ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪ | ২০ আষাঢ় ১৪৩১

তিস্তার পানি শিকায় উঠেছে : ভারতের নিরাপত্তার জন্য রেল করিডোর

Daily Inqilab মোবায়েদুর রহমান

০২ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম

গত ২৫ জুন দৈনিক প্রকাশিত পোস্টের শেষে আমি বলেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই দিনের ভারত সফরের ইমপ্যাক্ট সুদূরপ্রসারী। একটি মাত্র কলামে সেটি লেখা সম্ভব নয় বলে আমি কথা দিয়েছিলাম যে, পরবর্তীতে সময় পেলে এর ওপর আরেকটি কলাম লিখবো। প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে ভারতীয় ও বাংলাদেশি পত্রপত্রিকা থেকে আরো কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেসব নিয়েই আজকের লেখা।

শেখ হাসিনার ৪০ ঘণ্টাব্যাপী ভারত সফর শেষে যে ১০ দফা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, সেটিকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে যারা গবেষণা করেন তাদের মতে, এই ১০ দফায় যা বর্ণনা করা হয়েছে এবং যা উহ্য রয়েছে সেগুলোর কিউমেলেটিভ (সাকুল্য) প্রভাব বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাদের মতে, শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছর শাসনামলের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর চুক্তি। ইতোমধ্যেই বিএনপিসহ বিরোধী দলসমূহ এই মর্মে মারাত্মক অভিযোগ করেছে যে, এইসব চুক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে খর্ব করেছে। বিষয়টি দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে নির্মোহভাবে পর্যালোচনা করার দাবি রাখে। কারণ, যদি কোনো চুক্তি বা এমওইউ স্বাধীনতা বা সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে, তাহলে সেটি অবশ্যই নিরপেক্ষ পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের দাবি রাখে।

ওপরে উল্লেখিত ১০ দফা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), অতঃপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তার মধ্যদিয়ে ঐ সফরের তাৎপর্য সম্পর্কে আংশিক ধারণা পাওয়া যায়। ঢাকা ফেরার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে, প্রেস ব্রিফিং করেন সেই ব্রিফিং থেকে আরো অনেক বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায়। ভারতের সাথে এই সফরে যেসব আলোচনা হয়, তার মধ্যে আমাদের মতে, তিনটি বিষয় সিরিয়াসলি বিবেচনার দাবি রাখে। এগুলো হলো, তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যু হিমাগারে চলে গেল। সেই ক্ষতি আংশিক পুষিয়ে নেওয়ার জন্য চীন ৫/৬ বছর আগে থেকেই তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছিল। তারা এই প্রজেক্টে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার প্রাথমিকভাবে অর্থায়নের জন্য কথা দিয়েছিল। ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা প্রজেক্ট করা এবং তার অর্থায়নের জন্য চীনকে অনুরোধ করেন। এবারও এই জুন মাসেই তিনি চীনের নিকট ঐ অর্থায়নের অনুরোধ পুর্নব্যক্ত করেন। এসম্পর্কে দৈনিক ইত্তেফাকে ১২ জুন ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত রিপোর্ট আমরা নিচে উল্লেখ করছি।

‘জাতীয় সংসদে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বৈদেশিক সাহায্য অনুসন্ধান কমিটির ৫১তম সভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের স্বার্থে সহজ শর্তের ঋণ পেতে চীন সরকারকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় সমীক্ষা সম্পন্ন করে প্রায় ৮ হাজার ২১০ কোটি টাকার পিডিপিপি ২০২০ সালের আগস্টে ইআরডিতে দেওয়া হয়েছিল।’

২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত উপসম্পাদকীয় নিবন্ধ থেকে জানা যায় যে, তিস্তা সম্পর্কে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে ২০১৯ সালে। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ভারতের বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক ‘দি হিন্দু’ রিপোর্ট করে যে, তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যকার আলাপ-আলোচনা ভারতকে উদ্বিগ্ন করেছে। সেই রিপোর্ট মোতাবেক ২০২০ সালের ১৮ এবং ১৯ আগস্ট করোনা মহামারীর মধ্যে তড়িঘড়ি করে দেড় দিনের ঢাকা সফরে আসেন ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। তিনি আগে ঢাকায় হাইকমিশনার ছিলেন। তিস্তা প্রজেক্টে চীন জড়িত হওয়ায় ভারত উদ্বিগ্ন বলে মি. শ্রিংলা নাকি প্রধানমন্ত্রীকে জানান।

তারপর ৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন বোর্ড এব্যাপারে অনেক এগিয়ে গেছে। গত ৭ জানুয়ারির প্রহসনমূলক নির্বাচনের আগেও চীন কাজে নেমে পড়ার আগ্রহ দেখালে চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলা হয় যে, ইলেকশনের পর এই প্রকল্পে হাত দেওয়া হবে। ইলেকশনের পর সাড়ে ৫ মাস গত হয়েছে। এতদিন পর অকস্মাৎ কুম্ভকর্ণের নিদ্রা ভঙ্গের মতো হঠাৎ করে গত ৮ মে ভারতের বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা আসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন। অতঃপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান যে, ভারত তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায়। ভারতের ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব।

॥দুই॥
যে চীন বিগত ৫/৬ বছর ধরে একটি প্রজেক্টের পেছনে আছে সেই চীনকে আউট করে দিয়ে তিস্তা প্রজেক্টে ভারতীয় অর্থায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এসম্পর্কে ডেইলি স্টারের রিপোর্ট নিচে উদ্ধৃত করছি।

গত ২৬ জুন বুধবার প্রকাশিত তার প্রধান খবরের শিরোনাম, Will implement Teesta project with help from Indiaঅর্থাৎ ভারতের সাহায্যে আমরা তিস্তা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করবো। খবরে বলা হয়েছে, Prime Minister Sheikh Hasina has said her government will implement the Teesta project with assistance from India and it has got assurances from the neighbouring country in this regard. As Bangladesh has a longstanding issue with India over the sharing of Teesta waters, it would be easy for Dhaka if the Teesta project is implemented by Delhi, she said. ÔAs India has come forward, we think if we implement the Teesta project with India, we will not have to face problems regarding water every day. We will have that benefit,Õ she said..
অনুবাদ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, বাংলাদেশ ভারতীয় সহায়তায় তিস্তা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করবে। প্রতিবেশী ভারত এই আশ্বাস দিয়েছে। যেহেতু তিস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন একটি সমস্যা (ইস্যু) চলছে তাই যদি ভারত এটি বাস্তবায়ন করে তাহলে আমাদের জন্য অনেক সহজ হবে। যেহেতু ভারত এগিয়ে এসেছে তাই আমরা মনে করি যে ভারতের সহায়তায় তিস্তা বাস্তবায়ন করলে প্রতিদিন আমাদেরকে পানি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে না। আমরা সেই উপকার এখান থেকে পাবো।

একই ধরনের রিপোর্ট করেছে বিবিসি বাংলা। বাংলাদেশ যে ভারতের চাপ, সেটা ন্যায্য হোক আর অন্যায্য হোক, উপেক্ষা করতে পারে না তার জ¦লজ্যান্ত উদাহরণ হলো ডেইলি স্টার এবং বিবিসির রিপোর্ট।

॥তিন॥
লেখাটি বড় হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু দুটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। একটি হলো, রেল করিডোর। গুডস ট্রেন বা মালবাহী ট্রেনের এই জুলাই মাসেই ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হবে। এই ট্রেনটির রুট হলো, পশ্চিমবঙ্গের গেদে স্টেশন থেকে যাত্রা করে বাংলাদেশের দর্শনা ও চিলাহাটি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের হলদিবাড়ি স্টেশনে যাবে।

এছাড়াও আর যেসব রেল করিডোর দেওয়া হচ্ছে বা হবে সেগুলিও ভারতীয় প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ২৫০ কি.মি. নতুন রেল লাইন বসানো হবে। এটি হবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মেঘালয় ভায়া বাংলাদেশ। রুটটি হবে বালুরঘাট-হিলি-গাইবান্ধা-মহেন্দ্রগঞ্জ-তুরা-মেন্দিপাথর। পশ্চিমবঙ্গেও লাইন হবে দুইটি। একটি হবে ৮০ কি.মি.। আরেকটি হবে ৬০ কি.মি।

অপর রুটটি হবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসাম ভায়া বামনহাট। রুটটি হবে বালুরঘাট-হিলি-পার্বতিপূর-কাউনিয়া-লালমনিরহাট-মোগলহাট-গিতালদহ। যেসব রেল লাইনকে ব্রডগেজে কনভার্ট করা হবে সেগুলি হলো পশ্চিমবঙ্গ থেকে ত্রিপুরা ভায়া বাংলাদেশ। রুটটি হলো গেদে-দর্শনা-আখাউড়া-আগরতলা-পেট্রাপোল-বেনাপোল-নাভারন-যশোর-রূপদিয়া-পদ্মাবিলা-লোহাগড়া-কাশিয়ানি-শিবচর-মাওয়া-নিমতলা-গেন্ডারিয়া-ঢাকা-টঙ্গি-ভৈরব বাজার-আখাউড়া-আগরতলা। এই বিশাল রুটে যথাক্রমে ১০০ কি.মি. ও ১২০ কি.মি. লাইন ব্রডগেজে কনভার্ট করা হবে। নেপালের দিকে স্থাপন করা হবে ১৯০ কি.মি. রেল লাইন। রুটটি হবে বিরাটনগর-নিউ মল। আরেকটি হবে ১২ দশমিক ৫ কি.মি। রুটটি হবে গলগলিয়া-ভদ্রপুর-কাজালি বাজার।

॥চার॥
পর্যবেক্ষক মহল আশঙ্কা করছেন যে, গুডস ট্রেনের নাম করে এই ট্রেনের মাধ্যমে ভারতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত অর্থাৎ উত্তর পূর্ব ভারতের ৭ রাজ্যে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানো হবে। অভিজ্ঞ মহল প্রশ্ন করেছেন যে, ঐ মালগাড়িতে কী মাল যাচ্ছে সেটা খুলে চেক করার ক্ষমতা কি বাংলাদেশের থাকবে? যেভাবে প্রতি পদে ভারতকে সব বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে তারপরে আর বাংলাদেশের ঐ হিম্মত থাকার কথা নয়। এছাড়া খোদ ভারতীয় পত্রপত্রিকাই আশঙ্কা করছে যে, এটি আসলে হতে যাচ্ছে মিলিটারি করিডোর। এসম্পর্কে গত ১৬ জুন টাইমস অব ইন্ডিয়ায় যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তা নিম্নরূপ:

India is set to develop an alternative network of railway tracks through Bangladesh to connect the Northeast with the rest of the country, reducing reliance on the existing route through the Siliguri Corridor, commonly known as “Chicken’s Neck” - a 22-km-wide strip hemmed in by Nepal to the north and Bangladesh on its south. The aim is to bypass the Chicken’s Neck by routing through Bangladesh, leveraging the India-Bangladesh Trade Agreement of 1980. The vital railway line for military and civilian transport became a cause of concern during the 2017 Doklam standoff between India and China, as the narrow corridor sits below the conflict zone. The project will feature 14 new routes connecting Bangladesh, spanning 861km, and alternative routes to the Northeast, bringing the total length of sanctioned tracks to 1,275.5km. The initiative will involve gauge conversion of existing tracks and construction of new ones in Bangladesh..
লেখাটি বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই এর পূর্ণাঙ্গ বাংলা অনুবাদ দিচ্ছি না। এর সংক্ষিপ্ত অর্থ হলো, শিলিগুড়ি করিডোর বা চিকেন নেকের বিকল্প করিডোর হলো আলোচ্য গেদে-হলদিবাড়ি করিডোর। এখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, এটা হলো The vital railway line for military and civilian transport. অর্থাৎ বেসামরিক এবং সামরিক পরিবহনের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রেল লাইন।
শেষ করার আগে একটি কথা বলতে চাই। তিস্তা প্রকল্প থেকে চীনকে আউট করে ভারতকে ঢোকানো এবং বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে মিলিটারি করিডোর দেওয়া ভারতের জন্য খুব প্রয়োজনীয় হলেও বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ রূপে বিপজ্জনক। এমন অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে বাংলাদেশের জনগণের মতামত নেওয়া প্রয়োজন ছিল। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ম্যান্ডেট সরকারকে জনগণ দেয়নি। তাই বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে জনগণের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত।

Email: [email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে সাংবাদিকদের ঢুকতে মানা

নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে সাংবাদিকদের ঢুকতে মানা

এবার কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে অবরোধ ইবি শিক্ষার্থীদের

এবার কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে অবরোধ ইবি শিক্ষার্থীদের

পঞ্চগড়ে ক্যানেল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

পঞ্চগড়ে ক্যানেল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

বগুড়ায় রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাক চাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু

বগুড়ায় রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাক চাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু

বোটানিক্যাল গার্ডেনে টিকিট ১০০ টাকা অযৌক্তিক: পরিবেশমন্ত্রী

বোটানিক্যাল গার্ডেনে টিকিট ১০০ টাকা অযৌক্তিক: পরিবেশমন্ত্রী

শিক্ষকদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের আলোচনা স্থগিত

শিক্ষকদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের আলোচনা স্থগিত

কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যেতে দিচ্ছে না ছাত্রলীগ, হলে তালা

কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যেতে দিচ্ছে না ছাত্রলীগ, হলে তালা

মেডিকেল ভিসা নিয়ে ভারতে আটকা শতাধিক বাংলাদেশি

মেডিকেল ভিসা নিয়ে ভারতে আটকা শতাধিক বাংলাদেশি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধ, ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধ, ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট

'মেধাবীদের কান্না, আর না আর না!'

'মেধাবীদের কান্না, আর না আর না!'

কোটা বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে চবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

কোটা বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে চবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

বান্দরবানে বেনজীরের ২৫ একর জমি জিম্মায় নিল জেলা প্রশাসন

বান্দরবানে বেনজীরের ২৫ একর জমি জিম্মায় নিল জেলা প্রশাসন

দৌলতপুরে চোর সন্দেহে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

দৌলতপুরে চোর সন্দেহে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে ৮ প্রতিনিধি দল

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে ৮ প্রতিনিধি দল

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে লন্ডনে সেমিনার অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে লন্ডনে সেমিনার অনুষ্ঠিত

হাইকোর্টের রায় স্থগিত না হওয়ায় উত্তাল শাহবাগ, যানচলাচল বন্ধ

হাইকোর্টের রায় স্থগিত না হওয়ায় উত্তাল শাহবাগ, যানচলাচল বন্ধ

রাজবাড়ীতে ইউপি সদস্যের বাড়ীতে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট

রাজবাড়ীতে ইউপি সদস্যের বাড়ীতে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট

কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

এই প্রথম ফটো আইডি দেখিয়ে ভোট দিচ্ছেন ব্রিটিশ ভোটাররা

এই প্রথম ফটো আইডি দেখিয়ে ভোট দিচ্ছেন ব্রিটিশ ভোটাররা

রিজার্ভ সংকট কাটাতে চীনের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ : চীনা রাষ্ট্রদূত

রিজার্ভ সংকট কাটাতে চীনের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ : চীনা রাষ্ট্রদূত