ঢাকা   রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মৃত্যুর আগে হজে যেতে চান মৌসুমী

Daily Inqilab বিনোদন ডেস্ক

২৯ মার্চ ২০২৩, ১০:০৭ এএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:১৫ এএম

সম্প্রতি অভিনয় জীবনের ৩০ বছর পূর্ণ করছেন ঢাকাই সিনেমার প্রিয়দর্শিনী অভিনেত্রী আরিফা জামান মৌসুমী। দীর্ঘ এই সময়ে যেমন অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন, তেমনই পেয়েছেন ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা। তবে মৌসুমী এখন আর তেমন একটা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন না। এবার অভিনেত্রী প্রকাশ করলেন তার একান্ত ইচ্ছার কথা। জানালেন মৃত্যুর আগে হজে যেতে চান।

সম্প্রতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে নিজের কয়েকটি ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করে মৌসুমী বলেন, ‘প্রথমত আমি বলব আমি যদি মরে যাই আমার সব ভুলে জন্য ক্ষমা চাই সবার কাছে। ক্ষমা করে দিবেন। আমার কয়েকটি ইচ্ছে আছে, একটি হলো আমি মারা যাওয়ার পর আমার লাশ যেন কাউকে দেখতে দেয়া না হয়। যেন খুব সিক্রেটলি কবর দেয়া হয়। জানাজা হবে। কিন্তু আমি চাই না আমাকে আর কেউ দেখুক।’

এরপর মৌসুমী হজে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি মারা যাওয়ার আগে বড় হজ করতে চাই আমি যেন হজ করতে পারি সেজন্য সবাই দোয়া করবেন।’

এ নায়িকা আরও বলেছেন, ‘আমি মারা যাবার পর টিভিতে ধুমধাড়াক্কা ছবি এবং দশর্কদের কাছে অনেক ছবি রয়ে গেছে সেগুলো ডিলিট করে দিবেন। তবে ছবি যদি সংগ্রহ করতে হয় তাহলে মৌসুমী আর্কাইভে আলাদা ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। সেখানেই সবাই আমার সব কিছু জমা দিয়ে দিবেন। যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমার কোন কাজ মনে হয় আর্কাইভে রাখলে ভালো হবে বা গবেষণার কাজে আসবে তবে সে উদ্দেশ্যই ছবি গুলো সংরক্ষণ হবে। অবশ্যই বাছাইকৃত ছবি গুলো জমা দেয়া হবে, এছাড়া অন্য সব কিছু ডিলিট করে দিলে ভালো হবে।’

সবশেষে এ তারকা জানান, মৌসুমী ওয়েলফেয়ার নামে তার একটি সংগঠন আছে। তিনি চান সেটা তার মৃত্যুর পরও সচল থাকুক। যে উদ্দেশ্যে সংগঠনটি গড়ে উঠেছে সেসব সম্পন্ন করার জন্য অনুরাগীদের অনুরোধ করেন এটি সচল রাখতে।


বিভাগ : বিনোদন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

অভিনেতা সেবাস্তিয়ান কিডারের মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় পরীমণির সাবেক স্বামীর মৃত্যু
বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথকে দেবতার রূপ দেয়া হয়েছিল-লতিফুল ইসলাম শিবলী
ইত্যাদি এবার মোংলা বন্দরে
যার হাত ধরে পরীমনি এসেছিলেন চলচ্চিত্রে,তার মরণ দিনে করলেন খাসি জবাই
আরও

আরও পড়ুন

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক

পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা

পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত

জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে

জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে

আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি

ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা

ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা

বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!

বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না

ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না

দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম

সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম

বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু

বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু

দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা

দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা

পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ

পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