অসত্য তথ্য ও পরিসংখ্যান থেকে বের হয়ে আসতে হবে

Daily Inqilab ইনকিলাব

০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদফতর, পরিসংখ্যান ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংক, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রভৃতি এ যাবৎকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যত সূচক ও পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে গরমিল এবং অতিরঞ্জন পরিলক্ষিত হয়েছে। এ নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে দৈনিক ইনকিলাব বহুবার তা তুলে ধরেছে। শুধু দৈনিক ইনকিলাবই নয়, অন্যান্য জাতীয় দৈনিকও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত পরিসংখ্যান ও সূচক নিয়ে গড়মিলের তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রকৃত ও সঠিক তথ্য ও পরিসংখ্যান উপস্থাপন না করে অসত্য ও ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করেই দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সরকারের এই পরিসংখ্যানকে ‘পরিসংখ্যানগত উন্নয়ন’ হিসেবে অর্থনীতিবিদরা আখ্যায়িত করেছেন। একেক সময় একেক খাতের উন্নয়নের ‘উলম্ফন’ দেখিয়ে সরকারকে বাহবা নিতে দেখা গেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার ‘ইমার্জিং টাইগার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে পরিতৃপ্তি লাভ করেছেন। দেশ সিঙ্গাপুর হয়ে গেছে, ইউরোপের দেশগুলোর সমতুল্য হয়ে গেছে, এমনটাও বলতে শোনা গেছে। এখন দেখা যাচ্ছে, বিগত দেড় দশক ধরে উন্নয়নের যে ‘ফানুস’ উড়ানো হয়েছে, অর্থনৈতিক ধসে তা চুপসে গেছে। দেশের অর্থনীতি এখন খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতির সবসূচক নি¤œগামী এবং দেশে আর্থিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

