দেশকে আগে বাসযোগ্য করতে হবে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তার ক্যাসেট বাজানো হচ্ছে ব্যাপকভাবে। ইতোপূর্বে বাজানো হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের ক্যাসেট। ডিজিটাল বলতে যা বুঝায়, তার কিঞ্চিতমাত্র হয়েছে। বেশিরভাগই চলছে এনালগে। যেটুকু ডিজিটাল হয়েছে, তার অধিকাংশেই চলছে প্রতারণা। গতিও সামান্য। ডিজিটাল কাজের প্রধান বাহন হচ্ছে ইন্টারনেট, যা গ্রামাঞ্চলে পৌঁছেনি এখনো। উপজেলা পর্যন্ত পৌঁছেছে। কিন্তু গতি নেই। ওকলার স্পিড-টেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স মতে, ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান মোবাইল ইন্টারনেটের ১০১তম (ভারত ২২তম ও মালদ্বীপ ৩০তম) ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ১০৮তম। দ্বিতীয়ত: দেশে মোবাইলের সিম ব্যবহার হচ্ছে ১৯ কোটি, যার অধিকাংশই ২-৩জি, ৪জি সামান্য। ৫জি নেই। অথচ, চীনে এখন চলছে ৬জি, বেশিরভাগ দেশে চলছে ৫জি। তবুও তারা ডিজিটাল কান্ট্রি বলে ঘোষণা করেনি। আমরা করেছি, যা চাপাবাজি ছাড়া কিছুই নয়। ‘উন্নয়ন মডেল’র ক্ষেত্রেও তাই। অবশ্য, চাপাবাজি, মিথ্যা বলা, গণতন্ত্রের ক্ষতি করা ইত্যাদি বর্তমান ক্ষমতাসীনদের তরফে নতুন নয়। নতুন করে শুরু হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশের গীতবাদ্য। ইতোপূর্বে বিদ্যুতের উন্নতি নিয়ে চাপাবাজি হয়েছে অনেক। অবশ্য ইদানিং এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। কারণ, তাদের ভুল নীতির ফলে বিদ্যুতের উন্নতি এখন গলার ফাঁসে পরিণত হয়েছে! লোকসানের পরিমাণ বিপুল। যেমন: গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিপিডিবি’র লোকসান হয়েছে ৪৭,৭৮৮.১৭ কোটি টাকা। অবশ্য, এ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বেড়েছে ৫-৬ গুণ বেশি। সে তুলনায় সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা বাড়ানো হয়নি। তাই চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে না। চলছে ব্যাপক লোডশেডিং। অন্যদিকে, বিদ্যুৎ প্লান্ট বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। তাতে চুক্তি মোতাবেক ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে মার্কিন ডলারে, যার পরিমাণ বিপুল! গত ৫ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী পার্লামেন্টে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে (৩০ জুন পর্যন্ত) প্রায় এক লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র ভাড়া পেয়েছে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো’। এর পরিমাণ বর্তমানে আরো অনেক বেড়েছে! তারও বিরাট অংশ বকেয়া রয়েছে, যা পরিশোধ করার জন্য বিপুল অংকের বন্ড ছাড়া হয়েছে ৮% সুদে। ইতোপূর্বে এ সরকারের আমলে ৮-৯ বার বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। সর্বোপরি ভারত থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ আমদানি চলছে। ৯ হাজার মেগওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে বলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন সম্প্রতি। বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুতের যে প্লান্ট তৈরি করা হয়েছে, তার অধিকাংশই আমদানিকৃত কয়লা ও তেলনির্ভর, যা জলবায়ু সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে কোনো সময়ে বন্ধ করতে হতে পারে। অন্যদিকে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের পরিমাণ ৫শ’ মেগাওয়াটেরও কম! জিডিপির আকার ও মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধি নিয়ে প্রায়ই ডুগডুগি বাজানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমান জিডিপির আকার নির্ধারণের সময় পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত কয়েকটি পণ্য যুক্ত করা হয়েছে। উপরন্তু মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভিত্তি বছর ২০০৫-০৬ অর্থবছরের পরিবর্তে ২০১৪-১৫ অর্থবছর ধরা হয়েছে। তাই জিডিপির আকার বেড়েছে অনেক। মাথাপিছু গড় আয়ও বেড়েছে।
মেগা প্রকল্প নিয়েও অনেক বাহাদুরি চলছে। হ্যাঁ, শুধুমাত্র অবকাঠোমা ভিত্তিক অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে ও হচ্ছে। কিন্তু তা ঋণে, যার মাত্র কয়েকটির রিটার্ন ভাল, বাকীগুলোর রিটার্ন কম। মেগাপ্রকল্পগুলোর ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে জিডিপির প্রায় অর্ধেক। তন্মধ্যে বিদেশি ঋণের পরিমাণ গত জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় একশ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার ৩০.৮০% বিশ্ব ব্যাংক, ২৬.৭৭% এডিবি, ১৯.১৭% জাপান, ১০.১% চীন, ৮.৪৯% রাশিয়া, ২.২৩% এশিয়ান ইনফ্রাস্টাকচার ব্যাংক, ২.৮% ভারত, ১.৫১ আইডিবির। অন্যদিকে, দেশীয় ঋণের পরিমাণ আরো বেশি। অর্থাৎ দেশ ঋণের ফাঁদে পড়েছে। তবুও ঋণ গ্রহণ চলছেই। এ পর্যন্ত গৃহীত ঋণের বার্ষিক কিস্তি ও সুদ পরিশোধের পরিমাণ বাড়ছে ক্রমান্বয়েই। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, চলতি অর্থ বছরে মোট আসল ও সুদ পরিশোধ করতে হবে ৩২৮ কোটি ডলার। আগামী অর্থ বছরে অঙ্কটা দাঁড়াবে ৪০০ কোটি ডলার। ক্রমান্বয়ে এর পরিমাণ বাড়তেই থাকবে। ২০২৯-৩০ সালে হবে ৫১৫ কোটি ডলার। কিন্তু ঋণের বর্তমান কিস্তি ও সুদ পরিশোধ করতেই নতুন করে ঋণ করতে হচ্ছে। পসক্ষেত্রে আগামীতে অনেক বর্ধিত পরিমাণ পরিশোধ হবে কীভাবে? ঋণ পরিশোধের সময় নবায়ন অথবা রাজস্ব আয় বাড়িয়ে? অবশ্য, এ ব্যাপারে সরকার নতুন উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যেই রিজার্ভ থেকে অর্থ জমা রেখে আইটিএফসি থেকে ২১০ কোটি ডলারের একটি ঋণচুক্তি করা হয়েছে! কিন্তু এসব সাকুল্যে ঋণ শোধ করা দূরহ। কারণ, রাজস্ব আয় দিয়ে রাজস্ব ব্যয় ও এডিপি বাস্তবায়ন হয় না, ঋণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে বকেয়া ঋণ পরিশোধ হবে কীভাবে? তাই ঋণের মাধ্যমে নির্মিত মেগাপ্রকল্পগুলোর অধিকাংশই এখন মেগাজ্বালায় পরিণত হতে চলেছে।
অপরদিকে, দেশের আর্থিক খাতে চলছে চরম সংকট। বিনিয়োগ, রফতানি, রেমিটেন্স, কর্মসংস্থান ইত্যাদিতে চলছে ভাটা! জ্বালানি সংকটের কারণেও ব্যাপক ভাটা চলছে শিল্পোৎপাদনে। ইতোপূর্বে বেশিরভাগ ভারী শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। অসংখ্য ক্ষদ্র শিল্প রুগ্ন হয়ে পড়েছে। ঋণ খেলাপি, তারল্য সংকট ও নানা অনিয়মের কারণে বহু বেসরকারি ব্যাংক বন্ধ হতে চলেছে। তাই দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার এবং ঋণ খেলাপি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবুও ব্যাংকগুলো সংকট মুক্ত হবে কি-না বলা কঠিন। শেয়ার কেলেঙ্কারির পর থেকে এ খাত আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। আইএমএফের ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিশেষ ঋণের ২টি কিস্তি পেয়েও রিজার্ভ সংকট চলছেই। মার্কিন ডলারের চরম সংকট, টাকার মানের ব্যাপক অবনমন, কর জিডিপির হার নগণ্য ৮-৯% ইত্যাদি তো রয়েছেই। অর্থাৎ দেশে চরম অর্থনৈতিক সংকট চলছে! বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ গত ১০ ফেব্রুয়ারি বলেছেন, ‘অর্থনীতির হৃৎপি- হলো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। হার্ট ভালো থাকে রক্ত সঞ্চালনের কারণে। তবে বর্তমানে আর্থিক খাতের অবস্থা ভালো নেই। সুশাসনের অভাবে আর্থিক খাত বিপর্যস্ত। বাংলাদেশের ঋণমানে আন্তর্জাতিকভাবে যে অবনতি হয়েছে তা আর্থিক খাতের কারণেই হয়েছে’।
