ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ডিকার্বনাইজেশনে আরো জোর দিতে হবে

Daily Inqilab সরদার সিরাজ

২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম

বিশ্বের সর্বাধিক ভয়াবহ সংকট হচ্ছে জলবায়ুর পরিবর্তন। এ কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। তাতে প্রাণহানি ঘটছে ব্যাপক। অসংখ্য মানুষ দুর্বিষহ জীবনে নিপতিত হচ্ছে। জীববৈচিত্র্যও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রোগ-ব্যাধি বেড়ে যাচ্ছে। হিমবাহ গলে গিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে! অস্ট্রেলিয়াস্থ কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুসারে, গত ১৪০ বছরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রায় ২৫ সেন্টিমিটার বেড়ে গেছে। তাতে সমুদ্রের উপকূলবর্তী এলাকা পানিতে ডুবে গিয়ে অসংখ্য মানুষ ঘরবাড়ি ও সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব ও উদ্বাস্তু হয়েছে। সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তন এসডিজি অর্জনে চরম অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন বন্ধ করার জন্য জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রতি বছরই ‘বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন’ বা কপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। তাতে সংস্থার সদস্যদেশগুলোর শীর্ষ নেতারা/প্রতিনিধিরা, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা যোগদান করছেন। তারা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণসমূহ বন্ধ এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য অনেক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কিন্তু সম্মেলন শেষে সকলেই দেয় প্রতিশ্রুতি ভুলে যাচ্ছেন। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। বায়ুম-লের উঞ্চতা বাড়তে বাড়তে ২০২৪ সালে ইতিহাসের শীর্ষতম হয়েছে বলে বিজ্ঞানীদের অভিমত। ক্লাইমেট অ্যাকশন সম্প্রতি জানিয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা এ বছর ১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উন্নীত হয়েছে (২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনের প্রতিশ্রুতি ছিল প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা)। বর্তমানে নির্ধারিত নীতিগুলি তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ২.৭ সেন্টিগ্রেডের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো কপ-২৮ তথা দুবাই সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বছরে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতিপূরণ ঠিক মতো পাচ্ছে না। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি তারা মোকাবেলা করতে পারছে না। তাই তারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বায়ুম-লের উঞ্চতা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হচ্ছে-ব্যাপক কার্বন নির্গমন। বিজ্ঞানীদের মতে, কার্বন নির্গমনের জন্য বিদ্যুৎ খাত-২৮%, শিল্প খাত ২২%, পরিবহন খাত ১৬%, কৃষি খাত ১২%, জ্বালানি খাত ১১% দায়ী। অন্য এক সূত্র মতে, বিশ্বের মোট কার্বন নির্গমনের তিন-চতুর্থাংশ করে জি২০ দেশগুলো। কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে বহু দেশের। কিন্তু তার অগ্রগতি সামান্যই! উপরন্তু ধনী ও প্রধান কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোতে তথা যুক্তরাষ্ট, চীন, ভারত ইত্যাদি দেশে কয়লা ও অন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বেড়েই চলেছে! ক্রমান্বয়ে বৃক্ষ ও বনাঞ্চল উজাড় হয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিশ্বের ফুসফুস খ্যাত আমাজান জঙ্গল এবং বাংলাদেশ ও ভারতের ফুসফুস খ্যাত সুন্দরবনও উজাড় হয়ে যাচ্ছে! তাতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নানা ধরনের ভয়াবহ দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে ধরিত্রী বাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে!

এ অবস্থায় আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে গত ১১ নভেম্বর শুরু হয় বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন। চলবে আগামীকাল ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। জাতিসংঘের উদ্যোগে এটা ২৯তম সম্মেলন। এবারের সম্মেলনের মূল লক্ষ্য: ‘জলবায়ু সংকটে ভুক্তভোগী দরিদ্র দেশগুলোকে আরো অর্থ সহায়তা দেয়ার পথ খুঁজে বের করা।’ এ সন্মেলনে ২০০ এর বেশি দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতা/প্রতিনিধি, বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানির নির্বাহী ও লবিস্টরা অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু কোনো বড় বা প্রভাবশালী দেশের তথা চীন, আমেরিকা, ভারত, রাশিয়ার শীর্ষস্থানীয় নেতা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেননি! আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু সম্মেলন সম্পর্কে চরম নেতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন। ফলে এ সম্মেলনের আকর্ষণ কিছুটা ম্লান হয়েছে! সম্মেলনে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা একটি জলবায়ু প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১২০ মিলিয়ন জোরপূর্বক শরণার্থীর মধ্যে প্রায় ৯০ মিলিয়ন বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে বাস করে এবং তাদের অর্ধেক সংঘাত ও গুরুতর জলবায়ু বিপর্যয় প্রভাবিত জায়গায় বাস করে। ২০৪০ সালের মধ্যে চরম জলবায়ু বিপর্যয়ের সম্মুখীন দেশের সংখ্যা তিন থেকে বেড়ে ৬৫-তে উন্নীত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যেখানে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ শরণার্থী রয়েছে। সম্মেলনে জানানো হয়েছে যে, জলবায়ু সঙ্কট একটি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধিকারক সমস্যা হয়ে উঠছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব রোধে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপকূলীয় মানুষ তাদের বর্তমান আবাসস্থল থেকে স্থানান্তরিত হবে এবং ২০৮০ সালের মধ্যে বেশিরভাগ উপকূলীয় এলাকা সমুদ্রের পানির নিচে হারিয়ে যেতে পারে। অপরদিকে, ধনী দেশগুলোর অভিমত, শুধু তাদের অনুদানের ওপর নির্ভর না করে উন্নয়ন ব্যাংক ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীদেরও জলবায়ু অর্থায়নে এগিয়ে আসতে হবে। প-িতদের মতে, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ফিরে যাওয়া গরিব দেশের পক্ষে প্রয়োজনীয় আর্থিক অনুদান ছাড়া সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে, কার্বন কর ব্যাপক করা হলে মানুষ এ ক্ষেত্রে নিরুৎসাহী হবে। ফলে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমে যাবে।

