নিম্নস্তরের সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ও কার্যকর মূল্য বৃদ্ধির দাবি

Daily Inqilab অর্থনৈতিক রিপোর্টার

০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৭ পিএম | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৭ পিএম

সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের জাতীয় পর্যায়ের আলোচনা সভা থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিগারেটের স্তর কমানো এবং নিম্নস্তরের সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ও কার্যকর মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। বুধবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে, তামাকপণ্যের কার্যকর করারোপের দাবিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন-এর আয়োজনে সমাজের সচেতন নাগরিক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, একাডেমিক, গবেষক, সিভিল সোসাইটি এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সভার মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি, যা ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ। প্রতিবছর তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক অকালে মৃত্যুবরণ করেন। তাছাড়া, তামাক খাত থেকে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব আহরণ করে, তার থেকে ৩৪ শতাংশ বেশি খরচ হয় তামাকের কারণে সৃষ্ট রোগের চিকিৎসা বাবদ।

সভায় দেশে তামাক ব্যবহার হ্রাস ও তামাকজনিত ক্ষয়ক্ষতি নিরসনে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তামাক কর ও দাম বৃদ্ধির জন্য যেসব দাবি করা হয় তার মধ্যে অন্যতম—সিগারেটের বর্তমান চারটি স্তরকে কমিয়ে তিনটি স্তরে নামিয়ে আনা অর্থাৎ নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে একটি স্তর করা এবং এ স্তরের সিগারেটের ১০ শলাকার প্যাকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০ টাকা নির্ধারণ করা। এছাড়াও, সকল স্তরের সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ৬৭ শতাংশ করার দাবি করা হয়। উচ্চ স্তরের সিগারেটের ১০ শলাকার প্যাকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ১৩০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের ১০ শলাকার প্যাকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ১৮০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়।

 

সভা থেকে আরও জানানো হয়, উল্লেখিত তামাক কর ও দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে প্রায় ১৬ লাখ অকালমৃত্যু রোধ করা যাবে, প্রায় ১৬ লাখ তরুণকে ধূমপান শুরু করা থেকে বিরত রাখা যাবে, প্রায় ২৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবে এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরিত হবে।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য ড. মো. সহিদুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্মসচিব রোকসানা খান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব (জনস্বাস্থ্য অধিশাখা) ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব (মহাপরিচালক, অটিজম সেল) মো. মহসীন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক, চেয়ার, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইনিসিয়েটিভ (গ্যাভি), ডা. নিজাম উদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, বিআইডিএস রিসার্চ ডিরেক্টর ড. এস. এম. জুলফিকার আলী প্রমুখ


বিভাগ : অর্থনীতি


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

টেকনাফ অপহরণের স্বর্গরাজ্য-গেল বছরে ১৯২ জনের অপহরণ

টেকনাফ অপহরণের স্বর্গরাজ্য-গেল বছরে ১৯২ জনের অপহরণ

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে সেন্সরশিপ কমানোর ঘোষণা জুকারবার্গের

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে সেন্সরশিপ কমানোর ঘোষণা জুকারবার্গের

কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে ছাত্র ফ্রন্টের প্রতিবাদ সমাবেশ

কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে ছাত্র ফ্রন্টের প্রতিবাদ সমাবেশ

পাকিস্তানে একই দিনে ৬ বোনের সঙ্গে ৬ ভাইয়ের বিয়ে

পাকিস্তানে একই দিনে ৬ বোনের সঙ্গে ৬ ভাইয়ের বিয়ে

ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ভারত ক্ষমতায় বসিয়েছিল, সে এদেশের গনতন্ত্র নষ্ট করেছে  : নূরুল ইসলাম মণি

ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ভারত ক্ষমতায় বসিয়েছিল, সে এদেশের গনতন্ত্র নষ্ট করেছে : নূরুল ইসলাম মণি

সবাই সহযোগিতার হাত বাড়ালে অপরাধ নির্মূল সম্ভব: চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি

সবাই সহযোগিতার হাত বাড়ালে অপরাধ নির্মূল সম্ভব: চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিভারপুল কিনছেন ইলন মাস্ক!

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিভারপুল কিনছেন ইলন মাস্ক!

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোফাখখারুল ইসলামের দায়িত্ব গ্রহণ

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোফাখখারুল ইসলামের দায়িত্ব গ্রহণ

মানিকগঞ্জে ২৩টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করলো পুলিশ

মানিকগঞ্জে ২৩টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করলো পুলিশ

দশ বিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে ৯টি কৌশলগত রেল করিডর নির্মাণে ইরান

দশ বিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে ৯টি কৌশলগত রেল করিডর নির্মাণে ইরান

৫৩ বছরে অনেক কথা হয়েছে কিন্তু কাজ হয়নি: ডিআইজি মঞ্জুর মোর্শেদ

৫৩ বছরে অনেক কথা হয়েছে কিন্তু কাজ হয়নি: ডিআইজি মঞ্জুর মোর্শেদ

খুলনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

খুলনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

স্বৈরাচারী হাসিনার নির্ঘুমের কারণও ছিল কুমিল্লা : হাসনাত আবদুল্লাহ

স্বৈরাচারী হাসিনার নির্ঘুমের কারণও ছিল কুমিল্লা : হাসনাত আবদুল্লাহ

নওয়াজ কন্যা মরিয়মকে নিয়ে তোলপাড় পাকিস্তান

নওয়াজ কন্যা মরিয়মকে নিয়ে তোলপাড় পাকিস্তান

হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন, আমাদের কী করার আছে?

হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন, আমাদের কী করার আছে?

বগুড়ায় স্কুল শিক্ষিকার শ্লীলতাহানির সাক্ষীকে অপহরণের চেষ্টা

বগুড়ায় স্কুল শিক্ষিকার শ্লীলতাহানির সাক্ষীকে অপহরণের চেষ্টা

রাণীশংকৈলে ইত্যাদি অনুষ্ঠানে চলছে মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ, আগামীকাল ইত্যাদি

রাণীশংকৈলে ইত্যাদি অনুষ্ঠানে চলছে মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ, আগামীকাল ইত্যাদি

রাজশাহীতে সাতদফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির লিফলেট বিতরন

রাজশাহীতে সাতদফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির লিফলেট বিতরন

স্বাস্থ্যখাতের দক্ষতা বাড়ানো ও দুর্নীতি দূর করতে আলোচনার সুযোগ রয়েছে- এম এম রেজা

স্বাস্থ্যখাতের দক্ষতা বাড়ানো ও দুর্নীতি দূর করতে আলোচনার সুযোগ রয়েছে- এম এম রেজা

কুয়েত সফরে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান

কুয়েত সফরে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান