সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী জনগণ, রাজনৈতিক দলের কোনো ভূমিকা নেই
১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম | আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫১ পিএম
সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবিকে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৫ বছরে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশের আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গুর করে দিয়েছেন। ফলে ১৫ বছরে সীমান্তে ভারতের কাছেই বিজিবি বারবার ধরাসায়ী হয়। কিন্তু ৫ আগস্ট পট-পরিবর্তনের পর দেশে অনেক কিছুই চ্যাঞ্জ হয়। কয়েকদিন ধরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেয়। আর এতে কোনো রাজনৈতিক ইন্ধন ছাড়াই সাধারণ জনগণ দেশের ভূমি রক্ষার্থে বিজিবির পাশে এসে দাঁড়ায়।
জানা যায়, আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধায় কাজ বন্ধ করে পিছু হটে বিএসএফ। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার বস্তাবর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সেসময় বিজিবির সঙ্গে হাজারো বাঙালি পাশে এসে দাঁড়ায়। অথচ এটি রাজনৈতিক দলের ভূমিকা রাখা দরকার ছিল। বিএনপি, জামায়াতসহ কোনো রাজনৈতিক দলের এ নিয়ে কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। রাজনৈতিক ইন্ধন ছাড়াই দেশের মানুষ ভূমি রক্ষার্থে বিজিবির পাশে এসে দাঁড়ায়। আর এতে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে কোটি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সমর্থন জানায়। এ ঘটনায় রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ জনতার সাহসীকতার কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, হাজার হাজার বাঙালিরা বলতে থাকে ‘জীবন দিবো, তারপরও আমাদের কোনো ভূমি দিবো না’। ‘রক্ত দিয়ে হলে আমাদের ভূমি রক্ষা করবো’।
নেটিজেরা বলেন, এই দেশ এখন হাসিনার দেশ নয়। এই দেশ এখন ১৭ কোটি মানুষের। গত ১৫ বছরে হাসিনা ভারতের গোলামি করেছে। এখন আর গোলামির সময় নেই। কাজেই অন্যায়ভাবে আমাদের কাছে ভারত কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে পারবে না।
মিছিলের ছবি দিয়ে হাফিজুর রহমান রোবেল নামে একজন লিখেছেন, এটাই দেশপ্রেম। স্যালুট বীর যোদ্ধাদের। প্রিয় মাতৃভূমির জন্য সবকিছু করতে পারে এদেশের মানুষ। এই ভূখণ্ডের ১ ইঞ্চি জমিও দখল হতে দেবো না।
মির্জা আব্বাস নামে একজন লিখেছেন, স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ শহীদ হতে প্রস্তুত, তবুও ভারতের কাছে মাথা নত করব না। বাংলাদেশের মানুষ অনেক রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে ভারতের দাদাগিরি মেনে নেওয়ার জন্য নয়।
সাইফুল ইসলাম সাইফ নামে একজন লিখেছেন, স্যালুট বাংলাদেশ বিজিবি-ছাত্র-জনতা। আজ আমরা গর্বিত এজন্য যে- আজ আমরা আমাদের ন্যায্য দাবিতে আমরা অনড়।
আবার কয়েকজন বলেন, এই ঘটনায় রাজনৈতিক দলের বড় কর্মসূচির দরকার ছিল। কিন্তু তারা এখনও নিরব। আসলে কি হচ্ছে দেশে আমাদের বুঝে আসে না। সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সব দলের এগিয়ে আসা দরকার।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মুচলেকা ও জরিমানার পরও বন্ধ হয়নি ইট ভাটা
ফরিদপুরের জেলার সকল অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে গেট স্থাপনের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
কুষ্টিয়ার মাটির তৈরি হাঁড়ি পাতিল যাচ্ছে বিদেশে
রাণীনগর উপজেলা পরিদর্শনে এসে শীতার্তদের শীতবস্ত্র দিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল
রাজশাহীর চারঘাটে আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
উন্নতির জন্য ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণ চান ফাহিম
দৌলতদিয়া স্রোত ও নদী ভাঙনের কারণে লোকসানের মুখে ঘাট ইজারাদার
রাজশাহীতে সাদপন্থীদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
খুলনাকে গুটিয়ে জয়ে ফিরল রাজশাহী
পূর্ব থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া ওসি শাহ আলমকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তরায় বিক্ষোভ
সেমি-সুয়ারেসের সঙ্গে নেইমারের জুটি নিয়ে যা বললেন মায়ামি কোচ মাসচেরানো
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে এবি পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচন
পরিবেশ রক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান রিজওয়ানা হাসানের
মাগুরার মহম্মদপুরে ডাকাতি, একজনকে কুপিয়ে জখম
ফাইনালে গ্রিনকে পাওয়ার আশায় আস্ট্রেলিয়া
উন্নত বিশ্বের মতো ফরিদপুরে চালু হলো 'হলিডে মার্কেট'
ঢাকার টঙ্গীতে সাদপন্থীদের হাতে তাবলীগের সাথীদের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ফরিদপুরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল
বিপদগ্রস্ত অসহায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে যেতে হবে -অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান
মানুষ জবাই করা আর হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার নাম তাবলিগ না জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান
কুড়িগ্রামে প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে কুড়িগ্রামে সমাবেশ