গুচ্ছ থেকে বের হলেজবাবদিহি করতে হবে জবিকে : ইউজিসি
১৫ মার্চ ২০২৩, ০৭:১৭ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৪ পিএম

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বের হয়ে গেলে তাদের জবাবদিহি করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর।
তিনি বলেছেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে জগন্নাথ ও শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিয়েছে। এখন যদি তারা বের হয়ে যেতে চায় তার সু-স্পষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
বুধবার (১৫ মার্চ) আসন্ন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জবি। এ সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, জবিকে দাওয়াত দিয়ে গুচ্ছে আনা হয়নি। তারা স্ব-উদ্যোগে এসেছে। গত দুইটি ভর্তি পরীক্ষায় এ বিশ্ববিদ্যালয়টি সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। এখন নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে যেতে চায়। কেন যেতে চায় তার সু-স্পষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। গত মাসেও শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে এ সংক্রান্ত ভিসিদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। তারা সেখানে বের হয়ে যাওয়ার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি।
জবি বের হয়ে গেলে গুচ্ছ পদ্ধতিতে কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বের হয়ে গেলে সার্বিকভাবে কোনো প্রভাব পড়বে না। এরপরও তারা এ পদ্ধতির লিডিং পজিশনে ছিল। এতে ছোট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সন্দেহের মধ্যে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে শিক্ষার্থীর আর্থিক সাশ্রয়, ভর্তি পরীক্ষার ভোগান্তি কমানোসহ প্রক্রিয়াকে সহজ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা ছিল। এরপর ২০২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য জিএসটি সিস্টেমে ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেন। এ পদ্ধতিতে দুটি ভর্তি প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতা তৈরি হয়।
সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভিযোগ, গুচ্ছের গ্যাড়াকলে আগের বছরের ভর্তি প্রক্রিয়া এখনো শেষ করতে পারেনি বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়। মাইগ্রেশন চালু থাকায় আজও পূরণ হয়নি আসন। বারবার ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষার্থী না পেয়ে শেষ পর্যন্ত গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েও সব আসন পূরণ করা যায়নি। অন্যদিকে ফাঁকা আসন পূরণ করতে গিয়ে ন্যূনতম পাসধারী শিক্ষার্থীদের ডাকা হচ্ছে।
এ অবস্থায় এ পদ্ধতিতে থেকে বের হয়ে যাওয়ার দাবি তুলেছে জবি শিক্ষক সমিতি। তারা আগের মত নিজেদের মতো করে আলাদা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করার দাবি তোলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ (বুধবার) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত এলো। তবে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ পর্ষদ সিন্ডিকেট সভায় পাস না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত বলা যাবে না।
এ বিষয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, আজকের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে গুচ্ছে থাকছে না জবি। উপাচার্য চেয়েছেন বিষয়টি সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে। অ্যাকাডেমি কাউন্সিলে ৬৮ জন সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৫০ জন সদস্য। তাদের মধ্যে গুচ্ছের বিপক্ষে ৩৫ জন ও পক্ষে ছিলেন দু’জন সদস্য। বাকি ১৩ জন সদস্য গুচ্ছে থাকা না থাকার বিষয়ে কোনো মতামত দেননিI
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

সান্দা বিশ্বকাপে স্বর্ণপদক জিতেছেন ইরানের দারিয়াই

সবুজ প্রবৃদ্ধির জন্য অংশগ্রহণমূলক বাণিজ্য ও কৌশলগত অংশীদারিত্বে জোর দিলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে শুল্কের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে ‘কারসাজির’ অভিযোগ

ট্রাম্পের শুল্ক নীতি স্থগিতের পরে ঘুরে দাঁড়াল এশিয়ার শেয়ার বাজার

বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় ঢাকা-মস্কো

ইসরাইলী বর্বরতার বিরেদ্ধে বরিশালে বিএনপি’র বিক্ষোভ

‘গাজা ও রাফা ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যা’র প্রতিবাদে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ কাল

পোল্যান্ডে বাংলাদেশের দূত সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৮

মানবাধিকার নিয়ে ইউসিবিডি আয়োজিত সেমিনারে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ

ইসরাইলি নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে গাজীপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ফিলিস্তিনি মুসলমানদের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে যারা রুখে দাঁড়াচ্ছে না, তাদের ধ্বংস অনিবার্য : মির্জা আব্বাস

বোয়ালমারীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত দেলোয়ার হোসেন মারা গেছেন

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল হলেও স্বাভাবিক বাংলাবান্ধা, নেপালে গেল ১৪৭ টন আলু

‘এনসিপি বাংলাদেশকে বিনিয়োগের স্বর্গরাজ্য বানাতে চায়’

সংস্কার কমিশনে ইসলামী আন্দোলনের প্রস্তাব- বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র

চা বাগানে ছিল ১৫ ফুট লম্বা অজগর, লাউয়াছড়া উদ্যানে অবমুক্ত

ট্রান্সশিপমেন্ট ইস্যুতে নিজেদের পায়ে কুড়াল মারলো ভারত! বাংলাদেশ পাল্টা যে ব্যবস্থা নিচ্ছে

মেয়ে দেখতে এসে দেওয়া টাকা না নেওয়া প্রসঙ্গে।

মুসলিম শাসকরা কি ইহুদিদের দাসে পরিণত হয়েছেন?