজপথতো বটে, এমনকি রাজধানীর বুক চিরে বহিরাঞ্চলে চলে যাওয়া এয়ারপোর্ট রোড বা বিমান বন্দরের সুবিস্তৃত ও সুমসৃণ পথেও সংঘটিত হচ্ছে দুর্ঘটনা। সারা দেশের জরিপ ও পরিসংখ্যান নিলে দেখা যাবে যে, নানা কারণে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা যেমন বিপুল, তেমনি এসব দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আহত, নিহত ও পঙ্গু হয়ে পড়া লোকের সংখ্যা হাজার হাজার। ক’দিনের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার খবরে প্রকাশ আমাদের দেশে প্রতিবছর ১২ থকে ১৫ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়, আহত হয় অসংখ্য মানুষ, যাদের পঙ্গু হয়ে শেষ জীবন কাটাতে হয়। মৃতদের উত্তরাধিকাররা ক্ষতিপূরণের খুব কম টাকাই পায়। এদিকে চালকের বা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের সাজাও হয় কম। প্রকৃতপক্ষে, সড়ক দুর্ঘটনা শুধু জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে না, দুর্ঘটনায় আকস্মিক ও অকাল মৃত্যুর শিকার হবার দরুন অথবা মৃত্যুর হাত থেকে আপাত রেহাই পেলেও, আহত ও পঙ্গু হয়ে পড়ার কারণে তাদের এবং তাদের পরিবার-পরিজন ও উত্তরাধিকারীদের জন্য বিরাট অর্থনৈতিক ও মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। অনেক পরিবার চিরকালের জন্য পঙ্গু ও নিঃস্ব হয়ে পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মীয় ও উত্তরাধিকারীরা নানা পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ ও বীমার টাকা ইত্যাদি পায় না বলে একেবারে পথে বসে যেতে হয়।
সড়ক-দুর্ঘটনায় নিহত, আহত ও পঙ্গুদের হতভাগ্য উত্তরাধিকারীদের দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ তথা বীমার টাকা পাবার চেয়ে শতগুণ সৌভাগ্যের ব্যাপার হলো, আদৌ তেমন পরিস্থিতির শিকার না হওয়া, অর্থাৎ কারো সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত না হওয়া, আহত ও পঙ্গু হয়ে পড়ার মতো দুর্ভাগ্যের শিকার না হওয়া। দৈব দুর্ঘটনার ওপর মানুষের কোনো হাত নেই এবং কে, কখন ও কী কারণে দুর্ঘটনার শিকার হবে, তা বলা মানুষের সাধ্যাতীত। তবে, দৈব-দুর্ঘটনার ওপর মানুষের হাত না থাকলেও পূর্বাহ্নে সতর্কতা অবলম্বন করলে এবং সাবধান হয়ে চলাফেরা করলে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো যায়, ক্ষয়ক্ষতিও হ্রাস পায়। এ কথাটি সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রযোজ্য ও সত্য। কেননা, সড়ক দুর্ঘটনার কার্যকারণ অনুসন্ধান করে দেখা গেছে যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনার এবং জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মূলে রয়েছে সংশ্লিষ্টদের অসতর্কতা ও দায়িত্বহীনতা। সড়ক পথের অপ্রশস্ততা ও সংকীর্ণতা, উঁচু-নিচু অবস্থান, দূরবস্থা, ভাঙ্গাচোরা দশা, যানবাহনের যান্ত্রিক ত্রুটি-বিচ্যুতি, গোলযোগ, যানবাহনের লক্কড়মার্কা অবস্থা, ড্রাইভারের অদক্ষতা, অনভিজ্ঞতা, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রবণতা, ওভারটেক করার প্রবণতা, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, পথচারীদের অসাবধানতা ও দায়িত্বহীনতা, গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অভাব ইত্যাদি বহুবিধ কারণে সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে থাকে।
কী ধরনের বেপরোয়া ও উদ্দাম গতিতে চললে এবং আকস্মিকভাবে ওভারটেক করতে গেলে এমন বিপর্যয় ঘটতে পারে তা সহজে অনুমেয়। জানা যায়, অধিকাংশ যানবাহন চালকের যথেষ্ট অনভিজ্ঞতা, অদক্ষতা ও দায়িত্বহীনতা রয়েছে। একশ্রেণীর ড্রাইভার রাজপথে ও দূরপাল্লার পথে এবং হাইওয়েতে যানবাহন চালাতে গিয়ে বেপরোয়া ও উদ্দাম হয়ে ওঠে, ট্রাফিক নিয়ম-কানুনের প্রতি বিন্দু মাত্র ভ্রুক্ষেপ করে না, দুর্ঘটনার আশংকা এবং নিজের ও যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বেমালুম ভুলে যায়। সড়ক পথে বিশেষত দূর পাল্লার পথে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং চেকিংয়ের