বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এসব কী হচ্ছে?
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ এএম
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থিরতা নতুন কোনো বিষয় নয়। বিভিন্ন কারণে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থির হয়ে উঠতে পারে। সাধারণত রাজনৈতিক কারণেই বিশ্ববিদ্যালগুলি বেশি অস্থির হয়ে উঠে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নারী নির্যাতন অতি মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় প্রতিবাদের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে। নারী নির্যাতনের ধরন ও কৌশল বদলাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির এই করুণ দশা সমাজ ও রাষ্ট্রকে নেগিটিভ বার্তা দিচ্ছে। কিন্তু সেটাতে সমাজ ও রাষ্ট্রের তেমন কোনো ভ্রুক্ষেপ আছে বলে প্রতীয়মান হয় না। কিছুদিন আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলো। সেটার লোমহর্ষক স্মৃতিগুলি মুছতে না মুছতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ঘটনার জন্ম হলো। অবন্তিকা আত্মহত্যা করলো। সে সুইসাইড নোট লিখে কারণও জানিয়ে গেলো। অবন্তিকার চলে যাওয়া রাষ্ট্রের হয়তো ক্ষুদ্র একটি ক্ষত। কিন্তু তার সুইসাইড নোট যে বার্তা দিয়ে গেছে সেটা মোটেও নগণ্য ক্ষত নয়। বরং এই ক্ষত এতটাই গভীরে পৌঁছে গেছে যে, এটাকে নির্মূল করতে নতুন বিপ্লবের ভাবনা ভাবতে হবে। যাহোক, এ বিষয়ে লেখালেখিও কম হয়নি। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্থিতিশীলতা আনতে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখনো নেয়া সম্ভব হয়নি। শিক্ষক এবং ছাত্র রাজনীতির জাঁতাকলে পিষ্ট উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ। উচ্চ শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন অনেক আগেই সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অস্থিরতা রোধে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করা হলেও স্থায়ীভাবে সমাধানে কোনো উদ্যোগ গৃহিত হয়নি।
উচ্চ শিক্ষায় নানা বিশৃঙ্খলা আমরা লক্ষ করি। কিন্তু দিনে দিনে সেটা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন এক নব দানবীয় রূপ লাভ করেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিশেষ ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করে থাকেন। কিন্তু সেই স্বাধীনতাকে বেপরোয়া স্তরে নামিয়ে এনে তারা কী বার্তা দিচ্ছেন? ছাত্রীদের ব্যক্তিগত লালসার শিকার বানিয়ে মহা দাপটে তারা কী করে ঘুরে বেড়ান। কোনো ঘটনা ঘটলে সেটা কতটুকু সত্য বা কতটুকু মিথ্যা তা তথ্য, উপাত্ত ও তদন্ত সাপেক্ষে জানা যায়। প্রশ্ন হলো, শিক্ষকদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কেন? রক্ষক কেন ভক্ষকের ভূমিকায় যাবে? আগে তো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অবক্ষয়ের চিত্র দেখা যায়নি। তবে এখন কেন সীমা অতিক্রম করছে? রোগটা আসলে শনাক্ত করা দরকার। রোগ শনাক্ত হলেই তো ঔষধ প্রয়োগ করা যায়। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে: তরকারী কুটায় দোষ থাকলে রান্নায় সেটা সারে না। কিং লেয়ার নাটকে শেকসপিয়ার বললেন, নাথিং কামস আউট ফরম নাথিং (শূন্য থেকে শূন্যই আসে)। বাব-চাচারা বলতেন, বীজ ভালো তার ফল ভালো। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই হয়তো এই প্রবাদ-প্রবচনগুলি এসেছে। কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন? একটা সময় ছিল, যারা বিভাগে সর্বোচ্চ মেধাবী থাকতেন এবং নৈতিক চরিত্রের অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতেন তারা কোনো রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়াই নিয়োগ পেতেন। তারা আদর্শ শিক্ষক হিসেবে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতেন। কিন্তু এখন কী হচ্ছে? নিয়োগের প্রধানতম পূর্বশর্ত হয়ে গেছে স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ আর রাজনৈতিক বিবেচনা। নিয়োগেই যখন দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে তখন তাদের কাছ থেকে কীভাবে ভালো কিছু আশা করা যায়? ক্ষমতার দাপটে যখন নিয়োগ বিজয় হয়ে যায়, তখন অন্যকে পদপিষ্ট করা