ঢাকা   রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৬ মাঘ ১৪৩১

পাঠ্যপুস্তক ইতিহাস-সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অনুগামী হতে হবে

Daily Inqilab ব্রি. জে. (অব.) রোকন উদ্দিন

০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম

যুবসমাজের মানসিক গঠন ও শিক্ষার ভিত্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পাঠ্যপুস্তকের ভূমিকা অপরিসীম। এটি শুধুমাত্র জ্ঞানের বই নয়, বরং সমাজের বুদ্ধিবৃত্তিক ও নৈতিক বিকাশের মূলভিত্তি। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের দেশে পাঠ্যপুস্তক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত একটি হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে, যেখানে সত্যনিষ্ঠ তথ্যের পরিবর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ধর্ম বিকৃত করা হয়েছে।
সম্প্রতি পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা ও সংশোধন নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা একটি দীর্ঘদিনের সমস্যার বহিঃপ্রকাশ। মি. সাজ্জাদুর রহমান (রাখাল রাহা) এবং কমিটির অন্য সদস্যদের অতীত বিতর্কিত হওয়ার পাশাপাশি, তারা যথেষ্ট সময় ও নিষ্ঠা ব্যয় না করায় পাঠ্যপুস্তকে অনেক ভুল তথ্য রয়ে গেছে। এমনকি জুলাই বিপ্লবের কাহিনীও সঠিকভাবে লেখা হয়নি ও স্বৈরাচারের নাম উচ্চারিত হয়নি বলে অনেকে আপত্তি করেছেন। এ কারণে পাঠ্যপুস্তক জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

প্রতিটি নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাঠ্যপুস্তক তার নিজস্ব মতাদর্শ অনুযায়ী পরিবর্তন করে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য সত্যনিষ্ঠ ইতিহাসের বদলে একপাক্ষিক রাজনৈতিক প্রচারণায় পরিণত হয়। রাজনৈতিক দলগুলো ইতিহাসের যেসব ঘটনা তাদের স্বার্থের সঙ্গে যায় না, তা ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেয় অথবা বিকৃত করে উপস্থাপন করে। এর ফলে জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কখনো অতিরঞ্জিত করা হয়, কখনো আবার কম গুরুত্ব দিয়ে দেখানো হয়। উদাহরণস্বরূপ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, যুদ্ধ, রাজনৈতিক রদবদল ইত্যাদি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়, যাতে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর ভূমিকা বাড়িয়ে দেখানো হয়, অন্যদিকে বিরোধীদের ভূমিকা হ্রাস করা হয়।

এছাড়া, জাতীয় বীরদের ইতিহাসও রাজনৈতিক স্বার্থে বদলে দেওয়া হয়। যারা একসময় জাতীয় ইতিহাসের গৌরবময় অংশ ছিলেন, তাদের অনেককে রাজনৈতিক কারণে খলনায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অন্যদিকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের মহিমান্বিত করা হয়। এর ফলে জাতীয় পরিচয়ের বিকৃতি ঘটে এবং ভিন্ন প্রজন্মের মানুষ একই ইতিহাসের ভিন্ন পাঠ শিখতে বাধ্য হয়। শুধু ইতিহাস নয়, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিষয়গুলোকেও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়। যারা ক্ষমতায় থাকে, তারা তাদের মতাদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংস্কৃতি ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রাধান্য দেয়। অন্যদিকে অন্যান্য ঐতিহ্য ও বিশ্বাসকে উপেক্ষা করে। এর ফলে জাতীয় ঐতিহ্যের সঠিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উপস্থাপনা বাধাগ্রস্ত হয় এবং বিভেদ সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি হয়।

এই ধরনের বিকৃতি শিক্ষাব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণœ করে এবং জাতীয় ঐক্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জ্ঞান অর্জনের ভিত্তিকে দুর্বল করে। শিক্ষার্থীরা সঠিক ইতিহাস জানতে ব্যর্থ হলে তারা সমাজের উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে না। তাই, পাঠ্যপুস্তককে অবশ্যই রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে নিরপেক্ষ, গবেষণা-ভিত্তিক ও সত্যনিষ্ঠ তথ্যের ভিত্তিতে সাজানো উচিত।

বর্তমান সময়ে পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা ও পুনর্লিখন অত্যন্ত জরুরি, যাতে তাতে প্রকৃত সংস্কৃতি, ধর্ম ও ইতিহাসের সঠিক প্রতিফলন ঘটতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে পাঠ্যপুস্তক রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে বিকৃত হয়ে আসছে, যেখানে নিরপেক্ষ ও প্রমাণভিত্তিক ইতিহাসের পরিবর্তে বিভিন্ন সরকার তাদের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য তথ্য পরিবর্তন করেছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকৃত ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ধর্মের একটি বিকৃত রূপ উঠে এসেছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এখন সময় এসেছে এ ধরনের অনৈতিক প্রবণতা বন্ধ করে সত্যনিষ্ঠ শিক্ষার প্রসার ঘটানোর। প্রকৃত সংস্কৃতি শুধুমাত্র শিল্প, সাহিত্য ও কৃষ্টির সমন্বয় নয়; এটি একটি জাতির আত্মপরিচয়ের অন্যতম ভিত্তি। পাঠ্যপুস্তকে আমাদের জাতীয় ইতিহাস, লোকসংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্যকে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের শেকড়ের সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভ করতে পারে। অতীতে দেখা গেছে, আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষিত হয়েছে বা পরিবর্তন করা হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

