শিরিন শিলার কাণ্ড নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রল
২৬ মে ২০২৩, ০৫:০৮ পিএম | আপডেট: ২৬ মে ২০২৩, ০৫:০৮ পিএম
পুলিশের পোশাকে শুটিং করছিলেন চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা। এ সময় এক ছিন্নমূল কিশোর এগিয়ে এসে মা সম্বোধন করে শিরিন শিলাকে জড়িয়ে ধরে। নেহাত শিশু ভেবেই অভিনেত্রী তাকে বুকে স্থান দেন, জড়িয়ে ধরেন।
একসময় শিরিন শিলাকে ওই কিশোর বলে, আমাকে নিয়ে যাও, আমি পড়াশোনা করবো’ বলেই আবার জড়িয়ে ধরে। শেষদিকে কিশোরটি শিরিন শিলার গালে চুম্বন দেয়। এমন একটি ভিডিও কিছুদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। আর ভিডিওটি নিজেই ফেসবুকে পোস্ট করেছেন শিলা, যার ভিউ ছাড়িয়েছে এক কোটির উপরে।
তবে সেই কিশোর সম্পর্কে যখন জানতে পারলেন, সে রাত আর ঘুমাতে পারেননি এ অভিনেত্রী। জানালেন সে একজন রিকশাচালক। সম্প্রতি বিয়েও করেছে।
এ বিষয়ে শিরিন শিলা বলেন, সকালে ‘দ্য রাইটার’ সিনেমার শুটিং করার জন্য ধামরাইয়ের একটি এলাকায় যাই। শুটিং স্পটে উপস্থিত একটি ছেলে আমাকে দেখে এগিয়ে আসে এবং কথা বলতে চায়। আমি তাকে কাছে টেনে কথা বলি। ওই ছেলে তখন আবেগী কণ্ঠে আমাকে বলে, তার নাকি মা-বাবা নেই; তাকে কেউ ভালোবাসে না। শিলা বলেন, ওই ছেলের এ কথায় তার প্রতি মায়া জন্মে আমার। এ কারণে তার কাঁধে হাত রেখে তাকে আদর করি। তখন সে বলে তার খিদে লেগেছে, তাই আমি তাকে খাওয়ার জন্য কিছু টাকাও দিই। এরপরই সে আমাকে জড়িয়ে ধরে। কিন্তু হঠাৎই সে গালে চুমু দিয়ে বসে। আমি হতভম্ব হয়ে যাই।
পরবর্তীতে অভিনেত্রী শিলা করে বসেন আরেক কাণ্ড। যেখানে দেখা যায় ছেলেটি শিরিন শিলার পা ধরে মাফ চাইছে। শুটিং ইউনিটের কেউ কেউ তাকে পুলিশে দেয়ার কথাও বলছিলেন। তবে পুলিশে না দিয়ে কয়েকজন চড়-থাপ্পড় দিতে থাকেন ছেলেটিকে। শেষ পর্যন্ত তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে নেটিজেনদের মধ্যে।
অনেকেই শিলার সমালোচনা করে বলছেন, যদি ছেলেটি অপরাধ করেই থাকে তাকে পুলিশে দেয়া উচিত ছিল। তাকে নিয়ে এসে মাফ চাইয়ে ভিডিও করার দরকার ছিল না। আবার অনেকে বলছেন, সবই হচ্ছে ভিউয়ের জন্য।
সাইফুল ইসলাম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এই নামের নায়িকা আছে কেউ জানতো না। এটা পুরোটাই সাজানো নাটক ছিল, ভাইরাল হওয়ার জন্য।
মো. শহীদুল ইসলাম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, আজকাল ভাইরাল হওয়ার জন্য মানুষ সব পাওে, এমন ভিডিও শারমিন শিলা নিজেই আপলোড দিয়েছে। তার মানে সে নিজেই চেয়েছে ভাইরাল হতে এবং আলোচনায় আসতে।
রফিকুল ইসলাম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সিনেমা করে তো আর এতো প্রচার হতো না এমন ঘটনায় প্রচারটা হয়ে গেলো। আর হ্যাঁ এটা সাজানো নাটক কিনা তাও তদন্ত করা উচিত।
আবার অনেকে ছেলেকে নিয়ে সমালোচনা করেন। জহিরুল ইসলাম লিটন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, তবে এটা সত্য যে ছেলেটি বাটপার, একজনের সম্মান নষ্ট করার কারণে তাকে দ্রুত গ্রেফতার এবং সাজা দেয়া জরুরি ছিল। এদের ছাড় দিলে একটি শ্রেণি এসব অপকর্ম করতে সাহস পাবে।
বিভাগ : বিনোদন
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মেসিকে নিয়ে বড় পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ বিএনপির সঙ্গে কাজ করতে তৈরি আছি: হাছান মাহমুদ
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে দলের কোনো নেতা-কর্মীকে ছাড় দেওয়া হবে না : যুবদল সভাপতি
ঢাকা মেডিকেলের সিসিইউতে ভর্তি শাজাহান খান
আলোকচিত্রশিল্পী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত স্থগিত
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওলামা মাশায়েখ মহাসম্মেলন কাল
ব্র্যাক ব্যাংকের ৩০,০০০ কোটি টাকার রিটেইল ডিপোজিট মাইলফলক
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গবেষণায় জোর দিতে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার পরামর্শ
ব্রাহ্মণপাড়ায় জেলেকে পিটিয়ে হত্যা
কুয়াকাটায় দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
কলারোয়ায় হাজার হাজার ছাগলের মৃত্যু
হত্যা মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের ফাঁসানোর প্রতিবাদ
শিয়ালের কামড়ে নারী ও শিশুসহ আহত ৯
লোহাগাড়ায় ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
বন্দরগুলোর অবৈধ সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা
পঞ্চগড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান
ধামরাইয়ে পুলিশ ক্যাম্পে ঝুলছে তালা
ভোগান্তির আরেক নাম আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
যশোরে বিএনপি নেতার আদালতে আত্মসমর্পণ
যশোর শহরজুড়ে রাস্তার পাশে ময়লার ভাগাড়