বাড়তি লাভের আশায় সরিষার ফুল কেটে সবজি হিসেবে বিক্রি
১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:২০ পিএম | আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় সরিষা পরিপক্ক হওয়ার আগেই বাড়তি লাভের আশায় কাটা হচ্ছে সরিষা ফুল। আটি বেঁধে সরিষা ফুল বাজারে কিংবা গ্রাম-গঞ্জে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে বিক্রি
হচ্ছে সবজি হিসেবে। অথচ, ফুল না কেটে পরিপক্ক সরিষা ঘরে উঠালে বাইরে থেকে তেল আমদানি নির্ভরতা হ্রাস পেত। সরিষা ফুল বিক্রির আশায় সরিষা আবাদ করে থাকেন অধিকাংশ কৃষক। প্রণোদনায় পাওয়া সুবিধাভোগী কৃষকদের সরিষা ফুল না কাটতে সংশ্লিষ্টদের কড়াকড়ি নীতিমালার বিকল্প নেই মনে করেন অনেকেই। কৃষকেরা দাবি করছেন, আমন ধান পাক ধরার সময় জমিতে সরিষা বীজ ছিটিয়ে দেন। আমন ধান ঘরে তোলা ও বোরো আবাদের ফাঁকা সময়ে এই সরিষা গাছের ফুল বিক্রি করে বাড়তি লাভবান হচ্ছেন তারা।
জানা যায়, প্রতি বছর দেশে বিপুল ঘাটতি পূরণে মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয়ে তেল আমদানি করতে হয়। এই আমদানি নির্ভরতা কমাতেই কয়েক বছর ধরে রবি মৌসুমে প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের সরিষা বীজ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেক কৃষকই প্রণোদনার সুবিধা নিয়েও সরিষার চাষ করলেও পরিপক্ক হওয়ার আগেই ফুল কেটে তা বাজারে বিক্রি করছেন বলে প্রচার রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে সরকারি প্রণোদনার আওতায় ৩৯০০ কৃষক হাইব্রিড জাতের ধান, ৩৮০০ কৃষক সরিষা বীজ, ২৪০ জন কৃষক গম, ৪০ কৃষক ভুট্টা, ১৮০ জন কৃষক মসুর, ৩০ জন পেঁয়াজ, ২০ জন খেসারি ও ৩০ জন কৃষক অড়হর বীজসহ রাসায়নিক সার পেয়েছেন।
মনিরামপুর উপজেলায় দুই হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার ৮০০ কৃষক প্রণোদনার সুবিধায় সরিষা বীজ ও সার পেয়েছেন। এতে প্রতি কৃষক ১ কেজি সরিষা বীজসহ ১০ কেজি করে ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) ও এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) রাসায়নিক সার পেয়েছেন। এই প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা চাষের সুবিধা পেয়েছেন। উপজেলার প্রায় সবখানে চাষকৃত প্রচুর জমির সরিষা ফুল বিক্রির জন্য কেটে সাবাড় করা হয়েছে।
সরেজমিন ঢাকুরিয়া, হরিদাসকাঠি, নেহালপুর, শ্যামকুড় ইউনিয়নসহ উপজেলার অধিকাংশ জায়গা হতে সরিষা ফুল বিক্রির জন্য কেটে সাবাড় করার চিত্র উঠে এসেছে। কৃষকরা পাইকার সবজি ব্যবসায়ীদের কাছে সরিষা ক্ষেত বিক্রি করে দিয়েছেন। মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন মাঠ হতে সরিষার ভরা ক্ষেত হতে সরিষা ফুল কাটতে দেখা যায়। সরিষা ফুলের পাইকার ক্রেতা আজিজুর রহমান, আসাদুজ্জামানসহ অনেকেই বলেন, তারা বিঘা প্রতি সরিষা ক্ষেত ৩ হাজার হতে ৩৫’শ টাকায় কিনেছেন। এক মুঠো সরিষা ফুল ১০ টাকায় বিক্রি করা হয়। প্রতি বিঘা হতে ৭’শ হতে ৮’শ মুঠো সরিষা ফুল পাওয়া যায়। কৃষক রাইসুল ইসলাম, কার্তিক মণ্ডল, সলেমানসহ একাধিক কৃষক বলেন, আমন ধান পাক ধরতেই একই জমিতে সরিষা বীজ ছিটানোর এক মাসের মধ্যে ফুল ধরে।
এতে করে একই জমিতে বোরো ধান আবাদের আগেই সরিষা ফুল বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন তারা। এ ব্যাপারে সদ্য বদলি হওয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার প্রণোদনার বীজের ফুল বিক্রি হয় না দাবি করে বলেন, ফুল বিক্রির জন্য এক শ্রেণির কৃষক জমিতে সরিষা চাষ করেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
লুকিয়ে পাথর লুঠে যেয়ে সিলেটে এক শ্রমিকের মৃত্যু !
বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা মিয়া গ্রেফতার
ভারতে পালানোর সময় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা পান্ডে গ্রেপ্তার
খুশদিল ঝড়ে খুলনাকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল রংপুর
টানা ৩৫ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার জবি শিক্ষার্থীদের
যাদের চিন্তাধারায় গড়ে উঠেছে পাশ্চাত্য জীবন দর্শন
`সমন্বয়ক, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হ'
মুজিবনগর ঘোষণায় সেক্যুলারিজম সমাজতন্ত্র বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ছিল না : ৭২ এর সংবিধানে আছে
সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-দখলবাজি রুখতে হবে
এইচএমপিভি: বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা
হতাহত ৩০
৩শ’ সৈন্য নিহত
৫ মাওবাদী হত্যা
দাবানলে চুরি
চেক প্রজাতন্ত্রে নিহত ৬
ড্রপ প্রোটেকশন ফিচারযুক্ত নোট ৬০এক্স আনল রিয়েলমি
প্রেমিকার স্বামী ও বাবাকে খুনের পরিকল্পনা, ভুলে খুন অন্যজন
লেবাননের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণের অনিশ্চয়তায়
রুপির দাম কমলেও নিশ্চুপ কেন মোদি
সাইফুজ্জামান চৌধুরীর আরামিট সিমেন্টের ব্যাংক হিসাব স্থগিত