তিন বছরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবতা দেখতে চাই-ডঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন
০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম | আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম

চীনা অর্থায়নের চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিকল্প অর্থায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি আজ রোববার সকালে রংপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলন আয়োজিত ‘প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।
ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়েছে। আটকে থাকা তিস্তা মহাপরিকল্পনা নতুন করে শুরু হতে যাচ্ছে। এটি নিয়ে আমরা আশাবাদী। আমরা চাই চীনের সহায়তায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। উত্তরাঞ্চলের কৃষি, মৎস্য, পরিবেশ, বাস্তুসংস্থান, দরিদ্রতা ও বেকারত্বকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের মতো করে তিস্তা মহাপরিকল্পনা হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, চীনের স্বল্পমেয়াদি ঋণ, উচ্চহারে সুদ, গ্রেস পিরিয়ড কম থাকার চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের বিবেচনা করতে হবে। সেই সাথে চীনের মাধ্যমে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও বাস্তবতা আছে কিনা, সে জায়গায় প্রশ্ন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রস্তাব হচ্ছে জাপান, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতো ঋণদাতাদের সাথে কথা এগিয়ে নেওয়া উচিত। সেই সাথে যমুনা সেতুর মতো প্রয়োজনে সারচার্জ, বন্ডের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। আমরা তিন বছরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবতা দেখতে চাই।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ বাজেট বৈষম্যের শিকার। বিগত দিনে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের দর কষাকষির সুযোগ হারিয়ে ফেলেছি। এখন শুধুমাত্র মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর আমাদের হাতে রয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতের সাথে তিস্তার পানি নিয়ে দর কষাকষি করতে না পারলে আমরা সর্বশেষ সুযোগ হারাব।
মতবিনিময় সভায় রংপুরে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক ছাড়াও রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

সউদীতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন ট্রাম্প

ভারতের চেয়ে বেশি কেউ বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না

জার্মানিতে গঠিত হচ্ছে নতুন জোট সরকার

সদরঘাটের ব্যবসায়ীকে হত্যা: স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সান্দা বিশ্বকাপে স্বর্ণপদক জিতেছেন ইরানের দারিয়াই

সবুজ প্রবৃদ্ধির জন্য অংশগ্রহণমূলক বাণিজ্য ও কৌশলগত অংশীদারিত্বে জোর দিলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে শুল্কের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে ‘কারসাজির’ অভিযোগ

ট্রাম্পের শুল্ক নীতি স্থগিতের পরে ঘুরে দাঁড়াল এশিয়ার শেয়ার বাজার

বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় ঢাকা-মস্কো

ইসরাইলী বর্বরতার বিরেদ্ধে বরিশালে বিএনপি’র বিক্ষোভ

‘গাজা ও রাফা ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যা’র প্রতিবাদে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ কাল

পোল্যান্ডে বাংলাদেশের দূত সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৮

মানবাধিকার নিয়ে ইউসিবিডি আয়োজিত সেমিনারে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ

ইসরাইলি নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে গাজীপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ফিলিস্তিনি মুসলমানদের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে যারা রুখে দাঁড়াচ্ছে না, তাদের ধ্বংস অনিবার্য : মির্জা আব্বাস

বোয়ালমারীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত দেলোয়ার হোসেন মারা গেছেন

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল হলেও স্বাভাবিক বাংলাবান্ধা, নেপালে গেল ১৪৭ টন আলু

‘এনসিপি বাংলাদেশকে বিনিয়োগের স্বর্গরাজ্য বানাতে চায়’

সংস্কার কমিশনে ইসলামী আন্দোলনের প্রস্তাব- বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র