ভূরাজনৈতিক কৌশলের কবলে বাংলাদেশ

Daily Inqilab এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম

২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম

ভূরাজনৈতিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আন্তঃসীমান্ত পরিস্থিতি এক যুগসন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে। বিশ্বের পরাশক্তি এবং আঞ্চলিক শক্তিসমূহ নিজেদের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক সুবিধা, নিরাপত্তা এবং আধিপত্য বজায় রাখতে তাদের কৌশলগত পরিকল্পনায় এখন দক্ষিণ এশিয়ার দিকে মনোনিবেশ করেছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিসমূহ তাদের স্বার্থে প্রকাশ্যে এবং গোপনে নানাভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। গণচীন নিজেদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সমৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে বাণিজ্য সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভারত সাগর থেকে লোহিত সাগর হয়ে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত ভূ-রাজনীতিতে এই প্রকল্প প্রভাব বিস্তার করছে। এই বিআরআই কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হওয়া দেশগুলোকে চীন অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেওয়ার নামে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে উৎসাহিত করছে। এতে সংশ্লিষ্ট দেশ চীনা ঋণে সড়ক, সমুদ্রবন্দরসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক চাকা গতিশীল রাখতে সক্ষম হলেও দেশগুলো অনেক বেশি চীনের ওপর নির্ভর্রশীল হয়ে পড়ছে। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চীনের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীনের উদীয়মান এই অবস্থানকে মোকাবিলা করতে জাপান, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশ সম্মেলিত ভাবে পদক্ষেপ নিতে কাজ করছে। বিশেষত মার্কিন-চীন কৌশলগত প্রতিযোগিতায় যে চ্যালেঞ্জগুলো আবির্ভূত হয়েছে, তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার স্বার্থ রক্ষায় তৎপরতা চালাতে হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি বা আইপিএস এবং যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সমন্বয়ে সামরিক জোট কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়ালগ বা সামরিক জোট ‘কোয়াড’ গঠন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) ঘোষণা করে। উল্লেখ্য, ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যেসব দেশ রয়েছে, সেগুলোকে একত্রে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বলা হয়। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও বাংলাদেশের মতো দেশ রয়েছে। ফলে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিটি দেশের নিজেদের নিরাপত্তা ও স্বার্থের বিষয়টি সামনে এনে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণবলয় তৈরি করে নিজের অবস্থান আরো সুসংহত করতে চায়। তবে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব মানতে নারাজ চীন। যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত এই অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারসহ আশপাশের দেশগুলোর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। এক্ষেত্রে চীনকে মোকাবিলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভারতের দিকে কৌশলগত বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেও তার মতো করে ভারতকে ব্যবহার করতে কার্যত ব্যর্থ হচ্ছে। যদিও চীনের সাথে ভারতের সীমান্ত সমস্যা বিদ্যমান। অপরদিকে, মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে। ফলে এই শক্তিসমূহ মিয়ানমারে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে প্রত্যেকেই নিজস্ব কৌশলে ভূমিকা পালন করে আসছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বার্মা অ্য্যাক্ট নামে একটি আইন পাশ করে মিয়ানমারের প্রবাসী সরকারকে সহযোগিতা করে চলেছে। এই আইন নামে বার্মা অ্যাক্ট হলেও এই আইনের পরিধি আরও বিস্তৃত। বার্মা অ্যাক্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বেশ কিছু ক্ষমতা দিয়েছে। এই আইনের আওতায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমার এবং এর কাছাকাছি অঞ্চলে গণতন্ত্রকামীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য অর্থব্যয় করতে পারবে। আর এই অঞ্চলের অন্যতম দেশ বাংলাদেশ। একইসঙ্গে বার্মা অ্যাক্ট-এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে সহায়তা প্রদানকারী ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিঘœকারীদের স¤পত্তি জব্দ করা, ভিসা না দেওয়া, জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে। সামরিক জান্তার আর্থিক সক্ষমতাকে খর্ব করতে তেল-গ্যাস আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে। এতে বুঝতে অসুবিধা হয় না, মিয়ানমার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং স্বার্থ কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাছাড়া, মিয়ানমারের রাখাইনে প্রতিবেশী চীন ও ভারতের ভূকৌশলগত এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। চীন রাখাইনে শিল্পাঞ্চল, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, রাখাইন থেকে গ্যাস সরবরাহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে চীনের নানাবিধ অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। ভারত মহাসাগরে চীনের প্রবেশের ক্ষেত্রে আরাকানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ অবস্থায় চীন মিয়ানমার সরকারকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। একইসঙ্গে গোপনে বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করছে। অপরদিকে, ভারত তার নিজস্ব বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক স্বার্থে মিয়ানমার সামরিক জান্তা সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে।