আমাদের অর্থনীতির অন্যতম খাত রফতানি। এ খাতটিও এতদিন অসত্য ও ভুল তথ্যের মধ্য দিয়ে চলেছে। গতকাল দৈনিক ইনকিলাবসহ অন্য পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে রফতানির যে তথ্য দিয়েছে, তা মারাত্মক ভুল ছিল এবং তার চিত্র এখন প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) রফতানির যে তথ্য দিয়েছে, তা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৩.৮০ বিলিয়ন ডলার বা ৩০ শতাংশ বাদ দিয়েছে। ইপিবি রফতানি দেখিয়েছে, ৪৭.৪৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক দেখিয়েছে ৩৩.৬৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ইপিবি রফতানির হিসাব ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছে। শুধু এবারই নয়, বিগত অর্থবছরগুলোতে রফতানি বেশি দেখাতে ইপিবি ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের ভুল তথ্য দিয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের রফতানি ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে বলেও প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, এতদিন রফতানির তথ্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক এক পরিসংখ্যান দিয়ে সে ভুল ধরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও কি এ ভুল তথ্যের দায় অস্বীকার করতে পারবে? অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, দায় বাংলাদেশ ব্যাংকও এড়াতে পারে না। রফতানি ক্ষেত্রে ব্যাংকের এলসি’র হিসাব বা রফতানির অন্যান্য হিসাব তার অজানা থাকার কথা নয়। এ হিসাব থেকে সহজেই রফতানির পরিমান জানা যায়। এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক এ কাজটি না করে ইপিবি’র দেয়া হিসাবের উপর নির্ভর করে চলেছে। এটা তার দায়িত্বহীনতা কিংবা জেনেবুঝে ইপিবি’র ভুল তথ্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া। এখন আইএমএফ’র চাপে পড়ে ব্যাংকটি ইপিবির তথ্যের গরমিলের হিসাব প্রকাশ করেছে। যেমনটি তাকে করতে হয়েছে, রিজার্ভের প্রকৃত চিত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে। রিজার্ভের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবরই অতিরঞ্জিত তথ্য প্রকাশ করেছে। অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে যখনই আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়া শুরু হয়, তখন তার শর্ত অনুযায়ী, প্রকৃত রিজার্ভের পরিমান প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে। অর্থাৎ উন্নয়নকে একটি মিথ্যা ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে শর্ত হিসেবে আইএমএফ যখন রিজার্ভের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করতে বলে তখন দেখা যায়, তা রাতারাতি অর্ধেকে নেমে এসেছে এবং তা এখন ক্রমাবনতিশীল। শুধু রফতানি ও রিজার্ভের ক্ষেত্রেই নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিগত দেড়দশক ধরে পরিসংখ্যানগত ভুল বা দেশের উন্নতি দেখানোর জন্য প্রকৃত চিত্র আড়াল করার জন্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। জিডিপি কত হয়েছে বা হবে সরকার এক ধরনের হিসাব করলে, তার সাথে দ্বিমতম পোষণ করে বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থা তাদের হিসাব প্রকাশ করেছে। মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রেও বেশি দেখানোর প্রবণতা রয়েছে। জিডিপি ও মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য দেশের প্রকৃত জনসংখ্যাও কমিয়ে দেখানো হয়েছে। সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯২১ জন বলা হয়েছে। আদমশুমারির হিসাব নিয়ে তখনই পরিসংখ্যানবিদরা দ্বিমত পোষণ করে সমালোচনা করেছিলেন। বহু আগে থেকেই তারা বলে আসছেন, দেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটির বেশি। এক্ষেত্রেও পরিসংখ্যান ও তথ্যগত ভুল উপস্থাপন করা হয়েছে। কারণ, দেশের জনসংখ্যা যদি এক কোটি কম দেখানো যায়, তাতে দেশের জিডিপি ও মাথাপিছু আয় কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। বলার অপেক্ষা রাখে না, পরিসংখ্যান ও তথ্য যদি সঠিক না হয়, তাহলে সঠিক সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা নেয়া সম্ভব হয় না। ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা করলে, তার হিসাব মেলানো ও সুফল পাওয়া কঠিন। পদে পদে হোঁচট খেতে হয়। সরকারের অর্থনীতি ও উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়, অধিদফতর থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে এ প্রবণতা প্রবল যে, যতটা উন্নতি হয়েছে, তার চেয়ে বেশি দেখিয়ে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে মানুষকে খুশি করা। অর্থনীতিবিদদের মতে, পরিসংখ্যান ও তথ্যগত ভুল দেশের অর্থনীতির চরম দুর্দশার অন্যতম কারণ। অর্থমন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীলরা যেমন অর্থনীতির ভুল পরিসংখ্যান এবং অসত্য উপস্থাপন করেছেন, তেমনি বড় বড় আর্থিক দুর্নীতিতেও অনেকে জড়িয়েছেন।