খুব একটা বিবেকে বাঁধার কথা নয়। ব্যক্তিগত ভোগ-লালসা মিটানোও তখন খুব সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। খুঁটির জোরে সব কিছুকে ধামাচাপা দেয়া যায়। কারণ, তারা জানে অন্যায় করেও পার হবার মতো শক্তি তাদের আছে। আমরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এসেছি। স্যারদের দেখতাম, গবেষণা নিয়ে মেতে থাকতেন। নতুন কিছু দেয়ার জন্য অনন্ত চেষ্টা চালাতেন। কিন্তু এখন কী হাল! শিক্ষকদের গবেষণা কোথায় গেলো? তারা কেন সন্তানতুল্য মেয়েদের দিকে ভিন্ন দৃষ্টি দিচ্ছে? তবে সব শিক্ষক এক রকম নন। অনেক আদর্শ শিক্ষক আছেন এখনো, যারা নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষার জন্য। তারা আছেন বলেই হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এখনো চলছে। কিংবদন্তি কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক বড় দুঃখ করে বলেছিলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে তাকালে মনে হয়, এ যেন কৃমিকীটে খাওয়া দগ্ধ লাশের চেহারা। আর এই ভয়ংকর চেহারার সবচেয়ে বড় ছাপটি দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত কয়েক বছরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের বেশ কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সেগুলি আলোচনা করতে গেলে কলেবর বেড়ে যাবে। তাই সেদিকে না গিয়ে অবন্তিকার আত্মহত্যার দিকেই নজর দিতে চাই। প্রতিটি মানুষ তার স্বীয় সত্তা নিয়ে বড় হয়। নারীসত্তা অনেক সূক্ষ্ম হয়ে থাকে। মুখ বুজে নারীরা অনেক কিছু সহ্য করলেও তাদের প্রতিবাদী সত্তা জাগ্রত থাকে। পুরুষশাসিত সমাজে হয়তো তাদের সেই প্রতিবাদী রূপটি পূর্ণতা পায় না। পুরুষের শোষণের মাত্রা যখন সীমা ছাড়ায় তখন নারী প্রতিবাদ করতে চায়। কিন্তু যখন সে দেখে তার প্রতিবাদ কোনো ফল বয়ে আনবে না তখন সে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। সমাজ বিজ্ঞানী এমিল ডুরখেইম তার আত্মহত্যা মতবাদে দেখান যে, একজন মানুষ যখন তার প্রতিবাদী সত্তাকে সমাজে ঠাঁই করাতে পারে না তখন সে আত্মহত্যা করে। অবন্তিকা হয়তো প্রতিবাদ করে জয়ী হতে চেয়েছিলো। কিন্তু সে হয়তো বুঝে উঠতে পারেনি যে, এ সমাজ এখনো পশুত্বমুক্ত হয়নি। সে বলদের কাছে দুধের ভিক্ষা চেয়েছে, তাই সে দুধ পায়নি। যাদের কাছে সে বিচার চেয়েছে, তারা তাকে বিচারের পরিবর্তে হয়তো তিরষ্কার দিয়েছে, যেটা অবন্তিকার সহ্য করা কঠিন ছিল। ফেসবুকে আরেক মেয়ের আর্তনাদ দেখলাম। তাকে কীভাবে পরতে পরতে হেনস্থা করা হচ্ছে। সাবলীল বাচনভঙ্গিতে সে তার তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণানা দিয়েছে। শিক্ষকতা নামক মহান পেশাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি আমরা? অভিভাবকগণ তাদের মেয়েদের কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেন? কার ভরসায় মেয়েরা নিরাপদ থাকবে? অঘটন ঘটার পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। কিন্তু সেটা কি যথেষ্ঠ? তবে একটি বিষয় বলতে চাই জোর গলায়, অনেক সময় শিক্ষকরাও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকেন। কোনভাবেই যখন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যায় না, তখন নারীকে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এসব ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ এবং নিখুঁত তদন্ত হওয়া দরকার পড়ে। কিন্তু দেশের তদন্ত ব্যবস্থার উপর জনগণের আস্থা কতটুকু? যে রোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে সেটার শিকড় খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই চরিত্রকে সর্বপ্রথম প্রাধান্য দিতে হবে। সৎ চরিত্রবানদের মধ্য থেকেই মেধাবী বের করে আনা সম্ভব। কিছু দিন আগে ভিকারুননেসায় যা হলো তাতে শিক্ষক হিসেবে খুব লজ্জিত হয়েছি। অবন্তিকার বিষয়টিকে সিরিয়াসলি নিতে হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
