সায়াটিকা : একটি স্নায়ুজনিত সমস্যা
০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
আমরা কমবেশি সায়াটিকা শব্দটির সাথে সকলেই পরিচিত। রোগটি নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দে থাকে, এটি কি বাতজনিত না স্নায়ুজনিত সমস্যা। আমাদের শরীরে সায়াটিক নার্ভ বা স্নায়ু নামে একটি দীর্ঘ স্নায়ু আছে। এটি স্পাইনাল কর্ড বা স্নায়ুরজ্জু থেকে মেরুদন্ডের একেবারে শেষ প্রান্তে উরুর পিছনের দিক দিয়ে পায়ের আঙুল পর্যন্ত বিস্তৃত। কোন কারণে এই স্নায়ুয়ুর উপর চাপ পড়লে কোমড় হতে পায়ের নিচ পর্যন্ত তীব্র ব্যথা ছড়িয়ে পাড়ে। তখন একে সায়াটিকা বলে।
পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ সায়াটিকা ব্যথায় ভুগে থাকেন। পুরুষ বা নারীর যে কেউ সাধারণত ৩০-৬০ বছরের মধ্যে এ রোগে ভোগেন।
কারণ
মেরুদন্ডের কোমড়ের অংশের ডিস্ক বা নরম হাড় স্থানচ্যুত হয়ে স্নায়ুতে চাপ পড়া।
কশেরুকার স্থানচ্যুতি।
স্নায়ু চলাচলের পথ সরু হলে।
বয়স জনিত ক্ষয়রোগ।
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কোন কাজ করলে।
হঠাৎ ভারী বস্তু উঠানো।
সামনে ঝুকে কাজ করলে।
দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করা।
দীর্ঘক্ষণ মোটরসাইকেল, সাইকেল চালালে।
স্থুলতা, স্নায়ুতান্ত্রিক রোগ।
স্পন্ডলাইটিয়স, স্লিপড ডিস্ক এবং পেশির খিঁচুনী ইত্যাদি।
লক্ষণ
পিঠের নীচের অংশে, উরুর, পায়ের পিছনে ব্যথা।
কোমড়ের নীচের দিকে এবং এক পাশে ব্যথা।
ব্যথা কোমড় হতে পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। উরুর দিকে বেশি অনুভুত হয়।
পাগুলোতে জ¦ালা পোড়া করে।
একটা পা বা পায়ের পাতায় ঘন ঘন অসাড়তা।
একটা পায়ে দূর্বলতা।
ব্যথা তীব্র হয়। সুঁচ ফোটানো ব্যথা।
পা বা পায়ের পাত নাড়াচড়ায়, দাঁড়িয়ে থাকতে ও হাঁটাচলায় অসুবিধা।
পায়ের পাতায় প্রচন্ড ব্যথাজনিত সংবেদন।
শুইলে ব্যথা বাড়ে, কিছুক্ষণ হাঁটলেও ব্যথা কমে। তবে বসে থাকলে বা দাঁড়িয়ে থাকলে ব্যথা বাড়ে।
আক্রান্ত পায়ে অবশতা, ঝিনঝিন ভাব ও দূর্বলতা অনুভুত হয়।
পরীক্ষা
ইমেজিং পরীক্ষা, এক্স-রে, এম আর আই, সিটি স্ক্যান ইলেকট্রোমোগ্রাফি।
চিকিৎসা
যদি ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে সায়াটিকা নিজে থেকে ঠিক না হয়, তখন দ্রুত চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ নিতে হবে। উপসর্গ অনুসারে ঔষধ, ইঞ্জেকসন, ফিজিওথেরাপী, অস্ত্রোপচার ব্যয়াম ও জীবনযাপনে পরিবর্তনের ফলে সায়াটিকা হতে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
করণীয়/বর্জনীয়
বেশী নরম বিছানায় ঘুম, কোমড় বাঁকা করে কোন কাজ না করা।
সামনে ঝুঁকে কোন কাজ, বস্তু না তোলা।
যতটা সম্ভব হালকা ব্যয়াম করা।
ব্যথা থাকলে চেয়ারে বসে নামাজ পড়া, হাই কমোড ব্যবহার করা।
শোয়া হতে ওঠার সময় একপাশে কাত হয়ে হাতে ভর দিয়ে ওঠা।
বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে কোন কাজ না করা।
সোজা হয়ে বসে কাজ করা।
প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা।
পরামর্শ মতো গরম স্যাঁক দেওয়া।
লম্বা সময় দিয়ে বসে না থাকা ইত্যাদি।
উঁচু-নিচু স্থানে ভ্রমণে কোমড়ে বেল্ট ব্যবহার করা।
মোঃ হুমায়ুন কবীর
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, গবেষক, স্বাস্থ্য নিবন্ধকার।
রেনেসাঁ হোমিও মেডিকেয়ার
২৫/৩, নবাব কাঁটারা, নিমতলী, চাঁনখারপুল, ঢাকা- ১০০০।
মোবাইল নম্বরঃ- ০১৭১৭-৪৬১৪৫০, ০১৯১২-৭৯২৮৯৪।
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নেপথ্যে এক বাংলাদেশীর হতাশা
ফের চুক্তি লঙ্ঘন ইসরাইলের
চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব অব্যাহত থাকবে
চলতি মাসে পদোন্নতি পাচ্ছেন ২৫ ক্যাডারের উপসচিবরা
দুই মামলায় মির্জা ফখরুলকে অব্যাহতি
সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হচ্ছে না
ফ্যাসিস্ট হাসিনা জানতেন না কুমিল্লা খন্দকার মোশতাকের নয়, মেজর গনি-ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের
৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ২২ ডিসেম্বর
পক্ষভুক্তদের রুল শুনানি আজ
সংবিধান পুনর্লিখনের প্রস্তাব দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
রাঙামাটির সাজেকে দিনভর গোলাগুলি: ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জেলা প্রশাসনের
'বিপ্লবোত্তর ছাত্র ঐক্য' জবিতে ১২ ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ
শেরপুরে সেনা সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা : গ্রেপ্তার-৭
ঢাকায় তিন দিনব্যাপী ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব শুরু
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থাকারীরাই মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দায়িত্বে
ভিভো ভি৪০ ফাইভজি, হালকা ওজনে শক্তিশালী ব্যাটারি
ভারতের শাসকগোষ্ঠী ও হিন্দুত্ববাদী শক্তি সম্প্রীতি চায় না: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
দিল্লী দিশেহারা হয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: শাহীন শওকত