কর, ঋণ ও মূল্যস্ফীতি বাড়বে

Daily Inqilab সরদার সিরাজ

১৬ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে। এটা তার প্রথম, বর্তমান সরকারের একনাগাড়ে ১৬তম এবং দেশের ৫৩তম জাতীয় বাজেট। দেশের প্রথম জাতীয় বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের ৩০ জুন, যার আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। সুখী, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ শীর্ষক প্রস্তাবিত আগামী জাতীয় বাজেটের আকার ৭,৯৭,০০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৪.২%। তন্মধ্যে রাজস্ব আয় ৫,৪১,০০০ কোটি টাকা (এনবিআর ভুক্ত ৪,৮০,০০০ কোটি টাকা এবং নন-এনবিআর ভুক্ত ৬১,০০০ কোটি টাকা)। রাজস্ব ব্যয় ৫,০৬,৯৭১ কোটি টাকা। এডিপি ২,৮১,১৪৫ কোটি টাকা। ঘাটতি ২,৫৬,০০০ কোটি টাকা। এই ঘাটতি দেশি-বিদেশি ঋণ নিয়ে পূরণ করা হবে। বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬.৭৫%, মূল্যস্ফীতি ৬.৫%, ১৫% কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার ও সাদা টাকার সর্বোচ্চ ৩০% কর, সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে ৪০% শুল্ক-কর নির্ধারণ, কর জিডিপির হার ৭.৫% থেকে ১০%-এ উন্নতকরণ এবং ২০২৫ সালে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নতকরণ নির্ধারণ করা হয়েছে। নয়া বাজেটে ব্যয়ের দিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে ঋণের সুদ পরিশোধে (প্রথম সর্বোচ্চ ব্যয় জনপ্রশাসনিক), যার পরিমাণ ১,১৩,০০০ কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ ঋণের ৯৩ হাজার কোটি ও বিদেশি ঋণের ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা), যা বাজেটের ১৪.২৪%। আগামীতে এ ব্যয় বাড়তেই থাকবে। কারণ, দেশের ঋণের পরিমাণ বিপুল হয়েছে। অর্থ বিভাগ প্রকাশিত ডেবট বুলেটিনের তথ্য মতে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৫৯ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা (দেশি ৯ লাখ ৫৩ হাজার ৮১৪ কোটি ও বিদেশি ৭ লাখ ৫ হাজার ৫২০ কোটি টাকা)। এছাড়া, বেসরকারি ঋণ তো রয়েছেই। দ্বিতীয়ত: চলতি বছরেও বিপুল অংকের ঋণ নেওয়া হয়েছে সরকারি ও বেসরকারিভাবে। উপরন্তু ঋণ নেওয়া অব্যাহত রয়েছে! অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ২০২৬-২৭ অর্থবছরে সরকারের ঋণের স্থিতি দাঁড়াবে ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। তখন বেসরকারি ঋণের স্থিতিও ব্যাপক হবে।

নতুন বাজেট ঘোষণাকালে মানুষের মধ্যে তেমন আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়নি। এমনকি পরবর্তীতেও এ নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন আলোচনা নেই। কারণ, প্রতি বছরই বিশাল আকারের বাজেট ঘোষণা করে ব্যাপক ডঙ্কা বাজানো হয়। কিন্তু কিছুদিন পরই বাজেট কাটছাঁট করা শুরু হয়। এছাড়া, বাজেট বহির্ভূতভাবে যখন তখন কর আরোপ করা হয়। উপরন্তু এডিপি বাস্তবায়ন হয় না ঠিক মতো। বছরের বেশিরভাগ সময় সিকিভাগও বাস্তবায়ন হয় না। শেষ সময়ে গোঁজামিল দিয়ে সব কাজ শেষ দেখানো হয়। আবার কখনো কখনো এডিপির সব টাকা ব্যয় হয় না। বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যায়। এসব নানা কারণে জাতীয় বাজেটের প্রতি মানুষ অনাগ্রহী হয়েছে!

বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। অর্থনীতির সব সূচকের অবিশ্বাস্য অবনমন হয়েছে। মার্কিন ডলারের চরম সংকট চলছে।মূল্যও উচ্চ। তাই বিদেশি কর্মচারীরা মাসিক বেতন ও বিনিয়োগকারীরা মুনাফা নিয়ে যেতে পারছে না, যার ক্ষতি সুদূরপ্রসারী। আগামীতে বিদেশিরা এ দেশে কাজ ও বিনিয়োগের জন্য অনাগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতির হার এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (পাকিস্তান প্রথম)। টাকার মানের অবনমন হয়েছে অনেক। জ্বালানি সংকট তীব্র হয়েছে। ফলে শিল্পোৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শেয়ারবাজারে ভঙ্গুরতা চলছে বহুদিন থেকে। ব্যাপক অর্থ পাচার হচ্ছে অনেকদিন থেকে, যা বছরে গড়ে প্রায় লাখ কোটি টাকা। গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রেটির তথ্য মতে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে ৭৫৩.৩৭ কোটি ডলার পাচার হয়। উপরন্তু অন্য দুর্নীতির অর্থও আছে। বর্তমানে ব্যাংকের মোট অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ৫ লাখ ৫৬ হাজার ২০৯ কোটি টাকা বলে সিপিডি জানিয়েছে গত ২৩ মে, যার বেশিরভাগের আদায় হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এছাড়া, বহু ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতিও অনেক। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সম্প্রতি বলেছেন, ‘দেশের ব্যাংক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে’। ফলে বেশিরভাগ ব্যাংক দুর্বল হয়ে পড়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সাথে একীভূত করা হচ্ছে। তবুও ব্যাংক খাতের সংকট দূর হবে কি-না সন্দেহ রয়েছে। অপরদিকে, দুর্নীতি বেড়েই চলেছে।গত ৩ জুন অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেছেন, ‘দেশে বছরে কালো টাকা তৈরি হয় জিডিপির ৩৩% এর মতো’। এছাড়া, ব্যাপক পরিবেশ দূষণ, বেকারত্ব, দক্ষতা ঘাটতি, আয় বৈষম্য, সেকেলে শিক্ষা ব্যবস্থা, সুশাসনের অভাবও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তো রয়েছেই।

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো মতামত দিয়েছে, যা নিয়ে আলোকপাত করা নিঃষ্প্রয়োজন। কারণ, সরকারি দলের মতে, বিশ্বের সেরা বাজেট আর বিরোধী দলগুলোর মতে গরীব মারার বাজেট বলার ঐতিহ্য পরিহার হয়নি। তাই তাদের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা না করে অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞ, প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ যে মতামত দিয়েছে, তাই নিয়ে আলোচনা করা ভাল।সিপিডি বলেছে,প্রস্তাবিত বাজেট মূল্যস্ফীতি আরো উস্কে দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, নতুন করারোপ ও কর ছাড়ের বিবেচনায় এটা মধ্যবিত্তদের ওপর চাপ বাড়ানোর বাজেট। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, মাত্র ১৫% কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ১,২৯৮টি প্রকল্প, এত প্রকল্পের দরকার কি? বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পাঁচ বছরের প্রকল্পে ১০ বছর লাগছে। কিছু প্রকল্প তেমন কোনো কাজে লাগছে না, অব্যবহৃত থাকছে। তাই প্রস্তাবিত এডিপির সংখ্যা অর্ধেক করে দেওয়া উচিত। অত্যাবশ্যকীয় প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করা উচিত। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, সুখী, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের বাজেট এটি নয়। সিপিডির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, আমরা মনে করেছিলাম, সামাজিক সুরক্ষা খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। কিন্তু দেখলাম, বাজেটে যে বরাদ্দ, সে বরাদ্দ বাজেটের আকার সাপেক্ষে একই আছে, ১৭ শতাংশের মতো। জিডিপির আকারে একই আছে, ২.৪%। এখান থেকে পেনশন, সঞ্চয়পত্রের সুদ হার এসব বাদ দিলে এটা জিডিপির ১.৩২%। সাবেক অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ বলেছেন, মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬.৫%, তা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। বরং যেটা উচিত ছিল, এই মূল্যস্ফীতিকে ভিত্তি ধরে প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, বাজেটে কালো টাকা সাদা করতে ১৫% এবং বৈধ আয়ের ওপর ৩০% করারোপের ফলে সৎ করদাতাদের তিরস্কার আর কালোটাকার মালিকদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এমসিসিআই মাত্র ১৫% কর দিয়ে ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, প্রায় দেড় বছর ধরে মুদ্রাস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি। গত মে মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দশ শতাংশের বেশি। এই বাস্তবতায় মূল্যস্ফীতির হার ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সহজ হবে না। এছাড়া, ৬.৭৫% প্রবৃদ্ধির টার্গেট উচ্চাভিলাষী। ডিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেছেন, বিনিয়োগের উপযোগী কোনো নির্দেশনা বাজেটে নেই।

কয়েকটি দৈনিকের শিরোনাম হচ্ছে, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে করের চাপ। বিনিয়োগবিমুখ বাজেট। চ্যালেঞ্জের বড় বাজেট। সংকট কাটানোর নির্দেশনা নেই বাজেটে। আয় বাড়াতে কমছে ছাড়। করের জাল বিছানোর বাজেট। বিশেষ গোষ্ঠীর প্রভাব ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে না, বাজেটে জনগণের বোঝা বাড়বে। সানেম বলেছে, মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি ও রিজার্ভের লক্ষ্য অবাস্তব। যা’হোক, প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে ল্যাপটপ, গুঁড়া দুধ, বিদেশি পোশাক, ডায়ালাইসিস সেবা, ডেঙ্গুর কিট, ক্যানসারের ওষুধের কাঁচামাল, শুকনা ফল, মাশরুম, চা, গ্রিন টি, কফি ইত্যাদির দাম কমতে এবং ফ্রিজ, এসি, সিগারেট, মোটরসাইকেল, বিদেশি পানির ফিল্টার, বৈদ্যুতিক বাতি, বিদেশি মাছ, পানীয়, মুঠোফোনে কথা বলা ও সিম, চিকিৎসা ব্যয়, বিনোদন সেবা, ইঞ্জিন অয়েল, ইট ইত্যাদির দাম বাড়তে পারে বলে খবরে প্রকাশ।

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অবৈধ টাকা ব্যাংকব্যবস্থায় নিয়ে আসার জন্যেই বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেছেন, ব্যবসায়িদের দাবিতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

পন্ডিতদের অভিমত হচ্ছে, প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়িত হলে কর, ঋণ ও মূল্যস্ফীতি বাড়বে। ফলে সাধারণ মানুষ সাংসারিক ব্যয় কমাবে। তাতে ব্যবসা ও কর্মসংস্থানের মন্দাভাব বহাল থাকবে। হ্যাঁ, এই অভিমতগুলো সঠিক। কারণ, নতুন বাজেটে অনেক নতুন খাতে করারোপ এবং অনেক বিষয়ের কর অব্যাহতি বন্ধ করা হয়েছে আইএমএফ-এর চাপে। কিন্তু কর ব্যবস্থাপনায় শতভাগ আধুনিক ও করযোগ সব কর আদায় এবং কর খাতের দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। নতুবা কর আহরণের টার্গেট জিডিপির ১০% পূরণ হবে না। সেটা হলে বাধ্য হয়ে এডিবি কাটছাট অথবা নতুন করে ঋণ নিতে হবে। অপরদিকে, নতুন করারোপ ও কর অব্যাহতি বন্ধ করার কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। ফলে, মূল্যস্ফীতি ৬.৫%-এ নামিয়ে আনার টার্গেট পূরণ হবে না। বাজেটের টার্গেট অনুযায়ী এডিপি বাস্তবায়ন করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ে, অর্থে ও মানে। এ জন্য প্রশাসনিক কঠোরতা দরকার। এছাড়া, দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ করা প্রয়োজন। কারণ, এসব উন্নতির চরম অন্তরায়। প্রস্তাবিত এডিপিতে অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প রয়েছে, যা বাদ দেওয়া দরকার বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার। কারণ, অউৎপাদনশীল ও রিটার্ন স্বল্প ও ভেরি শ্লো ইত্যাদি ভিত্তিক বহু ব্যয়বহুল এবং ঋণ নির্ভর প্রকল্পের কারণে দেশ ঋণের ফাঁদে পড়েছে, যা থেকে মুক্ত হওয়া কঠিন! তাই আর নতুন করে ঋণ নিয়ে দেশের মোট ঋণের পরিমাণ বাড়ানো মরার উপর খাড়ার ঘা এর শামিল হবে। দ্বিতীয়ত: সরকারের দেশি ঋণ নেওয়া বেড়ে যাওয়ায় বেসরকারি ঋণ গ্রহণ কমে গেছে। তাতে দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। যা›হোক, প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ভালো পরামর্শ গ্রহণ এবং অনুমোদিত বাজেট ভালভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া, প্রস্তাবিত প্রবৃদ্ধি ও রিজার্ভের টার্গেট অর্জন করতে হবে। সে জন্য পণ্য আমদানি-রফতানিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ, ব্যাংকের সব অনাদায়ী ঋণ আদায় ও নতুন করে ঋণ খেলাপি বন্ধ,পরিবেশের উন্নতি এবং সর্বত্রই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

এবার হজে এত বেশি হাজির মৃত্যু হওয়ার কারণ কী?

এবার হজে এত বেশি হাজির মৃত্যু হওয়ার কারণ কী?

পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ অব্যাহত রাখবে রাশিয়া : পুতিন

পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ অব্যাহত রাখবে রাশিয়া : পুতিন

প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন অবস্থানের পর প্রেমিকার আত্মহত্যা

প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন অবস্থানের পর প্রেমিকার আত্মহত্যা

ডি ব্রুইনা-টিয়েলম্যানসের গোলে আসরের প্রথম জয় বেলজিয়ামের

ডি ব্রুইনা-টিয়েলম্যানসের গোলে আসরের প্রথম জয় বেলজিয়ামের

ডি ব্রুইনা-টিয়েলম্যানসের গোলে আসরের প্রথম জয় বেলজিয়ামের

ডি ব্রুইনা-টিয়েলম্যানসের গোলে আসরের প্রথম জয় বেলজিয়ামের

বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পন

বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পন

প্রতিবছর বন্যায় বাংলাদেশের ক্ষতি এক বিলিয়ন ডলার

প্রতিবছর বন্যায় বাংলাদেশের ক্ষতি এক বিলিয়ন ডলার

আরকানসাসে সুপারশপে গুলিতে নিহত ৩, আহত ১০

আরকানসাসে সুপারশপে গুলিতে নিহত ৩, আহত ১০

ইউএনও-ডিসিতে এতো মধু!

ইউএনও-ডিসিতে এতো মধু!

অফিসে এক মিনিট দেরিতে এলেও ‘শাস্তি’

অফিসে এক মিনিট দেরিতে এলেও ‘শাস্তি’

রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের

রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের

কালো টাকা সাদা করার সুযোগে বৈধ করদাতাদের অনীহা তৈরি হবে

কালো টাকা সাদা করার সুযোগে বৈধ করদাতাদের অনীহা তৈরি হবে

তুরষ্কের বিপক্ষে অনায়াস জয়ে শেষ ষোলোয় রোনালদোর পর্তুগাল

তুরষ্কের বিপক্ষে অনায়াস জয়ে শেষ ষোলোয় রোনালদোর পর্তুগাল

সূর্যোদয়ের পর ফজরের নামাজ পড়লে সুন্নাত পড়া প্রসঙ্গে।

সূর্যোদয়ের পর ফজরের নামাজ পড়লে সুন্নাত পড়া প্রসঙ্গে।

আর্জেন্টিনা-কানাডা ম্যাচ ঘিরে বর্ণবাদী আচরণ, তদন্তে কনকাকাফ

আর্জেন্টিনা-কানাডা ম্যাচ ঘিরে বর্ণবাদী আচরণ, তদন্তে কনকাকাফ

বাজেট হেল্পডেস্ক পরিদর্শন স্পিকারের

বাজেট হেল্পডেস্ক পরিদর্শন স্পিকারের

পেলের মা জানতেন না ছেলের মৃত্যুর খবর!

পেলের মা জানতেন না ছেলের মৃত্যুর খবর!

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সংযোগ, সীমান্ত, নদী ও বিদ্যুৎখাতে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সংযোগ, সীমান্ত, নদী ও বিদ্যুৎখাতে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারতকে উড়ন্ত শুরু এনে দেওয়া রোহিতকে ফেরালেন সাকিব

ভারতকে উড়ন্ত শুরু এনে দেওয়া রোহিতকে ফেরালেন সাকিব

চেক রিপাবলিককে রুখে দিল জর্জিয়া

চেক রিপাবলিককে রুখে দিল জর্জিয়া