তিন মাসে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে সোয়া ৩ লাখ কর্মী
০৯ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৩ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৪ পিএম
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এই তিন মাসে সউদী আরব, ওমান, মালয়েশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়াসহ শ্রমবান্ধব দেশগুলোতে সোয়া তিন লাখেরও বেশি শ্রমিক কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার সউদী আরবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের চেয়ে মার্চ মাসে কর্মী যাওয়ার হার কমে গেছে। অবশ্য এই সময়ে দ্বিতীয় সম্ভাবনাময় দেশ মালয়েশিয়াতে শ্রমিক যাওয়ার গতি অনেক বেড়েছে। একই সাথে নতুন শ্রমবাজার পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়াতেও শ্রমিক যাচ্ছে বেশি। তবে এই দেশ থেকে শ্রমিক পালিয়ে যাওয়ার কারণে যেকোনো সময় শ্রমবাজারটি বন্ধের আশঙ্কা করছেন জনশক্তি ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, নানাবিধ সমস্যায় সউদী আরবের শ্রমবাজারে শ্রমিক যাওয়ার হার তুলনামূলকভাবে কমছে। তবে সউদী আরবগামী শ্রমিকরাই এখন মালয়েশিয়া ও রোমানিয়ামুখী হয়েছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত মালয়েশিয়া ও রোমানিয়াসহ শ্রমবান্ধব কয়েকটি দেশে শ্রমিক যাচ্ছে বেশি।
বিএমইটির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানু-মার্চ) বিএমইটির বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছে ৩ লাখ ২৩ হাজার শ্রমিক, যা গড়ে প্রতি মাসে এক লাখেরও বেশি। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ১ লাখ ৪ হাজার ৫১৩, ফেব্রুয়ারি মাসে এক লাখ ৯ হাজার ৫৯ এবং মার্চে এক লাখ ৯ হাজার ৪৩৮ জন। এই তিন মাসে সউদী আরবে সর্বোচ্চ গেছে ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭২ জন। এরপরের অবস্থানে আছে মালয়েশিয়া। দেশটিতে এই তিন মাসে পাড়ি জমিয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৩ জন। এর পরের অবস্থানে আছে ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, কাতার, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও জর্দান। সউদী আরবগামী শ্রমিকদের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে গড়ে ৪২ হাজারের বেশি শ্রমিক গেলেও মার্চে শ্রমিক যাওয়ার গতি কমেছে। এ মাসে গেছে ৩৭ হাজার শ্রমিক। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মার্চে ৫ হাজার শ্রমিক কম গেছে। একই সাথে মহিলা শ্রমিক যাওয়ার হারও কমেছে সউদী আরবে। গত বছরের (২০২২) জুলাই মাসের আগে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক যাওয়ার কোনো পরিসংখ্যানই বিএমইটিতে ছিল না। কিন্তু অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে কূটনৈতিক তৎপরতায় দেশটিতে গড়ে প্রতি মাসে এখন ২৮ হাজার করে শ্রমিক যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন ফ্লাইট থাকছে মালয়েশিয়ায়। তবে সম্প্রতি এক ঘোষণায় মালয়েশিয়া সরকার নতুন চাহিদাপত্র দেয়া বন্ধ রেখেছে।
এ প্রসঙ্গে একাধিক জনশক্তি রফতানিকারক গতকাল শনিবার নয়া দিগন্তকে নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, সউদী আরবে শ্রমিক যাওয়া কমার অন্যতম কারণ হচ্ছে দেশটিতে নিয়োগকর্তারা ঠিকমতো কর্মীদের আকামা তৈরি করে দেয় না। বেতনও ঠিক মতো দিতে চায় না। এ ছাড়া নারী শ্রমিকদের যাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে নানাধরনের সমস্যা।
বিভাগ : প্রবাস জীবন
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পাকিস্তানে মাইক্রোবাসে বন্দুক হামলায় নিহত ৩৮
রুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারী
মার্সেল ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেলেন ঢাকার আনিসুর রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণমাধ্যম হবে মুক্ত বিহঙ্গের মতো : খোকন
শহীদদের রক্তের সঙ্গে যাতে বেঈমানি না হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা থাকবে : নতুন সিইসি
খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস ফিরে আনতে হবে -আল-কাউসার পরিষদ বাংলাদেশ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কুশল বিনিময়
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি
শিখ নেতা হত্যা, মোদীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ কানাডার
দলীয় ভিত্তিতে প্রশাসন সাজিয়ে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না: এ এম এম বাহাউদ্দীন
আদানির সঙ্গে জড়িত মোদিও: রাহুল গান্ধী
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি ২৫ নভেম্বর ঢাকায় আসছেন
সোহেল-টুকু-হেলালসহ খালাস পেলেন বিএনপির ২২ নেতাকর্মী
ইরানে উদ্ভাবনে নারীদের অবদান ২৪ শতাংশের বেশি
প্রকাশায় ৯৩ শতাংশ নকল করেও পদোন্নতি পান রাবি অধ্যাপক সাহাল উদ্দিন
বোরহানউদ্দিনে নিখোঁজের দুই ঘন্টা পর লেবু বাগানে মিললো শিশুর লাশ
নাবালক ছাত্রের সঙ্গে জবরদস্তি যৌন সঙ্গম, ৩০ বছরের জেল শিক্ষিকার
সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ
মার্কিন সংসদের নারী শৌচাগার ব্যবহার করতে পারবেন না রূপান্তরকামী এমপি