কপ-২৯ সম্মেলনে ভুটান, পানামা, সুরিনাম ও মাদাগাস্কার কার্বন নিরপেক্ষ দেশ হিসাবে ঘোষণা করে একটি জোট গঠন করেছে, যার নামকরণ করা হয়েছে ‘জি-জিরো’। আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামা বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় দূষণকারীরা যদি দূষণ চালিয়েই যায়, তাদের যদি থামানো না যায়, তাহলে জলবায়ু সম্মেলনের যৌক্তিকতা কী? বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ভোগবিলাসিতা ও সীমাহীন খরচ কমিয়ে বর্জ্য, জীবাশ্ম জ্বালানি বা ব্যক্তিগত লাভ ত্যাগ করে একটি নতুন সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। অর্থাৎ বর্জ্য মুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে। উপরন্তু তিনি সীমিত ডিকার্বনাইজেশন সক্ষমতাসম্পন্ন বেশিরভাগ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সবুজ শিল্প বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। নাগরিক সমাজ ২০২৫-৩০ সময়কালে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের নতুন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করার দাবি জানিয়েছে। নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রায় একই। জলবায়ু পরিবর্তন কোনো সীমানা মানে না। এর প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে একই কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখামুখি। এই রূপান্তরের জন্য সময়োপযোগী এবং সমতা ভিত্তিক আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা অত্যন্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে মোট জ্বালানি ব্যবহারের ৪০% নবায়নযোগ্য উৎস থেকে সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ২০৩০ পর্যন্ত অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্য পূরণে বৈশ্বিক গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৩ শতাংশ,২০৩৫ সালের মধ্যে ৬০ শতাংশ হ্রাস এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে।’ অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ, জেটনেট-বিডি ও এসএজেটিএ যৌথভাবে বলেছে, সীমিত আর্থিক সম্পদ, প্রযুক্তিগত বাধা ও দুর্বল নীতিগত কাঠামোসহ বিভিন্ন কারণে বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তরে বৈশ্বিক উত্তরের দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে। এ অসমতা দূর করার জন্য উত্তরের দেশগুলো থেকে বিনিয়োগ সহায়তা, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নীতিগত সমর্থন প্রয়োজন। ‘জি৭৭+চীন’ গ্রুপের চেয়ারম্যান আডোনিয়া আয়েবারে বলেছেন, জলবায়ু অর্থায়নে গরিব দেশগুলো অনুদান চায়, ঋণ নয়। জাতিসংঘের জলবায়ু প্রধান ইমন স্টিয়েল বলেছেন, জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দাতব্য নয়; বরং এটি সবার স্বার্থের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

ধরিত্রীকে বাঁচাতে হবে। এ দায়িত্ব সমগ্র বিশ্ববাসীর। কারণ, এ বিশ্বের ভালো-মন্দের সব কিছুর সমান অধিকার রয়েছে ধনী-গরিব, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের। তাই সকলেই মিলে-মিশেই ধরিত্রীকে বাসোপযোগী করতে হবে। সে জন্য কার্বন নির্গমন বন্ধ করতে হবে। তথা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে। কার্বন নিরপেক্ষ দেশ তথা ‘জি-জিরো’ জোটের সদস্য দেশ যত বেশি হবে বিশ্বের তত কল্যাণ হবে। উপরন্তু বায়ুম-লের উঞ্চতা বৃদ্ধির কারণে যেসব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও হচ্ছে, তন্মধ্যে গরিব দেশগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং তা যথাসময়ে পরিশোধ করতে হবে। উপরন্তু গরিব দেশগুলোকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সহায়তা করতে হবে প্রয়োজনীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহারের সক্ষমতা সৃষ্টি করার জন্য। উন্নয়ন ব্যাংক ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীদেরও জলবায়ু অর্থায়নে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করা দরকার। গরিব দেশগুলোর উচিত, ধনী দেশগুলোর অনুদান কিংবা দাতা ও আর্থিক সংস্থাগুলোর ঋণ/অনুদানের আশায় বসে না থেকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে তদস্থলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করা। অপরদিকে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের উপকরণের দাম স্বল্প এবং কর মুক্ত করতে হবে। তাহলে সকলের ব্যবহারের সুবিধা হবে এবং বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী প্রয়োজনীয় বনাঞ্চল সৃষ্টি করতে হবে। সেটা বর্তমান বন রক্ষা এবং নতুন বন সৃষ্টি করে। তাহলে কার্বন ডাই অক্সাইড যেমন শোষণ হবে, তেমনি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পাওয়া যাবে। উপরন্তু প্রয়োজনীয় কাঠ, ফল-মূল ইত্যাদিও পাওয়া যাবে। প্রাকৃতিক ভারসাম্যও সৃষ্টি হবে। কার্বন নির্গমন বন্ধ এবং বনাঞ্চল বৃদ্ধি ও রক্ষা করার জন্য পরিবেশবিদ ও পরিবেশবাদীদের আন্দোলন বেগবান করতে হবে বিশ্বব্যাপী। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। প্রচার মাধ্যমেরও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা দরকার। তাহলে বিশ্বে ডিকার্বনাইজেশনের নয়া জাগরণ সৃষ্টি হবে। স্মরণীয় যে, ইতোমধ্যে বাকু সন্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার জন্য লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড চালুর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি ২০২৫ সাল থেকে কার্যকর হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে পুনর্গঠন ও পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে। এ চুক্তিকে সমর্থন করে এক বিবৃতি দিয়েছে জি২০ দেশগুলোর নেতারা। যা’হোক, কপ-২৯ সম্মেলন সফলভাবে সমাপ্ত হোক এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাক, বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন কমে যাক, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি পাক, এটাই কাম্য।

লেখক:সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

স্মৃতির দর্পণে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
ঐক্য ও সংহতি অটুট রাখতে হবে
আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্ন
ইস্পাত কঠিন জাতীয় ঐক্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভারসাম্য জরুরি
সরকারকে দৃঢ় ও গতিশীল উদ্যোগ নিতে হবে
আরও

আরও পড়ুন

২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

"লাইভে এসে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা"

"লাইভে এসে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা"

হাসিনাকে নিয়ে একটি কথাও বলেননি ট্রাম্প

হাসিনাকে নিয়ে একটি কথাও বলেননি ট্রাম্প

লেবার পার্টির নেতা সাবেক ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী জন প্রেসকট আর নেই

লেবার পার্টির নেতা সাবেক ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী জন প্রেসকট আর নেই

সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের ওপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর

সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের ওপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর

নিখোঁজের ১০ দিন পর খালে মিলল বেদের লাশ

নিখোঁজের ১০ দিন পর খালে মিলল বেদের লাশ

আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন বাহারুল আলম

আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন বাহারুল আলম

ভয়াবহ ইসরাইলি বিমান হামলা গাজায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে

ভয়াবহ ইসরাইলি বিমান হামলা গাজায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে

ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা

ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দেখা করলেন ভুটান রাষ্ট্রদূত

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দেখা করলেন ভুটান রাষ্ট্রদূত

ইয়েমেন টনক নাড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের

ইয়েমেন টনক নাড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের

মহাখালীতে রিকশা চালকদের অবরোধ : ট্রেন চলাচল বন্ধ

মহাখালীতে রিকশা চালকদের অবরোধ : ট্রেন চলাচল বন্ধ

মহাখালীতে রেললাইনে ব্যাটারিচালিত রিকশা রেখে চালকদের অবরোধ, শহরজুড়ে তীব্র যানজট

মহাখালীতে রেললাইনে ব্যাটারিচালিত রিকশা রেখে চালকদের অবরোধ, শহরজুড়ে তীব্র যানজট

ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন পাচার হওয়া ২৪ নারী-পুরুষ

ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন পাচার হওয়া ২৪ নারী-পুরুষ

ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ে যা বলছে নেটিজেনরা

ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ে যা বলছে নেটিজেনরা

উ.কোরিয়ার চিড়িয়াখানায় সিংহ ও বাদামী ভাল্লুক উপহার দিলেন পুতিন

উ.কোরিয়ার চিড়িয়াখানায় সিংহ ও বাদামী ভাল্লুক উপহার দিলেন পুতিন

"আমি 'স্টারবাকস বর্জন করি আপনাদেরও করা উচিত"

"আমি 'স্টারবাকস বর্জন করি আপনাদেরও করা উচিত"

যানজটে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ভোগান্তি চরমে

যানজটে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ভোগান্তি চরমে

বিসিএস কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না জাবির শিক্ষার্থী রাচির

বিসিএস কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না জাবির শিক্ষার্থী রাচির