ব্লাড ক্যান্সারে মুখের সমস্যা
০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
রক্তের ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এবং যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করলে রোগ নিরাময় সম্ভব। ব্লাড ক্যান্সারে যে ধরনের কোষ বিশানকারী ওষুধ প্রয়োগ করা হয় তা ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করে কিন্তু পাশাপাশি কিছু সুস্থ কোষকেও নষ্ট করে। তাই দেহের অন্যান্য অংশের পাশাপাশি মুখেরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। ব্লাড ক্যান্সারে দাঁতের চিকিৎসার সময় স্থানীয় অবশকারী ইনজেকশন না দেয়াই ভালো, যদি বেশি রক্তপাতের ঝুঁকি থাকে তাহলে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে দাঁত তোলা ঠিক নয়। কারণ এ সময় বেশি রক্তপাত হতে পারে এবং সংক্রমণের দ্বারা অস্টিওমাইলাইটিসও হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ব্লাড ক্যান্সার চিকিৎসা চলাকালীন যদি ডেন্টাল সার্জারি বাধ্যতামূলক হয় তাহলে সার্জারির আগে রক্ত পর্যন্ত দেয়া লাগতে পারে। সার্জারির পর ক্ষত না শুকানো পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় এন্টিবায়োটিক সেবন করা উচিত। এন্টিবায়োটিক হিসেবে পেনিসিলিনই ভালো। ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মাংসপেশিতে কোনো ইনজেকশন প্রদান করা ঠিক নয়, কারণ এর ফলে হেমাটোমা হতে পারে। দাঁতের ব্যথায় অ্যাসপিরিনজাতীয় ওষুধ সেবন করা যাবে না। কারণ এমনিতেই মাড়ি থেকে রক্তপাতের ঝুঁকি থাকে। ব্লাড ক্যান্সারে মাঝে মাঝে মাড়ির নির্দিষ্ট অংশ অথবা পুরো মাড়িই ফুলে যেতে পারে।
ব্লাড ক্যান্সারে মুখে কান্ডিডোসিস হতে বেশি দেখা যায়। হারপেটিক সংক্রমণ কখনো কখনো মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এন্টিফাঙ্গাল রোগ প্রতিরোধ হিসেবে নিস্টাটিন মাউথওয়াশ দিনে ৪ বার ব্যবহার করা যেতে পারে। তা ছাড়া (ক্লোট্রিমাজল) এমফোটেরিসিন লজেন্সও এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখে। হারপিস ভাইরাসজনিত সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যাসাইক্লোভিরজাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। এছাড়া টনসিল গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে। ম্যান্ডিবল বা নিচের চোয়াল এবং প্যারোটিভ লালাগ্রন্থির ওপরে ব্যথাযুক্ত ফোলাভাব হতে পারে। অনেক কোষবিনাশকারী ওষুধ ওরাল মিউকোসাতে প্রদাহ এবং মাঝে মাঝে মুখে আলসার সৃষ্টি করে। আলসার প্রতিরোধ করা যায় বা কমিয়ে আনা যায়। আবার ফলিনিক এসিড ১.৫ মিলিগ্রাম ১৫ সিসি পানিতে পরিমাণ মত দিনে ৩ বার ব্যবহার করলে বেশ কাজে আসে। এ ছাড়া বিশেষ পদ্ধতিতে ক্লোরোহেক্সিডিন এবং পোভিডন আয়োডিন মাউথওয়াশও ব্যবহার করা যেতে পারে। মুখে মারাত্মক রক্তপাত হতে পারে রক্তের (অণুচক্রিকার পরিমাণ কমে গিয়ে)। এক্ষেত্রে ডেসমোপ্রেসিন অথবা রক্তের অণুচক্রিকার ইনফিউশন দিয়ে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।
এক নজরে ব্লাড ক্যান্সারে মুখের সমস্যা
(ক) লসিকাগ্রন্থি বা লিম্ফনোড বড় হয়ে যায়
(খ) মাড়ি থেকে রক্তপাত
(গ) সংক্রমণ-ক্যান্ডিডোসিস এবং অন্যান্য ফাঙ্গাল সংক্রমণ
(ঘ) হারপিস ভাইরাস সংক্রমণ
(ঙ) মুখে ঘা বা আলসার সাধারণত হারপিস ভাইরাস এবং ক্যান্সার বিনাশকারী ওষুধের মাধ্যমে হয়ে থাকে
(চ) মাড়ি ফুলে যাওয়া।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
(১) ওরাল আলসার
(২) শুষ্কমুখ
(৩) পিগমেন্টেশন
(৪) ক্যান্ডিডোসিস।
তাই ব্লাড ক্যান্সার রোগীর ক্যান্সারের চিকিৎসার পাশাপাশি মুখের সমস্যাগুলোর প্রতি যতœবান হতে হবে। এ সময় নিয়মিত দাঁত ব্রাশ বা মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
ডা. মো. ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্ত রোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল : ০১৮১৭৫২১৮৯৭
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাচ্ছেনা আর্জেন্টিনা
খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস অপু
পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক তল্লাশি
আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলার
অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয় : রিজভী
পার্লামেন্টে ক্ষমা
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তায় নতুন প্রহরী: রোবট কুকুর!
লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার
মাকে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখা ছেলে গ্রেফতার
সীমান্তে ৪ বাংলাদেশী নারী আটক
গুলি বর্ষণকারী ৭৪৭ পুলিশ শনাক্ত গ্রেফতারের উদ্যোগ নেই
সিলেটে মতবিনিময় সভা করলো নেজামে ইসলাম পার্টির
স্বামী স্ত্রীকে শর্ত লাগিয়ে তালাক দেওয়ার পর শর্ত উঠিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে।
আন্তঃনগর ট্রেনের সময় পরিবর্তন করুন
জনপ্রশাসনে মেধাশূন্যতা : কারণ ও প্রতিকার
ভারতীয় হেজিমনি ও আওয়ামী লীগের আত্মঘাতী রাজনীতি
বিতর্ক পরিহার করতে হবে
ইসরাইলি বাহিনী হিজবুল্লাহর সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে যাবে না
নির্বাচনে হারার পর প্রথমবার জনসমক্ষে বাইডেন ও কমলা