ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন শিলং এ নির্বাসিত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ
১৪ জুন ২০২৩, ০৫:০৩ পিএম | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩, ০৫:০৩ পিএম
ভারতে শিলংয়ে নির্বাসিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যেগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ দেশে ফিরতে আর কোন বাধা নেই। গত সোমবার (১২ জুন) রাতে সালাহউদ্দিন আহমদ ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এখন যে কেন সময় তিনি দেশে ফিরতে পারেন। শিলং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনাব সালাহউদ্দিন আহমদ নিজেই।
এদিকে তুমুল জনপ্রিয় বিএনপির এই নেতা দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন সারা দেশের বিএনপি নেতা কর্মী ছাড়াও কক্সবাজারে চকরিয়া পেকুয়ার লাখো মানুষ।
সালাহউদ্দিন আহমদ গত সেমবার ট্রাভেল পারমিট হাতে পেয়েছেন বলে ভারতের গোয়াহাটির বাংলাদেশ মিশনের সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিন সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সালাহউদ্দিন আহমদের দেশে ফিরতে আর কেন কোনো বাধা আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে রুহুল আমিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, বাধা থাকার কথা না। আমাদের কাজটুকু আমরা করেছি। মিশনের যে কাজ, সেটা হয়েছে। তারপরও যদি মেঘালয় সরকারের তরফ থেকে কোনো ফর্মালিটি থাকে সেটা আমাদের বিষয় না। আমাদের কাজ আমরা করেছি।
জানা গেছে, ট্রাভেল পাসে শর্ত দেয়া হয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে তাকে দেশে ফিরতে হবে। তাই শিগ্গীরই তাঁকে দেশে ফিরতে হবে।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ তুমুল সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ। ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং এ উদ্ধার হলে অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলংয়ের পুলিশ। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে সালাহউদ্দিন আহমদকে খালাস দেন ভারতের একটি আদালত। তবে আদালতের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে থেমে যায় তাঁর দেশে ফেরা।
প্রায় সাত বছর বিচার চলার পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে তিনি বেকসুর খালাস পান। কিন্তু পাসপোর্ট না থাকায় সালাউদ্দিন আহমদ দেশে ফিরতে পারছিলেন না। পরে ট্রাভেল পারমিটের জন্য গোয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আবেদন করেন তিনি।
সালাউদ্দিন আহমদ ১৯৯১ সালে বিএনপির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন।
চাকরী ছেড়ে ১৯৯৬ সালে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জনাব সালাহউদ্দিন আহমদ। এসময় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি।
২০০১ সালে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাহউদ্দিন আহমদ। ওই সময় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ। মেঘালয়ে যখন আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকাকালে বিএনপি তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে মনোনীত করে।
এলাকায় তুমুল জনপ্রিয় বিএনপির এই নেতা দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন সারা দেশের বিএনপি নেতা কর্মী ছাড়াও কক্সবাজারে চকরিয়া পেকুয়ার লাখো মানুষ। তাঁর গুম হওয়ার পরে দলমত নির্বিশেষে উদ্বিগ্ন ছিল কক্সবাজারের মানুষ। এখন তাঁর দেশে ফেরার অপেক্ষায় তারা।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরাইলি সেনারা
কাকরাইলে সাদপন্থিদের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ইয়েমেনে হামলার সময় বিমানবন্দরে ছিলেন ডব্লিউএইচওর প্রধান
ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেন ও গাজায় ব্যাপক প্রাণহানি
হেলিকপ্টারে সফর নিয়ে বিতর্ক, ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ মাহমুদ
কুমিল্লায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
সচিবালয়ে আগুন: সংগ্রহ করা হলো সিসিটিভি ভিডিও
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা
টেস্ট ক্যারিয়ারের রেকর্ডময় ৩৪তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন স্মিথ
জাহাজে ৭ খুন : লাগাতার কর্মবিরতিতে পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকেরা
লেস্টার সিটিকে হারিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে লিভারপুল
ফের্নন্দেসের লাল কার্ডের দিনে ফের হারল ইউনাইটেড
শেষের গোলে জিতে চেলসির জয়রথ থামাল ফুলহ্যাম
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং: ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান