সংস্কার কমিশনের কাছে নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন দুদক চেয়ারম্যান
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
দুদক সংস্কার কমিশনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। দুদকের অন্য কমিশনাররাও তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দেবেন বলে জানান তিনি।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি নিজের সম্পদ বিবরণীর তথ্য তুলে ধরেন। নিজের সম্পদের তথ্য তুলে ধরে মতবিনিময় সভায় ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ‘বসিলাতে আমার ১ হাজার ৫০০ বর্গফুটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে। সেখানে আরও ৭০০ বর্গফুট নেওয়ার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পূর্বাচলে স্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ কাঠা জায়গা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি বিসিএস প্রশাসন সমিতির সদস্য ছিলাম, সেখানে আটজন সদস্যের জন্য ১০ কাঠা, আমার ভাগে ১ দশমিক ২৫ কাঠা পড়বে। ২০০৭ সালে টাকা পরিশোধ করেছি; কিন্তু এখন পর্যন্ত দখল পাইনি। এটা অনিশ্চিত।’
এ ছাড়া রাজউকের একটি প্লটের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন জানিয়ে মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ‘আজ পর্যন্ত সেটা নিষ্পত্তি হয়নি। আমি আবেদন করব আবার। এগুলোই আমার স্থাবর সম্পত্তি। আমার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ২৫ শেলফ বা তাক দেশি-বিদেশি দামি বইপত্র। আর লাখ পাঁচেক টাকার আসবাবপত্র।’
৫ বছর মেয়াদি ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং ৩ মাস মেয়াদি ২০ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোজিট) রয়েছে দুদক চেয়ারম্যানের। তিনি বলেন, ‘আমার জিপিএফের টাকা এখনো তুলিনি। সেখানে ১৭ লাখ টাকা রয়েছে।’
এসব সম্পদের উৎসও তুলে ধরেন দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমার চাকরি থেকে আয়, উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদের বিক্রির অর্থ। এখন যে শমরিতা হাসপাতাল, সেটার একটি বড় অংশ আমার বাবার বাড়ি ছিল। আমরা অনেক ভাই-বোন। সেই বাড়ি বিক্রি করে যে টাকা পেয়েছি, সেটা ফিক্সড ডিপোজিট করেছি। এর বাইরে আমি শিক্ষকতা, বক্তৃতা, লেখালেখি করি। বইপত্র লিখে সম্মানি আসে। এ ছাড়া বেড়িবাঁধের বাইরে সাড়ে পাঁচ শতক একটা জায়গা কিনেছিলাম। সেটি বিক্রি করে আমি কিছু টাকা পেয়েছি। আমার হাতে নগদ ও ব্যাংক মিলিয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা রয়েছে।’
মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে যুগ্ম সচিব থাকা অবস্থায় ২০১৩ সালে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চুক্তিতে তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে জ্যেষ্ঠ সচিবের পদমর্যাদা দেওয়া হয়। গত ১০ ডিসেম্বর তাকে দুদকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয় সরকার। পরদিন তিনি এই পদে যোগ দেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ
বিহারীরা কেমন আছে
ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার