জিডিপির চেয়ে কর্মসংস্থান বাড়ানোকে গুরুত্ব দিতে হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১১ পিএম | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বর্তমানে যেসব প্রকল্প একনেকে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান আছে, সেগুলো আবারও পর্যালোচনা করা হবে। সেই সাথে জিডিপি বাড়ানোর চেয়ে কর্মসংস্থান বাড়ানোকে গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া রাজনৈতিক সরকারের মতো উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রকল্প আর থাকবে না নতুন প্রজেক্টগুলো আসবে সেগুলো একনেকে যাওয়ার আগে আপনাদের বিচার-বিবেচনা করে দেখতে হবে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় যেসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বা যেগুলো একনেকে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে, সেগুলো আবার পর্যালোচনা করা হবে। কারণ, অনেক প্রকল্পের নকশা ও ব্যয়ে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা আছে। অনেক প্রকল্প অনেক কম খরচে শেষ করার সুযোগ আছে। কিন্তু মূল্যায়ন ও দক্ষতার অভাবে এগুলোর ব্যয় বেড়ে গেছে। যেসব প্রকল্প এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে, সেখানে জনবল নিশ্চিত করে দ্রুততম সময়ে সেগুলোকে কার্যকর করতে হবে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এমন সময়ে এসেছে, যখন অনেক সংস্কার দরকার। এখানে ব্যয় সংকোচ করতে হবে। ব্যয় সংকোচ করতে হলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি কাটছাঁট করাই সহজ পথ। পাশাপাশি অপচয় রোধে কাজ করতে হবে। দাতা সংস্থাদের ঋণের বিশাল অর্থ পাইপলাইনে আছে, এগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। এক ধরনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। এগুলো আবার মূল্যায়ন করে ছাঁটাই করতে হবে।
তিনি বলেন, চলমান যেসব প্রকল্প প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, ব্যয়ের তুলনায় যেগুলোর অর্থনৈতিক সুবিধা কম, সেগুলো বন্ধ করা উচিত। অবকাঠামো খাতের প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির বড় কারণ ঠিকাদার ও রাজনৈতিক যোগসাজশে দুর্নীতি। সেই সঙ্গে নকশার দুর্বলতাও আছে। এ দেশের সড়ক-মহাসড়কের প্রকল্পে বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ হারে খরচের নজির আছে। বছরের পর বছর প্রকল্প পড়ে থাকতে পারে না। সামগ্রিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনায় প্রকল্প পুনরায় মূল্যায়ন গুরুত্ব পাবে। সব পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যাতে করে মূল্যস্ফীতি আর না বাড়ে। কর্মসংস্থান বাড়ানোকে গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, জিডিপি বাড়ানোর চেয়ে কর্মসংস্থান বাড়ানোকে গুরুত্ব দিতে হবে। আগে বিদেশি ঋণের দায়, অর্থনৈতিক সুবিধা বিবেচনা না করে অনেক বড় প্রকল্প করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া রাজনৈতিক সরকারের মতো উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রকল্প আর থাকবে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, নতুন প্রজেক্টগুলো আসবে সেগুলো একনেকে যাওয়ার আগে আপনাদের বিচার-বিবেচনা করে দেখতে হবে। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি এখন অনেক বেশি, আমাদের খরচ কমাতে হবে। প্রকল্প গ্রহণে সেসব বিবেচনা করতে হবে। রাজনৈতিক সরকারের আমলে অনেক উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রকল্প থাকে। এখন এসব আর থাকবে।
বিভাগ : অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আসছে বছর গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে তামান্না-বিজয় জুটি
লোহাগড়ায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে ৪ জন গুরুতর আহত
মাওলানা আতাহার আলীকে বাদ দিয়ে দেশের জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা
পরিবহন খাতে বিশৃঙ্খলার চেষ্টায় আ.লীগের দোসররা
ড. মাহবুব মোল্লা কলেজ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত
নরসিংদীর পলাশে ইটবাহী ট্রলির ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
জনসংযোগ ও বিজ্ঞাপনী সংস্থা ওপাশ কমিউনিকেশনস লিমিটেডের যাত্রা শুরু
মানুষের ‘হৃদয় স্পর্শ করার’ ট্রেনিং নিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পরামর্শ
মুরাদনগরবাসীর কাছে সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের খোলা চিঠি
সেনবাগ হুফফাযুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
সুনামগঞ্জে আ.লীগ নেতার গ্রেফতার দাবি
কিশোরগঞ্জের ওয়ালী নেওয়াজ খানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
পদ্মা রেলসেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে মঙ্গলবার
এদেশের মানুষ ইসলামি বিপ্লবের প্রস্তুতি নিচ্ছে : কুমিল্লায় আল্লামা মামুনুল হক
পুত্রের কুড়ালের আঘাতে প্রাণ গেল বৃদ্ধ পিতার
বন্ধ আলহাজ জুট মিল চালুর দাবিতে শ্রমিক দলের মানববন্ধন
আগাম আলু খেত ব্ল্যাক লেকে আক্রান্ত
আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ আইটি স্কলারশিপ ৫৯ তম রাউন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ব্যাচের ফেয়ার ওয়েল অনুষ্ঠিত
বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ন্যারেটিভ তৈরি করত সিআরআই