আগাম ভোট হতে যাচ্ছে কী?
১৫ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:২৮ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:১৫ পিএম
ইভিএমে ভোট হচ্ছে না, এটি মোটামুটি নিশ্চিৎই ছিল। অপেক্ষা ছিল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। নির্বাচন কমিশন ঘোষকের সেই কাজটি শেষ করেছে। কিন্তু, আগাম নির্বাচনের কোনো কানাঘুষা-গুঞ্জন ছিল না। রাজনীতির চলমান গতি-প্রকৃতি ও নির্বাচনী ঢামাঢোলের মাঝে এটি প্রাসঙ্গিকও ছিল না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল ছোট্ট করে এক টোকায় আগাম নির্বাচনকে প্রাসঙ্গিক করে দেন। ইসির মাসিক সমন্বয় সভায় কর্মকর্তাদের যে কোনো সময় জাতীয় নির্বাচন করার প্রস্তুতি রাখতে বলেন। সংবিধান অনুযায়ী ডিসেম্বরের শেষ দিকে বা জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উল্লেখ করে, সংবিধানে ঐ সময়ের আগেও ভোট হতে পারে এমন প্রভিশনের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।
আগাম নির্বাচনের ইস্যুটি বাজারে আসে তার ওই বক্তব্যের সূত্র ধরেই। যদিও এখন পর্যন্ত এর তৎপরতা নেই। নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের আলোচনা হয়নি। সভায় সিইসি ইসি কর্মকর্তাদের দায়িত্বের তাগিদ বোঝাতে গিয়ে বলেছেন, যে কোনো সময় নির্বাচনের প্রস্তুতি থাকতে হবে। প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখা যাবে না।
শুধু বক্তৃতার জন্য বক্তৃতা বা কাজের তাগিদ বোঝাতে এটি হয়ে থাকলে আগাম নির্বাচন হবে মনে করা যায় না। এছাড়া, প্রস্তুতিগত সমস্যাও আছে। এখনো নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্তকরণ এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কাজ বাকি। আবার সরকার চাইলে এগুলো ছাড়াও নির্বাচন করিয়ে নিতে পারে। সংবিধানে এ সংক্রান্ত ক্ষমতার কোনো শেষ নেই। যথাসময়ে নির্বাচন করার কথা আছে সংবিধানে। আগাম করার বিধানও আছে। আবার পরিস্থিতির অনিবার্যতায় পেছানোর রাস্তা করার ব্যবস্থাও করা যাবে। সরকার প্রধান চাইলে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বহাল রাখতে পারবেন। এগুলো নতুন কথা নয়। এসব ব্যবস্থা করাই আছে। তাই বরাবর সব ক্ষমতাসীনদের কাছে সংবিধান খুব পবিত্র এবং দামি। এরাই বিরোধীদলে গেলে তাদের কাছে সংবিধান আর তখন এমন পবিত্র থাকে না।
সংবিধানের কথা বলে আগাম নির্বাচনের কথাটি শুরুতে তেমন নিউজ ভ্যালু পায়নি। কিন্তু, একই সময়ে ইভিএম বাতিল ঘোষণা আগাম নির্বাচনের গুঞ্জনের সঙ্গে একটি বাতাবরণ তৈরি করে দেয়। তার ওপর আওয়ামী লীগ-বিএনপির দ্বিতীয় ব্যক্তিদের বাহাসের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। সরকার আগাম নির্বাচন দিয়ে আরেকটি চাতুরি করতে পারে বলে শঙ্কা ভর করেছে বিএনপির মধ্যে। সরকার আগাম নির্বাচন দিয়ে বসলে বিএনপির রাজনীতি ও ভোটের মাঠে আছাড় খেয়ে পড়ার অবস্থা হবে, দলটির নেতাদেরও এমন উপলব্ধি। এর প্রকাশ ঘটেছে বিএনপি মহাসচিবের কণ্ঠে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের কথা আরো কড়া। তার অভিযোগ, বিএনপি সামনের নির্বাচন বানচাল করে দিতে চায়। দলটি নিজে নির্বাচন করবে না, আবার হতেও দেবে নাÑ সরকার তা সহ্য করবে না। নির্বাচন আগাম হোক আর পরে হোক বিএনপির ভরাডুবি হবেই, এমন কথাও বলেছেন তিনি।
তাদের এ ধরনের বাদানুবাদ সময় এবং ঘটনার পরম্পরায় চলে আসছে। এর কারণও আছে। সরকার জানে, ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়লে তাদের করুণ অবস্থা করে ছাড়বে বিএনপিসহ সংক্ষুব্ধ নানা মহল। আবার বিএনপি নিশ্চিৎ, সরকার বিগত ২০১৪ বা ১৮ সালের মতো নির্বাচন করতে চায়। বড় জোর ধরন বদলাবে। ফলাফল একই হবে। যেমনটি হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ও সুপ্রিমকোর্টে। সেই ভাবনায় বিএনপি এখন ইভিএম, আগাম নির্বাচন, সংলাপ এসব ইস্যুতে ঢুকতে চায় না। বিএনপি যে পর্যায়ে এসেছে তাদের আন্দোলন ছাড়া গতি নেই। পেছনে ফেরা মানে আত্মহনন। আবার তেজোদীপ্ত আন্দোলন গড়ার শক্তি-কৌশলও নেই তার। সরকারি দল আওয়ামী লীগ এক্ষেত্রে পারঙ্গম। কিন্তু, আগামীতে ২০১৪ বা ২০১৮ স্টাইলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার সুযোগ ক্রমেই কমে আসছে। সামনের দিনগুলো আরো কঠিন হয়ে উঠতে পারে। দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক একটি মন্তব্যেও এ কঠিনের ছাপ রয়েছে। এমপি প্রার্থীদের সতর্ক করতে গিয়ে বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমার দিকে চেয়ে থেকে লাভ নেই’।
বড় কঠিন বার্তা লুকানো প্রধানমন্ত্রীর এ বাক্যটির মাঝে। রাজনীতি সম্পর্কে কম বোঝা মানুষও উপলব্ধি করছেন বাংলাদেশে নির্বাচনের ঢোলে বাড়ির আওয়াজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সীমানার বাইরেও। সুষ্ঠু ভোটের দাবির সঙ্গে ওয়াদাও তুঙ্গে। লক্ষনীয় বিষয়, এ দাবি ও ওয়াদার বেশিরভাগই বিদেশিদের কাছে। বিএনপির বিদেশিদের কাছে নালিশ রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচিত। সেইসঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিটি স্থানিকের আওতা ছাড়িয়ে বৈশ্বিক করে দেয়ার চেষ্টাও ব্যাপক। যার অর্থ, সুষ্ঠু-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কেবল বাংলাদেশের বিষয় নয়, এটি গোটা দুনিয়ারও বিষয়। এর বিপরীতে সরকারের শীর্ষমহল থেকে নির্বাচন প্রশ্নে বিদেশিদের কথা শোনা হবে না মর্মে জানানো হলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের ওয়াদা শোনানো হচ্ছে বিদেশিদের। গত কিছুদিন ধরে যেসব বিদেশি হাই-প্রোফাইল এসেছেন তাদের সবাইকেই আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস শোনানো হচ্ছে। এমন কি তিক্ততার মাঝেও অনেকটা বিস্ময়করভাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে চলে গেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কথা দিয়েছেন আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে।
আরো কিছু আলামতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের বিচারের তালগাছটা প্রকারান্তরে বিদেশিদের হাতে চলে যাচ্ছে কিনা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে, কথাটি কেন সরকারি মহলকে বিদেশি অতিথিদের কাছে অবিরাম বলতে হচ্ছে? নির্বাচন প্রশ্নে বিদেশিদের কোনো কথা শোনা হবে না বলে আওয়ামী লীগের সাহসী ও স্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে। না শুনলে সেই বিদেশিদেরই কেন সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিতে হচ্ছে? ক্ষমতাসীনদের ঘোষণায় বিদেশিরা দমেনি। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নির্বাচনের কথা আনছে। কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপিয় ইউনিয়ন আবার নতুন করে বলা শুরু করেছে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপানও সুষ্ঠু নির্বাচনের নসিয়ত করছে। সরকার বা সরকারি দল তা অগ্রাহ্য করছে না। বলছে না, এসব সবক তারা শুনবে না। কিন্তু, বাস্তকে শুনছে। কথা দিচ্ছে। সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের ওয়াদা দিচ্ছে।
এমন একটা সন্ধিক্ষণে অনেকটা বিনোদিত কা-ই ঘটালো নির্বাচন কমিশন। মুখস্থ নোট বা স্লিপ পড়ার মতো জানিয়ে দিল, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন। ৩০০ আসনেই ভোট হবে আগের মতো কাগজের ব্যালটে। অথচ, ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক থাকলেও আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিরতিহীনভাবে জোর গলায় জানিয়ে আসছিল ইসি। এ জন্য নতুন ২ লাখ ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছিল। এখন শোনানো হলো অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা। ইসি সচিব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইসির কর্মপরিকল্পনায় সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের কথা বলা হলেও মেশিনগুলো মেরামতের জন্য প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা দরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সেই টাকা চাওয়াও হয়েছিল। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক মতানৈক্য সিটি করপোরেশনেও আছে। রয়েছে প্রশ্নও। সেখানে কেন ইভিএমে ভোট হবে? ওখানে যে পরিমাণ মেশিন লাগবে, সেগুলো ঠিক করতে কি টাকা লাগবে না? যৌক্তিক এসব প্রশ্নের জবাব দিতে পারছে না ইসি।
সরকার বা নির্বাচন কমিশন চাইলেও আগামী সংসদ নির্বাচন মেশিনে করতে পারবে না, এমন একটি সংবাদ ঘুরছিল কিছুদিন ধরে। কিন্তু, ইসি লুকোচুরি করছিল। ভেতরের খবর ছিল টাকা সমস্যা নয়, বিরোধীদলের আপত্তিও সমস্যা নয়; নিজস্ব সমস্যাতেই বরবাদ হতে বসেছে নির্বাচন কমিশনের ইলেক্ট্রনিক ভোট মেশিন-ইভিএম প্রজেক্ট। আর সেই সমস্যাটি হচ্ছে, ইসির নিজস্ব সক্ষমতার ঘাটতি। নিজেদের অক্ষমতা জানার পরও বিশাল এ কেনাকাটা যজ্ঞে হাল ছাড়েনি কমিশন। এগিয়েছে তুখোড় গতিতে। ৩০০ আসনে না পারলেও অন্তত ১৫০ আসনে এই মেশিনে আগামীতে ভোট নেয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি চলেছে। প্রকল্প ভ-ুলের কথা স্বীকার করলো এতোদিন পর এসে। সেইসঙ্গে দিল আগাম নির্বাচনের টোকা। অথচ, সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর নতুন গঠিত আইনসভার প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধানের ১২৩ (৩) (ক) অনুযায়ী মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে গেলে ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আলোচনা আছে চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে। তপসিল ঘোষণা হতে পারে নভেম্বরে তৃতীয় সপ্তাহে। সংবিধানে আগাম নির্বাচনের বিধানও আছে। তবে সংসদ ভেঙে আগাম নির্বাচন দিতে হবে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে (খ) মেয়াদ-অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ কোনো কারণে যে দিন সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে, তার পরবর্তী ৯০ দিন নির্বাচন আয়োজনের সময় পাবে ইসি। অতত্রব প্রতিটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য ৯০ দিনের সময় পায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। যেহেতু সংবিধানে নির্বাচন আয়োজনের দুইটি বিধান আছে, সেই অনুযায়ী কর্মকর্তাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন সিইসি। যদি কোনো কারণে জুন অথবা জুলাই মাসে সংসদ ভাঙা হয় সে ক্ষেত্রে আগামী আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন করতে হবে নির্বাচন কমিশনের।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান