ক্ষুধার হার হ্রাসে পুরো বিশ্ব স্থবির
০৬ মার্চ ২০২৪, ০৭:৫৬ পিএম | আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪, ০৭:৫৬ পিএম
ক্ষুধার হার হ্রাসের ক্ষেত্রে ২০১৫ সাল থেকে পুরো বিশ্ব একরকম স্থবির হয়ে আছে। নানা ধরনের রাজনৈতিক আশ্বাস এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগ সত্ত্বেও এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে সফলতা পাওয়া যাচ্ছে না। বুধবার (৬ মার্চ) বিশ্বক্ষুধা সূচক ২০২৩ - বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত-ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডক্টর মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, এমপি। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান, মহাপরিচালক, ডিপার্টমেন্ট অফ ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট; বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর; মোঃ শহীদুল আলম এনডিসি, মহাপরিচালক, ফুড প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট, খাদ্য মন্ত্রনালয়; ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, মহা পরিচালক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউট্রিশন কাউন্সিল; ফ্লোরিয়ান হোলেন, কাউন্সিলর, হেড অফ জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন, জার্মান এম্বাসি ঢাকা। অনুষ্ঠানে কিনোট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক হেল্থ-এর সহকারি অধ্যাপক ড. বর্ণালী চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর পঙ্কজ কুমার, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনিশ কুমার আগারওয়াল, হেলভিটাস বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর শামীম আহমেদ এবং ড. মোঃ রাজু আহমেদ, ডেপুটি সেক্রেটারি অ্যান্ড কম্পোনেন্ট ডিরেক্টর, কৃষি বিপনন অধিদপ্তর, কৃষি মন্ত্রনালয়।
বহু বছর ধরে ক্রমাগত উন্নয়নের পর, সর্বশেষ বিশ্বক্ষুধা সূচকে দেখা যাচ্ছে যে,ক্ষুধার হার হ্রাসের ক্ষেত্রে ২০১৫ সাল থেকে পুরো বিশ্ব একরকম স্থবির হয়ে আছে। নানা ধরনের রাজনৈতিক আশ্বাস এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগ সত্ত্বেও এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে সফলতা পাওয়া যাচ্ছে না। ১৩৬ টি দেশের পুষ্টি পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা প্রতিবেদনটি মূল্যায়ন করলে দেখা যায় যে, এর মধ্যে ৪৩ টি দেশ সবসময়ইক্ষুধাসীমার গুরুতর বা উদ্বেগজনকমাত্রায় থাকছে। ১৮টি দেশে ২০১৫ সাল থেকেক্ষুধার হার বেড়েছে। ৫৮ টি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যেক্ষুধার সীমা সর্বনিম্নমাত্রায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হবে না। সাহারার দক্ষিণে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়া আরও একবার সর্বোচ্চক্ষুধাহার অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে। উপরি সংকটসমূহ যেমন- জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা, বেড়ে যাওয়া সশস্ত্র বিদ্রোহ, এবং খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি যা কিনা ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে সৃষ্ট যুদ্ধে তীব্রতর হয়েছে- এই সমস্ত কারণগুলো প্রতিদিন তিন-চতুর্থাংশ মানুষকেক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যেতে বাধ্য করছে। তরুণ সমাজ, বিশেষত নারীরা এতে করে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বে তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ১.২ মিলিয়ন, যা ইতিহাসের বৃহত্তম দলের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং তারা মূলত বসবাস করছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের অঞ্চল যেমন দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকা। এই তরুণদের প্রত্যেকে তাদের পরিণত বয়সে সম্মুখীন হচ্ছে অসমতা এবং অস্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থাপনার, যা তাদের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা দিতে পারছে না এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত অবনমনের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে উঠছে। প্রায়শই সম্পদ, ভূমি, দক্ষতা এবং সুযোগের অভাবে খাদ্য ব্যবস্থাপনয় সক্রিয় অংশগ্রহণে তারা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়। এই সমস্ত বাধা সত্ত্বেও তরুণ জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশা একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুদীর্ঘ ভবিষ্যতের। উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া প্রচলিত খাদ্য ব্যবস্থাটির পূনর্নিমাণে তাদের আরও বেশি প্রভাবশালী ভূমিকা রাখা প্রয়োজন যার প্রাথমিক লক্ষ হবে খাদ্যের সার্বভৌমত্ব। এই পন্থাটি নিজেদের সাংস্কৃতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, উন্নয়নমূলক এবং পরিবেশগত মূল্যবোধের সাথে মিলিয়ে খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে প্রভাবান্বিত করতে জনগণকে শক্তিশালী করে। তার উপর খাদ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পলিসি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রতিনিধিত্ব থাকা সত্ত্বেও যুব সমাজের আগ্রহ আছে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের, দাবী আছে তাদের কণ্ঠস্বরকে শোনানোর। খাদ্য অধিকারের সমান অংশীদার হিসেবে যুবকরা জানে ব্যক্তিগত বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য সুষম পুষ্টির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই সমস্ত বাধাগুলোকে অতিক্রম করে যুবকদের পূর্ণ অংশগ্রহণের জন্য তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনাক তাদের সামনে আরও কার্যকর ও আকর্ষণীয় জীবিকা হিসেবে উপস্থাপন করা অপরিহার্য। নেতৃত্বে যুবকদের তাৎপর্যময় সংশ্লিষ্টতা তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে, যা সৃজনশীল একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে তাদের শক্তি এবং গতিশীলতাকে ব্যবহার করে খাদ্য ব্যবস্থাপনয় বিপ্লব ঘটাতে।
২০২৩ সালের বিশ্বক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ১৯.০, যাক্ষুধার একটা সহনীয় অবস্থা নির্দেশ করে। তবে গত বছরের তুলনায় এটি খুব সামান্যই উন্নতি করেছে।গত বছর এই স্কোর ছিল ১৯.৬। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ২০১৪ সালে বিশ্বক্ষুধা সূচকে যেখানে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৬.৩, যা কিনা গুরুতর ক্যাটাগরিতে পরে, সেই অবস্থা থেকে দৃশ্যমান ২৫.৫% উন্নয়ন হয়েছে।
বিগত কয়েকবছর ধরে ধারাবাহিকভাবে শিশু খর্বাকৃতি হওয়া হ্রাস বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এই ইতিবাচক ধারাটি ঘরে ঘরে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ঊর্ধ্বগতির জন্য প্রয়োগ করা যেতে পারে, যা কি না দারিদ্র্য বিমোচন, পিতামাতার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং জনসংখ্যার সাথে সংশ্লিষ্ট।
যাইহোক, এটি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, দেশে বর্তমানে শিশু খর্বাকৃতির হার ২৮.০%, যা জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে এখনও অনেক বেশি। তাই উন্নয়ন ঘটা সত্ত্বেও, জাতির সন্তানদের কল্যাণের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আরও অনেক ক্ষেত্র রয়েছে।
“ক্ষুধার বিরুদ্ধে অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য উন্নতি করেছে বিগত বছরগুলোয়। এখন যেহেতু আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে তরুণদের শুধু দর্শক হিসেবে বসিয়ে না রেখে বরং একটি টেকসই ও স্বচ্ছ ভবিষ্যতের স্থপতি হিসেবে সংশ্লিষ্ট করা। এখন সময় স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং দক্ষতার উন্নয়নে সহায়তার মাধ্যমে অগ্রযাত্রার পথ খোঁজার, আমাদের তরুণদের কল্যাণে বিনিয়োগ করার । অর্থপূর্ণ নীতি প্রণয়নে তাদের সংশ্লিষ্ট করা হলে তারা আমাদের এমন একটি ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে যা অন্তর্ভুক্তি, সমতা এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে। তরুণদের জন্য খাদ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করার সুযোগ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা তাদের অনন্য দৃষ্টিভঙ্গির নীতিসমূহ একটি টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে।“ - পঙ্কজ কুমার, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে, বাংলাদেশ
“বাংলাদেশক্ষুধার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে এবং নীতি প্রনয়ণে তরুণদেরকে সংশ্লিষ্ট করার এবং তাদের অর্থপূর্ণ অবদানকে সহজতর করার সুযোগ রয়েছে, যা কিনা খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে সুদৃঢ় করতে পারে। তথাপি সিদ্ধান্ত গ্রহণে তরুণদের অংশগ্রহণ তাদের ভবিষ্যতকে সীমিত আকারে প্রভাবিত করবে। যুব নারী এবং পুরুষ খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে তাদের শক্তি এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারে, যা সকলের চাহিদা পূরণে আরও টেকসই এবং সহজলভ্য হবে, বিশেষ করে তাদের জন্য যারা কিনা চরম দারিদ্র্যসীমায় আছে। তারা নিজেদের এলাকার উপযোগী করে রূপান্তরিত খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি ঘটাতে পারে যা সুষম পুষ্টি এবং খাদ্য নিরাপত্তা প্রদান করবে। আমরা একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত খাদ্য ব্যবস্থাপনায় তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির আহ্বান জানাই।“ - মনিষ কুমার আগরওয়াল, কান্ট্রি ডিরেক্টর, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশ
“বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছে। বিশ্বক্ষুধা সূচক অনুসারে, দশ বছরেরও কম সময়ে দেশটিক্ষুধার "গুরুতর" স্তর থেকে ১৯.০ স্কোর অর্জন করেক্ষুধার “সহনীয়” স্তরে উন্নীত হয়েছে। তবে খাদ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলায় এখনও চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, বিশেষ করে শিশু খর্বাকৃতি এবং শিশু মৃত্যুর ক্ষেত্রে। সমস্ত পর্যায়ের সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করা দরকার, এই সূচকগুলিকে আরও উন্নত করার জন্য, তাদের উদ্যোগগুলোকে আরও ভালভাবে সমন্বয় করার জন্য।
এই বছর ‘বিশ্বক্ষুধা সূচক’ ভবিষ্যত খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে তরুণদের সক্ষমতার উপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। এটি ব্যাখ্যা করে যে, কীভাবে অসম এবং নড়বড়ে খাদ্য ব্যবস্থাপনা খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, বিশেষ করে তরুণ থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠা মানুষদের। সে কারণে তরুণ জনগোষ্ঠী এবং অল্পবয়সীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকা এবং কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রমে অংশ নেয়ার সক্ষমতা তৈরি করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটা তাদেরকে খাদ্য ব্যবস্থাপনার রপান্তরে ইতিবাচক অংশগ্রহণের জন্য সক্ষম করে তুলবে। - বেন ব্লুমেন্থাল, কান্ট্রি ডিরেক্টর, হেলভেটাস
ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে জার্মানির বৃহত্তম বেসরকারি সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠানগুলির একটি এবং এর কোন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় অনুষঙ্গ নেই। সংস্থাটি ‘ক্ষুধামুক্ত ২০৩০’ অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি ৭২টি দেশের ১১,৪৯৮ টিরও বেশি ওভারসিজ প্রকল্পে ৪.৭৫ বিলিয়ন ইউরো তহবিলের যোগান দিয়েছে। ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে ‘সনির্ভরতার জন্য সাহায্য’ এই মৌলিক নীতির উপর ভিত্তি করে কাজ করে, যা মূলত দ্রুত দুর্যোগ সহায়তা থেকে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন সহযোগিতা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে মিলে কাজ করে।
যঃঃঢ়ং://িি.িবিষঃযঁহমবৎযরষভব.ড়ৎম/
কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড একটি আন্তর্জাতিক মানবিক সংগঠন যারা মানুষের দুঃখকষ্ট লাঘব করার কাজে নিবেদিত এবং যা বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ থেকে চরম দারিদ্র্য পুরোপুরি নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য চরম দারিদ্র্যসীমায় বাস করা লোকদের সাহায্য করা, তাদের জীবনে ব্যাপক উন্নতি সাধন করা। এই লক্ষ অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করে, জরুরী পরিস্থিতিতে সাড়া দেয় এবং উন্নয়ন ও অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে দারিদ্র্যের মূল কারণগুলিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে কনসার্ন। বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার চরমে বসবাস করা লোকদের জীবনে স্থায়ী পরিবর্তন নিশ্চিত করতে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড কাজ করে যাচ্ছে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ, সুশীল সমাজ, বেসরকারি খাত এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে সম্মিলিতভাবে।
িি.িপড়হপবৎহ.হবঃ
হেলভেটাস সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক একটি স্বাধীন উন্নয়ন সংস্থা যা যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির এসব সংস্থার সাথে সম্পর্কিত। ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, এটি আফ্রিকা, এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা এবং পূর্ব ইউরোপের প্রায় ত্রিশটি দেশে দরিদ্র এবং পিছিয়ে থাকা মানুষ এবং সম্প্রদায়কে সহায়তা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশে হেলভেটাস ২০০০ সালে এর কার্যক্রম শুরু করে। দীর্ঘস্থায়ী এবং ভিত্তিমূলক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের স্থিতিস্থাপকতা, নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন এবং সুশাসনের প্রচারের জন্য বাংলাদেশের ২৮ টি জেলায় কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে সহায়তা করছে হেলভেটাস। নিজেদের স্বায়ত্তশাসনকে শক্তিশালী করতে এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্থানীয় মালিকানার শক্তি বৃদ্ধি করতে হেলভেটাস সুশীল সমাজ সংস্থাসমূহ, সরকারী ব্যক্তিবর্গ এবং বেসরকারি খাতের সাথে অংশীদার হয়ে কাজ করে।
বিভাগ : অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
'দুর্বল' দলের বিপক্ষে পয়েন্ট হারাল ইউনাইটেড
সালাহর জোড়া গোলে লিভারপুলের জয়
গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত
কুরস্ক অঞ্চলের ৪০ ভাগ খোয়ানোর স্বীকারোক্তি ইউক্রেনের
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ চীনের সাথে কাজ করতে আগ্রহী: বাণিজ্য উপদেষ্টা
হাজীদের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ধর্ম উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেন
শরীয়তপুরে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মী সভা
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সিকিউরিটি গার্ড নিহত
পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়ে
১৫ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে আব্দুর রাজ্জাক
লক্ষ্মীপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৫০ জন
নির্বাচিত সরকারই দেশকে পুনর্গঠন করতে পারে : তারেক রহমান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটিতে অচেনা ৭ জন
মৌলভীবাজারে কৃষি ও প্রযুক্তি মেলা শুরু
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেল উদ্ভাবন
ব্রহ্মপুত্রে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে চলছে বালু ব্যবসা
বাঘায় কৃষি শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা
কেশবপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ
হামলার শিকার হয়েও মুখ খুলতে পারছে না বোয়ালমারীর বহু পরিবার
ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি