মানুষ কতটা সুখী আর কতটা অসুখী
২৪ মার্চ ২০২৩, ০৮:১১ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম
বিগত কয়েক বছর ধরে জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক বিশ্বের কোন দেশের মানুষ কত সুখী, তার একটি তালিকা প্রকাশ করে আসছে। গত ২০ মার্চ সংস্থাটি তার সর্বশেষ তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় ১৩৭টি দেশ ঠাঁই পায়। এই তালিকার ১১৮তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এবারের তালিকা অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তানের নিচে রয়েছে বাংলাদেশ। সাধারণত সুখী দেশের তালিকা করা হয় তালিকাভুক্ত দেশগুলোর কয়েক হাজারের বেশি মানুষের মতামত নিয়ে। এসব মানুষকে একটি ১০ ধাপওয়ালা মই কল্পনা করতে দেয়া হয়। যে ব্যক্তি উপরের ১০ নম্বর ধাপে দাঁড়িয়েছেন, তাকে সবচেয়ে বেশি সুখী ধরা হয়। তারপর যারা ক্রমাগত নিচের ধাপগুলোতে দাঁড়িয়েছেন তাদের কম সুখী এবং অসুখী ধরা হয়েছে। সুখ নির্নয়ের এই পদ্ধতি পাঠকদের কাছে নিশ্চয়ই কৌতুককর মনে হতে পারে। হওয়ারই কথা। আমি যদি অসুখীও হই, তবে কল্পনায় মইয়ের সবচেয়ে উঁচু স্থান ১০ নম্বর ধাপেই দাঁড়াতে চাইব, এটাই স্বাভাবিক। আর দাঁড়িয়ে গেলেই কী আমি সুখী হয়ে গেলাম! তদ্রুপ, যিনি সুখী, তিনি তো মইয়ের একেবারে নিচের ধাপেও দাঁড়াতে পারেন। কারণ, সুখ বিষয়টি একেকজনের কাছে একেক রকম হিসেবে ধরা দেয়। যার জন্য যা সুখের, অন্যের জন্য তা দুঃখেরও হতে পারে। তবে যেহেতু জাতিসংঘ একটি নির্দিষ্ট মানদ-ের ভিত্তিতে সুখের বিচার করে, তা আপেক্ষিকভাবে ধরে নেয়া যেতে পারে। এসব মানদ-ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, যাদের চাকরির নিরাপত্তা আছে, তারা ভাল থাকেন। সেই সঙ্গে ভালো বস, ভালো সহকর্মী, কাজের স্বাধীনতা থাকলে বাড়তি সুখ পাওয়া যায়। কাজে ঝুঁকি থাকলে বা অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকলে মানুষ কাজ করে সুখ পায় না। খুবই সরল এবং সহজ একটি ব্যাখ্যা। সুখের একটি সংজ্ঞাও দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যেসব দেশে সমৃদ্ধির মধ্যে ভারসাম্য আছে, অর্থাৎ যেসব দেশে সমাজের প্রতি আস্থা আছে, অসমতা কম ও সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা পূর্ণ আছেÑসেসব দেশ সাধারণ মাপকাঠিতে সুখী দেশ। এ সংজ্ঞাটা বাস্তবতার সাথে কিছুটা সাজুয্যপূর্ণ। সুখের মাপকাঠি সহজ কোনো বিষয় নয়। এটি আপেক্ষিক বিষয়। বিড়াল যখন ইঁদুর নিয়ে খেলে, তখন এ খেলা বিড়ালের জন্য সুখের হলেও, ইঁদুরের কিন্তু জীবনমরণ সমস্যা। স্বাভাবিকভাবে হাঁটা চলার সময় যখন দেখা যায়, কেউ পা হড়কে পড়ে গেছে, তার পতন দৃশ্য দেখেও অনেকে হাসে। কেউ হয়তো দৌড়ে তাকে তুলতে যায়। কেউ হেসে সুখ পায়। তবে পড়েছে যে তার পা কিংবা কোমরে চিঁর ধরলেও, দর্শনদারীদের অনেকের জন্য তা হাসির খোরাক হয়ে উঠে। এখানে পতিত ব্যক্তিরও দোষ নেই, আবার যারা হেসেছে তাদেরও দোষ নেই। যারা হাসে, পতন দৃশ্য তাদের মনের মধ্যে অবচেতনভাবেই দ্রুত হাসির উদ্রেক করে। তবে নৈতিকভাবে পতিত ব্যক্তিকে দেখে হেসে আনন্দ পাওয়া কখনোই উচিত নয়। বরং সহমর্মী হয়ে মানবিকতা প্রদর্শনই কাম্য।
দুই.
আমাদের দেশ সুখী না অসুখী, তা আমাদের চেয়ে বেশি কেউ বলতে পারবে না। এমনকি যারা সরকার চালায়, তারাও বলতে পারবে না, সাধারণ মানুষ সুখী না অসুখী। কারণ, তারা তাদের সুখ দিয়ে অন্যের সুখ উপলব্ধি করে। তবে সরকারে যারা থাকে, সাধারণ মানুষ যতই অসুখে থাকুক তারা কখনোই তা স্বীকার করে না। তারা কেবল সাধারণ মানুষের উন্নতিই দেখে। দেশ তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে, এ কথা ফরফর করে বলে যায়। এর কারণ হচ্ছে, সত্যি কথা বললেই যেন তাদের ব্যর্থতা প্রকাশ হয়ে পড়বে। বাংলাদেশের মানুষ আজ কতটা সুখী, তা যদি জাতিসংঘের মই তত্ত্বের অবস্থানও ধরে নেয়া হয়, তবে বাংলাদেশ যে সুখী নয়, তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। যারা সাধারণ মানুষ, দিন আনে দিন খায় বা সীমিত আয়ের, তারা ভাল করেই জানে, জীবনযাপন করতে তাদের কত কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে। তিন বেলা খাওয়ার জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়ে। জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বি। প্রতিনিয়ত কেবল খরচ কমানোর বাজেট করতে হচ্ছে। শহরাঞ্চলে বিশেষ করে যারা রাজধানীতে বসবাস করে এবং সীমিত আয়ের, তাদের যে কী দুর্দশা, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সরকার বলতে পারে, শহরাঞ্চলে কত মানুষ বসবাস করে? এ প্রশ্নের উত্তরে এ কথাও বলা যায়, সরকারের আয়ের অন্যতম মূল উৎস যোগান দেয় এই মানুষগুলো। চলতে-ফিরতে, খাইতে-নাইতে-শুইতে সরকার তো তাদের কাছ থেকেই ট্যাক্স আদায় করছে। বিনিময়ে সরকার কী দিচ্ছে? জিনিসপত্রের দাম কি কমাতে পারছে? অন্যান্য যেসব সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা, তা কি যথাযথভাবে দিতে পারছে? অথচ প্রতি মুহূর্তে এসব মানুষকে একটু স্বস্তির জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের তেমন কোনো মাথাব্যথা আছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে না। মানুষের স্বস্তি নিশ্চিত করতে পারছে না। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের কথা বাদ দিলে যারা সাধারণ চাকরিজীবী ও সীমিত আয়ের মানুষ, তাদের দুর্দশা এখন চরমে। আমরা লক্ষ্য করছি, সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই একটা ব্যবসায়িক মনোভাব কাজ করছে। কোথা থেকে কীভাবে বাণিজ্য করা যায়, এ তালে রয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির দাম হু হু করে বাড়িয়ে দিচ্ছে। তেলের দাম বিশ্ববাজারে কম থাকলেও, তা কমাচ্ছে না। ব্যবসা করে যাচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম যে হু হু করে বাড়ছে, তার লাগাম টেনে ধরার কোনো উদ্যোগ নেই। সরকারের এসব আচরণ থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না, সরকার সাধারণ মানুষের জন্য নয়, সরকার যেন তার নিজের জন্য। সাধারণ মানুষ গোল্লায় গেলেও, তাতে তার কিছু আসে যায় না। এ যেন সামন্তযুগীয় শাসন ব্যবস্থা। প্রজা কোত্থেকে খাজনা দেবে তা শাসকের দেখার বিষয় নয়, খাজনা তাকে দিতেই হবে। রাজা-বাদশার ভোগ-বিলাসের জন্য খাজনা প্রয়োজন, কাজেই যেকোনো উপায়েই হোক, তা আদায় করতে হবে। সরকারের মধ্যে এমন একটি মনোভাব এখন খুবই প্রবল। আধুনিক ও গণতান্ত্রিক যুগে এসে যে, এ ধরনের শাসন ব্যবস্থার মধ্যে সাধারণ মানুষকে পড়তে হবে, তা কল্পনাও করা যায় না। একে আধুনিক ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মোড়কে সামন্ততান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে! সরকার যেন কোনোভাবেই সাধারণ মানুষকে একটু স্বস্তিতে জীবনযাপন বা থিতু হওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে পারছে না। একটি ঘা শুকাতে না শুকাতেই আরেকটি ঘা দিয়ে দিচ্ছে।
তিন.
সরকার মুখে মুখে উন্নয়নের অনেক কথা বলে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন সূচকের উন্নতির কথা বলছে। সরকারের এসব কথা শুনে সাধারণ মানুষ অনেকটাই ক্লান্ত ও নির্বিকার হয়ে পড়েছে। তারা সইতেও পারছে না, বলতেও পারছে না। সাধারণ মানুষের এ পরিস্থিতিকে সবচেয়ে কষ্টকর ও অসুখী বলা ছাড়া কিছুই বলার থাকে না। সরকার যেসব সূচক বৃদ্ধির কথা বলে, তারা সুখ পরিমাপের জন্য মই-এর মতোই তত্ত্ব ব্যবহার করছে। সরকারি সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী উন্নতি পরিমাপ করছে। এ ধরনের পরিসংখ্যান দিয়ে দেশের মানুষের সুখ-দুঃখ বোঝা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে বা সাধারণ মানুষের ভিড়ে গিয়ে ‘আপনি কেমন আছেন, আপনার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কি, ঠিক মতো সংসার চালাতে পারছেন কিনা?’ এসব কথা জিজ্ঞেস করে সরকারের পক্ষে তথ্য নেয়া সম্ভব নয়। আর সরকার কি কখনো তাদের অর্থনীতির নেতিবাচক চিত্র দেবে? কখনোই নয়। কারণ, সরকার মানেই উন্নয়ন এবং তার জোয়ার। সরকার কখনোই স্বীকার করে না, তার কোনো ব্যর্থতা আছে। বরং সাফল্যের তিলকে তাল করে উপস্থাপন করাই তার বৈশিষ্ট্য। এই যেমন দেশে শিক্ষিত-অশিক্ষিত মিলিয়ে কয়েক কোটি বেকার রয়েছে। সরকার তা স্বীকার করতে চাইবে না। সাধারণ মানুষ অতি কষ্টে জীবনযাপন করলেও, তা স্বীকার করবে না। বলবে মানুষ অতি ভাল আছে। সরকারের এ ধরনের আচরণ মানুষকে ক্রমেই অসুখী করে তুলছে। অসুখী থেকে ক্ষুদ্ধ-বিক্ষুদ্ধ হলেও সরকারের তা নিয়ে কোনো মাথাব্যাথা নেই। সরকার ভাল করেই জানে জনগণ তার কিছুই করতে পারবে না। এই মানসিকতার কারণে একের পর এক উন্নয়নের সূচক তুলে ধরছে। বলছে মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। অথচ এটা সবারই জানা এর মধ্যে বিরাট শুভংকরের ফাঁকি রয়েছে। কারণ কোটি কোটি বেকার, যারা কাজই করে না, তাদের আয় বাড়ে কীভাবে? আবার সরকার এ কথাও বলছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। এ কথা বলে না, যতটুকু বেড়েছে, জিনিসপত্রের দামও তার তিন গুণ বেড়ে গেছে। এই আয় বৃদ্ধি দিয়ে সাধারণ মানুষ তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না। তাহলে, এই বৃদ্ধি হলেই কী আর না হলেই কী! সাধারণ মানুষ তো আয়ের এই বৃদ্ধি চায় না। তারা চায় আয় কম হলেও জিনিসপত্রের দাম নাগালের মধ্যে থাকুক। অল্প টাকায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারুক। মানুষ কি তা কিনতে পারছে? এখন এক বস্তা টাকা নিয়ে বাজারে গিয়ে যদি আধা বস্তা জিনিসপত্র পাওয়া যায়, তবে এ আয় বৃদ্ধির দরকার কী? সরকার মানুষের টাকার অংকটা বড় দেখিয়ে সাফল্য নিতে চাচ্ছে। যারা সচেতন, তারা বুঝতে পারেন, দেশের অর্থনীতি এবং উন্নয়নের পরিসংখ্যানের মধ্যে বিরাট ফাঁক রয়েছে। এর প্রত্যক্ষ সাক্ষী হয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষ। যেখানে মানুষকে শুধু বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হয়, সেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন শনৈশনৈ হচ্ছে, এমন কথা বলা প্রহসন ছাড়া কিছু নয়। পরিসংখ্যানই বলছে, বিগত দশ বছরে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ৪০ শতাংশ। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বেতন শতভাগ বা তার উপর বৃদ্ধি পেলেও বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন এক টাকাও বাড়েনি। চাকরিজীবীদের মধ্যে এই বিরাট বৈষম্য মানুষকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সরকার মনে করছে, তার কর্মকর্তা ও কর্মচারির বেতন বাড়ানোই একমাত্র দায়িত্ব। বাকি সবার কি হলো তার হিসাব না রাখলেও চলবে। দেশের সরকার শুধু সরকারের হবে সাধারণ মানুষের হবে না, এমন প্রবণতা থাকলে সে দেশের মানুষ সুখী হতে পারে না। সরকারের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সবকিছু বাড়িয়ে বলা বা দেখানো। জিডিপি’র কথা যদি ধরা হয়, তবে বলতে হবে সরকার বহুবার লাফ দিয়ে বাড়াতে চেয়েছে। এ থেকে প্রতীয়মান হয়, সরকার যেন উন্নয়নের সবকিছুতেই লাফিয়ে চলতে চাইছে। যদিও এসব জিডিপি’র হিসাব সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয় এবং তারা বুঝতেও চায় না। সাধারণ মানুষ চায়, তার সংসারটি ঠিকমতো চলছে কিনা, টানাপড়েন ছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী তিন বেলা খেতে পারছে কিনা। এ প্রয়োজন মিটলেই তার আর তেমন কিছু লাগে না। দুঃখের বিষয় সাধারণ মানুষ এই মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। এর উপর সরকার যখন উন্নয়নের ফিরিস্তি ও পরিসংখ্যান তুলে ধরে, তখন তা তার কাছে কাঁটা গায়ে নুনের ছিটার মতো মনে হওয়াই স্বাভাবিক।
চার.
এটা এখন স্পষ্ট, সরকার যেসব উন্নয়ন কাজ করছে, বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছেÑএগুলোর খরচ যোগান দেয়া হচ্ছে মানুষের পকেট থেকে। সরকারের প্রবণতা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেন সে ব্যবসায়ী। জনগণ ক্রেতা এবং সে বিক্রেতা। ক্রেতাদের যেসব কিনতেই হবে বা ভোগ করতে হবে, তার সব খাতেই সরকার তার অর্থ সংগ্রহে হাত দিচ্ছে। এমনকি ঘোষণা ছাড়া গোপনে তা কেটেও নিচ্ছে। সাধারণ মানুষ ক্ষুদ্ধ হলেও তাতে তার কিছু যায় আসছে না। এ ধরনের সরকারকে কী করে জনবান্ধব বা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ বলা যায়? যে দেশে এ ধরনের সরকার থাকে, সে দেশের মানুষের সুখী হওয়ার কোনো কারণ নেই। অথচ সরকারের কাজ হচ্ছে, জনগণের সুবিধা-অসুবিধা এবং সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা। এজন্য নিজে কষ্ট করে হলেও জনগণের সুখ বৃদ্ধির চেষ্টা করা। জনগণের উপর যত কম চাপ সৃষ্টি করা যায়, সে ব্যবস্থা করা। অর্থনীতিকে চাঙ্গা ও গতিশীল করার উদ্যোগ নেয়া। সাধারণ মানুষ দেখছে, সরকার এসব উদ্যোগ না নিয়ে কেবল তাদের উপর চেপে বসছে। তাদের পকেটের টাকা বিভিন্ন উপায়ে কেটে নিচ্ছে। তাদের স্বচ্ছন্দ জীবনযাপন নিশ্চিত করার কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ দীর্ঘ দিন ধরে তলানিতে পড়ে থাকলেও তা গতিশীল করার কোনো উদ্যোগ নেই। বিনিয়োগ না হলে অর্থনীতি চাঙ্গা হয় না। অর্থনৈতিক প্রাণচাঞ্চল্য ও মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় না। যেখানে অর্থনীতির গতি স্থবির হয়ে পড়ে, সেখানে সাধারণ মানুষের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যেও ঘাটতি দেখা দেয়। মানুষ ক্রমেই অসুখী জীবনের দিকে ধাবিত হয়।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন উপদেষ্টা
বগুড়ার ধুনট পল্লীতে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ব্যবসায়ীর ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাই
দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ
সিদ্দিরগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু
নাচোলে পিয়ারাবাগানে এক গৃহবধূ খুন
৫ জানুয়ারি থেকে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মোটর থেকে বৈদ্যুতিক তার খুলতে প্রাণ গেল যুবকের
কারখানায় আগুন, পরিদর্শনে হাতেম
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যা জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
কবি জসীমউদ্দিনের মেজ ছেলে ড. জামাল আনোয়ার আর নেই
ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত- ১০
আমাদের সংস্কৃতির অংশ হলো সব ধর্মের মাঝে সম্প্রীতি ও সহাবস্থান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাতের আধারে অসহায় ব্যাক্তিদের বাড়ির দরজায় গিয়ে কম্বল দিলেন ইউএনও
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা করলেন রাহাত, জানালেন নিজ অনুভূতি
সাবেক দুদক কমিশনার জহরুল হকের পাসপোর্ট বাতিল, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
শ্রীপুরে ভুয়া মেজর আটক
প্রশ্ন: কিসব কারণে বিয়ের বরকত নষ্ট হয়ে যায়?
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অনুপম দৃষ্টান্ত মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)
আল-কুরআন তাজকেরায়ে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)
ভারত উপমহাদেশে মুসলিম সভ্যতার জাগরণে আবুল হাসান আলী নদভির শিক্ষাচিন্তা