মিয়ানমারের চীনল্যান্ড এবং সাগাইং রাজ্যের বেশির ভাগ এলাকা ভারতের মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তের সঙ্গে যুক্ত। এই পুরো অঞ্চল এখন বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ওই অঞ্চলকে স্বাধীন এলাকা হিসেবে বিবেচনা করছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিএনএফ ইতিমধ্যে তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসিত ‘চিনল্যান্ড কাউন্সিল’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। যদিও দিল্লি এবং মণিপুরকে এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হতে এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না বলে তারা দিল্লিকে আশ্বস্ত করেছে। তাছাড়া বর্তমানে গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত মিয়ানমারের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তাপ ও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। মিয়ানমারসীমান্ত সংলগ্ন ভারতের মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও বাংলাদেশের কক্সবাজার, বান্দরবান নাইক্ষংছড়ি এলাকায় রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী, এককথায় সরকারি বাহিনী আরাকান আর্মির সামনে টিকতে না পেরে কয়েক দফায় শত শত সৈন্য বাংলাদেশে ও ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয়গ্রহণকারীদের মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড পুলিশের সশস্ত্র সদস্য, ইমিগ্রেশন সদস্য, কাস্টমস ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার ৩৩০ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদের নিরস্ত্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রেখে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের নাগরিকরাও পালিয়ে আসার চেষ্টা করছে। মিয়ানমারের গুলি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ছে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

ব্রিটিশ পরবর্তী সময়ে ১৯৪৮ সাল থেকেই মিয়ানমারে সামরিক শাসন, গৃহযুদ্ধ, জাতিগত বিরোধ, সাম্প্রদায়িক সংঘাত, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস, ভিন্নমত দমন ইত্যাদি নানাবিধ অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে প্রাকৃতিক স¤পদে ভরপুর দেশটির বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সর্বশেষ ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন সাং সুচিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলে নেয় সামরিক জান্তা। প্রতিবাদে রাস্তায় সাধারণ মানুষ নেমে আসে। সরকার উৎখাতে বিক্ষোভ শুরু করে। সু চির দল এনএলডির সমর্থকেরা এনইউজি (ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট) নামে একটি প্রবাসী সরকার গঠন করে। এই প্রবাসী সরকার মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সব দল ও মতকে একই ছাতার নিচে আনার জন্য গঠন করে এমএনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স)। এই অবস্থায় মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠনগুলো নিজদের ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করে তুলে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর শক্তিশালী জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। জান্তার বিরুদ্ধে শুরু হয় ‘অপারেশন-১০২৭’। এরপর থেকে একের পর এক শহর ও ঘাঁটিসহ সেনা হারাচ্ছে জান্তা বাহিনী। বিদ্রোহীরা শান, রাখাইন, চীন ও কেয়াহ রাজ্যে লড়াই চালিয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও সেনাপোস্ট ইতিমধ্যে তারা দখল করে নিয়েছে। ৬,৭৬, ৫৭৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মিয়ানমারের অধিকাংশ এলাকা এখন বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। সামরিক জান্তার জন্য পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দেশের রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সে। ফলে রাজধানী রক্ষায় ‘পিপলস মিলিশিয়া’ নামের একটি মিলিশিয়া বা আধাসামরিক বাহিনী গঠন করেছে। মিলিশিয়ায় যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করতে সাধারণ মানুষকে অস্ত্র, নগদ অর্থ এবং খাবার দেওয়া হচ্ছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মিয়ানমার রীতিমতো একা হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাখাইন ও এর আশপাশের এলাকায় কুকি-চিন এবং আরাকান আর্মির সাম্প্রতিক আক্রমণে যেভাবে জান্তা বাহিনী প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ প্রবেশ করছে, এই পরিস্থিতিতে যদি বিদ্রোহীরা আমাদের সীমান্তকে তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে জান্তা বাহিনীর পিছু নেয়, তবে তা হবে আমাদের জন্য বিপজ্জনক। এমনিতেই ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে, তাই মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের উত্তাপকে আমাদের হালকা ভাবে নেওয়া সুযোগ নেই। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত মিয়ানমার ইস্যুতে শতভাগ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে আসছে। মিয়ানমারে আমাদেরও স্বার্থ রয়েছে। ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। সীমান্ত পথে মাদক চোরাচালান বন্ধ করতে হবে। রাখাইন এবং চিনল্যান্ড যদি চিরদিনের জন্য সামরিক জান্তার হাতছাড়া হয়ে যায়, তবে আমাদের নতুন করে সমস্যায় পড়তে হবে। চীন মিয়ানমার সরকার এবং বিকল্প হিসেবে বিদ্রোহীদের সাথে সমন্বয় রাখছে। মিয়ানমার নিয়ে আমাদের নিজস্ব কোন কৌশল না থাকায় আমাদেরকে ভারত, গণচীন এবং রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। যদিও বিগত বছরগুলোতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমাদের বন্ধুপ্রতিম এই তিন দেশের ভূমিকা হতাশাজনক। প্রসঙ্গত গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মন্টিটস্কি ঢাকায় কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতি (ডিকাব)-এর সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের অবস্থান খুব ¯পষ্ট। আমরা দ্রুত প্রত্যাবাসনের পক্ষে। কিন্তু মিয়ানমারের যে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজমান তাতে প্রত্যাবাসন কবে শুরু হবে তা ধারণা করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। এ প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশকে কারো মুখাপেক্ষী না হয়ে মিয়ানমার ইস্যুতে নিজস্ব কৌশল অবলম্বন করতে হবে। কারণ, মিয়ানমার ইস্যুতে আমরা চুপচাপ থাকলেও ভূকৌশলগত ও ভূরাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখার কৌশল হিসেবে ভারত, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বসে থাকবে না। তাদের প্রয়োজনে যা যা করার সবই করবে। বর্তমান বাস্তবতায় বঙ্গোপসাগরের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব অনুধাবন করে বিশ্বের পরাশক্তি সমূহ প্রশান্ত মহাসাগর এবং ভারতীয় মহাসাগরের মধ্যকার সেতুবন্ধন হিসাবে বঙ্গোপসাগর পূর্ব ও পশ্চিমের বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে বিবেচনা করছে। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তিগুলো বঙ্গোপসাগর তথা উপকূলীয় অঞ্চলকে তাদের নিজ নিজ প্রভাব বলয়ে রাখতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিধায় বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের নিজস্ব কর্মকৌশল নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

লেখক ঃ আইনজীবী।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

কলাপাড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

কলাপাড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিশরে হামাস প্রতিনিধি দল

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিশরে হামাস প্রতিনিধি দল

সুইজারল্যান্ডে প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন তীব্র বর্ণবাদের শিকার

সুইজারল্যান্ডে প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন তীব্র বর্ণবাদের শিকার

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ১৩ সেনা নিহত

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ১৩ সেনা নিহত

ভারতে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতলেন মিথিলা

ভারতে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতলেন মিথিলা

ইউরো ২০২৪: ইংল্যান্ডের ভালো সুযোগ দেখছেন গার্দিওলা

ইউরো ২০২৪: ইংল্যান্ডের ভালো সুযোগ দেখছেন গার্দিওলা

পরিবেশ সুরক্ষায় সঠিক তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন করলে পূর্ণ সহায়তা দেওয়া হবে : সম্পাদক পরিষদের আলোচনায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী

পরিবেশ সুরক্ষায় সঠিক তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন করলে পূর্ণ সহায়তা দেওয়া হবে : সম্পাদক পরিষদের আলোচনায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী

এবার বলিউডের সিনেমায় গাইলেন আসিফ আকবর

এবার বলিউডের সিনেমায় গাইলেন আসিফ আকবর

ইউরোয় বাড়ল খেলোয়াড় সংখ্যা

ইউরোয় বাড়ল খেলোয়াড় সংখ্যা

কেনকে দলে ভেড়াতে চেয়েছিল ইউনাইটেড

কেনকে দলে ভেড়াতে চেয়েছিল ইউনাইটেড

মৌসুম শেষে নতুন ঠিকানায় রেয়াস

মৌসুম শেষে নতুন ঠিকানায় রেয়াস

মনিরামপুরে মেশকাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই জন গ্রেপ্তার

মনিরামপুরে মেশকাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই জন গ্রেপ্তার

মিল্টনকে কারা সহায়তা করতেন শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: ডিবি

মিল্টনকে কারা সহায়তা করতেন শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: ডিবি

কাপ্তাই হ্রদ শুধু দেশের নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সম্পদ : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

কাপ্তাই হ্রদ শুধু দেশের নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সম্পদ : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রিমিয়ার লিগের সেরা গোলরক্ষক রায়া

প্রিমিয়ার লিগের সেরা গোলরক্ষক রায়া

রাজবাড়ী - ভাঙ্গা ও ভাঙ্গা - ঢাকা দু'টি কমিউটার রেলের যাত্রা শুরু

রাজবাড়ী - ভাঙ্গা ও ভাঙ্গা - ঢাকা দু'টি কমিউটার রেলের যাত্রা শুরু

ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা ফোডেন ও খাদিজা

ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা ফোডেন ও খাদিজা

গুরুতর অসুস্থ প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার স্বামী নিক জোনাস! রাতারাতি বাতিল সব কনসার্ট

গুরুতর অসুস্থ প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার স্বামী নিক জোনাস! রাতারাতি বাতিল সব কনসার্ট

দৌলতপুরে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচন নিয়ে শিক্ষক মহলে নানা গুঞ্জন ও ক্ষোভ

দৌলতপুরে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচন নিয়ে শিক্ষক মহলে নানা গুঞ্জন ও ক্ষোভ

ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২৫

ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২৫