ঢাকা   মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১

উচ্চারণ ও ধ্বনিচর্চা কেন প্রয়োজন

Daily Inqilab মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান

২১ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৫২ পিএম | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৩ এএম

প্রতিটি ভাষারই নিজস্বতা, সৌন্দর্য, শ্রুতিমধুরতা ও নান্দনিকতা আছে, যা লেখা এবং কথা বলার মাধ্যমে অন্যের কাছে প্রকাশ পায়। লিখিত রূপে ভাষার ভুলভ্রান্তি সহজেই অন্যের চোখে ধরা পড়ে এবং লেখায় ভুলভ্রান্তি থাকলে কিংবা সুন্দরভাবে উপস্থাপিত না হলে অন্যরা সে লেখার ইতিবাচক মূল্যায়ন না করে নেতিবাচক মূল্যায়ন করে। বিশেষ ক্ষেত্রে বিরূপ সমালোচনাও হয়। কিন্তু ভাষার কথন রূপ বা কথা বলার সময় ভুলত্রুটি তেমনভাবে ধরা হয় না বা সমালোচিতও হয় না। প্রকৃতিগতভাবে সব ভাষারই অঞ্চলভেদে পরিবর্তন হয়, উচ্চারণেও পরিবর্তন হয়। শব্দের বিকৃতরূপ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা কথ্যরূপে বিস্তার লাভ করে।

বিজ্ঞজনেরা বলেন, প্রতি দশমাইল পর পর কথ্য ভাষার ভিন্নতর রূপকাঠামো নির্মিত হয়। পার্বত্য অঞ্চলে বলা হয়, প্রতিটি পাহাড়ের কথ্য ভাষা জতিগত ভাষা থেকে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কথ্য ভাষায় উচ্চারণগত পার্থক্যই মূলত ভিন্নতা সৃষ্টি করে। ভাষার লিখিত রূপ পুরোনো নয়। এর কথ্য রূপ তখন থেকে চালু হয়েছে যখন থেকে মানুষ কথা বলে মনের ভাব প্রকাশ করতে শিখেছে এবং যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছে। লিখিত রূপ কখন থেকে শুরু হয়েছে তা হয়তো খুব সহজেই হিসাব করে বের করে ফেলা যাবে কিন্তু কথ্যরূপের শুরুর ইতিহাস বের করতে কষ্ট হবে।

মানুষ শেখার কাজটি শুরু করে কথ্যভাষা দিয়েই অর্থাৎ বলার ভাষা দিয়েই। ব্যক্তির পরিবেশ ও প্রতিবেশ থেকে যে ভাষা ও ধ্বনি মানুষ শুনে সেই ভাষা ও ধ্বনিই মানুষ শিখে থাকে। ধ্বনির বিজ্ঞান অবশ্য আবার ভিন্ন বিষয় ও জটিল বিষয়। প্রাকৃতিকভাবেই বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের ধ্বনি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে এবং উচ্চারণও বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, যা বড়ো হলে পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না। এ কারণেই এক এলাকার ভাষার সব শব্দ জেনে বলতে ও বুঝতে পারলেও ধ্বনি সঠিকভাবে উচ্চারিত হয় না। কণ্ঠের বা স্বরনালির গঠন শৈশবের মধ্যেই তৈরি হয়।

ভাষা যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। একথা অনস্বীকার্য যে, যার যোগাযোগ দক্ষতা যত ভালো তার আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক তত ভালো। আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ যাদের ভালো তারা খুব সহজেই কর্মজীবনে উন্নতি করতে পারে। যে ব্যক্তির ভাষার দক্ষতা উন্নত তাকে কখনই পিছিয়ে থাকতে হয় না। এই দক্ষতা হয় লিখিত হোক কিংবা মৌখিক।
ভাষা গতিশীল এ-কথাও সত্য। অনেকেই বলেন, ভাষাকে নিজের মতো করে চলতে দেওয়া উচিত। ভাষা গতিশীল এ-কথা মেনে নিলাম, কিন্তু ভাষা কি নিজের ইচ্ছেয় চলতে পারে? মানুষই ভাষাকে চালায়, তারাই পরিবর্তন করে। তারা পরিবর্তন করতে না চায় তাহলে পরিবর্তনের সুযোগ কোথায়? ধরা যাক হাজার বছর ধরে একটি এলাকার মানুষ ‘ভাত’ শব্দটি ব্যবহার করছে আসছে। এখন এই শব্দটিকে যদি কেউ পরিবর্তন না করে তাহলে ‘ভাত’ শব্দটি কি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোনো দিন পরিবর্তন হবে? তার মানে ভাষার ব্যবহারের সুবিধার্থে মানুষই পরিবর্তন করে, ভাষা হয় গতিশীল। হাজার বছর আগের ভাষা আমরা ব্যবহার করি না, কারণ ভাষার কাঠামো পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তন ভাষার সরলীকরণের জন্য মানুষই পরিবর্তন করেছে।

