বর্ণিল আয়োজনে হাবিপ্রবিতে ২৪ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০২ এএম

দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ২৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্ল্যা এবং প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবিরসহ সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ। অতঃপর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের ফেস্টুন ও বেলুন উড্ডয়ন এবং আকাশে শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করা হয়। এরপর শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও এর সামনের মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এসে শেষ হয়। অতঃপর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহান শহিদগণের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে দিনটি উপলক্ষে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের বাণী পাঠ ও বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে টিএসসি’র সম্মুখে মজার ইস্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন এবং কেক কাটা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর ও ট্রেজারার মহোদয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে দিনাজপুর গোর-এ-শহিদ বড় ময়দানের পাশে অবস্থিত হাজী মোহাম্মদ দানেশ এর কবর জিয়ারত ও তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। সেখান থেকে তিনি ফরিদপুর কবরস্থানে সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী খুরশীদ জাহান হক এম.পি. মহোদয়ের কবর জিয়ারত ও তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। উল্লেখ্য, ০৮ এপ্রিল ২০০২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রজ্ঞাপন জারি এবং ২০০২ সালের ১৬ এপ্রিল মাননীয় মন্ত্রী খুরশীদ জাহান হক এম.পি. কর্তৃক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছিল।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ এ ২৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে “মেধাভিত্তিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে হাবিপ্রবির ভূমিকা ও ক্রমবিকাশ” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্ল্যা, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোশাররফ হোসাইন মিঞা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও প্রক্টর মহোদয়। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আবু হাসান এবং সাদা দলের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুজ্জামান বাহাদুর। সভাপতিত্ব করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক মহোদয় এবং সঞ্চালনা করেন সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. আবুল কালাম।
প্রধান আলোচক প্রতিষ্ঠাতা ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোশাররফ হোসাইন মিঞা তাঁর বক্তব্যে হাবিপ্রবির যাত্রা শুরুর সময়ের ঘটনাবলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও স্মৃতিচারণ করেন। আলোচনা সভায় তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি বর্তমান প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী খুরশীদ জাহান হক এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের উচ্চ শিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আন্তরিক ও দায়িত্ববান হওয়ার আহ্বান জানান। পরিশেষে তিনি তাঁর জন্য সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্ল্যা বলেন, এতোদিন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও এর প্রতিষ্ঠার ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পাশ হয়নি, প্রজ্ঞাপন হয়নি, অথচ একটি তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হতো। আইনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যেদিন থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হবে, সেদিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু। সে অনুযায়ী আমরা এবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করছি। যাইহোক দেশকে যে অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার তুলনায় এটা কিছুই না। তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি, আমাদের জীবদ্দশায়, আমাদের এই তরুণ প্রজন্মের জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের মাধ্যমে আজকে আমরা এই পর্যায়ে এসেছি এবং এর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা টিকে আছে। তিনি আরও বলেন, যা হওয়ার হয়ে গেছে, এখন আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে হাবিপ্রবিকে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়, দল মত নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
এছাড়াও ২৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং ০৭ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনা সমূহে আলোকসজ্জা করা হয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

পুলিশের সহযোগিতায় বেঙ্গল বিল্ডার্সের তিন কর্মকর্তা উদ্ধার,অভিযুক্তের দাবি সাজানো নাটক

ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুরস্কার পেলেন সাভার থানার মো: জুয়েল মিয়া

এবার ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি বাতিল করলো পাকিস্তান

ঐতিহ্যবাহী অলঙ্কার নগরীর স্বীকৃতি পেল ইয়াজদ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা: আবু হানিফ

ইরানের দুগ্ধজাত পণ্য রপ্তানি বেড়ে দ্বিগুণ, আয় বিলিয়ন ডলার

এবার ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা কড়া পদক্ষেপ নিলো পাকিস্তান

ইসলামকে নারী ও রাষ্ট্রের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে : মুফতী আনোয়ারী

কাতারের সব দেনা পরিশোধ করা হয়েছে: প্রেস সচিব

প্রশ্নপত্র ছাপানো বন্ধ হচ্ছে বিজি প্রেসে

নাঙ্গলকোটে ট্রাক্টর উল্টে চালকের মৃত্যু

সর্বপ্রথম সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকমুক্ত হোটেলকে পুরস্কৃত করবে সরকার: রিজওয়ানা হাসান

রাফাল, সু-৩০ উড়িয়ে যুদ্ধের মহড়া শুরু ভারতীয় সেনার

ফটো জার্নালিস্টসদেরকে বরাদ্দ দেয়া ভবনের একাংশ অবৈধভাবে দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

একজন পাকিস্তানির ক্ষতি হলেও ভারতকে পরিণাম ভোগ করতে হবে: খাজা আসিফ

মাদ্রিদ ওপেনে থেকে আলকারাজের নাম প্রত্যাহার

মৌসুম শেষ কামাভিঙ্গার

জকিগঞ্জ রোডে যাত্রীবাহী বাস উল্টে খাদে

ছাগলনাইয়ায় চরমোনাই পীর সাহেব এর ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত

কামরাঙ্গীরচরে 'জনতার বাজার' উদ্বোধন, মিলবে ন্যায্যমূল্যে পণ্য