নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে জেলের জালে ধরা পড়লো ২০ কেজি ওজনের "সেইল ফিস"। স্হানীয়ভাবে এ মাছ গোলপাতা বা পাখি মাছ হিসেবে পরিচিত। পরে মাছটি স্থানীয় চেয়ারম্যানঘাট মৎস আড়তে ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে জেলে সবুজ মাছটি বিক্রি করতে আনলে তখন মাছটি দেখে সবার মধ্যে কৌতূহল ও আগ্রহ বাড়ে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছটি দেখতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রচুর ভিড় জমায়।

হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান,এ মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম "সেইল ফিস" বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন।

ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান আবির বলেন, এ প্রজাতির মাছগুলো বেশ দ্রুত গতিসম্পন্ন, তাই অনেকে পাখি মাছ নামেও জানে। বেশ সুস্বাদু হওয়ায় এমাছের চাহিদা অনেক। তবে মাছটি নরম হয়ে যাওয়ায় দাম কম উঠেছে। এনায়েত ব্যাপারি নিলামে মাছটি ১২০০ টাকায় কিনেছেন।

জেলে সবুজ বলেন, গত দু’দিন আগে আমার জালে মাছটি ধরা পড়ে। কিছুটা নরম হয়ে যাওয়ায় দাম কম পেয়েছি। ২০ কেজির মাছ কম হলেও ১৫ হাজার টাকা পেতাম। শুক্রবার সকালে ১২০০ টাকায় এটা বিক্রি করেছি। সাধারণত এ মাছ তেমন ধরা পড়ে না। ভাগ্য ভালো হলে মাঝেমধ্যে ধরা পড়ে।

এনায়েত ব্যাপারি বলেন, ফারাবি মৎস্য আড়তের মাধ্যমে আমি মাছটি কিনেছি। মাছটি দেখতে অনেকেই ভিড় জমিয়েছে। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় দাম ভালো পাওয়া যায়।

হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান বলেন, এলাকায় এমাছটি ‘পাখি মাছ’ এবং ‘গোলপাতা মাছ’ হিসেবে পরিচিত। এটি গভীর সমুদ্রের মাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম সেইল ফিস (Sail-Fish)। এটা খেতে খুব সুস্বাদু। বিদেশে পাখি মাছের চাহিদা রয়েছে, তাই এ মাছ রফতানি হয়ে থাকে।