ঢাকা   শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় ফাঁসির দণ্ড থেকে রেহাই পেল বাংলাদেশি

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৩ পিএম | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৩ পিএম

মাদকের মামলায় মালয়েশিয়ায় আপিল বিভাগের রায়ে ফাঁসির দণ্ড থেকে রেহাই পেয়েছেন এক প্রবাসী বাংলাদেশি। তবে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। একইসঙ্গে ১০টি বেত্রাঘাতের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ার সংবাদ মাধ্যম বারনামা এ তথ্য দিয়েছে।

 

বাংলাদেশের নাগরিক আশরাফুল আলমসহ (২৮) তিন আসামিকে এই মামলায় দেশটির হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। বাকি দুজন হলেন- মালয়েশিয়ার কে. দিনাকরন (৪৩) ও ভারতের আরিভাজাগান মুরুগেসানকে (৫০)।

 

বারনামার প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গরের আমপাংয়ের একটি বাড়িতে ৯ কেজি ১৭৯ দশমিক ৩ গ্রাম মেথামফেটামিন বা ক্রিস্টাল মেথ রাখার অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৯ সালে হাইকোর্ট তাদের মেথামফেটামিন পাচারের জন্য দোষী সাব্যস্ত করেন।

 

মালয়েশিয়ার আইন অনুসারে, কোনো ব্যক্তির কাছে যদি ৩০ গ্রাম বা তার বেশি মেথামফেটামিন থাকে, তবে তাকে পাচারকারী হিসেবে গণ্য করা হয়।

গত বুধবার আদালতের রায় ঘোষণার সময় বিচারক হাদারিয়া বলেন, ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ত্রুটিপূর্ণ ছিল। মাদক তৈরির মাধ্যমে পাচার হিসেবে অভিযোগ করা হলেও বাস্তবে তা ছিল ওষুধ তৈরির প্রস্তুতিমূলক কাজ।

তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার ১৯৫২ সালের বিপজ্জনক ড্রাগস অ্যাক্ট সেকশন ৩৯বি (১) ধারায় অভিযোগ ছিল, যা প্রমাণ হলেই মৃত্যুদণ্ড অবধারিত।

তাদের আইনজীবী সাজা কমিয়ে ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড চেয়েছিলেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ মাদকের পরিমাণ বিবেচনায় ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে কারাদণ্ডের পরামর্শ দিয়েছেন।

মালয়েশিয়ায় মাদক পাচারসহ মাদকের সঙ্গে জড়িতদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তির বিধান। বিভিন্ন মাদক পাচারের জন্য রয়েছে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান।


বিভাগ : প্রবাস জীবন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

প্রবাসীদের যে জন্য সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
মওলানা ছিলেন রাজনীতিকদের আইকনিক নেতা : রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁকে যথাযথ সম্মান জানাতে হবে
দুবাইয়ে শিপ নির্মাণ কাজে বাংলাদেশি কর্মীর ব্যাপক চাহিদা : বন্ধ ভিসা চালু করানোর দাবি
ফ্যাসিস্ট আ.লীগকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে: ডা. শফিকুর রহমান
‘ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে রাসূল (সা.)-এর সুন্নাহর পরিপূর্ণ অনুশীলনের বিকল্প নেই’
আরও

আরও পড়ুন

ছ’মাসেই পুরো বদল! মহারাষ্ট্রে ঝড় বিজেপির

ছ’মাসেই পুরো বদল! মহারাষ্ট্রে ঝড় বিজেপির

আগে স্থানীয় নির্বাচন, পরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ

আগে স্থানীয় নির্বাচন, পরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ

জুলাই বিপ্লবে ছাত্র আন্দোলনে গুলি করা সেই তৌহিদ গ্রেপ্তার

জুলাই বিপ্লবে ছাত্র আন্দোলনে গুলি করা সেই তৌহিদ গ্রেপ্তার

রমজানে বাজার সহনশীল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

রমজানে বাজার সহনশীল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

গণ-আন্দোলনে শহীদ পরিবারের অন্তত একজনের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে : সারজিস আলম

গণ-আন্দোলনে শহীদ পরিবারের অন্তত একজনের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে : সারজিস আলম

অনুমোদিত ৩৫০% নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের বিতরন করল ওয়ালটন

অনুমোদিত ৩৫০% নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের বিতরন করল ওয়ালটন

আমতলীতে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা। আহত -২

আমতলীতে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা। আহত -২

শিবালয়ে পরকিয়া প্রেমের বলি নুরজাহান ৪দিন পর পাষ-প্রেমিক আলিফ গ্রেফতার

শিবালয়ে পরকিয়া প্রেমের বলি নুরজাহান ৪দিন পর পাষ-প্রেমিক আলিফ গ্রেফতার

ভূঞাপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ময়লা-আবর্জনার ভাগার

ভূঞাপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ময়লা-আবর্জনার ভাগার

শাহজাহান ওমরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা

শাহজাহান ওমরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা

ধর্মগ্রন্থের পরে সত্য হিসেবে মানুষ সংবাদপত্রকে মনে করতো  - বিটিভি মহা পরিচালক

ধর্মগ্রন্থের পরে সত্য হিসেবে মানুষ সংবাদপত্রকে মনে করতো - বিটিভি মহা পরিচালক

নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে ‘প্রস্তুত’ ইউরোপের যে ৭টি দেশ

নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে ‘প্রস্তুত’ ইউরোপের যে ৭টি দেশ

প্রথম বার চার দরজার বিলাসবহুল গাড়ি আনছে জাগুয়ার

প্রথম বার চার দরজার বিলাসবহুল গাড়ি আনছে জাগুয়ার

৪ মাস যেতে না যেতেই ভেস্তে গেছে কোটি টাকার সোলার ফেনসিং প্রকল্প!

৪ মাস যেতে না যেতেই ভেস্তে গেছে কোটি টাকার সোলার ফেনসিং প্রকল্প!

২৯ বছর পর অবশেষে আলোর মুখ দেখলো শেরপুর আন্তঃজেলা পৌর বাস টার্মিনাল

২৯ বছর পর অবশেষে আলোর মুখ দেখলো শেরপুর আন্তঃজেলা পৌর বাস টার্মিনাল

মোটরসাইকেলের ভয়ংকর নেশা, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, ৫ মাসে নিহত হয়েছে ১৪ জন

মোটরসাইকেলের ভয়ংকর নেশা, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, ৫ মাসে নিহত হয়েছে ১৪ জন

বড় দরপতনের পর সোনার দামে আবার বড় লাফ

বড় দরপতনের পর সোনার দামে আবার বড় লাফ

রাজবাড়ীতে ছাত্রদল নেতা অপহরণ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীতে ছাত্রদল নেতা অপহরণ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

ফার্মগেট মানসী প্লাজায় আগুন, নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট

ফার্মগেট মানসী প্লাজায় আগুন, নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট

মাদকের টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ

মাদকের টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