আমিরাতের শারজাহ ফার্নিচার কারখানায় আগুন, ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু
৩১ মে ২০২৩, ০৯:২৫ এএম | আপডেট: ৩১ মে ২০২৩, ০৯:২৫ এএম
সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি ফার্নিচারের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নে। মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে আমিরাতের শারজাহ শহরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউপির পলতি তারাবাড়ীয়া গ্রামের আবু তাহের পাটোয়ারী বাড়ির মো. ইউসুফ (৪৩), একই এলাকার বড় বাড়ির তারেক হোসেন বাদল (৪০) ও পলতি হারিছ মিয়ার বাড়ির মো. রাসেল (৩০)।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে তিনজনের পরিবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানতে পারে। এরপর বেলা ১১টার দিকে নিহত ইউসুফের ছোট ভাই ইমরান হোসেন আবুধাবি থেকে তিনজনের মৃত্যুর খবর পান। এরপর তিন পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজন, প্রতিবেশি ও শত শত নারী-পুরুষ ছুটে আসেন তাদের বাড়িতে।
নিহত ইউসুফের ছোট ভাই গোলাম রসুল বলেন, আমার বড় ভাই ২৫ বছর ধরে আমিরাতে প্রবাসজীবন কাটাচ্ছেন। তিনি শারজাহ শহরে একটি ফার্নিচার তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। বাড়িতে তার দুই ছেলে আছে। সর্বশেষ পাঁচ বছর আগে দেশে এসেছিলেন। স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে কারখানায় আগুন লাগে। ওই ঘটনায় আমার ভাইসহ আমাদের ইউনিয়নের আরও দুজন দগ্ধ হয়ে মারা যান।
গোলাম রসুল বলেন, কীভাবে আগুন লেগেছে সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানতে পারেননি। অগ্নিকাণ্ডের পর ওই দেশে থাকা আত্মীয়স্বজন মঙ্গলবার দুপুরে মুঠোফোনে কল করে বিষয়টি গ্রামের বাড়িতে জানান। আমার ভাইসহ নিহত তিনজনের মরদেহ এখনো দেশটির পুলিশের হেফাজতে আছে। সেখানে থাকা স্বজনেরা দূতাবাসের মাধ্যমে মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। আমরা এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছি।
নিহত বাদলের পিতা মীর আহাম্মদ বলেন, ৮ মাস আগে পরিবারের অনটন গোছাতে বাংলাদেশ থেকে ইউসুফের ফ্যাক্টরিতে কাজ নেয় বাদল। বাদলের দুই ভাই প্রতিবন্ধী। বাদলের সাজ্জাদ, জাহিদ ও আবীর নামে তিন ছেলে লেখা পড়া করছে। বাদলের মৃত্যুতে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।
নিহত রাসেলের চাচা সাহাব উদ্দিন বলেন, গত বছরের এপ্রিল মাসে ধার-দেনা ও কিস্তি নিয়ে রাসেল ইউসুফের সোফা ফ্যাক্টরিতে যায়। তার নিজের কোনো ভূমি বা বসতঘরও নেই। তার মা, স্ত্রী ও এক সন্তান চাচা আবদুস ছাত্তারের ঘরে থাকেন। কিস্তির টাকাও পরিশোধ করতে পারেননি রাসেল। রাসেলের কন্যা সন্তানও প্রতিবন্ধী। রাসেলের মৃত্যুতে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে।
বিভাগ : প্রবাস জীবন
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বইমেলায় ‘সঠিক নিয়মে হাতের লেখা প্রশিক্ষণ বাংলা’-এর মোড়ক উম্মোচন
ভারতে খেলতে আসছে মেসির আর্জেন্টিনা
ছাত্র-জনতা গণহত্যার মূলহোতা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে আইনী লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়ে তোপের মুখে পান্না
রহস্যময় ‘ফরেন অফিশিয়াল ১’, আদানি ঘুষ কাণ্ডে কে এই সরকারি কর্মকর্তা?
সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সম্মানে জাতি আনন্দিত: ফখরুল
পাকিস্তানে মাইক্রোবাসে বন্দুক হামলায় নিহত ৩৮
রুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারী
মার্সেল ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেলেন ঢাকার আনিসুর রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণমাধ্যম হবে মুক্ত বিহঙ্গের মতো : খোকন
শহীদদের রক্তের সঙ্গে যাতে বেঈমানি না হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা থাকবে : নতুন সিইসি
খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস ফিরে আনতে হবে -আল-কাউসার পরিষদ বাংলাদেশ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কুশল বিনিময়
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি
শিখ নেতা হত্যা, মোদীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ কানাডার
দলীয় ভিত্তিতে প্রশাসন সাজিয়ে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না: এ এম এম বাহাউদ্দীন
আদানির সঙ্গে জড়িত মোদিও: রাহুল গান্ধী
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি ২৫ নভেম্বর ঢাকায় আসছেন
সোহেল-টুকু-হেলালসহ খালাস পেলেন বিএনপির ২২ নেতাকর্মী
ইরানে উদ্ভাবনে নারীদের অবদান ২৪ শতাংশের বেশি