বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আন্দোলন কর্মীদের বাঁধার মুখেও বরিশালে মাইকিং করে বিক্রী হল ১৫ ওজনের শাপলা পাতা মাছ
২৯ মার্চ ২০২৩, ০৫:২৭ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম
মহানগরীতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আন্দোলন কর্মীদের বাধার মুখেও প্রায় ১৫ মণ ওজনের একটি শাপলা পাতা মাছ মাইকিং করে প্রচারনা চালিয়ে বিক্রী হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা ও বরিশালের মাঝের শ্রীপুর এলাকার একটি চরে ধরা পড়া মাছটি মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকাল থেকে দিনভর ৫শ টাকা কেজি দরে নগরীতে মাইকিং করে বিক্রী করা হয়। এনিমেল ওয়েলফেয়ার নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে নগরীর ভাটিখানা এলাকায় বাধা দিলেও তা নিয়ে বাক বিতন্ডার এক পযায়ে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
সংগঠনটির সমন্বয়ক তুবা নাহার সাংবাদিকদের জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে শাপলা পাতা মাছ শিকার এবং ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। তবুও নগরীতে শাপলা পাতা মাছ বিক্রির মাইকিং-এর খবর পেয়ে ভাটিখানা এলাকায় তারা মাছটি আটক করেও শেষ রক্ষা করতে পারেন নি। পোর্ট রোড এলাকার মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা এসে এ মাছ ধরা-বিক্রি অবৈধ জানালেও তা মানতে চায়নি। এ নিয়ে মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কর এক পর্যায়ে পুলিশ এসে আমাদের ও মাছ ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দিয়েছে।”অভিযোগ তুবা নাহারের।
পোর্ট রোডের মাছ ব্যবসায়ী পরশ ঘরামী সাংবাদিকদের বলেন, ভোলার মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তারা ১০ জন এক লাখ ২০ হাজার টাকায় মাছটি কিনেছেন। পরে বুধবার সকাল ৮টা থেকে পাঁচশত টাকা কেজি দরে নগরীতে ভ্যান গাড়িতে ও রিক্সায় মাইক নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে বিক্রী করেন। গোলাকার শাপলা পাতা মাছটির লেজ ৮ ফুট লম্বা। মাছটির মূল অংশ লম্বা-প্রস্থ ৮ হাত করে। বয়স ১০ থেকে ১২ বছর বলে ধারণা মাছ ব্যবসায়ীদের। মাছটি তিন লাখ টাকায় বিক্রির টার্গেট রয়েছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
ভোলার ভেদুরিয়া ও বরিশালের শ্রীপুরে মধ্যে তেতুলিয়া নদীর একটি চরের তরমুজ ক্ষেতে শাপলা পাতা মাছটি আটকে ছিল। সেখান থেকে মাছটি ধরে বরিশালে এনে বিক্রী করা হয়েছে বলে দাবী পোট রোডের মাছ ব্যবসায়ীদের।
কৃষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, বৃষ্টি এবং নদীর পানিতে বেশিরভাগ তরমুজ নষ্ট হয়েছে। তাই মঙ্গলবার দুপুরে চরে তরমুজ কাটতে গিয়ে ক্ষেতের মধ্যে বিশালাকায় কিছু নড়তে দেখে ভয় পেলেও পরে সেখানে গিয়ে শাপলা পাতা মাছটি দেখে তা আটকে বরিশালে এনে ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রী করেন। কৃষকরা জানিয়েছে, নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় মাছটিও চরে উঠে যায়। এরপর পানি কমে গেলে মাছটি বালুতে আটকে গিয়ে ধরা পরে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রানআউট হজ,লুইসের ব্যাটে এগোচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জমকালো 'কনটেনন্ডার সিরিজ',কে কার বিপক্ষে লড়বেন?
তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল
অবশেষে ২৬ মামলার আসামি কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রেফতার
'জুলাই অনির্বাণ’ এ রক্তপিপাসু হাসিনার নির্মমতা দেখে কাঁদছেন নেটিজেনরা
দেশনেত্রীর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও সম্মান
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসহ সরকারের কাজের পরিধি বিশাল
অদক্ষ ফার্মাসিস্ট দ্বারাই চলছে ফার্মেসি
নির্বাচন কমিশন গঠন : গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু
বেনাপোল দিয়ে যাত্রী পারাপার কমেছে অর্ধেক, রাজস্ব আয় ও ব্যবসা বাণিজ্যে ধস
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
মসজিদে পরে এসে ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া জায়েজ নেই
দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সুন্দর জীবন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ
যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি
সালাম ইসলামী সম্ভাষণ রীতির এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ
করিমগঞ্জের নাম কি আদৌ শ্রীভূমি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান পেলো চীন
মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে ভারতীয় সাবমেরিনের সংঘর্ষ
যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে টোকিও : বাড়ছে ভিড়
‘হাই অ্যালার্টে’ লন্ডন, মার্কিন দূতাবাসের সামনে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