ব্যবস্থার অভাব ড্রাইভারদের অবাধ, উদ্দাম ও বেপরোয়া করে তোলে। প্রতিটি বড় ধরনের এবং মারাত্মক ও মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পর সংবাদপত্রে যথেষ্ট লেখালেখি হয়। দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করার, দূরপাল্লার পথে ঘন ঘন চেকিংয়ের ব্যবস্থা নেয়ার, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন এবং অদক্ষ ও দায়িত্বহীন ড্রাইভার যাতে গাড়ি চালাতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানানো হয়। যানবাহনের ফিটনেস কড়াকড়িভাবে পরীক্ষা করা, ড্রাইভারের গাড়ির লাইসেন্স, ইনস্যুরেন্স সার্টিফিকেট ইত্যাদি পরীক্ষা করা, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও অদক্ষ ড্রাইভারকে পথে নামতে না দেয়া ইত্যাদি বহুবিধ ব্যবস্থা কড়াকড়িভাবে গ্রহণের জন্য দাবি জানানো হয়। অনেকক্ষেত্রে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা সত্ত্বেও সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে এবং ড্রাইভারের অদক্ষতা ও দায়িত্বহীনতা মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনছে। বস্তুত, অনেক পুরনো এবং লক্কড়মার্কা যানবাহন যে নানা কায়দা কৌশল ও বিভিন্ন উপায়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট আদায় করে এবং দূরপাল্লার পথে চলার অনুমতি পেয়ে যায়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এসব ব্যাপারে দুর্নীতির অভিযোগ পুরনো এবং হরহামেশাই মেলে। বহু যানবাহন বিশেষত বাস, মিনিবাস, ট্রাক ইত্যাদি যে লক্কড়মার্কা অবস্থার জন্য ধুকতে ধুকতে দূরপাল্লার পথ চলে, তাতো যাত্রীদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার অন্তর্গত। শুধু কি তাই? মারাত্মক ও মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ড্রাইভার ও যানবাহন মালিকরা নানা কায়দা-কৌশলে ও দুর্নীতির আশ্রয়ে পার পেয়ে যায়। এমনকি, দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ দেয়া থেকেও রক্ষা পায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, মারাত্মক দুর্ঘটনা সংগঠিত হওয়া এবং তাতে বহু লোক নিহত ও আহত হওয়া সত্ত্বে ড্রাইভাররা অক্ষতভাবে পালিয়ে যায়। তাদের টিকির সন্ধানও সহজে পাওয়া যায় না। অনেকে মামলা-মোকদ্দমা থেকে সহজে ছাড়া পেয়ে যায়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন সময়ের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, অনেক সময় দুর্ঘটনাকবলিত অধিকাংশ গাড়ির রুট পারমিট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ব্লু-বুক, লাইসেন্স, ট্যাক্স টোকেন ইত্যাদি ঠিক থাকে না বা পাওয়া যায় না। ফলে মামলা-মোকদ্দমা দাঁড় করাতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় এবং এর ফলে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত ব্যক্তিদের উত্তরাধিকাররা ফরম পূরণ করে বীমার টাকা পাবার ব্যাপারে হিমশিম খায়, বঞ্চিত হয়।
সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত, আহত ও পঙ্গু হওয়া মর্মান্তিক ঘটনা। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার না হওয়া এবং সাক্ষীর অভাবে অথবা নানা জটিলতার কারণে মামলা খারিজ হয়ে যাওয়া আরো দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। নিহতের উত্তরাধিকারীরা বীমার টাকা না পাওয়া বিরাট ক্ষতির ব্যাপার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যাপার ঘটে। অর্থাৎ যানবাহনের চালকরা সাজা পায় না, নিহতদের উত্তরাধিকারীরা ক্ষতিপূরণ ও বীমার টাকা থেকে বঞ্চিত হয় বলে সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হলে অকুলস্থলে জমায়েত জনসাধারণ মারমুখো হয়ে ওঠে, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ড্রাইভারকে নিজেরাই শাস্তি দিতে চায়, এছাড়া যানবাহন ভাংচুর এবং সড়কপথ অবরোধের ব্যাপার ঘটে। ঘটনা যত বেদনানায়ক-ই হোক না কেন, নিজের হাতে আইন তুলে নেয়া উচিত নয়, কিছুতেই সমর্থনযোগ্য