শিক্ষকদের মধ্যে দলীয়করণ, রেষারেষি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে এটার লাগাম টেনে ধরা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় উপাচার্য নিয়োগ এবং শিক্ষক নিয়োগের সংস্কৃতি কতটুকু লাভবান করেছে উচ্চ শিক্ষার পরিবেশকে তা বিজ্ঞজনেরাই ভালো বলতে পারবেন। একাডেমিক ও প্রশাসনিক রাজনীতির কারণে শিকার হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কোনো কারণে অস্থির হয়ে উঠলে শিক্ষক রাজনীতির ছদ্ম রূপটি আরো বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কি ব্যক্তিস্বার্থ বড়, নাকি সামগ্রিক স্বার্থ? বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের অস্থিরতার পিছনে একক কোনো কারণ থাকে না। তবে শিক্ষকদের দলীয়করণ এবং রেষারেষি একটি অন্যতম কারণ এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে দলীয়করণ এবং স্বজনপ্রীতি যখন চরমে তখন এই ধরনের অস্থিরতাই নিত্য হয়ে উঠে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের খবর পত্রিকায় বহুবার প্রকাশিত হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি আমাদের সবার জানা। উপাচার্যরা দলীয়ভাবে আসেন বলে তারা সবার উপাচার্য হয়ে উঠতে পারেন না। একটি নির্দিষ্ট পক্ষকে নিয়েই তাকে চলতে হয়। শিক্ষকদের রাজনীতি শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে থাকে। পড়াশোনা করার জন্য শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় যায়। কিন্তু সেখানকার পরিবেশ তাদের ভুল পথে চালিত করে। কারো হীন স্বার্থের হাতিয়ার হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা। রাজনীতির এই গ্যাড়াকলে পড়ে উচ্চ শিক্ষার মান নষ্ট হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ব্যাহত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার পরিবেশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বাণিজ্যিক কর্মকা-ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাশ নিতে তারা বেশি আগ্রহী। এমনকি সান্ধ্যকালীন কোর্সের দিকে তাদের অনেক বেশি নজর। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বায়ত্তশাসিত হওয়ায় শিক্ষকরা স্বাধীনতা ভোগ করেন, কিন্তু সেটারও একটি সীমা থাকা উচিত। দলীয় বিবেচনা এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হওয়ার কারণে তারা প্রকৃত শিক্ষক হয়ে ওঠার চেয়ে শিক্ষক নেতা হয়ে উঠতে বেশি পছন্দ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদগুলিতে যাওয়ার জন্য তারা মরিয়া। আর একবার সেখানে গেলে সেটা আকড়ে রাখতে আরো বেশি মরিয়া। শিক্ষাদান এবং গবেষণার প্রতি তাদের অনীহা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে শিক্ষকদের রেষারেষি তীব্রতর হচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানদ-ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অবস্থা জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যে কোন মূল্যে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় চরম মূল্য দিতে হবে জাতিকে। ব্যক্তি স্বার্থ এবং দলীয় স্বার্থকে বড় করে না দেখে দেশপ্রেমের শিক্ষায় আলোকিত হতে হবে শিক্ষার্থীদের।
লেখক: শিক্ষক, কবি ও কলামিস্টস্ট
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাচ্ছেনা আর্জেন্টিনা
খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস অপু
পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক তল্লাশি
আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলার
অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয় : রিজভী
পার্লামেন্টে ক্ষমা
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তায় নতুন প্রহরী: রোবট কুকুর!
লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার
মাকে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখা ছেলে গ্রেফতার
সীমান্তে ৪ বাংলাদেশী নারী আটক
গুলি বর্ষণকারী ৭৪৭ পুলিশ শনাক্ত গ্রেফতারের উদ্যোগ নেই
সিলেটে মতবিনিময় সভা করলো নেজামে ইসলাম পার্টির
স্বামী স্ত্রীকে শর্ত লাগিয়ে তালাক দেওয়ার পর শর্ত উঠিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে।
আন্তঃনগর ট্রেনের সময় পরিবর্তন করুন
জনপ্রশাসনে মেধাশূন্যতা : কারণ ও প্রতিকার
ভারতীয় হেজিমনি ও আওয়ামী লীগের আত্মঘাতী রাজনীতি
বিতর্ক পরিহার করতে হবে
ইসরাইলি বাহিনী হিজবুল্লাহর সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে যাবে না
নির্বাচনে হারার পর প্রথমবার জনসমক্ষে বাইডেন ও কমলা