অর্থ সংকটে এফডিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দুর্দশা
০৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩ এএম
সিনেমার আঁতুর ঘর হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। আগে যেখানে দিন-রাত সিনেমার শুটিং হতো এবং শুটিং ফ্লোর, ডাবিং থিয়েটার থেকে শুরু করে এর প্রতিটি জায়গায় নির্মতারা শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকত, এখন আর সেই ব্যস্ততা নেই। অলস, অচল অবস্থার মধ্যে রয়েছে। ফলে লাভজনক প্রতিষ্ঠানটি এখন কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বেতন-ভাতা দিতে পারছে না। বেতন-ভাতা না পেয়ে কর্মরত ২১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি অনেকটা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। উপায় না দেখে বেতন-ভাতার দাবিতে আগামী ১১ মার্চ এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবের সামনে তারা মানববন্ধন করবেন। জানা যায়, বেতন অনিশ্চিত হওয়ার পেছনে মূল কারণ এফডিসির আয় কমে যাওয়া। একসময় প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক ছিল, সরকারের রাজস্বেও জোগান দিত। বর্তমানে আয় কমার পেছনে ৩৫ মিলিমিটারে (সেলুলয়েড) সিনেমা নির্মাণের সময় কাঁচা ফিল্ম বিক্রয় বা ল্যাব প্রিন্ট করা বন্ধ হয়ে যাওয়া। ডিজিটাল প্রযুক্তি আসার পর ফিল্ম বিক্রি ও ল্যাবগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া এফডিসির ভবন নির্মাণে তিনটি ফ্লোর ভেঙে ফেলাতে প্রতিষ্ঠানটি ৭০ ভাগ আয় কমে গেছে। পাশাপাশি দেশে সিনেমা হল কমে যাওয়ায় প্রযোজকদের সিনেমা নির্মাণ কমে যাওয়ায় আয় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে ফ্লোর, ক্যামেরা, ডাবিং, এডিটিং, লাইট, কালার গ্রেডিং, বিএফএক্স, শুটিং ¯পট ইত্যাদি ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে মাসে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা আয় হয় এফডিসির। তার বিপরীতে ২১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন, বিদ্যু-পানির বিলসহ আনুষাঙ্গিক খরচ মাসে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকার মতো। এফডিসি’র প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়–য়া জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য এফডিসির কিছু জায়গা অধিগ্রহণ বাবদ সরকার ৬ কোটি টাকা প্রদান করে এফডিআর করেছিল। এ টাকা এফডিআর করে রাখা হয়। এফডিআর থেকে ঋণ নিয়ে গত ৮ মাস ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা হয়। ঋণের পরিমাণ এফডিআর’র কাছাকাছি হওয়ায় এখন ঋণ নেওয়া সুযোগও নেই। ফলে গত চার মাস ধরে বেতন-ভাতা বকেয়া পড়েছে। এর আগে ২০১৫ সাল থেকে ব্যাংকে থাকা এফডিসির এফডিআর ভাঙিয়ে বেতন ও যাবতীয় খরচ নির্বাহ করা হতো। এক সময় এফডিআর শেষ হয়ে যাওয়ায় সরকারি প্রণোদনায় কিছুদিন ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছিল। সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় হতে টাকা সময় মতো পাওয়া যায় না বলেই এফডিসির হাল এখন বেহাল হয়ে পড়েছে। গত চার-পাঁচ বছরের অবসরে যাওয়া এফডিসির প্রায় ৭০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের ছুটি নগদায়ন এবং গ্র্যাচুয়িটি বাবদ পাওনা প্রায় ১৫ কোটি টাকা এখনো বুঝে পায়নি। ফলে দিনের পর দিন কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছে। এই সমস্যা উত্তরণে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে এফডিসি কর্তৃপক্ষ আশাবাদী, ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হলে এফডিসির এই দৈন্যদশা এক দিন শেষ হবে।
বিভাগ : বিনোদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান