অন্তর্বর্তী সরকারকে গণবিপ্লবের চেতনা ধারণ করতে হবে
১১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম
গণবিপ্লবের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ইতোমধ্যে দুই মাস অতিক্রম করেছে। এই দুই মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে যেমন জনগণের মধ্যে সন্তোষ রয়েছে, তেমনি অসন্তোষও রয়েছে। যেকোনো সরকারের কর্মকা-ে ভালো এবং মন্দ দুটি দিকই থাকে। আবার সরকারের দায়িত্ব নেয়ার দুই বা তিন মাসের কর্মকা- বিচারের জন্য যথেষ্ট সময়ও নয়। কারণ, দায়িত্ব নিয়ে গুছিয়ে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে সাধারণত ১০০ দিনের একটি হিসাব করা হয়। এই ১০০ দিনে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং তা বাস্তবায়ন শুরুর মূল্যায়ন জনগণ করে। ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’ বা সকাল যেমন বলে দেয়, দিনটি কেমন যাবে, ঠিক তেমনি একটি সরকারের শুরু কীভাবে হয়েছে, তার পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য কি, তার ধারণা পাওয়া যায়। কারণ, দায়িত্ব পাওয়া সরকারের জন্য একটি দিন অতি মূল্যবান। দিনটিকে সে কতটা কাজে লাগাতে পারছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার যদি গণবিপ্লবের মধ্য দিয়ে গঠিত হয়, তাহলে তার প্রতিটি দিন সাধারণ সরকারের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হচ্ছে, এটি জরুরি বা অন্তর্বর্তী সরকার, যার মেয়াদ স্বল্প। তার কাজ হচ্ছে, গণবিপ্লবে পতিত স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনের চিহ্ন মুছে ফেলা। এ প্রশ্ন এখন উঠেছে, গণবিপ্লবের মধ্য দিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবী সরকার হয়ে উঠতে পেরেছে কিনা। সচেতন মহল মনে করছে, দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ছাত্র-জনতার হাজার প্রাণের বিনিময়ে, বিশ হাজারের বেশি পঙ্গু ও অন্ধ হয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে যে গণবিপ্লবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায় হয়েছে এবং তার মধ্য দিয়ে বিপুল জনসমর্থনে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, তা পুরোপুরি বিপ্লবী চরিত্র ধারন করতে পারেনি। একমাত্র প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া, অন্য উপদেষ্টাদের যে কার্যক্রম, তাতে তাদের বিপ্লবী চেতনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। জেনারেশন জি’র যে তেজদীপ্ত মানসিকতার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনে সাধারণ মানুষকে গণবিপ্লবে অংশগ্রহণ করতে এবং অকাতরে জীবন দিতে উদ্দীপ্ত করেছে, তা তারা মোটেও ধারন করতে পারেননি। তাদের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ এবং গতি কচ্ছপের মতো। বয়সের ভারে কিংবা প্রচ্ছন্নভাবে তাদের মধ্যে ভারতপ্রেম ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার প্রতি অনুরাগ রয়েছে। সরকারের ভেতরে থেকে তারা পতিত স্বৈরাচার ও তার প্রভূর পারপাস সার্ভ করছে। পক্ষান্তরে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঠিকই দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই তরুণ প্রজন্ম এবং সাধারণ মানুষের গণবিপ্লবের চেতনা ধারন করে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন।
দুই.
সচেতন মহল অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছেন। প্রথমটি হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যেভাবে গণবিপ্লবে চেতনা থাকা উচিৎ ছিল, তা দেখা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গড়ে তোলা জনপ্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ সর্বত্র তার দোসরদের বহালতবিয়তে থাকা। একটি বিপ্লবী সরকারের প্রথম কাজ হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের ঝেটিয়ে বিদায় করে রাষ্ট্রযন্ত্রের খোলনলছে বদলে ফেলা এবং নতুন করে যাত্রা শুরু করা। কারণ, সে দায়িত্ব নেয়, স্বৈরাচারের প্রশাসনের উপর দাঁড়িয়ে। তার পায়ের নিচে নিজস্ব ভিত্তি থাকে না। থাকে পতিত সরকারের ভিত্তি। ফলে দ্রুত তাকে তার মাটি খুঁজে নিতে হয়। তা নাহলে, সে কোনোভাবেই তার যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, তা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। এজন্য শুরুতেই তাকে দ্রুত গতিতে ফ্যাসিস্টের গড়ে তোলা ভিত্তি ধ্বংস করে তার নিজের ভিত্তির উপর দাঁড়াতে হয়। আমরা দেখেছি, অন্তর্বর্তী সরকার সে কাজটি এখনো করতে পারেনি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসরদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, যা আত্মঘাতী ছাড়া কিছু নয়। কারণ, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গড়ে তোলা রাষ্ট্রযন্ত্রে থাকা দোসররা কখনোই গণবিপ্লবের চেতনা ধারন করতে পারবে না। তারা নানাভাবে অন্তর্বর্তী সরকারকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং বেকায়দায় ফেলবে। তারা একেকটি বোমা হয়ে রয়েছে। যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে মহাবিপদে ফেলে দেবে। ইতোমধ্যে তার আলামত পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের বাইরে থাকা ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রকাশিত কলরেকর্ডের কথোপকথন থেকে সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। এখনো তার কথায় ঔদ্ধত্য রয়ে গেছে। তার কণ্ঠে গণহত্যার কোনো অনুতাপ নেই, রয়েছে প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিজ্ঞা। তার এই অনুতাপহীন কথাবার্তার কারণ সকলেই বোঝে। তার জানা, জনপ্রশাসনসহ সর্বত্র তার ও ভারতের দাস এবং দোসররা ইনট্যাক্ট রয়ে গেছে। তারা নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছে এবং সুযোগ বুঝে অন্তর্বর্তী সরকারকে ফেলে দিতে এক মুহুর্তও দ্বিধা করবে না। হাসিনা ও ভারতের মূল টার্গেট যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তা পরিষ্কার। গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সংলাপে গিয়ে দেশের বৃহত্তমদল বিএনপি প্রশাসনে থাকা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসরদের বহাল থাকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ এবং দুই উপদেষ্টাকে অপসারণ করার দাবি জানিয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হতে পারেন, জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা। তাকে নিয়ে সচেতন মহলে অভিযোগের অন্ত নেই। অভিযোগের যে বাস্তবতা নেই, তা মনে করার কারণও নেই। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে গণবিপ্লবের স্পিরিট অনুযায়ী, যেভাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরে গড়ে তোলা জনপ্রশাসন থেকে তার দোসর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অপসারণ করার কথা, তা তিনি করেছেন না। উল্টো দেশে-বিদেশে তাদের কাউকে কাউকে গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রাইজ পোস্টিং দেয়া হচ্ছে বলে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হচ্ছে। তিনি কেবল কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অপসারণ এবং রুটিন বদলির মাধ্যমে লোকদেখানো কাজ করছেন। বাকি সবই বহালতবিয়তে রয়ে গেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কি গণবিপ্লবের স্পিরিট জানেন কিংবা বোঝেন না? তিনি কার মতলব হাসিল করছেন? অবশ্য তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অভিযোগ উঠেছে, তিনি ওয়ান-ইলেভেন সরকারের অন্যতম কুশীলব ছিলেন, যে সরকারকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা তাদের আন্দোলনের ফসল বলে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে ভারতপ্রীতি রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রশাসনের সর্বত্র হাসিনা ও মোদির দোসরদের থেকে যাওয়া থেকেই এ অভিযোগ করা হচ্ছে। বাস্তবেও তাই দেখা যাচ্ছে। তিনি যেন, এসব দোসরকে আগলে রেখেছেন। যদি তা না হয়, তাহলে কেন জনপ্রশাসন থেকে তাদের অপসারণ করছেন না? কেন সময়ক্ষেপণ করে তাদের শক্তিশালী হয়ে উঠার সুযোগ দিচ্ছেন? এটা কি গণবিপ্লবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা নয়?
তিন.
অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাসের কর্মকা-ে দেখা যাচ্ছে, একমাত্র ড. মুহাম্মদ ইউনূসই এক ও অদ্বিতীয় হয়ে আছেন। বিশ্বজুড়ে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ও ইমেজ হিমালয়সম এবং প্রশ্নাতীত। ফলে প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পরপরই আমরা দেখেছি, জাতিসংঘ থেকে শুরু করে পরাশক্তিশালী দেশগুলো কীভাবে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বরণ করে নিয়েছে। শুধু তাঁর কারণে কীভাবে তাদের সহযোগিতা বাংলাদেশের দিকে ধাবিত হয়েছে। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসে যেভাবে ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ধারন করেছেন, অন্য উপদেষ্টাদের মধ্যে তা একইভাবে পরিদৃষ্ট হচ্ছে না। তিনি যেমন কিছু উপদেষ্টার অসহযোগিতা পাচ্ছেন, তেমনি প্রশাসনে বহাল থাকা ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদেরও অসহযোগিতা পাচ্ছেন। এই অসহযোগিতা, বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করেই তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। এটা নিশ্চিত, দেশের মানুষ এবং পুরোবিশ্ব যেভাবে তাঁর পাশে রয়েছে, তাতে তার এই অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পারবে না। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের প্রতিনিধি হিসেবে মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পরিষদে থাকলেও তাদের বয়স ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকা স্বাভাবিক। তবে নাহিদ ইসলাম বিশ্বে যে কীর্তি গড়েছেন, তা বাংলাদেশের তারুণ্যের শক্তিকেই প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের ‘টাইম ১০০ নেক্সট ২০২৪’-এর বিশ্বের উদীয়মান প্রভাবাশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান করে নিয়ে তিনি এ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের জন্য এ এক অনন্য অর্জন। এর মাধ্যমে নাহিদ ইসলামের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। এ সম্মান তাকেই ধরে রাখতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে নেয়া এবং তারা যে আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে বিপ্লব সফল করেছে, তা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে তাকে। কারণ, গণবিপ্লবের অগ্রভাগে থেকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনে তারুণ্যের নেতৃত্ব দেয়ার অন্যতম তিনি। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারি মাহফুজ আলমকেও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে গণবিপ্লবের চেতনাকে সঞ্চারিত এবং উজ্জীবীত রাখতে হবে। তা করতে না পারলে, তাদের নেতৃত্বে যে গণবিপ্লব হয়েছে, তা ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে এ শঙ্কা তখনই কেটে যাবে যখন তারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্পিরিটের সাথে একাত্ম হতে পারবেন। আমরা দেখেছি, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে আনসার বিদ্রোহের সময় নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ কীভাবে ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করেছেন। কীভাবে হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্য সমন্বয়করা এ বিদ্রোহ দমিয়েছেন। দেশের মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে এই বিপ্লবী চেতনাই প্রত্যাশা করে। তাদের মনে রাখতে হবে, এখনও ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশে ফেরার হুমকি দিচ্ছেন। তিনি এই সাহস কোত্থেকে পান, তা বুঝতে কারো বাকি থাকে না। কারণ, তিনি ভালো করে জানেন, প্রশাসনসহ সর্বত্র তার দোসররা রয়ে গেছে। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বদানকারি অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে থাকা এবং বাইরে থাকা সকল সমন্বয়কের এ ব্যাপারে সোচ্চার থাকতে হবে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গড়ে তোলা রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে তার দোসরদের অপসারণে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। দেশের সিনিয়র পলিটিশিয়ান থেকে শুরু করে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিদ, বুদ্ধিজীবীসহ সচেতন মহলের দায়িত্ব এই তরুণদের নার্সিং করা। তাদের বয়স কম। ভুল-ভ্রান্তি হওয়া স্বাভাবিক। তবে তাদের মেধা, মনন ও চিন্তাশক্তি প্রখর। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগামিতা বজায় রাখতে তাদেরকে দেশের সম্পদে পরিণত করতে হবে।
চার.
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপন মহিমায় উদ্ভাসিত। তিনি একাই একশ’। গণবিপ্লবের স্পিরিটকে ধারন করে তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ যেভাবে তাকে অভিনন্দিত ও সম্মান জানিয়েছে, তা দেশের ইতিহাসে বিরল। ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনে সম্মান হারানো দেশকে যেন তিনি মুহূর্তে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন। তাঁর এক ফোনেই আরব আমিরাতে নিয়ম ভেঙে গণবিপ্লবে সমর্থনকারী বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি পাওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট মুক্ত করে দিয়েছেন। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ সফর করেন এবং দুই দেশের সম্পর্ককে এক অসাধারণ উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। হাসিনার আমলে বন্ধ হয়ে যাওয়া মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার খুলে দিয়েছেন। শুধু ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারণে বিশ্বের চোখ এখন বাংলাদেশের দিকে। তাঁর ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হয়েছে। তিনি তা সফলভাবে মোকাবেলা করেছেন। ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকবে জেনেও তিনি দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উচিৎ হবে, তার চলার পথ নির্বাধ ও মসৃণ রাখতে মুখোশ পরা হাসিনা ও মোদির দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কুরআন শিক্ষা বোর্ড ঢাকা মহানগর উত্তরের নগর সম্মেলন অনুষ্ঠিত
এবি ব্যাংক পিএলসি. এর "বিজনেস রিভিউ মিটিং" অনুষ্ঠিত
উথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল সোনালী লাইফ
নেতাকর্মীদের রেখে লক্ষণ সেনের মত পালিয়ে গেছে স্বৈরাচার: ব্যারিস্টার সালাম
অভিনেতা অপূর্বকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যাচার
বরিশালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অংশীজন সভায় প্রধান প্রকৌশলী
দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতিতে সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস
সংস্কারোত্তর পিআর পদ্ধতিতেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে
‘শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে’
‘রাষ্ট্রের সকল স্তরে ইসলামী সংস্কৃতির অনুশীলন নিশ্চিত করতে হবে’
মেট্রোকে থামিয়ে ফাইনালে রংপুর
৪৩ বছর পর কুয়েতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি, হাসিনার ভরসা ভারতে: দুলু
মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল, কানাডায় কি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন ট্রুডো?
পাকিস্তান থেকে যেসব পণ্য নিয়ে এবার এলো জাহাজ
ভারতের সেবাদাসী হাসিনাকে পুনর্বাসনে এবার জঙ্গি মিশনে তারা!
মাহফুজকে উপদেষ্টা থেকে বাদ দেওয়া উচিত? যা বললেন ড. জাহেদ
৬ বছরের মধ্যেই চীনের হাতে হাজার পরমাণু বোমা! উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের
বিগত সময়ে দলীয় স্বার্থ উদ্ধারে বড় ধরনের অপরাধ করেছে পুলিশ, এ জন্য আমরা লজ্জিত: আইজিপি
ব্রাহ্মণপাড়ায় পাঁচ দিনেও খোঁজ মিলেনি নিখোঁজ সোহাগের