ফ্যাশন ব্র্যান্ড শেইনের সাফল্যের পেছনের কাহিনী, কম দামে সুন্দর পোশাক
১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম | আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
চীনের একটি কর্মব্যস্ত শহর গুয়াংজু যেখানে দিন-রাত সেলাই মেশিনের শব্দ শোনা যায়। এই শহরের পানিউ এলাকাকে বলা হয় "শেইন ভিলেজ"। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ও জনপ্রিয় ফাস্ট ফ্যাশন ব্র্যান্ড শেইনের অন্যতম প্রধান কারখানা এলাকা।শেইনের জনপ্রিয়তার পিছনে রয়েছে চীনা কারখানাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, যা শেইনের সাফল্যের মূলে রয়েছে।
সম্প্রতি বিবিসির একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে শেইনের কারখানাগুলোর শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। শেইন,২০১৮ সালের পর থেকে ফ্যাশন দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে, বর্তমানে ১৫০টিরও বেশি দেশে তাদের পোশাক সরবরাহ করে। তবে, এই সাফল্যের পেছনে শ্রমিকদের দীর্ঘ সময় কাজ করা, কম মজুরি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
পানিউ এলাকার প্রায় ৫,০০০ কারখানা শেইনের জন্য পোশাক তৈরি করে। বিবিসি ১০টি কারখানা পরিদর্শন করেছে এবং ২০ জনেরও বেশি শ্রমিক ও ৪ জন মালিকের সঙ্গে কথা বলেছে। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তারা মাসে মাত্র একদিন ছুটি পান এবং সপ্তাহে প্রায় ৭৫ ঘণ্টা কাজ করেন। যদিও চীনের শ্রম আইন অনুযায়ী সপ্তাহে ৪৪ ঘণ্টার বেশি কাজ করা নিষিদ্ধ।
শ্রমিকরা প্রতি পিস পোশাক তৈরির জন্য টাকা পান। একটি সাধারণ টি-শার্টের জন্য তারা এক বা দুই ইউয়ান (প্রায় ১৪-২৮ টাকা) পান। একজন শ্রমিক ঘণ্টায় গড়ে ১০-১২টি পোশাক তৈরি করতে পারেন। তাদের আয় মাসে ৪,০০০ থেকে ১০,০০০ ইউয়ানের মধ্যে হলেও এটি অনেক সময় জীবিকা নির্বাহের জন্য যথেষ্ট নয়।
শেইনের কারখানাগুলো বড় এবং আলো-বাতাস প্রবেশের উপযুক্ত। শ্রমিকদের ঠান্ডা রাখতে বড় ফ্যানও রাখা হয়। তবে গত বছর কারখানায় শিশু শ্রমিকের সন্ধান পাওয়া গেলে বড় সমালোচনার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।
শেইন এখন তাদের কারখানা তদারকি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, কারণ তারা লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার লিস্টিং করার পরিকল্পনা করছে। এ ছাড়া, শেইনের বিরুদ্ধে চীনের জিনজিয়াং অঞ্চল থেকে জোরপূর্বক শ্রমের মাধ্যমে তুলা সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। তবে, প্রতিষ্ঠানটি তাদের সরবরাহ চেইনকে আরও স্বচ্ছ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
শেইনের সাফল্য চীনের কর্মপ্রক্রিয়া এবং সরবরাহ ব্যবস্থার দক্ষতার প্রমাণ। তবে, এই সাফল্যের জন্য যে শ্রমিকরা দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করছেন, তাদের অধিকার রক্ষা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে আরও পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে শ্রমিকদের অবদান কখনোই অগ্রাহ্য করা উচিত নয়। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : ব্যবসা-বাণিজ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইবির আইন প্রশাসক হলেন ড. নুরুন নাহার
নাটকীয় জয়ে রংপুরের সাতে সাত
নতুন ফেসবুক পেইজের ঠিকানা দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন
ভক্তদের হঠাৎ কি বার্তা দিলেন ঢালিউড কুইন শাবনূর?
পেকুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান কারামুক্ত
ধ্বংস হওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের জন্যই ৩১ দফা কার্যকর প্রয়োজন: আমিনুল হক
বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা জানাল ভারত
হাসিনার এপিএস লিকুর ১৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, দুদকের ৪ মামলা
মারের কোচিংয়ে জোকোভিচের প্রথম জয়
উত্তরখানে ভূয়া পুলিশ গ্রেফতার
মাত্র ৯৫ দিনে মুহিব্বুল মুরসালিন খানের পবিত্র কুরআন হিফয সম্পন্ন
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
হাজীগঞ্জে ননদ ভাবির ঝগড়া থামাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু
মাসরুর আরেফিন পুনরায় সিটি ব্যাংকের এমডি
নতুন বছরে টেকনোর অসাধারণ অফার
‘১৫ জানুয়ারি ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ'র ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সফল করুন’
মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
বিদ্যালয়ের পাশে হাসপাতালের আবর্জনা, মালিককে অর্থদণ্ড
স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করার আগে স্ত্রী মারা যাওয়া প্রসঙ্গে।
দাম কমল বিকনলিংক ফিচারযুক্ত অপো ফোনের