ফলে ভাষার সৌন্দর্য ও সাবলীলতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। বলা বাহুল্য যে, কোনো ভাষাকেই দুর্বল বা শ্রীহীন বলার সুযোগ নেই। তবে ভাষার যাচ্ছেতাই ব্যবহার দুঃখজনক এবং ভাষার বিকাশ ও অগ্রগতি থামিয়ে দেয়। বাংলাভাষার বর্তমান ব্যবহার যে পর্যায়ে এসেছে তাতে অনেক সময় দুঃখবোধ হয়। বাংলার সঙ্গে অন্য ভাষার শব্দের ধ্বনির মতো উচ্চারণ, নিজস্ব শব্দ থাকতেও অন্য শব্দ ব্যবহার করা ইত্যাদি কারণে ভাষার মাধুর্য খর্ব হয় বলে ধারণা করা যায়। নিজের ভাষার প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা না থাকাই বাংলাভাষার লিখিত ও কথ্যরূপে যাচ্ছেতাই ব্যবহার হয় বলে ধারণা করলে তা ভুল হবে না। কথ্যরূপে যে উচ্চারণ শৈলী বর্তমানে শ্রুত হয় তা কিছুটা অসহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। বাংলাদেশের টিভিতে প্রচারিত নাটক, এফএম রেডিও’র ভাষ্যকারদের ভাষা, তরুণ-তরুণীদের ভাষা লক্ষ করলেই পরিষ্কার হয়ে যায়। ভাষাকে গতিশীল বলে যদি এই প্রবাহেই চলতে থাকে তাহলে দু-এক দশক পর বাংলা অভিধান, উচ্চারণ অভিধান, ব্যকরণ ইত্যাদি ভাষা বিষয়ক গ্রন্থাবলি নতুন করে লিখতে হবে, যা হয়তো প্রবীণদের জন্য দুষ্পাচ্য হতে বাধ্য।

ভাষা শেখার প্রধান সময় হলো শৈশব এবং উত্তম স্থান পরিবার ও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় যে, পাঁচ বছরের মধ্যে শিশুরা কয়েকটি ভাষার শব্দ রপ্ত করতে পারে এবং এই ক্ষমতা পরবর্তী সময় ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। তাই পরিবার থেকেই ভাষার শুদ্ধচর্চা হলে শুদ্ধ ভাষার সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত হয় এবং পরবর্তী জীবনে ভাষাচর্চা শুদ্ধভাবে করা সম্ভব। আমরা বলছি না যে, আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। আঞ্চলিক ভাষাও একটা সম্পদ, তা স্বীকার করেই বলছি, আমরা আমাদের কর্মজীবনে, শিক্ষাজীবনে যে শুদ্ধ ভাষা ব্যবহার করি, তা সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চারণের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

ভাষা জানা বা ভাষার দক্ষতার উপাদান চারটি। শোনা, বলা, পড়া ও লেখা। ভাষা শেখার জন্য ভাষাবিজ্ঞানীরা ধ্বনির প্রতি জোর দিয়েছেন এবং তারা মনে করেন, ধ্বনিচর্চা ছাড়া ভাষার দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব নয়। ধ্বনি হলো ভাষার ক্ষদ্রতম একক। সম্পূর্ণ শব্দটি বোঝার আগে ধ্বনি থেকে কোনো শব্দ বোঝার কাজটি শুরু হয়। এই কাজটি অত্যন্ত দ্রুত হয় বলে সাধারণ মানুষ এ বিষয়ে ধারণা করতে পারে না। অন্যভাবে বলা যায়, একটি শব্দ আমরা তখনই বুঝতে পারি, যখন শব্দটির ধ্বনি আমাদের কাছে পরিচিত হয়। ধ্বনি চর্চার মাধ্যমেই শ্রবণ ও কথন দক্ষতা বৃদ্ধি করা সম্ভব, যা শৈশব থেকেই শুরু করা অত্যাবশ্যক। শৈশবের ধ্বনি চর্চাই পরবর্তী জীবনে ভাষা ব্যবহারের শুদ্ধতা নিশ্চিত করে; বিশেষ করে কথন দক্ষতা। কথন দক্ষতা শুদ্ধ হলেই লিখন দক্ষতাও শুদ্ধ হয়।

কথা বলার সময় আঞ্চলিক উচ্চারণের প্রভাব অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই পরিলক্ষিত হয়। অনেকেই আঞ্চলিক প্রভাবের কারণে গর্ববোধ করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে গর্ব করা উচিত কি না তা একটু ভেবে দেখা দরকার। আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলার মাধুর্য ও মধুরতাÑ দুটি পূর্বেই স্বীকার করেছি। যখন আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন তখন হয়তো কেউ আপত্তি তুলবে না। লক্ষ করবেন, যারা সুন্দর করে কথা বলেন, যাদের উচ্চারণ সুন্দর তাদেরকে মানুষ পছন্দ করে এবং সুন্দর ভাষার জন্য তারা প্রশংসা পায়; অনেক ক্ষেত্রে পুরস্কৃতও হয়। নান্দনিক, স্পষ্ট এবং শুদ্ধ উচ্চারণ ভালো ও শুদ্ধ ভাষা লেখার মূলমন্ত্র। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শুদ্ধ উচ্চারণের জন্য বানানও নির্ভুল করা সম্ভব। বর্তমানে বানানের যে দুরাবস্থা বাংলা ভাষায় পরিলক্ষিত হয় তার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অশুদ্ধ উচ্চারণে পড়ানোকে অনেকাংশে দায়ী করা যায়। লঘু ও গুরু উচ্চারণের মধ্যেই অনেক ক্ষেত্রে বানানের শুদ্ধরূপ পরিস্ফুটিত হয়।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, শুদ্ধ উচ্চারণ আমরা কোথা থেকে শিখতে পারি? আমরা মনে করি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই আমাদের উচ্চারণ চর্চা করা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। বাংলাদেশের কোনো অঞ্চলের উচ্চারণ হাস্যকর পর্যায়ের এবং ভাষার মৌলিকত্ব হারিয়ে বীভৎস রূপ ধারণ করেছে। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিও উচ্চারণ করেন, চা>ছা, স্যার>চার, ছাদ>চাদ, চোর>চুর, কোটি>কুটি, ওঠে>উঠে এ রকম অসংখ্য। এই চিত্র দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেই অত্যন্ত প্রকট এবং বলা যায়, বাংলা ভাষার জন্য একটি দুঃখজনক ব্যাপার। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে উচ্চারণের ত্রুটির কারণেই অনেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও লেখার সময় বানান ভুল করে থাকেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক যদি শুদ্ধ উচ্চারণ পড়াতেন তাহলে বড়ো হলে কথ্য ও লিখিত ভাষার ভুল বা ত্রুটি নির্মূল হতো।

লেখক: গবেষক, কলামিস্ট।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

কী চমৎকার উন্নয়ন!
সংস্কার রিপোর্ট ও প্রোক্লামেশনে ঐকমত্যের প্রশ্ন
গাজায় যুদ্ধবিরতি : ট্রাম্পকে ধন্যবাদ
বিএনপি : দেশবাদ যার রাজনীতির মূল কথা
পাহাড়ি উপজাতিরা আদিবাসী নয়
আরও

আরও পড়ুন

সুবর্ণ সুযোগ শুরুর ঘোষণা ট্রাম্পের

সুবর্ণ সুযোগ শুরুর ঘোষণা ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প

ভোটের অধিকার রক্ষায় জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : সিইসি

ভোটের অধিকার রক্ষায় জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : সিইসি

অস্ত্র মামলায় মামুন খালাস

অস্ত্র মামলায় মামুন খালাস

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা

ইনু-মেনন-সালমান-আনিসদের রিমান্ড, নতুন করে গ্রেপ্তার মন্ত্রী-এমপিসহ ১৬ জন

ইনু-মেনন-সালমান-আনিসদের রিমান্ড, নতুন করে গ্রেপ্তার মন্ত্রী-এমপিসহ ১৬ জন

দলীয় নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান এবি পার্টির

দলীয় নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান এবি পার্টির

হত্যা মামলায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে

হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা

হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা

আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বকেয়া পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় বাড়লো আদানি

বকেয়া পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় বাড়লো আদানি

অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের

অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের

দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে : রিজভী

দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে : রিজভী

বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানার ছাটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সিদ্ধান্ত ২৭ জানুয়ারি

বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানার ছাটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সিদ্ধান্ত ২৭ জানুয়ারি

যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিট আগেও ইসরায়েলের হামলা গাজায় বিলম্বিত সময়ের মধ্যে নিহত ১৯

যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিট আগেও ইসরায়েলের হামলা গাজায় বিলম্বিত সময়ের মধ্যে নিহত ১৯

আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে

আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে

প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

এবার  মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের ফল স্থগিত

এবার মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের ফল স্থগিত

চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এলডিপি মহাসচিবের বৈঠক

চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এলডিপি মহাসচিবের বৈঠক