দেশে মূল্যস্ফীতি সর্বাধিক হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ সঞ্চয় ভেঙ্গে/সম্পদ বিক্রি করে/দেনা করে চলছে। ভয়াবহ বেকারত্বে যুব সম্প্রদায় দিশেহারা। স্বাস্থ্য খাত ভঙ্গুর। নকল ও ভেজাল পণ্যে বাজার সয়লাব। শিক্ষা ব্যবস্থা সেকেলে, মান খুব ও ঝরে পড়া ব্যাপক। দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত! দেশীয় সংস্কৃতি ধ্বংসের মুখে। পরিবেশ রক্ষার জন্য ২৫% বনাঞ্চল থাকতে হয়। কিন্তু দেশে আছে তার এক তৃতীয়াংশ। পরিবেশমন্ত্রী গত ৬ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টে বলেছেন, ‘দেশের ১৫.৫৮% এলাকায় বনভূমি রয়েছে’। কিন্তু তাতেও বনের পরিমাণ কম! অন্যদিকে, নদী, নালা,খাল, বিল, হাওর, জলাশয় দখলে, মরে, মজে প্রায় শেষ হয়ে দেশ প্রায় মরূভূমিতে পরিণত হয়েছে। নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টে বলেছেন, দেশে এখন ৯৩১টি নদী প্রবাহমান রয়েছে এবং নাব্য হারিয়েছে এমন নদীর সংখ্যা ৩০৮টি। সড়কের অবস্থা প্রয়োজনানুগ নয়। যেটুকু আছে, তারও মান খারাপ। গত ৪ জানুয়ারি পার্লামেন্টে ২ জন এমপি স্বীয় এলাকার রাস্তাঘাটের দুরবস্থা নিয়ে প্রচ- ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন বলেছেন, ‘অবস্থা এতটাই খারাপ যে কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারী ওই রাস্তায় চলাচল করলে পথেই ডেলিভারি (সন্তান প্রসব) হয়ে যাবে’।
রাজধানী ঢাকার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। জলজট, মানবজট, যানজট, সব ধরনের দূষণ, মশার জট, ব্যাপক দুর্ঘটনা এবং আবাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বর্জ্য ও পয়োনিঃষ্কাশন সংকট ইত্যাদিতে বাসের অনোপযোগী হয়েছে! গত ৬ ফেব্রুয়ারি এক সভায় বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শহরের ৮৪% মানুষ জায়গার অভাবে হাঁটতে পারে না। ঢাকা শহরে ৭৯৫টি মাঠের প্রয়োজন হলেও কেবল ২৪৭টি মাঠ রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত ১১ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টে বলেছেন, একটি শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু রাখার জন্য অন্তত ২৫% রাস্তা প্রয়োজন হয়। ঢাকায় রাস্তা আছে ৯%। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যুক্ত হলে সেটি ৯.৫% হতে পারে। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের দ্য গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স-২০২৩ মতে, বিশ্বের বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ১৭৩টি নগরীর মধ্যে ঢাকা ১৬৬তম (আগের বছরও একই ছিল)। দেশের বাকী শহরের অবস্থা আরো খারাপ। এনবিইআর-এর ধীরগতির শহরের সূচক-২০২৩ মতে, বিশ্বের ১৫২টি দেশের ১,২০০টি শহরের যান চলাচলে সবচেয়ে ধীর গতির শীর্ষ ২০ তালিকায় ঢাকা প্রথম, ময়মনসিংহ নবম ও চট্টগ্রাম ১২তম।
কৃষিনির্ভর দেশের কৃষির অবস্থা এখনো সেকেলেই রয়েছে। কৃষকেরও অধিকাংশই অশিক্ষিত ও গরীব। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ৭ম। তাই প্রায়ই ব্যাপক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া, দেশের কৃষি জমির পরিমাণ ক্রমেই কমছে, অন্যদিকে মানুষ বাড়ছে। তাই খাদ্য সংকট চলছে। গত ২৩ ডিসেম্বর’২৩ এফএও বলেছে, ‘বিশ্বে খাদ্য আমদানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয়’। তাই ভারত কিংবা অন্য দেশ থেকে থেকে খাদ্য পণ্য এলে দাম কমে নতুবা আকাশচুম্বী হয়! অপরদিকে, দেশের শ্রমিকের অধিকাংশই অশিক্ষিত ও অদক্ষ। দুর্নীতি দেশের সার্বিক উন্নতির প্রধান অন্তরায়। তবুও এটি বেড়েই চলেছে। টিআইয়ের দুর্নীতির ধারণা সূচক-২০২৩ মতে, ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০ম (আগের বছর ছিল ১২তম)। ন্যায় বিচারের অভাব। সুশাসনের অভাবে অর্থ পাচার, মানব পাচার, অপচয়, অব্যবস্থাপনা, দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি, সরকারি কাজে মন্থরতা, আয় ও সম্পদ বৈষম্য, নারী ও শিশু নির্যাতন, দুর্ঘটনা, খুন-জখম ইত্যাদি সর্বাধিক! গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অবনতি নিয়ে জাতিসংঘ ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে।
বৈশ্বিক সূচকে কয়েকটি বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে: ইউএন উইমেনের প্রতিবেদন মতে, যেসব দেশে বাল্যবিয়ের হার সর্বোচ্চ সে দেশগুলোর কাতারে এখনো রয়েছে বাংলাদেশ। ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক-২০২৩ মতে, ১২৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮১তম। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশনের উদ্ভাবন সূচক-২০২৩ মতে, ১৩২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৫তম (আগের বছর ছিল ১০২তম)। এসডিজি অর্জনে ১৬৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০১তম। আইটিইউসির বৈশ্বিক অধিকার সূচক-২০২৩ মতে, ১৪৯টি দেশের মধ্যে শ্রমজীবী মানুষের জন্য বিশ্বের ‘সবচেয়ে বাজে’ ১০টি দেশের একটি বাংলাদেশ। জাতি সংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচকে-২০২৩ মতে, ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১১১তম।
অর্থাৎ দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, আবাসন, যোগাযোগ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, পরিবেশ, উদ্ভাবন, সুশাসন, আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুবই ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় একটি দেশকে স্মার্ট কান্ট্রি, ডিজিটাল কান্ট্রি, উন্নয়ন মডেল ইত্যাদিতে বিশেষায়িত করা চাপাবাজি ছাড়া কিছুই নয়। তাই এসব চাপাবাজি বন্ধ করতে হবে দেশকে বাসোপযোগী করতে হবে আগে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ঝিনাইদহ সদরে মিজানুর রহমান মাসুম জয়ী
কারাগার থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সামচুল আলম চৌধুরী
সাধারন সম্পাদককে হারিয়ে সিলেট দক্ষিণ সুরমায় বিজয়ী আ'লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বদরুল
ভারতে হিন্দু জনতার সংখ্যা কমেছে ৮ শতাংশ! বাড়ছে মুসলমানদের সংখ্যা।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: নড়িয়ায় নির্বাচিত হলেন যারা
সিলেট গোলাপগঞ্জে জেলা আ'লীগ নেতা এলিমকে হারাতে পারলেন না ব্রাজিল যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক উজ্জ্বল
অপার সম্ভাবনাময় দেশের বৃহত্তম বীজ উৎপাদন খামার
আ’লীগে-আ’লীগে টক্কর, সিলেট সদর উপজেলায় জয় পেলেন সুজাত
রাশিয়ায় এক সেনাসহ দুই মার্কিন নাগরিক গ্রেপ্তার
ধানকাটা-ঝড়বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কম: ওবায়দুল কাদের
স্বামীর হাত-পা বেঁধে যৌনাঙ্গে ছ্যাঁকা-মারধর, স্ত্রী গ্রেপ্তার
বিজিবির অভিযানে এপ্রিলে ১৩৪ কোটি ৩৬ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান জব্দ
বেইলি রোড অগ্নিকান্ড: কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক গ্রেপ্তার
বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করেও চ্যাম্পিয়নস লীগ অধরাই রয়ে গেল পিএসজির
বগুড়ায় তিন উপজেলায় ভোটার বিহিন উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত
প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন জ্ঞান অর্জন করতে হবে: রাজউকের চেয়ারম্যান
ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়ার আহ্বান
ইসলাম বিরোধী শিক্ষা কারিকুলাম মেনে নেয়া হবে না পীর সাহেব চরমোনাই
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আরও একটি দেশের স্বীকৃতি
তেঁতুলিয়া সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