আমিরাতে বাংলাদেশি খাদ্য-পণ্যের বাজার চাহিদা ঠিক রাখা কষ্টসাধ্য ব্যবসায়ীদের
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
ভোক্তাদের আস্থা অর্জনে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে আরব আমিরাতের বাজারে। তবে আন্তর্জাতিক বাজার প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বাজার চাহিদা ঠিক রাখতে গিয়ে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে প্রবাসী ব্যবসায়ীদের।
দেশটিতে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ছোট-বড় দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি দোকানে রয়েছে বাংলাদেশের চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল, পিঁয়াজ, আলু, পটল, আদা, রসুন, মরিচ, হলুদ, মাছ, মুড়ি, চিড়া, চানাচুর, বিস্কুট, জুস, নুডুলস ও সবজি আইটেমসহ হিমায়িত হরেক রকম খাদ্যপণ্যের বিপুল সমাহার। অন্যান্য দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে সুনামের সাথে বিক্রিও হচ্ছে দেদারছে।
তবে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ইনকিলাবকে জানান, ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও চায়নাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কম খরচের পাশাপাশি অল্প সময়ের মধ্যে আমিরাতে আসলেও বাংলাদেশ থেকে খাদ্যপণ্য আসতে সময় লেগে যায় প্রায় এক থেকে দেড় মাস। এর কারণ হিসেবে তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ খাদ্যপণ্য ভর্তি জাহাজ সিঙ্গাপুর হয়ে আমিরাতে আসে। আবার কখনো কখনো সিঙ্গাপুরে জাহাজ বদল করা হয়। এতে সেখানে এক জাহাজ থেকে আরেকটি জাহাজে খাদ্যপণ্যের কন্টেইনার স্থানান্তরে বেশ ক'দিন লেগে যায়। ফলে আমিরাতে পৌঁছানো পর্যন্ত অনেক বেশি সময় লেগে যায়। এতে করে প্রতিযোগিতামূলক খাদ্যপণ্যের বাজার ধরে রাখতে বা সম্প্রসারণে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে প্রবাসী ব্যবসায়ীদের। তাদের মতে, শুল্ক ও পরিবহন ভাড়া কমিয়ে খাদ্যপণ্য ভর্তি জাহাজ যদি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আমিরাতে আসার ব্যবস্থা করা যায়, তাতে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০/২২ দিনের মধ্যেই আমিরাতে পৌঁছানো সম্ভব। এতে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বাজার ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ করা সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিযোগ্য খাদ্যপণ্য বেশি দামে কেনার পাশাপাশি জাহাজের মাধ্যমে খাদ্যপণ্য ভর্তি কন্টেইনার আনতে গিয়ে দেশীয় নৌবন্দরে অনেক সময় নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এতে করে আমিরাতে পৌঁছা পর্যন্ত সময় এবং খাদ্যপণ্য মূল্য অনেক বেশি পড়ে যায়। যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজার দর এবং বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বাজার চাহিদা ঠিক রাখতে গিয়ে লোকশানও গুনতে হচ্ছে তাদের।
তাই প্রবাসী ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দেশ, ক্রেতা ও প্রবাসী ব্যবসায়ীদের স্বার্থ বিবেচনায় সুষ্ঠু ও সহজ ব্যবস্থাপনায় নতুন সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি খাদ্যপণ্য মূল্য, পরিবহন ভাড়া ও শুল্ক কমিয়ে ক্রেতা চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিরাতে বাজারজাত করার সুযোগ তৈরি করে দিলে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হবে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বাজার। পাশাপাশি আমিরাতে বসবাসরত ১০ লক্ষাধিক বাংলাদেশিও স্বাচ্ছন্দ্যে কিনতে পারবেন দেশীয় খাদ্যপণ্য। অপরদিকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রায় লাভবান হবে বাংলাদেশ।
বিভাগ : প্রবাস জীবন
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
শেখ পরিবার একটি চোরের কারখানা’
অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা মামুন
জিমি কার্টারের প্রতি ৩০ দিনের শোকাবস্থা উপেক্ষা করে ট্রাম্পের পতাকা উত্তোলন
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা-তারেকসহ সব আসামি খালাস
টিউলিপের জায়গায় নিয়োগ পেলেন এমা রেনল্ডস
পদত্যাগপত্রে টিউলিপ সিদ্দিক যা লিখেছেন
টিউলিপের পদত্যাগ ইস্যুতে প্রেস উইংয়ের বিবৃতি
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে কায়রো, ঢাকার অবস্থান ৬ নম্বরে
মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে লাশ হলো "মা"!
মীরসরাইয়ে মুন্না খুনের ঘটনায়, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বহিষ্কার
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেফতার
আজ সারদায় ৪৮০ এসআইয়ের সমাপনী কুচকাওয়াজ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৬৩ জন ফিলিস্তিনি, মানবিক সংকট চরমে
ছাগলকাণ্ডের সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেফতার
সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিন রিসোর্ট পুড়ে ছাই
শুল্ক রেলস্টেশন দিয়ে ভারত থেকে ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি
শুল্ক–কর বৃদ্ধির ফলে দেশের তামাক খাতে কী প্রভাব পড়বে
ব্যাংকিং সেবা খাতে এখনো ভারতীয় আধিপত্য
পরিষ্কার বার্তা চায় জনগণ
অবশেষে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