ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪ | ২০ আষাঢ় ১৪৩১

সুন্দরবন রক্ষায় পদক্ষেপ চাই

Daily Inqilab ইনকিলাব

০২ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম

সুন্দরবনকে বলা হয় আমাদের দেশের ফুসফুস। আমাদের বহুবিধ উপকার সাধিত করে থাকে এই বনভূমি। এটি বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো ভয়ংকর সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জনগণ ও তাঁদের সম্পদের প্রাকৃতিক নিরাপত্তাবলয় হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সুন্দরবন দেশের বনজ সম্পদের একক বৃহত্তম উৎস। আসবাবপত্র ও নিউজপ্রিন্ট, দিয়াশলাই, হার্ডবোর্ড ও নৌকা ইত্যাদি শিল্পের অনেক উপাদান সুন্দরবন থেকে পেয়ে থাকি। এছাড়া এই বনের মধু দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়, যার মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক মুদ্রাও পেয়ে থাকি। সুনদরবনের গোলপাতা ঘরের ছাউনির কাজে ব্যবহৃত হয়। এই পাতা সংগ্রহ করার দ্বারা এবং বনের পর্যটন এলাকা থেকে সরকার বিপুল রাজস্ব আয় করে থাকে। তাছাড়া সুন্দরবনকে ঘিরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। সবমিলে বলা যায়, এটি আমাদের দেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ আশীর্বাদ। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, আমাদের দেশের ফুসফুস এখন ভালো নেই। সাধারণত বঙ্গোপসাগরে উৎপত্তি হওয়া ঘূর্ণিঝড় থেকে স্থলভূমিকে রক্ষা করে থাকে এই বনভূমি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে সেই সক্ষমতা তার ক্রমেই কমে আসছে। প্রায় প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাছাড়া, সুন্দরবনের প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থান বিঘ্নিত করার পেছনে মানবসৃষ্ট কারণও কম দায়ী নয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, সুন্দরবনের চারপাশের ১০ কিলোমিটার অঞ্চলকে সংকটাপন্ন এরিয়া ঘোষণা করা হয়েছে। এখানকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের ক্ষতি করে এমন কোনো স্থাপনা নির্মাণ কিংবা কোনো কর্মকান্ড সম্পূর্ণ অবৈধ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে একের পর এক রিসোর্ট ও কটেজ গড়ে তোলা হচ্ছে, যা পরিবেশের ক্ষতি করছে। রিসোর্টগুলোর আশেপাশে শব্দ ও মাটিদূষণ বাড়ছে, ফলে প্রাণীরা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। সুন্দরবনকে রক্ষায় এগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

নাফিস আহমেদ
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জগুলো জয় করা হবে : পলক

উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জগুলো জয় করা হবে : পলক

ঋণ-আমানতে সোনালীকে ছাড়িয়ে সর্ববৃহৎ এখন ইসলামী ব্যাংক

ঋণ-আমানতে সোনালীকে ছাড়িয়ে সর্ববৃহৎ এখন ইসলামী ব্যাংক

ব্র্যাক কুমন-এর সহযোগিতায় নারীদের শিক্ষা-উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারা’

ব্র্যাক কুমন-এর সহযোগিতায় নারীদের শিক্ষা-উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারা’

পটুয়াখালীতে বিএনপির মিছিলে অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ

পটুয়াখালীতে বিএনপির মিছিলে অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের নির্বাচন বাতিল ও প্রশাসক নিয়োগ দাবী

চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের নির্বাচন বাতিল ও প্রশাসক নিয়োগ দাবী

পাওনা টাকা খরচ করে ফেলা প্রসঙ্গে।

পাওনা টাকা খরচ করে ফেলা প্রসঙ্গে।

সড়কের ওপর বাজার

সড়কের ওপর বাজার

মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর বিকল্প নেই

মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর বিকল্প নেই

রেল ট্রানজিটে ভারতেরই লাভ

রেল ট্রানজিটে ভারতেরই লাভ

দুর্নীতিবিরোধী অভিযান যেন আইওয়াশ না হয়

দুর্নীতিবিরোধী অভিযান যেন আইওয়াশ না হয়

কেনিয়ায় নিহত ৩৯

কেনিয়ায় নিহত ৩৯

বিপজ্জনক নজির

বিপজ্জনক নজির

মালিতে নিহত ৪০

মালিতে নিহত ৪০

গাজা একটি উন্মুক্ত কারাগার : চীন

গাজা একটি উন্মুক্ত কারাগার : চীন

বিএনপির মনের জোড় কমে গেছে, গলার জোড় বেড়ে গেছে- সাভারে ওবায়দুল কাদের

বিএনপির মনের জোড় কমে গেছে, গলার জোড় বেড়ে গেছে- সাভারে ওবায়দুল কাদের

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে বন্যায় আটকা পড়েছে হাজারো মানুষ

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে বন্যায় আটকা পড়েছে হাজারো মানুষ

বেরিল তা-বে ক্ষতিগ্রস্ত ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে

বেরিল তা-বে ক্ষতিগ্রস্ত ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে

বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা ফি দ্বিগুণ করল অস্ট্রেলিয়া

বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা ফি দ্বিগুণ করল অস্ট্রেলিয়া

খোলামেলা পোশাক নিষিদ্ধ করলো কলেজ কর্তৃপক্ষ

খোলামেলা পোশাক নিষিদ্ধ করলো কলেজ কর্তৃপক্ষ

শিশু কিডনি চিকিৎসক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হলেন অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম

শিশু কিডনি চিকিৎসক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হলেন অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম