সউদী আরব-ইরান সম্পর্ক বিশ্বশান্তি ত্বরান্বিত করবে
১৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৪ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:০৮ পিএম
চীনের উদ্যোগে সউদী আরব এবং ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক স¤পর্ক প্রতিষ্ঠার খবর এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত খবর। মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং চীনের মধ্যস্থতায় সউদী আরব ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক স¤পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার খবর যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিব্রতকর একটি বিষয়। অপরদিকে ইসরাইলের চির শত্রু ইরানের সাথে সউদীর স¤পর্ক প্রতিষ্ঠা ইসরাইলের জন্য একটি বিপর্যয়। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল এ ঘটনাকে যেভাবে মূল্যায়ন করুক না কেন, সউদী আরব এবং ইরানের মধ্যকার সুস¤পর্ক মধ্যপ্রাচ্য এবং মুসলিম বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একইভাবে তা বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও বিরাট ভূমিকা রাখবে।
সউদী আরব এবং ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্ব পুরানো। তবে ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি সউদী সরকার কর্তৃক আয়াতুল্লাহ শেখ নিমর আল নিমরের ফাঁসি কার্যকর করায় এ দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করে। শেখ নিমর ছিলেন সউদী সরকারের একজন সমালোচক এবং তার প্রতি ছিল ইরানের সমর্থন। সউদী সরকার শেখ নিমরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করে। সউদী সরকারের অভিযোগ, ২০১১ সালে সউদী আরবে যে সরকার বিরোধী আন্দোলন হয় তাতে শেখ নিমরের ইন্ধন ছিল। আদালত শেখ নিমরকে মৃত্যুদ-ে দ-িত করে এবং সউদী সরকার শেখ নিমরের মৃত্যুদ- কার্যকর করে। তার মৃত্যুদ- কার্যকর করার সাথে সাথে ইরান তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। ইরানের অভিযোগ, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই শেখ নিমরকে সউদী সরকার ফাঁসি দিয়েছে। ইরান এজন্য সউদী আরবের তীব্র সমালোচনা করে এবং সউদী আরবকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারীও উচ্চারণ করে। শেখ নিমরের ফাঁসি কার্যকর করার প্রতিবাদে ইরানে বিক্ষোভ হয় এবং বিক্ষোভকারীরা তেহরানে অবস্থিত সউদী দূতাবাসে হামলা করে। এর প্রতিবাদে সউদী আরব ইরানের সাথে সকল ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তখন থেকে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশ দুটির মধ্যে কোনো ধরনের স¤পর্ক ছিল না। এভাবে সউদী আরব এবং ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্ব আবারো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এবং তারা দেশে দেশে বিভিন্ন পক্ষে পক্ষালম্বন করে। ফলে মুসলিম দেশগুলোর মাঝে বিদম্যান অনৈক্য আরো জোরালো হয় এবং মুসলিম বিশ^ কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সউদী আরব এবং ইরান মুসলিম বিশে^র দুটি প্রভাবশালী দেশ। অথচ, দেশ দু’টির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বৈরিতা চলছে, যার কারণে মুসলিম বিশ^ বছরের পর বছর ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দ্বন্দ্বের কারণে ওআইসি কখনো গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারেনি। যুগের পর যুগ ধরে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের হাতে নির্যাতিত হয়ে আসছে। কয়েক লক্ষ ফিলিস্তিনি বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন দেশের শরণার্থী শিবিরে জীবনযাপন করছে। অনেক ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরেই জন্মগ্রহণ করেছেন, শরণার্থী শিবিরেই বড় হয়েছে এবং শরণার্থী শিবিরেই মৃত্যুবরণ করেছে। এখানকার রাজনীতি ও সউদী-ইরান দুই মেরুতে বিভক্ত। ইসলামিক জিহাদ ও হামাসকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান আর পিএলওকে সমর্থন দিচ্ছে সউদী আরব। ফলে ফিলিস্তিনিরা কখনোই ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি এবং বিজয় অর্জন করেনি। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। সেখানকার রাজনীতিও সউদী-ইরান দ্বন্দ্বে বিভক্ত। প্রেসিডেন্ট আসাদের পক্ষে আছে ইরান, আর আসাদবিরোধী পক্ষকে সমর্থন করেছে সউদী আরব। যুদ্ধে যুদ্ধে সিরিয়া আজ শেষ। ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষ সিরিয়ান মারা গেছে, আর পঞ্চাশ লক্ষ সিরিয়ান শরণার্থী হয়েছে। ইয়েমেনেও আজ গৃহযুদ্ধ চলছে। সেখানেও একপক্ষে আছে সউদী আরব আর একপক্ষে আছে ইরান। গৃহযুদ্ধে ইতোমধ্যেই ইয়েমেনও ধ্বংস হয়েছে এবং ৬০ হাজার ইয়েমেনি মারা গেছে। মিসরের বর্তমান শাসক সিসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছে সউদী আরব। ব্রাদারহুডকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সউদী আরব ব্যাপক তৎপরতা চালায়। অপরদিকে ব্রাদারহুডকে সমর্থন করে ইরান। সউদী আরব এবং ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্বে মুসলিম দেশসমূহ যখন বহুধাবিভক্ত, তখন সা¤্রাজ্যবাদীরা কৌশলে মুসলিম দেশসমূহকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সিরিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেন তার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ। মিয়ানমারের শাসকেরা আরাকানের মুসলমানদের ওপর বছরের পর বছর ধরে নির্যাতন চালাচ্ছে এবং প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে এসে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের সাহায্য করার সময় এবং শক্তি আজ মুসলিম দেশগুলোর নেই। কারণ, তারা নিজেরা নিজেরাই ঝগড়া বিবাদে ব্যস্ত।
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য এবং সংহতি সবচেয়ে বেশি থাকার কথা থাকলেও তারা আজ বহুধাবিভক্ত। বৃহত্তর স্বার্থকে বাদ দিয়ে তারা আজ ক্ষুদ্র স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িত। এই দ্বন্দ্বে মুসলিম দেশসমূহ আজ বিপর্যস্ত। সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন সবদেশেই যুদ্ধরত পক্ষগুলো মুসলিম। এই যুদ্ধে যারা মরছে তারা সবাই মুসলিম। যা কিছুই ধ্বংস হচ্ছে সবই মুসলমানদের সম্পদ। এই সুযোগে সাম্রাজ্যবাদীরা দেদারছে অস্ত্র বিক্রি করছে। একদিকে মুসলমানদের টাকায় অস্ত্র ব্যবসায়ীরা লাভবান, অপরদিকে সেই অস্ত্রের আঘাতে মারা যাচ্ছে মুসলমানরাই এবং মুসলমানদেরই ঘর বাড়ি সব ধ্বংস হচ্ছে। বিশে^র শক্তিশালী রাষ্ট্রসমূহ যুদ্ধরত দুই পক্ষকেই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। মুসলিম দেশসমূহ হয়ে উঠেছে পশ্চিমা বিশে^র দাবার খেলার স্থান। মুসলিম দেশসমূহে পশ্চিমারা যুদ্ধের নতুন নতুন ফ্রন্ট লাইন খুলছে। ফলে আত্মঘাতী এই যুদ্ধ বন্ধ না হয়ে অবিরাম গতিতে এগিয়ে চলছে। এই আত্মঘাতী যুদ্ধই মুসলমানদের ধ্বংস করছে এবং এই যুদ্ধে কিন্তু কেউই জিতবে না। এ কারণেই মুসলমানরা শক্তিশালী না হয়ে দিন দিন দুর্বল হচ্ছে এবং বহিঃবিশে^ মুসলমানদের প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি না পেয়ে বরং কমছে। অন্যের সমস্যা সমাধানের সুযোগ, ক্ষমতা এবং দক্ষতা মুসলিম দেশের শাসকদের নেই। তারা কীভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকবে সে প্রচেষ্টাতেই সবসময় ব্যস্ত এবং নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার কাজে ভিনদেশের সহযোগিতা চায়। এ কারণে ফিলিস্তিন এবং মিয়ামারের নিপীড়িত নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে দাঁড়ানোর সময় এবং ক্ষমতা মুসলিম দেশের রাজা বাদশাহদের নাই। আর মুসলমানদের এই অনৈক্যই পশ্চিমাদের শক্তি। এই সুযোগে পশ্চিমারা নিজেদের শক্তিশালী করেছে এবং মুসলিম দেশসমূহের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে এবং মুসলিম দেশসমূহের নিয়ন্ত্রক হয়ে বসে আছে।
মুসলিম দেশসমূহের মাঝে বিদ্যমান দ্বন্দ্ব নিজেদেরকেই দূর করতে হবে। আজকের বিশে^ যত গৃহযুদ্ধ সব মুসলিম দেশেই। যত উদ্বাস্তু এবং শরণার্থী সবাই মুসলিম। এমনকি আমাদের দেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিরাও মুসলিম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এসব পাকিস্তানি বাংলাদেশের রিফিউজি ক্যাম্পে মানবতের জীবনযাপন করছে। এই সমস্যাটি এখনো সমাধান হয়নি এবং তারা পাকিস্তানে ফেরত যেতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে মুসলিম দেশসমূহের সমস্যার সমাধান মুসলিম দেশসমূহকেই করতে হবে। তার জন্য মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ক্ষুদ্র স্বার্থ বাদ দিয়ে বৃহত্তর স্বার্থের জন্য মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আল্লাহ, রাসুল (সা.), কোরান, নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত কোরবানিÑ সব এক হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানরা আজ এক নয়। মুসলিম সমাজ আজ হাজারো গ্রুপে বিভক্ত। চলছে হিংসা, হানাহানি, মারামারি, যুদ্ধ এবং বিগ্রহ। অথচ ঐক্য, ভাতৃত্ব, সাম্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা। মানবকল্যাণ ইসলামের প্রধান শিক্ষা হলেও মুসলমানদেরই কারণে মুসলমানরা আজ ঘরবাড়ি ছাড়া, দেশ ছাড়া এবং তারা আজ শরণার্থী। অনেকে বলে, সউদী আরব এবং ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্বের জন্য পশ্চিমারা দায়ী। একইভাবে ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেনসহ মুসলিম দেশগুলোর সমস্যার জন্য পশ্চিমারা দায়ী এবং পশ্চিমারাই এসব সংকট সৃষ্টি করেছে। এ কথা অস্বীকার করা যাবে না। তবে মুসলিম দেশের শাসক এবং রাজনীতিবিদরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকত এবং নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাতে লিপ্ত না হতো, তাহলে পশ্চিমারা মুসলিম দেশে এসে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারত না। বিদ্যমান অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে মুসলিম দেশসমূহের মাঝে ঐক্য এবং সংহতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নিজেদের মধ্যে যে সব সমস্যা আছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। সউদী আরব এবং ইরানের মধ্যে সুস¤পর্ক প্রতিষ্ঠা মুসলিম দেশসমূহে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। বৃহৎ শক্তিসমূহ বিভক্ত হলে, ছোট ছোট দেশ বৃহৎ শক্তির পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ফলে সমস্যা বাড়ে, অশান্তি বাড়ে। অপরদিকে বৃহৎ শক্তিসমূহ ঐক্যবদ্ধ থাকলে ছোট ছোট দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়। ফলে সমস্যা কমে, অশান্তিও কমে।
মুসলিম দেশসমূহের মাঝে যে দূরত্ব রয়েছে তা আলোচনায় বসলে অবশ্যই দূর হবে। কারণ, ধর্মীয় এবং ঐতিহ্যগতভাবে দেশগুলোর মধ্যে হাজারো মিল রয়েছে। মুসলিম বিশে^র পন্ডিত ব্যক্তিগণকে আজ মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। ওআইসিকেও উদ্যোগী হতে হবে। দেখা গেছে, আর সউদী আরব এবং ইরানের মাঝে দূরত্ব বাড়লে সেই দূরত্ব অন্যান্য মুসলিম দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। দেশ দুটির মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে ইতোমধ্যেই বিশ^ মুসলিমের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সুতরাং সউদী আরব এবং ইরানের মধ্যে সুস¤পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে। মুসলিম দেশসমূহকে আজ একে অপরের প্রতিপক্ষ না হয়ে, পরস্পরের সহযোগী হতে হবে। একের কল্যাণে অপরকে এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, ঐক্যেই শক্তি এবং ঐক্যেই শান্তি ও সমৃদ্ধি।
লেখক : প্রকৌশলী এবং উন্নয়ন গবেষক।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন উপদেষ্টা
বগুড়ার ধুনট পল্লীতে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ব্যবসায়ীর ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাই
দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ
সিদ্দিরগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু
নাচোলে পিয়ারাবাগানে এক গৃহবধূ খুন
৫ জানুয়ারি থেকে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মোটর থেকে বৈদ্যুতিক তার খুলতে প্রাণ গেল যুবকের
কারখানায় আগুন, পরিদর্শনে হাতেম
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যা জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
কবি জসীমউদ্দিনের মেজ ছেলে ড. জামাল আনোয়ার আর নেই
ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত- ১০
আমাদের সংস্কৃতির অংশ হলো সব ধর্মের মাঝে সম্প্রীতি ও সহাবস্থান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাতের আধারে অসহায় ব্যাক্তিদের বাড়ির দরজায় গিয়ে কম্বল দিলেন ইউএনও
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা করলেন রাহাত, জানালেন নিজ অনুভূতি
সাবেক দুদক কমিশনার জহরুল হকের পাসপোর্ট বাতিল, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
শ্রীপুরে ভুয়া মেজর আটক
প্রশ্ন: কিসব কারণে বিয়ের বরকত নষ্ট হয়ে যায়?
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অনুপম দৃষ্টান্ত মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)
আল-কুরআন তাজকেরায়ে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)
ভারত উপমহাদেশে মুসলিম সভ্যতার জাগরণে আবুল হাসান আলী নদভির শিক্ষাচিন্তা