নিকলীতে ইটখলা ভেঙ্গে দিলো পরিবেশের প্রশাসন মালিকের স্বপ্ন পুড়ে চ্যাঁই , শত শ্রমিক কর্ম হারালো

নিকলী ( কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা

০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম | আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার র্কুশা নদীর পাড়ে ১৯৯৮ সালে গড়ে উঠে আলতাব ব্রিক ফিল্ড । এ ইটখোলায় খলায় স্থানীয়রা সহ বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ২ শত নারী- পুরুষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান গড়ে উঠে । গতকাল সকাল ১০টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের সকারী পরিচালকের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর লোকজন ও থানা পুলিশ নিয়ে ইটখোলার বোমাটি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় হয় ।

এ বিষয়টি জানতে মুঠোফোনে কথা হয় কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অফিসের সহকারী পরিচালক মমিন ভুঁইয়ার সাথে তখন তিনি জানান পরিবেশ আইনের অষ্টম দ্বারা অনুযায়ী এ ইটখোলাটি ভাঙ্গা এবং বন্ধ করা হয়েছে , আলতাব ব্রিক ফিল্ডের পাশে সরকারি প্রাইমারি স্কুল ,আলিম মাদ্রাসা ও জামে মসজিদ রয়েছে । পরিবেশ আইনে বলা হয়েছে লোকালয় পলী , নদী , আবাদযোগ্য জমি , ফসলের মাঠ হাট- বাজার , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে রয়েছে , সেখান থেকে ১ কিলোমিটারের ভেতোরে কোন ইটখোলা নির্মাণ করা যাবে না । এতে পরিবেশ দূষণ হয়ে উঠবে । বাংলাদেশের পরিবেশ আইনানুযায়ী আলতাব ব্রিক ফিল্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । পরিবেশ আইনের পরিপন্থী হলে এতদিন তাহলে কী ভাবে ইটখোলা চলে আসলো এমন প্রশ্ন করা হলে সহকারী পরিচালক ফোন রেখেদেন ।

আলতাব ব্রিক ফিল্ডের মালিক হাজী রূপালীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে জানান, জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে প্রাপ্ত ইটপ্রস্তুতকরণ হিসেবে আমার লাইসেন্স নাম্বার ১ / ২০২৩,২৪ সাল এবং পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নবায়ন পত্র পেয়েছি ৯ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত যারা নাম্বার হলো ১৪০৭৩৭ এবং এ সময়ের ভেতরে পুর্নরায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নবায়নের জন্য নিয়মের মধ্যে দিয়ে আবেদন করেছি । বর্তমানে আমার খলায় প্রায় ২০ হাজার কাঁচা ইটথাকা স্বত্বেও আমার খোলার বোমাটি ভেকুদিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে । মেঘবৃষ্টি হলে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো ।

ইটখোলার দুলা - বালি শব্দ দূষণে শিক্ষার্থীদের রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের এবং ফসলি জমিতে ফসল হচ্ছে না । আপনার খোলার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষেরা অভিযোগ করেছে? ইটখোলার পরিচালক হাজী রূপালীকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো আমরা এলাকার মানুষের স্বার্থে করে দিয়েছি নতবা গ্রামের ছেলে মেয়েদের অনেক দূরে গিয়ে পড়া লেখ করতে হতো । গ্রামের মানুষ আমাদের ইটখোলার বিরুদ্ধে বলবে না , আমাদের বিরুদ্ধবাদী বিশেষ একটি মহল আছে তারাই এসব কথা বলতে পারে এবং বলে আসছে ।

আমাদের ইটখোলা গ্রাম থেকে অনেক দূরে বিধায় আনের মধ্যে দিয়ে এতোদিন ইটখলা চলে আসছে এখন দীর্ঘদিন পরে এসে এমন কী হয়েছে ? যে, খলাটি বন্ধ করেদিতে হবে এবং শত শত শ্রমিক না, খেয়ে থাকবে । বিষয়টি জানতে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খনমের সাথে একাধিক বার তাঁর ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি ।

এ বিষয়ে নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি জানান ইটখোলা সংক্রান্ত বিষয় জেলা পরিবেশ অফিসের দায়িত্বে তাঁদের সাথে কথা বললে আপনাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবে । তাঁদের সাথে কথা বললে আপনাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবে ।

বিভাগ : বাংলাদেশ