ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪ | ২০ আষাঢ় ১৪৩১

সিলেট নগরীতে পানিবদ্ধতার সমস্যা গুরুতর রূপ নিয়েছে

Daily Inqilab আফতাব চৌধুরী

০২ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম

এমন কোনো সমস্যা নেই, যা সিলেট নগরীতে নেই। সিলেট নগরীর বহুবিধ সমস্যা বিভিন্ন নাগরিক গোষ্ঠীর চোখে ভিন্ন ভিন্ন রূপে ধরা পড়ে। তবে এর প্রভাব থেকে কেউই সম্পূর্ণরূপে মুক্ত নয়, তা তিনি উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত যে কোনো গোষ্ঠীভুক্তই হোন না কেন। সব মহানগরীতে সমস্যা আছে, তারতম্য শুধু ব্যাপকতার ও জটিলতার। সিলেট নগরী অবশ্য এদের মধ্যে অদ্বিতীয়। এর অনেক সমস্যা ও জটিলতা মানুষের তৈরি। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা। নগরায়নের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ছাপ সিলেট খুঁজে পাওয়া সত্যিই দূরূহ ব্যাপার। রূঢ় হলেও বাস্তব, নগরী সিলেট গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। সিটি করপোরেশনের মাস্টার প্লান বিশেষজ্ঞমহল মানতে চান না। বিশেষভাবে যারা বিদেশে ঘুরছেন, তাদের অভিমত, সিটি করপোরেশন প্রণীত সিলেট নগরীর মাস্টার প্লানের সবচেয়ে বড় খুঁত হলো সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সুরমা নদীকে কাজে লাগানো হচ্ছে না আজ অবদি। প্রসঙ্গক্রমেই স্থপতিদের কথা উল্লেখ করতে হয়। তাদের মতে, নগর সম্প্রসারণ সাধারণত বৃত্তাকারে হয়। কিন্তু সিলেটের সম্প্রসারণ লম্বালম্বি হয়েছে। বিশ্বের প্রায় সব উন্নয়নশীল দেশেই নগরায়ন হয়েছে নদীকে কেন্দ্র করে। উদাহরণ স্বরূপ প্যারিসের কথা উল্লেখ করা যায়। সিন নদীর দু’পাশের প্যারিস নগরী সমভাবেই উন্নত। নদীর দু’পারকে কাজে লাগানোর ফলে নগরী অপরিসর রাস্তাঘাট, জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপে বিবর্ণ হয়ে যায়নি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, সুরমা নদীর পাড়ে অবস্থিত সিলেটকে একটি পরিকল্পিত নগরী হিসাবে গড়ে তোলার সবরকম বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও তা গড়ে তোলা হয়নি সুদূরপ্রসারী প্লানের অভাবে।

সিলেট নগরীতে বিগত কয়েক দশক ধরে প্রতিবছরই পানিমগ্নতার সমস্যা ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। উৎসগত দিক বিবেচনা করলে এর প্রধান কারণ হিসাবে দু’টো বিষয়কে চিহ্নিত করা যায়। প্রথমত, অধিক বর্ষণের ফলে অপেক্ষাকৃত নিম্নভূমি ও পানি নিষ্কাশন সুবিধা বঞ্চিত এলাকাগুলো ডুবে যায়। দ্বিতীয়ত, খাল ও নদীবাহিত পানির ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে দু’কূল বাহিত করে পানিমগ্নতার সৃষ্টি করে। খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে, প্রকৃতপক্ষে বর্ষা ও বন্যা এর কোনটিই এই পানিমগ্নতার জন্য দায়ী নয়। পরিকল্পিতভাবে শহরের উন্নয়নে ব্যর্থতার ফলে আজ এ বিরাট সমস্যা লাখ লাখ মানুষের জন্য বয়ে আনছে অসহনীয় দুর্ভোগ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শত মাইল নগর সড়ক, বাড়িঘর, পণ্যদ্রব্য। যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে ও মূল্য বৃদ্ধি ঘটছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির। পানিমগ্নতা আজ একটি বাৎসরিক নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ, এ ধরনের পানিমগ্নতা সমস্যা কিন্তু এ শতাব্দীর গোড়াতেও ছিল না। ক্রমাগত অপরিকল্পিতভাবে শহর বিস্তারের ফলে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যত্রতত্র বাড়িঘর তৈরি, মার্কেট স্থাপন ও সড়ক নির্মাণের ফলে বর্ষার পানি দ্রুত সরে যেতে পারছে না। তাছাড়া শহরের অভ্যন্তরীণ ও আশপাশের খালগুলো ভরাট করে সেখানে বাড়িঘর কল-কারখানা ও দোকানপাট নির্মাণ করায় বৃষ্টির পানি সরে যেতে বেশ সময় নিচ্ছে। অপরপক্ষে নগরীর খাল, চড়া প্রতিটি ময়লা আবর্জনা দ্বারা ভরাট হয়ে পানি ধারণ ও পরিচালন ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ফলে, বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সিলেট শহর বার বার বলতে গেলে পানির নিচেই চলে যাচ্ছে। মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে আর তা নাহলে অবস্থার অবনতি নিশ্চিত বলা যায়।

সিলেট শহর প্রাচীন। এক সময়ে এটি একটি পরিচ্ছন্ন ও প্রকৃতিগতভাবে ভারসাম্যপূর্ণ শহর ছিল। যাতায়াত ও পণ্যদ্রব্য পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হতো সুরমা নদী ও অভ্যন্তরীণ খালগুলো। সুরমা নদী ও মহাসড়কগুলো নদী বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র পথ ছিল। অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হতো বিভিন্ন রাস্তা ও নদী। এই নদী ও সড়কগুলো শুধুমাত্র যাতায়াতের মাধ্যমই ছিল না বরং সুষ্ঠু ও দ্রুত পানি নিষ্কাশনে এসবের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এই সুরমা নদী ছিল গভীর ও সংস্কারের জন্য সময়ে সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো। কিন্তু কালক্রমে সিলেট নগরীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিশেষ করে ১৯৪৭-এর ভারত বিভক্তির পর যখন এ নগরী সিলেট জেলা সদর হিসাবে মর্যাদা লাভ করে, তখন দ্রুত জনাগমের ফলে এর সমস্যা দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। নগরীর জমির দারুণ অভাব দেখা দেয়। শুরু হয় নগরীর বিভিন্ন স্থানে নিচু জমি খাল, জলাশয় ভরাট করে সেখানে বাড়িঘর, অফিস আদালত তৈরির প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় নগরীর যুগ যুগ ধরে বয়ে আসা স্রোতস্বিনী খালগুলো বাদ পড়েনি। ধীরে ধীরে এ খালগুলো ভরাট হয়ে যায় এবং অপেক্ষাকৃত নিম্ন জলাভূমি প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে থাকে। পরিণামে যা হলো, তা হচ্ছে পানি নিষ্কাশন প্রণালীর অভাবে প্রতি বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে পানিমগ্নতা ও পানিবদ্ধতা।

স্বাধীনতা উত্তরকালে সিলেট নগরীকে পরিকল্পিতরূপে গড়ে তোলার জন্য প্রস্তাব করা হয়। সিলেট নগরীর পানি নিষ্কাশন ও পানিমগ্নতার ভয়াবহতার কথা চিন্তা করে নগর অভ্যন্তরীণ প্রতিটি খালকে সংস্কারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গতি দানের জন্য একটি মহাপরিকল্পনায় জোর সুপারিশ করা হয়। কিন্তু এ যাবত এ মহাপরিকল্পনার ভিত্তিতে কোনো খালের সংস্কার কর্মসূচি সম্পন্ন হয়নি। মাঝে মধ্যে কিছু কিছু কাজ কোনো কোনো স্থানে শুরু হলেও সমাপ্ত হয়নি। বরং বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে, সেই সমস্ত খাল ক্রমান্বয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনে স্টর্ম স্যুয়ারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, যেটা প্রয়োজনীয় পানি নিষ্কাশনের তুলনায় অপ্রতুল। অন্যদিকে এই সমস্ত স্টর্ম স্যুয়ারের নিষ্কাশন পথ বিভিন্ন জায়গায় বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার ফলে সামান্য বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং তা পুরোপুরি সরে যেতে প্রায় দু’তিন দিনের মতো সময় লাগে।

বলা যায় যে, সিলেট নগরীর মহাপরিকল্পনা ও অন্যান্য বিদেশি বিশেষজ্ঞের দ্বারা প্রস্তুতকৃত বিভিন্ন সময়ের প্রতিবেদনে যে সমস্ত সুপারিশ দেয়া হয়েছিল তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় সমস্যার সমাধান হয়নি। বরঞ্চ পানিবদ্ধতা সমস্যার গুরুতর অবনতি ঘটেছে। সিলেট নগরীর বিভিন্ন খাল, ছড়া বিভিন্ন জায়গা ভরাট হওয়ায় ও স্টর্ম স্যুয়ার তৈরি করার ফলে এসবের প্রাকৃতিক নাব্য হারিয়ে ফেলেছে। প্রয়োজনীয় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা এর ফলে ভেঙ্গে পড়েছে। নগরীর বিভিন্ন জায়গা বর্ষা মৌসুমে পানির নিচে ডুবে যায়। এমনকি নগরীর প্রধান সড়কগুলোর বেশ কিছু অংশে ১ থেকে ১.৫ মিটার পানির নিচে চলে যায় এবং যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়। নগরীর পানি নিষ্কাশন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ সমস্যা গত তিন দশক যাবত ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে এবং অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে এর সমাধান করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। অন্যথায় আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে বন্যার ফলে সিলেট নগরীর জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সমস্যার প্রকৃতি অনুসারে দু’ভাগে এর সমাধানের প্রস্তাব দেয়া যেতে পারে। ১। পানি নিষ্কাশন, ২। বন্যা প্রতিরোধ। সিলেট নগরীর পানি নিষ্কাশনের নিমিত্তে যে খালগুলো এখনও বর্তমান আছে সেগুলোকে দখলমুক্ত করে খননের মাধ্যমে গভীরতা বাড়াতে হবে। যে সমস্ত জায়গাতে স্টর্ম স্যুয়ার আছে সেগুলোকে ভেঙ্গে না ফেলে নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করে পানি বহন ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এই খাল ও স্টর্ম স্যুয়ারসমূহ নিকটবর্তী সুরমা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনবোধে এগুলোর সংগম স্থলে পাম্প স্টেশন নির্মাণ করে পানি দ্রুত সরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে পাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিভিন্ন নালা, খাল দিয়ে নগরীতে পানি ঢুকে যায়, সেহেতু সিলেট ও পার্শ্ববর্তী এলাকাকে ঘিরে একটি বেড়ি বাঁধ তৈরি করা হলে উপকার পাওয়া যাবে। এই বাঁধটি নগরী ও সংলগ্ন এলাকা জুড়ে তৈরি করা যেতে পারে। উক্ত বাঁধটিকে রিংরোড হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া এই বাঁধের মাধ্যমে নগরীর পার্শ্ববর্তী নিম্নাঞ্চল নগরীর সম্প্রসারণে সহায়ক এলাকা হিসাবে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। উক্ত বেড়িবাঁধে যে সমস্ত খালের মুখ অবস্থিত সে সমস্ত জায়গায় স্লুইচ গেট ও পাম্প স্টেশন নির্মাণ করার মাধ্যমে নিষ্কাশন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা যৌথভাবে সমাধান করা যেতে পারে। তবে সবার আগে খাল, ছড়ার দু’দিকের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে এগুলোর প্রশস্ততা ও গভীরতা নিশ্চিত করতে হবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

পাঁচ ক্রুসহ তাইওয়ানের নৌযান আটক চীনের

পাঁচ ক্রুসহ তাইওয়ানের নৌযান আটক চীনের

কাল পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠান, ব্যয় ৫ কোটির অধিক

কাল পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠান, ব্যয় ৫ কোটির অধিক

এবার রাশিয়ায় নিষিদ্ধ হলো নিকাব

এবার রাশিয়ায় নিষিদ্ধ হলো নিকাব

নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে সাংবাদিকদের ঢুকতে মানা

নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে সাংবাদিকদের ঢুকতে মানা

এবার কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে অবরোধ ইবি শিক্ষার্থীদের

এবার কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে অবরোধ ইবি শিক্ষার্থীদের

পঞ্চগড়ে ক্যানেল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

পঞ্চগড়ে ক্যানেল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

বগুড়ায় রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাক চাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু

বগুড়ায় রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাক চাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু

বোটানিক্যাল গার্ডেনে টিকিট ১০০ টাকা অযৌক্তিক: পরিবেশমন্ত্রী

বোটানিক্যাল গার্ডেনে টিকিট ১০০ টাকা অযৌক্তিক: পরিবেশমন্ত্রী

শিক্ষকদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের আলোচনা স্থগিত

শিক্ষকদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের আলোচনা স্থগিত

কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যেতে দিচ্ছে না ছাত্রলীগ, হলে তালা

কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যেতে দিচ্ছে না ছাত্রলীগ, হলে তালা

মেডিকেল ভিসা নিয়ে ভারতে আটকা শতাধিক বাংলাদেশি

মেডিকেল ভিসা নিয়ে ভারতে আটকা শতাধিক বাংলাদেশি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধ, ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধ, ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট

'মেধাবীদের কান্না, আর না আর না!'

'মেধাবীদের কান্না, আর না আর না!'

কোটা বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে চবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

কোটা বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে চবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

বান্দরবানে বেনজীরের ২৫ একর জমি জিম্মায় নিল জেলা প্রশাসন

বান্দরবানে বেনজীরের ২৫ একর জমি জিম্মায় নিল জেলা প্রশাসন

দৌলতপুরে চোর সন্দেহে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

দৌলতপুরে চোর সন্দেহে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে ৮ প্রতিনিধি দল

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে ৮ প্রতিনিধি দল

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে লন্ডনে সেমিনার অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে লন্ডনে সেমিনার অনুষ্ঠিত

হাইকোর্টের রায় স্থগিত না হওয়ায় উত্তাল শাহবাগ, যানচলাচল বন্ধ

হাইকোর্টের রায় স্থগিত না হওয়ায় উত্তাল শাহবাগ, যানচলাচল বন্ধ

রাজবাড়ীতে ইউপি সদস্যের বাড়ীতে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট

রাজবাড়ীতে ইউপি সদস্যের বাড়ীতে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট