স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ও নির্মাতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
১৭ মে ২০২৪, ১২:১৪ এএম | আপডেট: ১৭ মে ২০২৪, ১২:১৪ এএম
সম্প্রতি দুটি বাংলা সিনেমা থেকে নামিয়ে দেয়া নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নির্মাতারা। এ নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেন তারা। দেশি সিনেমা তারা চালাতে চায় না বলে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে ১২ মে বিএফডিসির সামনে মানববন্ধনও হয়। এ সময় পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম খসরু এবং পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চিত্রনায়ক ওমর সানীসহ চলচ্চিত্রের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক ইকবাল বাংলা সিনেমার প্রতি স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার নানা দিক তুলে ধরেন। একই সঙ্গে সিনেপ্লেক্স তার সিনেমা ‘ডেডবডি’ কে মেরে ফেলেছেন বলেও দাবি করেন। প্রতিবাদ সভায় ইকবাল বলেন, আমাদের বাংলাদেশের সিনেমাকে কী করে ধ্বংস করে দেওয়া যায় তার সুপরিকল্পিত চক্রান্ত করছে সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। তারা আমাদের দেশি সিনেমা ভালো করে চলুক তা চাচ্ছে না। তিনি বলেন, এ দেশে হিন্দি সিনেমাও চলবে না। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে, সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, সিনেপ্লেক্সের দর্শক উচ্চবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত। সেসব দর্শকের বক্তব্য আমি শুনেছি। তারা বলেছেন, সিনেপ্লেক্স একটি ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ডের সঙ্গে যায় এমন সিনেমাই যেন এখানে প্রদর্শন করা হয়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যে নির্র্মাতা তার সিনেমার কোনো প্রচারই করেনন না, সেটার দর্শক আশা করেন কীভাবে? এখন থেকে আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের মানের সঙ্গে যায়, এমন সিনেমাই আমরা চালাব। স্টার সিনেপ্লেক্সের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সিনেমায় এমনিতেই নানা সংকট। সবাই মিলেই চেষ্টা করছি এর উন্নয়নের জন্য। কয়েক বছর ধরে বাংলা সিনেমায় দর্শক ফিরছে। কিন্তু সেটা কোন ধরনের সিনেমা তা সবারই জানা। তাই সিনেমার মান নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমরা বিশ্বাস করি, সিনেমা চললে সব অভিযোগই ভালোবাসায় পরিণত হবে। এখন সিনেমা কেন চলে না, তার দায় তো হল মালিকের না। গেল কয়েক বছরে পরাণ, হাওয়া, প্রিয়তমা, সুড়ঙ্গ যেভাবে ব্যবসা করেছে, সেটা দৃষ্টান্ত। সর্বশেষ রাজকুমার ভালো ব্যবসা করেছে। তখন কিন্তু কোনো অভিযোগ ছিল না। এই সিনেমাগুলোর ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে, একেক শাখায় চারটি-পাঁচটি করে শো চালিয়েছি। দিনশেষে এটা দর্শকের জন্য, তাদের ঘিরেই আমাদের ব্যবসা। কিন্তু যখন দর্শক আসে না, তখন বাধ্য হয়েই আমাদের নামানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এদিকে পরিচালক কাজী হায়াৎ অভিযোগ করে বলেন, সিনেপ্লেক্সের শেয়ার মানি নিয়েও অসঙ্গতি রয়েছে। কলকাতার সিনেপ্লেক্সসহ সিনেমার হলগুলো ফিফটি ফিফটি শেয়ারমানি দিয়ে থাকে। আমাদের এখানে প্রযোজককে খুশি মতো শেয়ারমানি দেয়া হয়। তা আর মানা হবে না। আমরা শেয়ারমানির সমতা চাই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রযোজকরা সিনেপ্লেক্সে ফোন করলে ফোন ধরা হয় না। এসব বন্ধ করতে হবে। এসব বন্ধ করা না হলে আমরা সিনেমা দেয়া বন্ধ করে দেব। আর অন্যায়, অসঙ্গতি মেনে নেয়া হবে না। সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ প্রযোজকদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করছেন। এ আচরণ একজন প্রযোজকের জন্য অসম্মানজনক। আমরা টাকা লগ্নি করে সিনেমা বানাই, আমাদের সঙ্গে যা তা আর হবে না।
বিভাগ : বিনোদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্যাংকিং সেবা খাতে এখনো ভারতীয় আধিপত্য
পরিষ্কার বার্তা চায় জনগণ
অবশেষে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ
কারাগারে এস কে সুর
‘গ্রিনল্যান্ডকে সামরিক এলাকা বানাতে চান ট্রাম্প’
ছাত্রলীগ নেত্রী নিশি দুই দিনের রিমান্ডে
অভি খালাস! তাহলে খুনী কে?
জল্পনা উড়াল চীনা সংস্থা টিকটক কিনছেন না মাস্ক
ধামরাইয়ে খাদ্যদ্রব্য তৈরির কারখানায় ফের আবার ডাকাতির চেষ্টা
রাজউক জোনাল অফিস স্থানান্তর আদেশের প্রতিবাদে মানববন্ধন
দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা
বন্ধ বেক্সিমকো খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
আধুনিক ডেটা ওয়্যারহাউজ স্থাপন করবে বিবিএস
পরিবারসহ জ্যাকব ও ছেলেসহ সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানির নতুন তারিখ
সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তনের বিষয় পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান ইউজিসি’র
চুক্তিতে নিয়োগের দৌড়ে নওফেলের জালাল উদ্দিন চৌধুরী
পুলিশের চাকরি হারিয়ে ছিনতাইয়ে নামেন হাকিম
ভোটার তালিকা হালনাগাদে সহায়তা করবে ইউএনডিপি
সাকরাইনে মেতেছে পুরান ঢাকা