মিথ্যা তথ্য ও পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে সাময়িক আত্মতৃপ্তি লাভ করা গেলেও কোনো না কোনো সময় তা প্রকাশিত হয়। এখন যেভাবে রফতানি, রিজার্ভ, জিডিপিসহ বিভিন্ন আর্থিক খাতের চিত্রের দৈন্যচিত্র প্রকাশিত হচ্ছে, তার পেছনে রয়েছে ভুল ও মিথ্যা পরিসংখ্যান। যেকোনো দেশের জন্য এ ধরনের পরিসংখ্যানগত ভুল ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনে। দেশে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি থেকে শুরু করে সর্বত্র যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে, তার জন্য দায়ী ভুল পরিসংখ্যান ও হিসাব। সরকারের তরফ থেকেই যদি এ ধরনের অসত্য তথ্য দেয়া হয়, তাহলে নতুন প্রজন্ম এ থেকে কী তথ্য পেল? ইতোমধ্যে একটি জেনারেশন শুরু এবং বেড়ে উঠেছে, মিথ্যা পরিসংখ্যান ও ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। দেশে-বিদেশে তারা সঠিক পরিসংখ্যান ও তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে লজ্জার মুখোমুখি হচ্ছে। বলা বাহুল্য, ইন্টারনেট ও আধুনিক প্রযুক্তির এ যুগে প্রত্যেক দেশ ও সংস্থা প্রত্যেক দেশের উন্নয়নের চিত্রের দিকে দৃষ্টি রাখে। জিডিপি বা মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইএমএফসহ প্রত্যেক দাতা ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এ চিত্র বেশি জানে এবং তা জেনেই তারা ঋণ বা সহযোগিতার পরিমাণ নির্ধারণ করে। এক্ষেত্রে, ফাঁকি দেয়ার সুযোগ নেই। অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে পরিসংখ্যানের উন্নতি দেখিয়ে যে উন্নয়নের ফাঁকাবুলি এতদিন প্রচার করা হয়েছে, তা টেকসই উন্নয়নকে যেমন চরমভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে, তেমনি দুর্নীতিকেও উৎসাহিত করেছে। এ প্রবণতা থেকে সরকারকে বের হয়ে আসতে হবে। সরকারের সকল মন্ত্রণালয়কে সঠিক পরিসংখ্যান ও তথ্য প্রকাশে উদ্যোগী হতে হবে। প্রকৃতি চিত্র প্রকাশ করে সে অনুযায়ী, উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা অবিলম্বে বন্ধের দাবিতে নিরাপত্তা পরিষদের ২৭২২ রেজুলেশনকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা অবিলম্বে বন্ধের দাবিতে নিরাপত্তা পরিষদের ২৭২২ রেজুলেশনকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশের শিল্পোন্নয়নে বিটাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে : শিল্পমন্ত্রী

বাংলাদেশের শিল্পোন্নয়নে বিটাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে : শিল্পমন্ত্রী

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর সাথে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর সাথে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আন্দোলনকারীদের ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ এটর্নি জেনারেলের, বিচারাধীন বিষয় রাজপথে নেয়া উচিত নয়

আন্দোলনকারীদের ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ এটর্নি জেনারেলের, বিচারাধীন বিষয় রাজপথে নেয়া উচিত নয়

খালেদা জিয়ার জীবন হুমকির মুখে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মুক্তি দিচ্ছে না সরকার: ফখরুল

খালেদা জিয়ার জীবন হুমকির মুখে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মুক্তি দিচ্ছে না সরকার: ফখরুল

পিএসসির প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

পিএসসির প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারো খুন

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারো খুন

ইউএনওর পরিকল্পনায় পাল্টেছে মদন উপজেলা পরিষদ চত্বরের দৃশ্যপট

ইউএনওর পরিকল্পনায় পাল্টেছে মদন উপজেলা পরিষদ চত্বরের দৃশ্যপট

সাতক্ষীরায় শিশুকন্যা হত্যার অভিযোগে মা আটক

সাতক্ষীরায় শিশুকন্যা হত্যার অভিযোগে মা আটক

সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের হলফনামা ও মনোনয়নপত্রে অসঙ্গতির অভিযোগ

সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের হলফনামা ও মনোনয়নপত্রে অসঙ্গতির অভিযোগ

তালায় মুজিব কেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

তালায় মুজিব কেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

মতলবে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

মতলবে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

সালথায় খাবারে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ৮ জন

সালথায় খাবারে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ৮ জন

গণমাধ্যমকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে চায় সরকার : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

গণমাধ্যমকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে চায় সরকার : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

পাথরঘাটায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচণার বিচার দাবি

পাথরঘাটায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচণার বিচার দাবি

টাঙ্গাইলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি ও মানববন্ধন

টাঙ্গাইলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি ও মানববন্ধন

পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাজার গাছ কর্তন

পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাজার গাছ কর্তন

দুমকি উপজেলা পরিষদের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

দুমকি উপজেলা পরিষদের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

মাগুরায় বিএনপির ৮ জনের জামিন ৩৪ জন কারাগারে

মাগুরায় বিএনপির ৮ জনের জামিন ৩৪ জন কারাগারে

বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে ঘুম নেই ৩০ গ্রামবাসীর

বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে ঘুম নেই ৩০ গ্রামবাসীর