নয় এবং তা আইনসম্মতও নয়, বরং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু দেশের বিভিন্নস্থানে যে হারে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে এবং দুর্ঘটনার শিকার হবার দরুণ জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়া ছাড়া অনেক মূল্যবান ও সম্ভাবনাময় জীবনের অকালে অবসান ঘটছে, তাতে অকুস্থলে সমবেত জনসাধারণের ও নিহতদের আত্মীয়-স্বজনের ধৈর্য্য ধারণ করা কঠিন। দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত ও আহত ব্যক্তিরা যদি অল্পবয়সী ছাত্র, তরুণ হয় তাহলে ব্যাপারটি হয়ে দাঁড়ায় আরো মর্মন্তুদ। বস্তুত এসব কারণে যানবাহন ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধের প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। অথচ, তা বাঞ্চিত নয়। আমরা মনে করি, সড়ক-দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা, নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ লাভ নিশ্চিত করা এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধের ব্যবস্থা ব্যাপক ও জোরদার করার মাধ্যমে এ প্রবণতা হ্রাস করা যেতে পারে।
সব দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা মানুষের সাধ্যাতীত এ কথাটি মনে রাখতে হবে। আরো মনে রাখতে হবে যে, সড়ক দুর্ঘটনায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং আহত ও নিহত হবার ব্যাপারটি যত মর্মান্তিক হোক না কেন, এর জন্য সড়ক পথ অথবা যানবাহন ভাংচুরে মনের ক্ষোভ বা দুঃখ শোক লাঘব হলে তাৎক্ষণিক এ ব্যবস্থায় প্রকৃতপক্ষে কোনো লাভ হয় না বরং অন্যের ক্ষতি বা কষ্ট বাড়িয়ে তোলা হয়। যানবাহন ভাংচুরে সেসব যানবাহন সরকারি হোক বা বেসরকারি হোক ক্ষতি হয় দেশের, জনগণের। যানবাহনের সংখ্যা কমে গেলে যাতায়াত আর যোগযোগের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। সুতরাং, সড়ক দুর্ঘটনাজনিত বিরাট ক্ষতি আর শোক-দুঃখের মুহূর্তে আমাদের ধৈর্য ধারণ এবং যুক্তির পথ অবলম্বন করা শ্রেয়।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
চোটে পড়ে মৌসুম থেকে ছিটকেই গেলেন টের স্টেগেন
ইন্টার মায়ামি ছাড়ছেন মেসি?
ডেভিস কাপ দিয়ে কোর্টে ফিরছেন নাদাল
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে অনুমতি পাচ্ছে না ইউক্রেন
গাজা-লেবাননে নিহত আরো ২২২
আসাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত এরদোগান
জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় রায়হানের দোষ স্বীকার
গণহত্যাকারী কোন রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার অধিকার থাকে না: আসাদুজ্জামান রিপন
ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা জন্য আমাদের লড়াই চলছে : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
ইনসি ইকো প্লাস সিমেন্ট নিয়ে এলো বাংলাদেশের সমূদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের উপযোগী করে দীর্ঘস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের সমাধান
হাত-পা ও চোখ বেঁধে ঝুলিয়ে পেটানো হয় --- আবু বাকের
দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠে" প্রকাশকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ফরিদপুর সাংবাদিক জোটের প্রতিবাদ সভা
ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধির তাগিদ তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার
শ্রীলঙ্কার চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে কি ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ?
ফুটবলের মাঠে চমক দেখাতে চান তাবিথ আউয়াল
এবার ফাঁস হলো রাবি শিবির সভাপতির পরিচয়
নদী দখলকারীদের উচ্ছেদে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে - পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম কারাগারে
স্বৈরাচারের পতন হলেও দোসররা এখনো রয়ে গেছে : তারেক রহমান
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক গ্রেফতার