ঝালকাঠিতে পুলিশ হেফাজতে ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা

১৩ আগস্ট ২০২৩, ০৩:১৭ পিএম | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০৩:১৭ পিএম

ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল আমিনকে (২৮) পুলিশ হেফাজতে দুই দফায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সরকারি কাজে বাঁধা দানের অভিযোগ এনে পুলিশ মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে আহত ছাত্রলীগ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। রবিবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিনের বাবা ফল ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক হাওলাদার এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ছেলের সুচিকৎসা ও মুক্তি দাবি করেন। রুহুল আমিন বরিশাল বিএম কলেজ থেকে মাস্টার্স পাশ করে চাকরির জন্য চেষ্টা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, গত ১০ আগস্ট জেলা পরিষদের সামনে একটি হোটেলে নাস্তা খাচ্ছিল জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল আমিন। এ সময় হোটেল মালিককে তিন ব্যক্তি গালাগাল করছিল। রুহুল আমিন তাদের গালাগাল করতে নিষেধ করেন। এ সময় ওই তিন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে। এদের মধ্যে দুইজন হলেন পুলিশ সদস্য আকরাম হোসেন ও আলাউদ্দিন। তাঁরা কেউ পোশাক পড়া ছিলেন না। এক পর্যায়ে রুহুল আমিন নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিন আহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যকে মারধর ও সরকারি কাজে বাঁধাদানের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ সদস্য আকরাম হোসেন বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তাকে থানায় এনে দ্বিতীয় দফায় নির্যাতন করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। নির্যাতনের কারণে রুহুল আমিন দাঁড়াতে পারছিল না বলেও জানান তাঁর পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে তাকে হাসপাতালে সুচিকিৎসা না দিয়েই কারাগারে পাঠানো হয়। আহত রুহুল আমিনের সুচিকৎসা ও অবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিনের মা শেফালী বেগম ও বোন রেখা আক্তার এবং রিতু আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিনের পরিবার দাবি করেন, হোটেলে নাস্তা করার সময় যে ঘটনা ঘটেছে, এখানে পুলিশের কাজে বাঁধা দানের কোন বিষয় ছিল না। অথচ মামলা দিয়েছে পুলিশের কাজে বাঁধা দানের অভিযোগ এনে। মিথ্যা এ মামলাটি প্রত্যাহারেরও দাবি জানান ছাত্রলীগ নেতার পরিবার।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, পুলিশ সদস্যকে মারধর ও সরকারি কাজে বাঁধাদানের অভিযোগে মামলা হয়েছে। থানায় কোন আসামিকে মারধর করা হয় না। এ অভিযোগ সত্য নয়।

বিভাগ : বাংলাদেশ