ধর্মীয় মূল্যবোধ একটি দেশের সামাজিক কাঠামো ও নৈতিক শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় উপাদান এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে তা বিভেদ তৈরি না করে বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। অনেক সময় দেখা গেছে, কিছু ধর্মীয় উপাদান ইচ্ছাকৃতভাবে হ্রাস বা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। ধর্মীয় মূল্যবোধগুলো যথাযথভাবে, পক্ষপাতিত্ব ছাড়া উপস্থাপন করা হলে তা জাতীয় ঐক্যকে আরও সুসংহত করবে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিকতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইতিহাস একটি জাতির পরিচয় গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের স্বার্থ অনুযায়ী ইতিহাস পরিবর্তন করে পাঠ্যপুস্তকে উপস্থাপন করেছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে, আবার কিছু বিষয়কে ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। জাতীয় ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের ভূমিকা কখনো বাড়িয়ে আবার কখনো হ্রাস করে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। ইতিহাসকে বিকৃত না করে নির্ভরযোগ্য গবেষণা ও প্রামাণ্য উৎসের ভিত্তিতে উপস্থাপন করা হলে শিক্ষার্থীরা সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবে এবং জাতীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ় হবে।

পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা ও পুনর্লিখনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত রাখা। বিভিন্ন সরকার তাদের ক্ষমতার সময়ে পাঠ্যপুস্তকে নিজেদের মতাদর্শ প্রতিফলিত করার চেষ্টা করেছে, যা শিক্ষাব্যবস্থার নিরপেক্ষতাকে নষ্ট করেছে। পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনার জন্য নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকবে না। ইতিহাস ও অন্যান্য বিষয় যথাযথ প্রামাণ্য তথ্যের ভিত্তিতে উপস্থাপন করতে হবে। পাঠ্যপুস্তক সংশোধন প্রক্রিয়ায় শিক্ষাবিদ, অভিভাবক ও সাধারণ জনগণের মতামত নেওয়া উচিত, যাতে এটি সবার জন্য গ্রহণযোগ্য হয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা ও হালনাগাদ করতে হবে, যাতে তা আধুনিক গবেষণা ও সত্যনিষ্ঠ তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।

পাঠ্যপুস্তক শুধু শিক্ষার মাধ্যম নয়; এটি একটি জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিকতা ও মূল্যবোধ গঠনের প্রধান হাতিয়ার। প্রকৃত ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করে পাঠ্যপুস্তকে সঠিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের জাতীয় পরিচয় সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা লাভ করবে এবং ভবিষ্যতে একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এখনই সময় এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করা হলো:

১. নিরপেক্ষ কমিটি গঠন
সরকারের উচিত একটি নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক কমিটি গঠন করা, যেখানে ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদ এবং সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞরা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবেন। কোন বিতর্কিত ব্যক্তি ও ভারতের দালাল এতে থাকবেন না।

২. বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির অন্তর্ভুক্তি
পাঠ্যপুস্তক যেন একমুখী বা পক্ষপাতদুষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো উপস্থাপন করা হলে শিক্ষার্থীরা সমগ্র প্রেক্ষাপট বুঝতে সক্ষম হবে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা কেবলমাত্র বিজয়ীদের দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বরং সাধারণ জনগণ, বিরোধী দল এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গিসহ তুলে ধরা উচিত। এটি শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বাড়াবে এবং ইতিহাসের বহুমাত্রিকতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেবে।

৩. সত্য ও প্রামাণিকতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া
শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তি হওয়া উচিত সত্য। পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু অবশ্যই যাচাইযোগ্য তথ্য, মূল সূত্র এবং স্বীকৃত গবেষণার ভিত্তিতে রচিত হতে হবে। ইতিহাসকে রাজনৈতিক এজেন্ডার হাতিয়ার না বানিয়ে, নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা উচিত। পাশাপাশি, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে সঠিক প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা দরকার, যাতে এটি বিভাজন নয়, বরং ঐক্য সৃষ্টি করতে পারে।

৪. নির্ধারিত সময় পর পর পর্যালোচনা ও আপডেট
বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং নতুন গবেষণা ও তথ্য আমাদের বোঝাপড়াকে সমৃদ্ধ করছে। সেজন্য পাঠ্যপুস্তককে স্থির না রেখে সময়ে সময়ে পর্যালোচনা ও হালনাগাদ করা জরুরি। নতুন প্রতœতাত্ত্বিক আবিষ্কার, ঐতিহাসিক গবেষণা এবং সমসাময়িক বিষয়ে উন্নয়ন পাঠ্যপুস্তকে যুক্ত করা উচিত, যাতে শিক্ষার্থীরা সর্বশেষ ও নির্ভুল তথ্য পায়।

৫. জনসাধারণের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ
পাঠ্যপুস্তক সংশোধন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখা দরকার, যাতে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও গবেষক এতে মতামত দিতে পারেন। খসড়া পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করে জনসাধারণের মতামত গ্রহণ করা, বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করা এবং পর্যালোচনার ভিত্তিতে পরিবর্তন আনা হলে পাঠ্যপুস্তকের গ্রহণযোগ্যতা ও মান নিশ্চিত হবে।

সরকারের দায়িত্ব হলো একটি সুসংগঠিত ও নিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা, যেখানে পাঠ্যপুস্তক কেবলমাত্র সত্য, প্রামাণ্য ইতিহাস ও সংস্কৃতির যথাযথ প্রতিফলন ঘটাবে। পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুকে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ রাখা রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিকতা, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ এবং মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

একটি শক্তিশালী ও কার্যকর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে পাঠ্যবই এমনভাবে রচনা করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র তথ্য মুখস্থ না করে, বরং বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশ করতে পারে। তাদেরকে এমন শিক্ষাদান করা দরকার, যা সত্যের সন্ধান করতে উদ্বুদ্ধ করবে এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটাবে। যদি পাঠ্যপুস্তকে পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উপাদান থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হবে এবং সত্যকে নির্ধারণের দক্ষতা হারাবে। সরকারের দায়িত্ব হলো পাঠ্যপুস্তকের নিরপেক্ষতা ও গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং শিক্ষাব্যবস্থাকে একটি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা।

লেখক: নিরাপত্তা বিশ্লেষক।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

আলেমসমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্রই বাংলাদেশকে ঠেকাতে পারবেনা: এ এম এম বাহাউদ্দীন

আলেমসমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্রই বাংলাদেশকে ঠেকাতে পারবেনা: এ এম এম বাহাউদ্দীন

অযথা কালক্ষেপণ করে ক্ষমতায় থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা সরকারের নেই: আইন উপদেষ্টা

অযথা কালক্ষেপণ করে ক্ষমতায় থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা সরকারের নেই: আইন উপদেষ্টা

শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশের খুব কাছে অস্ট্রেলিয়া

শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশের খুব কাছে অস্ট্রেলিয়া

ডিআইজিসহ পুলিশের ৪ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা আটক

ডিআইজিসহ পুলিশের ৪ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা আটক

ভারতে বসে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে হাসিনা: মির্জা ফখরুল

ভারতে বসে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে হাসিনা: মির্জা ফখরুল

ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে দুবাই যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে দুবাই যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

বাবার মতোই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হবেন কেজরিকে হারানো পরভেশ?

বাবার মতোই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হবেন কেজরিকে হারানো পরভেশ?

বগুড়ায় ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল চালু করল রিভো

বগুড়ায় ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল চালু করল রিভো

সৌদি আরব ও আমিরাত সফরে গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান

সৌদি আরব ও আমিরাত সফরে গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান

কতটা নির্লজ্জ হলে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় - আতাউর রহমান

কতটা নির্লজ্জ হলে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় - আতাউর রহমান

মুসলমানদেরকে কুরআন ও সুন্নাহর ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

মুসলমানদেরকে কুরআন ও সুন্নাহর ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের, বাংলাদেশ কত নম্বরে?

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের, বাংলাদেশ কত নম্বরে?

ময়মনসিংহে ‘মাইক্লো বাংলাদেশ’র যাত্রা শুরু

ময়মনসিংহে ‘মাইক্লো বাংলাদেশ’র যাত্রা শুরু

টিএমএসএস পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

টিএমএসএস পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

আমরা ক্ষমতায় গেলে বাদলেসের দাবি পূরণ করবো-খায়রুল কবির খোকন

আমরা ক্ষমতায় গেলে বাদলেসের দাবি পূরণ করবো-খায়রুল কবির খোকন

তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজের প্রথম বৈঠক না করে ইমাম সাহেবের দাঁড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে।

তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজের প্রথম বৈঠক না করে ইমাম সাহেবের দাঁড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে।

মনোহরগঞ্জে অবৈধভাবে পরিচালিত দুটি ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা

মনোহরগঞ্জে অবৈধভাবে পরিচালিত দুটি ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা

লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় দুই আসামি গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় দুই আসামি গ্রেপ্তার

বই পড়ায় অনাগ্রহ বাড়ছে

বই পড়ায় অনাগ্রহ বাড়ছে

চাটমোহরে ১৭ আসামি গ্রেফতার

চাটমোহরে ১৭ আসামি গ্রেফতার