অ্যাডভোকেট পান্নার উদ্ভট আবিষ্কার
০১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০২ এএম
এবারের চূড়ান্ত বিপ্লব শুরু হয় ১৬ জুলাই এবং শেষ হয় ৫ আগস্ট। এই ২০ দিন অভ্যুত্থান তথা বিপ্লব চলাকালে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। অনেক লোমহর্ষক ঘটনাও শুনতে পাওয়া যায়। এছাড়া সামাজিক মাধ্যমে তো নিত্যনতুন খবর আসতেই থাকে। তবে আমি ঐসব খবরের ভিত্তিতে দৈনিক ইনকিলাবে কোনো কলাম লিখিনি। কারণ, আমি যখনই কলম ধরি, তখনই আমার বক্তব্যের সপক্ষে কোনো না কোনো এভিডেন্স হাতে নিয়েই লিখতে বসি। আজ শুরু করছি এমন একটি বিষয় নিয়ে যা আমাদের ভাবনারও অতীত। তারপরেও খবরটি ছাপা হয়েছে মেইন স্ট্রিম পত্রিকা বলে খ্যাত দৈনিক সমকালে।
২৫ সেপ্টেম্বর দৈনিক সমকালের শেষ পৃষ্ঠায় খবরটি ছাপা হয়েছে। শিরোনাম, ‘আন্দোলন নিয়ে চিফ প্রসিকিউটর/হিন্দিভাষীদের গুলি চালানোর প্রমাণ মিলেছে।’ খবরে বলা হয়েছে, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে পুলিশের পোশাকে অন্য দেশের নাগরিকদের থাকার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভুক্তভোগীরা তাঁকে জানিয়েছেন, হিন্দিতে তাদের গালি দিয়েছে, কাছ থেকে গুলি করেছে। বিদেশি সেনাবাহিনী তাদের ওপর হামলা করেছে। তাদের আক্রমণে ছিল চরম নিষ্ঠুরতা। মামলার বিষয়ে এসব তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের বিস্তারিত তথ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা দু’দিনের মধ্যে রেকর্ড বা সংরক্ষণ করবে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে আন্দোলনে আহত ৯ শতাধিক রোগীর চিকিৎসা হয়েছে। এখানে আহতরা বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। পাঁচজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ হাসপাতালে দু’জনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। বর্তমানে ৬৮ জন চিকিৎসাধীন। আমরা আহতদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাদের বক্তব্য শুনেছি। আহতদের বিস্তারিত তথ্য তদন্ত সংস্থা দু’দিনের মধ্যে সংরক্ষণ করবে।’
আগস্ট মাসের শেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলন যখন দুর্বার তখন একদিন (সম্ভবত ২৭ জুলাই) বারিধারা ডিওএইচএস থেকে আমার কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্তে ছিল আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী। সে আমাকে জানালো যে, তার এলাকায় পুলিশ এবং র্যাব ব্লক-রেইড দিয়ে আন্দোলকারীদের গ্রেফতার করছে। সে যখন প্রতিবাদ করতে যায় তখন তাকে হিন্দিতে ঐ পুলিশের দল বলে, ‘তুম ইহাছে আভি ভাগ যাও। মাত শোর মাচাও।’ অর্থাৎ তুমি এখান থেকে সরে যাও। আর চিৎকার করবে না। আমি তার কথায় বিশ^াস না করে সেটা উড়িয়ে দেই। পরদিন আবার সেখানে একই ঘটনা ঘটে। কিন্তু এগুলোর প্রমাণ হাতে না থাকায় আমি পত্রিকা বা সামজিক মাধ্যম কোথাও লিখিনি।
তারপর যাত্রাবাড়ী এবং মাওনা থেকে পরপর দুই দিন ফোন পাই। আমাকে বলা হয় যে, পুলিশ নির্বিচারে গুলি করছে এবং নির্বিচারে মানুষ মারা যাচ্ছে। তাদেরও অভিযোগ, ওরা হিন্দিতে কথা বলছে। আমি সত্যিই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। বিশ^াস করতে মন চায় না। একই কথা বারিধারা, যাত্রাবাড়ী এবং মাওনা থেকে শোনার পর বিশ^াস অবিশ^াসের দোলাচলে দুলতে থাকি। তারপরেও প্রমাণের অভাবে এই বিষয়ে এতদিন কিছু লিখিনি। আজ যখন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জোর দিয়ে ঐ কথা বলছেন তখন বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার তদন্ত করবে বলে অনুরোধ করছি।
॥দুই॥
এবারের গণঅভ্যুত্থান বা গণবিপ্লবে এমন অমানবিক, পাশবিক এবং লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে, যা শুনলে যে কোনো ভালো মানুষের মাথা ঘুরে যাবে। আশুলিয়ায় নির্বিচার গুলি এবং গুলির পর যারা পড়ে যাচ্ছে এবং মরে যাচ্ছে তাদের হাত এবং পা ধরে নিক্ষেপ করা হয়েছে একটি ভ্যানে। ঐ ভ্যানে ৫/৬টি লাশ স্তূপিকৃত হলে লাশগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং ঐ হতভাগ্য মানুষগুলো পুড়ে ভস্মিভূত হয়। অথচ, ঐ নিহত আদম সন্তানরা সকলেই ছিলেন মুসলমান। এখানে দুটি অপরাধ করা হয়েছে। একটি হলো মানুষকে নির্বিচারে মেরে ফেলা। আরেকটি হলো হিন্দুদের মতো মুসলমানদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা। এসব ঘটনাকে মোটেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। পুলিশ ইন্সপেক্টর আরাফাতসহ আর যারা এই বিভৎস হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর একটি খবর পাওয়া গেল যেটি পড়ে শিওরে উঠতে হয়। বেসরকারি থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্ট্যাডিজের এক আলোচনা সভায় মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন জানান যে, বিগত ১৫ বছরে ৬ হাজার ক্রস ফায়ারের ঘটনা ঘটেছে। তিনি দাবি করেন যে, শুধুমাত্র জুলাই-আগস্টের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘনাবলীর বিচার করলেই হবে না। বরং ১৯৭২ সাল থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যতগুলি ঘটনা ঘটেছে তার সবগুলির বিচার করতে হবে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের শেষ পৃষ্ঠায় ৫ কলাম জুড়ে এই সংবাদটি প্রকাশিত হয়। এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন।
সভায় বক্তারা বলেন যে, সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য ৬টি কমিশন গঠিত হয়েছে। কিন্তু ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংঘটিত বিডিআর ম্যাসাকার, ২০১৩ সালের মে মাসে সংঘটিত হেফাজতে ইসলামের ম্যাসাকার এবং গত জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যার ওপরও কমিশন গঠন করতে হবে। এখন পর্যন্ত সেটি না করায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, জুলাই বিপ্লবে শহীদ হয়েছেন ১ হাজার ৫৮১ জন ছাত্র-জনতা। এই রিপোর্ট দিয়েছে সরকারের স্বাস্থ্য উপ কমিটি। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ৭৫ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। মাত্র ২১ দিনে প্রায় ১ হাজার ৬০০ হত্যাকাণ্ড মহাযুদ্ধ ছাড়া সাধারণ যুদ্ধক্ষেত্রেও ঘটে না। স্বাস্থ্য উপ কমিটির ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ঐ ২১ দিনের আন্দোলনে আহত হয়েছেন ৩১ হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতা। অনেকের তথ্য এখনো যুক্ত হয়নি বলেও তারা জানান। বলতেই হবে যে, এই ২১ দিনের বিপ্লবে ছাত্র-জনতাকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই ধরনের বর্বরতা একমাত্র মধ্য যুগেই দেখা যেত।
॥তিন॥
