নাকুগাঁও স্থলবন্দরে এইচএমপিভি প্রতিরোধে নেই সতর্কতা
২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম
ভারতসহ কয়েকটি দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) ছড়িয়ে পড়লেও তা প্রতিরোধে শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে নেয়া হয়নি কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই যাত্রীরা এই বন্দরের ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত ও ভুটানে যাতায়াত করছেন। বিশেষ করে আমদানি-রফতানি পণ্য নিয়ে ট্রাকচালক ও হেলপাররা দুই দেশে আসা-যাওয়া করছেন। বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সরকারি নির্দেশনা না থাকলেও মৌখিকভাবে সচেতন করে যাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, স্থলবন্দরের গেটে ২জন দাঁড়িয়ে আছেন। বন্দরের ভেতরে কর্মকর্তা বসে আসেন। কোনো রুম বা বাইরে এইচএমপিভি ভাইরাস প্রতিরোধে কোনো যন্ত্রপাতি বা স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। কাগজপত্র সঠিক থাকলে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করতে পারছেন। স্থানীয় অনেকেই বলছেন, তারা এ ভাইরাস সম্পর্কে অবগত নন। আবার সচেতন নাগরিক বলছেন, এই ভাইরাস যেহেতু ভারতে শনাক্ত হয়েছে। সেহেতু এই বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার যন্ত্রপাতি বসানো উচিত।
হালুয়াঘাটের বাসিন্দা ভারতের পাসপোর্টধারী যাত্রী আকরাম হোসেন জানান, এক ভাইয়ের কাছে শুনেছি এই ভাইরাসের কথা। বিভিন্ন খবরেও দেখেছি নতুন এই ভাইরাসের নাম। যদি করোনার মতো এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, তবে মুশকিল হয়ে যাবে। এজন্য আগে থেকেই সতর্কতার সঙ্গে কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন বলে মনে করি। আরেক যাত্রী সাব্বির আহম্মেদ জানান, মাস্ক সবসময় ব্যবহার করি। পরিষ্কার থাকার চেষ্টা করি। এই ভাইরাস আমার শরীরে আসবে না। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর জানান, এমন নাম শুনি নাই এখনো। করোনা ভাইরাসের নাম শুনেছিলাম। করোনার সময় এই বন্দর বন্ধ ছিল। যদি নতুন করে এই ভাইরাস আসে। তাহলে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে বন্দরের ভেতরে কিংবা বাইরে পরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি বসানো উচিত।
নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারিভাবে আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি। ফলে এই বন্দরের ইমিগ্রেশন দিয়ে পরীক্ষা ছাড়াই যাত্রীরা যাতায়াত করছেন। সরকারি নির্দেশনা না থাকায় মৌখিকভাবে সচেতন করে যাচ্ছি। যদি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চেয়ারম্যান কোনো নির্দেশনা দেন তবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শেরপুর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে অবশ্যই সেভাবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করবে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সাধারণত জ্বর, সর্দি ও কাশি হয়। নাক বন্ধ হয়ে যায়। শরীরে কিছু ব্যথা অনুভব হয়। এটি অন্য জ্বরের মতো। শিশু, বয়স্ক এবং যেসব ব্যক্তি ক্যান্সার বা দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন তাদের ব্যাপারে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। তবে ভয়ের কিছু নেই।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ব্রাইটনের বিপক্ষেও বিপর্যস্ত ইউনাইটেড
‘ন্যায়বিচারকে হত্যা’ করা হয়েছে: পিটিআই
নতুন ভূগর্ভস্থ নৌ ঘাঁটি উন্মোচন ইরানের
রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছে অনেক আফ্রিকান সেনা
পাওয়ার প্ল্যান্টের ৩৬০ মেট্রিকটন তেল ডাকাতি
বাংলাদেশি কর্মী নিতে প্রস্তুত রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত
রাজনৈতিক দলগুলো বেশি কিছু সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন: প্রেস সচিব
এবার ওলমোর ইনজুরি দুঃসংবাদ বার্সার
কুড়িগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ইমন ও আলামিন
এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারপার্সন মো. মুশফিকুর রহমান
বিয়ের ওপর কর বাতিলের দাবি
শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে আ.লীগ : মির্জা ফখরুল
নামাজের প্রথম কাতারে জামাত পড়াবস্থায় অজু ভেঙ্গে যাওয়া প্রসঙ্গে।
কয়েক মিনিটে বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারে ভারত: শুভেন্দু অধিকারী
নরসিংদীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর নদীতে পাওয়া গেল স্কুল ছাত্রের লাশ
বিএনপি : দেশবাদ যার রাজনীতির মূল কথা
পাহাড়ি উপজাতিরা আদিবাসী নয়
সংস্কার প্রতিবেদন : জাতির নতুন অধ্যায়ে অভিযাত্রা
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগে জোর দিতে হবে
ভারতে ৫ বছর সাজাভোগ করে দেশে ফিরলেন স্বামী-স্ত্রী