ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাংলা শিল্প সাহিত্যের হাজার বছরের বিবর্তন

Daily Inqilab ফজিলা ফয়েজ

০৭ জুন ২০২৪, ১২:১৩ এএম | আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪, ১২:১৩ এএম

সাহিত্যের উদ্দেশ্য মানবজীবনের সত্য প্রকাশ, জ্ঞানে কর্মে ভাবে বিকশিত হওয়া।অতীতকালে যেটুকু শিল্পচর্চা হয়েছে তাতে জনগণের উপস্থিতি থাকতো প্রভুর গুণকীর্তন, রাজা, সম্রাট, অভিজাতরাই তার চর্চা করাতেন। ব্রিটেনে এখনো রাজকবির প্রচলন আছে। একালেও দরবারি হওয়ার জন্য কতক কবি-সাহিত্যিক শিল্পীর নিরন্তর চেষ্টাও দৃশ্যমান। কাব্য-শিল্প-সাহিত্য মানুষের চেতনার চিরাচরিত বিদ্রোহের চেতন রূপ, সম্পূর্ণ সামাজিক বস্তু বিষয়ের ইমিটেশন যা মনোসংশ্লেষণের অভিজ্ঞতা। স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে নয়, বরং সমাজের একজন হিসেবে কবি শিল্পী সাহিত্যকরা নিরন্তর সংস্কৃতির লড়াইটা অব্যাহত রাখেন।

বাংলা শিল্পসাহিত্যের বিবর্তন একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস যা শতাব্দীর সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং ঐতিহাসিক প্রভাবের মাধ্যমে বোনা হয়েছে। প্রাচীন শিকড় থেকে আধুনিক অভিব্যক্তি পর্যন্ত, বাংলা সাহিত্য একটি আকর্ষণীয় যাত্রার মধ্য দিয়ে গেছে, যা বাঙালির বিভিন্ন অভিজ্ঞতার প্রতিফলন করেছে।

বাংলা সাহিত্যের হাজার বছরের ইতিহাস প্রধানত তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত:
আদিযুগ বা প্রাচীন যুগ (আনুমানিক ৬৫০ খ্রি. মতান্তরে ৯৫০ খ্রি.১২০০ খ্রি.)
মধ্যযুগ (১২০১ খ্রি.১৮০০ খ্রি.)
আধুনিক যুগ (১৮০১ খ্রি.–বর্তমান কাল)

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজনৈতিক ইতিহাসের মতো নির্দিষ্ট সাল তারিখ অনুযায়ী সাহিত্যের ইতিহাসের যুগ বিভাজন করা সম্ভব নয়। যদিও সাহিত্যের ইতিহাস সর্বত্র সাল তারিখের হিসেব অগ্রাহ্য করে না। সাহিত্যকর্মের বৈচিত্র্যে ও বৈশিষ্ট্যে নির্দিষ্ট যুগের চিহ্ন ও সাহিত্যের বিবর্তনের ধারাটি বিশ্লেষণ করেই সাহিত্যের ইতিহাসে যুগবিভাগ করা হয়ে থাকে।

বাংলা সাহিত্যের আদিযুগ মূলত চর্যাপদ। ১৯০৭সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবার থেকে একটি পুঁথির খন্ডিত অংশ উদ্ধার করেন। আচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় ও ড: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষনের মাধ্যমে বাংলার সাথে এর যুগসুত্র খুঁজে পান।

প্রাপ্ত এই পুঁথির রচনাকাল নিয়ে উভয় তাত্ত্বিকের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। সুনীতি কুমার এই আদি নিদর্শনের রচনাকাল খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী বলে মনে করেন। আবার শহীদুল্লাহ এর রচনা শুরু ৬৫০সালে অর্থাৎ রচনা কালের ব্যপ্তি সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী বলে উল্লেখ করেন।

নেপালের রাজদরবারে প্রাপ্ত এই পুঁথি আমাদের নিকট চর্যাপদ নামে পরিচিত। বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন হিসাবে এই চর্যাপদকেই বিশ্লেষকেরা মনে করে থাকেন।

বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শনগুলি চর্যাপদে পাওয়া যায়, এটি ৮ম-দ্বাদশ শতাব্দীর বৌদ্ধ মরমী গানের সংকলন। এই শ্লোকগুলি, সিদ্ধাচার্য নামে পরিচিত ঋষিদের দ্বারা রচিত, আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান এবং দার্শনিক সঙ্গীত প্রতিফলিত করে, যা বাংলায় কাব্যিক ঐতিহ্যের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

চর্যাপদ হল বাংলায় প্রাচীনতম সংস্কৃতি এবং সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই পথিকৃত সাহিত্যের মূল বিষয় ধর্ম, দর্শন, চরিত্র সম্পর্কিত ছিল। চর্যাপদের কবিতার মাধ্যমে জীবনের মূল্যবান প্রশ্ন ও উত্তরের অন্বেষণ করা হতো। এই সাহিত্যে অবদান রেখেছেন বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যরা যেমন আর্যদেব, শীলাদিত্য, শান্তিরাক্ষিত, হৃদয়চন্দ্র ও কবি কুন্দলায়ন।

দ্বাদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী অর্থাৎ মুসলমান রাজত্বকালে রচিত সাহিত্যকে মধ্যযুগের সাহিত্য বলা হয়। বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের শুরুতে মুসলমানদের বিজয়ের ফলে ১২০১ থেকে ১৩৫০ খ্রি. পর্যন্ত দেড়শ বছর বাংলা সাহিত্যের কোনো উল্লেখযোগ্য নিদর্শন না পাওয়ায় ঐতিহাসিকগণ ঐ সময়কালকে বাংলা সাহিত্যের ‘অন্ধকার যুগ’ হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন।

তুর্কী আক্রমণকারীদের ভয়ে বৌদ্ধ কবিগণ বঙ্গদেশ থেকে নেপালে শরণার্থী হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। এ কারণে বাংলা সাহিত্যজগতে শূন্যতা দেখা দেয় । মধ্যযুগের প্রথমার্ধে বাংলা ভাষায় সংস্কৃত শব্দের ব্যাপক ব্যবহার ঘটে। চৈতন্য দেবের আবির্ভাব বাংলা ভাষায় নতুন ধারার সৃষ্টি করে। উদ্ভব হয় জীবনী সাহিত্যের। কাব্যের ভাষায় উন্নীত হয় ‘ শ্রী কৃষ্ণকীর্তন’। রচিত হয় মঙ্গল কাব্য ও বৈষ্ণব পদাবলী।

চ-ীদাসের, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, জয়দেবের ‘গীতগোবিন্দ’, ভারতচন্দ্রের,মঙ্গলকাব্য
ইত্যাদি কাব্যরতœ মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের মৌলিক অংশ। এগুলি নিয়ে প্রচলিত কাহিনীগুলি প্রধান বিষয় হয়ে উঠে। এছাড়াও, বৈষ্ণব গানের গুরুত্ব অপেক্ষা অনেক বাড়ে এই সময়ে।

এ সময়ের আরো কিছু রচনা আমরা পেয়ে থাকি। রামাই প-িত রচিত ‘শূন্যপুরাণ’ এবং ‘কলিমা জালাল’ বা ‘নিরঞ্জনের রুষ্মা’, ‘ডাক ও খনার বচন’; হলায়ুধ মিশ্রের ‘সেক শুভোদয়া’র অন্তর্গত পীর মাহাত্ম্যজ্ঞাপক বাংলা ‘আর্যা’ বা গান প্রভৃতি এ সময়ের বাংলা সাহিত্য সৃষ্টির নমুনা।

ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজীর বাংলা বিজয়ের ফলে বাংলার প্রচলিত ধর্মীয় সংস্কৃতির বড় রকমের পরিবর্তন ঘটে । ব্রাহ্মণ ও বৌদ্ধশক্তির নেতৃত্ব চলে যায় মুসলমানদের হাতে।

মধ্যযুগের দ্বিতীয়ার্ধে এসে বঙ্গীয় সমাজ ও সংস্কৃতিতে মুসলিম একাধিপত্য দেখা দিলে। আর্য আগমনের ন্যায় ইরান ,আফগানিস্তান ,মধ্যপ্রাচ্য ও তুর্কি থেকে ব্যাপকভাবে মুসলিম আগমন ঘটে এতদঅঞ্চলে। আরবি,ফার্সি ও তুর্কি শব্দ বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করে তুলে। মার্জিত রূপ লাভ করে বাংলা ভাষা। অনুবাদ সাহিত্য এ সময় ব্যাপক বিস্তার লাভ করে।

সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এসে মুসলিম শায়েরগণ রচনা করেন ভিন্ন আঙ্গিকের মহাকাব্য। বৈচিত্রময় এই সব মহাকাব্য সাধারণের নিকট ‘পুঁথি সাহিত্য’ নামে পরিচিত ছিল।

বাঙালি রেনেসাঁ, অন্যত্র বিজয়ী বা বাংলার রেনেসাঁ নামেও পরিচিত, বাংলার ১৯ শতকের দ্বিতীয় বর্ধিত পুনরুত্থান বা প্রবৃদ্ধির উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধিক জাগরণের সময়কাল। এই যুগে বাঙ্গালি সমাজে একটি নতুন চেতনা ও বিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ব্রিটিশ শিক্ষা এবং আলোকিত আদর্শের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, রাজা রাম মোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা সমাজ সংস্কার এবং আধুনিক বাংলা সাহিত্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। উপন্যাস, প্রবন্ধ এবং নাটক এই সময়ে অভিব্যক্তির জনপ্রিয় রূপ হয়ে ওঠে।

ঔপনিবেশিক সময়কাল বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছিল, যা ইউরোপীয় ভাবধারার প্রভাব এবং বঙ্গীয় রেনেসাঁর উত্থানের দ্বারা চিহ্নিত। রাজা রাম মোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিবর্গ বাংলা সাহিত্যের পুনর্র্নিমাণে, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। বঙ্কিম চন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসটি কেবল জাতীয়তাবাদী উন্মাদনাকে অনুপ্রাণিত করেনি বরং বন্দে মাতরম” এর আইকনিক গানের জন্ম দিয়েছে, যা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য একটি মিছিলকারী আর্তনাদ হয়ে উঠেছে।

ঠাকুর এবং বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট (১৯ শতকের শেষের দিকে, ২০ শতকের প্রথম দিকে): এই সময়ের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, আবির্ভূত হন। কবিতা, গান, উপন্যাস এবং নাটক সহ তাঁর রচনাগুলি কেবল বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেনি বরং ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতিতেও গভীর প্রভাব ফেলেছিল।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নোবেল বিজয়ী কবি, ঔপন্যাসিক এবং নাট্যকার, মানব প্রকৃতি এবং সার্বজনীন থিমের গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে বাংলা সাহিত্যে একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছেন। ঠাকুরের পাশাপাশি, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নন্দলাল বোসের মতো শিল্পীদের নেতৃত্বে বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট, আধুনিক কৌশলগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় শিল্পকলাগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছিল।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলায় আধুনিকতাবাদী ও পরীক্ষামূলক সাহিত্যের উত্থান ঘটে, কাজী নজরুল ইসলাম,জীবনানন্দ দাশ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং মহাশ্বেতা দেবী মতো লেখকরা সাহিত্যিক অভিব্যক্তির সীমানা ঠেলে দেন। তাদের রচনাগুলি ঔপনিবেশিক পরবর্তী বাংলার পরিবর্তিত বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে অস্তিত্বের ক্ষোভ, সামাজিক বৈষম্য এবং আধুনিক জীবনের জটিলতার মধ্যে পড়ে।

আধুনিক যুগ: বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগে বিভিন্ন সাহিত্য আন্দোলন ও ধারার উদ্ভব ঘটে। ১৯২৩-১৯২৯ এর কল্লোল আন্দোলন, ১৯৬১-এর হাংরি জেনারেশন আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক দশকের উত্তর-আধুনিকতাবাদী ধারা সবই বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগ।

১৯২৩ সালে প্রথম প্রকাশের পর থেকে ১৯২৯ পর্যন্ত মোট সাত বছরের যাত্রায় ‘কল্লোল’ বাংলা সাহিত্য ভান্ডারকে দিয়েছে অনেক, সমৃদ্ধ করেছে নানাভাবে। সাহিত্যের অনেক রথী-মহারথীরা তাই ‘কল্লোল’-এর সাত বছর তথা ‘কল্লোল যুগ’ কে বাংলাসাহিত্যে আধুনিক যুগের সূত্রপাত বলেই মনে করেন। তারা বিশ্বাস করেন ‘কল্লোল’ পর্বের লেখকদের হাত ধরেই বাংলাসাহিত্য ‘ভিক্টোরিয়ান’ ও ‘এডওয়ার্ডিয়ান’ খোলস ছেড়ে আধুনিকতার পোশাক গায়ে জড়িয়েছিল। অবশ্য দ্বিমতও আছে এর। রবীন্দ্রনাথের উত্তরসূরি অনেক সাহিত্যিক আবার ‘কল্লোল যুগ’কে নিছক ফিকশন বলেও আখ্যায়িত করেছেন। তবে নানা মত দ্বিমত সত্ত্বেও, ‘কল্লোল’ থেকে প্রায় ১০০ বছরের নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে বাংলাসাহিত্যে ‘আধুনিকতাবাদ’ বিকাশে ‘কল্লোল’-এর অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই।

১৯৬১-এর হাংরি জেনারেশন: ১৯৬১ সালের হাংরি জেনারেশন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি অনন্য সময়কালের অধ্যায়। এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ ছিল তাঁরা সাহিত্যকে পণ্য হিসাবে চিহ্নিত করতে অস্বীকার করেছিলেন। হাংরি জেনারেশনের লেখকগণ আধুনিক যুগের সমাজের মধ্যে সাহিত্যিক বিষয়গুলি নিয়ে বোঝাপড়া এগুলির প্রতি অবদান রেখেছেন।

সাম্প্রতিক দশকের উত্তর-আধুনিকতাবাদী ধারা: সাম্প্রতিক দশকের বাংলা সাহিত্যে উত্তর-আধুনিকতাবাদী ধারা অনেকটাই প্রভাবশালী হয়েছে। এই ধারার লেখকগণ সাহিত্যিক বিষয়গুলি নিয়ে বিভিন্ন নতুন রকমের লেখা প্রদর্শন করেন এবং তাদের লেখা সাহিত্যে বাংলা সমাজের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ নিয়ে জনগণের উদ্দীপন দেয়। এই তিনটি আন্দোলন ও ধারার মধ্যে বাংলা সাহিত্যের বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। ‘নতুনধারা’ নামে ২০২১ সালে ঢাকা থেকে প্রথম ইস্তেহার বের হয়।ভয়ংকর মহামারী করোনা ও প্রকৃতির অভিসাপে শত বছর পর পৃথিবী পরিবর্তন ঘটে। উত্তরাধুনিকের পর এখন বাংলা কবিতায় নতুন ঝড় হচ্ছে ‘নতুনধারা’।

দুই বাংলার বহু লেখক এতে যুক্ত রয়েছে।
আজ, বাংলা সাহিত্য বিকশিত হচ্ছে, তার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মূলে রয়ে অভিব্যক্তির নতুন রূপ গ্রহণ করছে। সমসাময়িক কবিদের প্রাণবন্ত কবিতা থেকে উদীয়মান লেখকদের চিন্তা-উদ্দীপক উপন্যাস পর্যন্ত, বাংলা সাহিত্য একটি গতিশীল এবং চির-বিকশিত ট্যাপেস্ট্রি যা বাঙালির আত্মাকে প্রতিফলিত করে।


বিভাগ : স্বাস্থ্য


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

কাঁচকলার উপকারিতা
অপরিণত নবজাতকরাও ফিরবে স্বাভাবিক জীবনে
বিমান ভ্রমণে জেট ল্যাগ
চোখ ওঠা রোগের কারণ ও প্রতিকার
ডায়াবেটিস রোগীর হৃদরোগের ঝুঁকি
আরও

আরও পড়ুন

সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ

সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ

মার্কিন সংসদের নারী শৌচাগার ব্যবহার করতে পারবেন না রূপান্তরকামী এমপি

মার্কিন সংসদের নারী শৌচাগার ব্যবহার করতে পারবেন না রূপান্তরকামী এমপি

বাগেরহাটে হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

বাগেরহাটে হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন জিওসি

অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন জিওসি

কুড়িগ্রামের উলিপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু

কুড়িগ্রামের উলিপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু

ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে দুই নারী উদ্ধার

ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে দুই নারী উদ্ধার

কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : চাঁদপুরে হাবিবুল্লাহ মিয়াজী

কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : চাঁদপুরে হাবিবুল্লাহ মিয়াজী

শাহজাহান ওমরকে জুতা ও ডিম নিক্ষেপ

শাহজাহান ওমরকে জুতা ও ডিম নিক্ষেপ

জীবনে উত্তম কর্ম, জ্ঞান ও উন্নত চরিত্র অর্জন করতে হলে সফল ব্যক্তিদের সান্নিধ্য অবলম্বন আবশ্যক

জীবনে উত্তম কর্ম, জ্ঞান ও উন্নত চরিত্র অর্জন করতে হলে সফল ব্যক্তিদের সান্নিধ্য অবলম্বন আবশ্যক

নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় জেলা আ.লীগ সভাপতি কারাগারে

নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় জেলা আ.লীগ সভাপতি কারাগারে

নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের আনাদোলু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর

নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের আনাদোলু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর

শিক্ষার্থীদের মতের ভিত্তিতেই ছাত্রদলের রাজনীতি চলবে :  নাছির

শিক্ষার্থীদের মতের ভিত্তিতেই ছাত্রদলের রাজনীতি চলবে : নাছির

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাইনচ্যুত ট্রেন উদ্ধার, চলাচল স্বাভাবিক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাইনচ্যুত ট্রেন উদ্ধার, চলাচল স্বাভাবিক

না.গঞ্জে ২৪ ঘন্টায় ৪৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত

না.গঞ্জে ২৪ ঘন্টায় ৪৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত

খরচ চালাতে লকার রুম, দরজা বিক্রি করছে রিয়াল মাদ্রিদ

খরচ চালাতে লকার রুম, দরজা বিক্রি করছে রিয়াল মাদ্রিদ

যুক্তরাষ্ট্রে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

যুক্তরাষ্ট্রে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ক্ষেতের মধ্যে রেললাইন, জীবিকা হারানোর মুখে কাশ্মীরের আপেল চাষিরা

ক্ষেতের মধ্যে রেললাইন, জীবিকা হারানোর মুখে কাশ্মীরের আপেল চাষিরা

সাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন ফুটবলারের গণসংবর্ধনা

সাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন ফুটবলারের গণসংবর্ধনা

মার্কিনের পর এবার ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা ইউক্রেনের

মার্কিনের পর এবার ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা ইউক্রেনের

আহমেদাবাদ শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে ৩৫ ইরানি ছবি

আহমেদাবাদ শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে ৩৫ ইরানি ছবি