ছাত্র-জনতার এই বিপ্লবের প্রধান লক্ষ্য ছিল স্বৈরাচারের অবসান এবং জনগণের ও গণমাধ্যমের বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগ বিগত সাড়ে ১৫ বছর ধরে রাজনৈতিক কর্মী, ছাত্র সংগঠনের কর্মী, মানবাধিকার কর্মী এবং সংবাদপত্রের টুটি চেপে ধরে রেখেছিল। ৫ আগস্টের পর এই কণ্ঠরোধকে মুক্তি দেওয়া হয়। জনগণ এখন নির্ভয়ে কথা বলছে এবং মুক্ত আবহাওয়ায় নিঃশ^াস নিচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের এই গণতান্ত্রিক উদারতার সুযোগ নিয়ে কেউ কেউ ভয়ঙ্কর উস্কানিমূলক এবং ভিত্তিহীন কথা ছড়াচ্ছে। নমুনা হিসেবে অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্নার কয়েকটি উক্তি নিচে তুলে ধরছি। উল্লেখ্য, জেড আই খান পান্না মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট হিসেবে পরিচিত।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার ভাইরাল হওয়া একটি ইউটিউবে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না বলেন, গত ৮ আগস্ট বিপ্লব শেষে ড. ইউনূস যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন সেটি ছিল একটি কনস্পিরেসি বা ষড়যন্ত্র। আর ড. ইউনূস এই কনস্পিরেসির মাস্টারমাইন্ড। এমন মারাত্মক এবং অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্যের সপক্ষে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন যে, ইসলামী ছাত্র শিবির তাদের পরিচয় লুকিয়ে এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল। শিবির যে আন্দোলন চলাকালে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি সেটা নাকি ছিল তার ভাষায় একটি কনস্পিরেসি বা ষড়যন্ত্র। সেই আন্দোলনের ফলে তিনি সরকার প্রধান হয়েছেন। ইউনূস কনস্পিরেটর। জেড আই খান পান্না এটিও আবিষ্কার করেন যে, চার বছর আগে থেকেই নাকি এই কনস্পিরেসি শুরু হয়।
কথা বলার সময় তার মতো ব্যক্তিদের মুখে অবশ্যই লাগাম থাকা দরকার। শুধুমাত্র শিবির কেন, শেখ হাসিনা এবং তার উচ্ছিষ্টভোগী কতিপয় ব্যক্তি ছাড়া বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। ঢাকা মহানগরীসহ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষ ঘর থেকে রাস্তায় বের হয়েছিল। সেখানে বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল, শিবির, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সমর্থক, খেলাফত মজলিশ, ইসলামী আন্দোলন, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাম ঐক্যজোট, সিপিবিসহ সকলেই যোগ দিয়েছিলেন। কোনো দলই নিজের ব্যানার নিয়ে আন্দোলনে আসেনি। শেখ হাসিনার নিকৃষ্টতম স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাঠে দলমত নির্বিশেষে সকলেই একাকার হয়েছিলেন। বাংলাদেশের জনগণের সৌভাগ্য যে, ইউনূসের মতো বিশ^ নন্দিত একজন মানুষ বিপ্লবোত্তর রাষ্ট্রের দায়িত্বভার গ্রহণে সদয় সম্মতি জানিয়েছেন। ইউনূস কনস্পিরেটর- একথা কি জেড আই খান পান্না প্রমাণ করতে পারবেন?
জেড আই খান পান্না তার এসব বিদ্বিষ্ট উক্তি দ্বারা কি এই ১৭ কোটি মানুষের বিপ্লবকেই কনস্পিরেসি বা ষড়যন্ত্র বলে অপবাদ দিচ্ছেন না? জনাব পান্না প্রশ্ন করেছেন যে, ৭ পয়েন্ট ২ বোর গুলি পুলিশের কাছে এলো কোত্থেকে? তিনি আরো বলেন যে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে, সেকথা ঠিক। তাহলে হেলিকপ্টার থেকে কে বা কারা গুলি করলো? নিশ্চয়ই সেনাবাহিনী নয়। তাহলে এখানে থার্ড পার্টি ইনভলবড ছিল।
জনাব পান্না যখন ৭ পয়েন্ট ২ বোর গুলি, হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া গুলি এবং তৃতীয় পক্ষ জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন তখন এর জবাব জনাব পান্নাকেই দিতে হবে। কারণ আইন বলে, যারা অভিযোগ করে তাদেরকেই সেই সব অভিযোগ প্রমাণ করতে হয়। প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে উল্টো তাদের দণ্ড হয়। আমরা মনে করি, জনাব পান্না তার অভিযোগগুলি প্রমাণ করার জন্য উদ্যোগী হবেন।
Email: [email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান