ঢাকা   শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর

Daily Inqilab ইনকিলাব

০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের পর থেকে দেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টরে এবং সম্ভাব্য সকল স্থানে একটি পরিকল্পিত অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। পুলিশ বাহিনী একটি দলীয় ঠেঙ্গাড়ে বাহিনীতে পরিনত হওয়ার কারণে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশি নিষ্ঠুরতা সব সীমা ছাড়িয়ে যায়। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তার অনুগত পুলিশ সদস্যরাও পালিয়ে যাওয়ার কারণে পুরো বাহিনী অকার্যকর হয়ে পড়ে। প্রায় দুইমাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার্যকর ভূমিকায় ফিরে আসেনি। এরই মধ্যে চলছে গার্মেন্ট সেক্টরকে অস্থিতিশীল করার অপতৎপরতা। সাড়ে ১৫ বছরে জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেইন অব কমান্ডসহ সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এ থেকে দেশের সেনাবাহিনীও বাদ যায়নি। পিলখানা ট্রাজেডির মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীকে অনেক বড় ক্ষতির মধ্যে ঠেলে দেয়ার ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীকেও স্বৈরশাসনের ক্রীড়নকে পরিনত করা হয়েছিল। র‌্যাবে ডেপুটেশনে নিয়ে সেনা কর্মকর্তাদের দিয়ে গুম-খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত করা হয়েছে। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেষ সময়ে সেনাবাহিনীকে ছাত্র-জনতার মুখোমুখী দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র সেনাপ্রধানের সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে ব্যর্থ হয়। ছাত্র-জনতার সাথে সেনাবাহিনীর সংহতি অভ্যুত্থানে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছিল। আর এর মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক হাসিনার হাতে আমাদের সেনাবাহিনীর যে বদনাম ও আস্থাহীনতা তৈরী হয়েছিল তা ঘুচিয়ে জনগণের আস্থার কাছাকাছি পৌছার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নতুন করে পাহাড়ে একটি সাংঘর্ষিক পরিবেশ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীকে একটি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীকে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

ঘরের চালের কোথায় কোথায় ফুটো আছে, বৃষ্টি হলেই তা বোঝা যায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর একের পর এক নানা সংকটের মধ্য দিয়ে ঘরে-বাইরে দেশের শত্রু-মিত্রের ভূমিকাও স্পষ্টভাবে ধরা পড়ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত সংঘাত সৃষ্টি ও সশস্ত্র বিদ্রোহের নেপথ্যে ভারতীয় ইন্ধন কোনো নতুন বিষয় নয়। তথাকথিত শান্তিচুক্তির মাধ্যমে সেখানে পাহাড়ি-বাঙ্গালি বিরোধ-বৈষম্য বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি শান্তিচুক্তির আওতায় পাহাড় থেকে দুই শতাধিক সেনাক্যাম্প প্রত্যাহারের কারণে গত ২৫ বছরে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা বাঙালীদের উপর প্রভাব বিস্তার, চাঁদাবাজি-ডাকাতি ও সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মোটরবাইক চুরির কথিত অভিযোগ তুলে খাগড়াছড়িতে পিটিয়ে বাঙালি যুবক হত্যার পর সেখানে সংঘাত সৃষ্টি ও পরবর্তী অস্থিতিশীলতা একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতায় পতিত স্বৈরাচারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ভারতীয় আধিপত্যবাদের ইন্ধনে দেশে বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিতিশীলতা তৈরীর পাশাপাশি পার্বত্যাঞ্চলকে নতুন করে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়ার চক্রান্ত চলছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। দু:খের বিষয়, এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী প্রত্যাশিত মাত্রায় কার্যকর ভূমিকায় এখনো আসতে পারেনি। ৫ আগস্টের পর প্রথমে গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুরে সেনা সদস্যদের উপর সশস্ত্র হামলা, সাঁজোয়া গাড়ীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ে সেনা সদস্যদের দুর্বল অবস্থানসহ কিছু কিছু অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার চিত্র বেরিয়ে এসেছে। চকোরিয়ায় অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে ডাকাতের হাতে সেনা কর্মকর্তা তানজিম সারোয়ারের নিহত হওয়া সেনাবাহিনীর দুর্বলতারই বহি:প্রকাশ। মিথ্যা অভিযোগ তুলে খাগড়াছড়িতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পাহাড়ি-বাঙালী সংঘাত বাঁধিয়ে অস্থিতিশীল করার ধারাবাহিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিকেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সোহেল রানাকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হাতে হাজার হাজার অবৈধ অস্ত্র থাকলেও সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে সেনা নেতৃত্বে চলা যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র উদ্ধারের হার খুবই হতাশাজনক। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার পাশাপাশি একটি অবাধ অংশ্রগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি দেশের সামনে যে সব আভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ দেখা দেখা যাচ্ছে তা’ মোকাবেলা করে রাষ্ট্রীয় সংহতি ও প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা ও ভাবমর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার কোনো বিকল্প নেই।
ড.ইউনূসের নেতৃত্বে অর্ন্তবর্তী সরকার নানামুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বিশ্ব নেতারা তাঁর প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সীমান্তের হুমকি মোকাবেলার দায়িত্ব আমাদের সেনাবাহিনীকেই পালন করতে হবে। পুলিশ ও আমলাতন্ত্রের মতো সেনাবাহিনীতেও স্বৈরশাসকের অনুগতরা এখনো সক্রিয় রয়েছে কিনা তা’ খতিয়ে দেখতে হবে। প্রয়োজনে জিওসি থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল করতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলের নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলার পাশাপাশি ভারতের সেভেন সিস্টার্স ও মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘাত ও রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়গুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণ করে একটি সমন্বিত নিরাপত্তা উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। দুই দশক আগে লুক ইস্ট বা পূর্বমূখী পররাষ্ট্রনীতির আওতায় বাণিজ্য অংশীদারিত্ব ও কানেক্টিভিটি বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। ভারতের প্রভাবে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এ নীতি থেকে সরে যায়। চলমান বাস্তবতায় সে উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে বেড়েছে। চীন-ভারতের মধ্যকার উত্তেজনা ও দ্বন্দ্ব সত্বেও রোহিঙ্গা সংকটের কূটনৈতিক-রাজনৈতিক সমাধানের প্রয়াস অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মিয়ানমার, চীনসহ পূর্বদিকের দেশগুলোর সাথে কানেক্টিভিটি তথা বহুমুখী যোগাযোগের অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ শুরু করতে হবে। সেভেন সির্স্টাসে অস্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ অনেক বেড়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় হোমওয়ার্কসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। তার পূর্বে সেনাবাহিনীর আভ্যন্তরীণ দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতার বিষয়গুলো চিহ্নিত করে কমান্ড ও ফোর্স মোবিলাইজেশনে গুণগত পরিবর্তন নিশ্চিত করতে হবে। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থেকে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা মনে করি, সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যের নৈতিক অবক্ষয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনে শৈথিল্য এবং পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতার সাথে সংশ্লিষ্টতার বিষয়েও তিনি সজাগ-সচেতন রয়েছেন এবং প্রয়োজনে যে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নিতেও দ্বিধা করবেন না। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে ভূমিকা পালনকারী সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। সেনাবাহিনীকে জনগণের আস্থাশীল, আধুনিক, শক্তিশালী ও গতিশীল করা জাতীয় নিরাপত্তা ও ভূরাজনৈতিক কারণেই অত্যাবশ্যক। নিরাপত্তা পর্যবেক্ষকরা আরো মনে করেন, সেনাবাহিনীতে আরো বেশি সংখ্যায় মেধাবি তরুণদের রিক্রুট করা প্রয়োজন।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মানসিক সুস্থতায় কর্মবিরতি
মুনতাহার মর্মান্তিক মৃত্যু এবং কিছু কথা
ট্রাম্পের বিজয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কি কোনো লাভ হবে?
ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোচালকদের তাণ্ডব রুখতে হবে
স্মৃতির দর্পণে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
আরও

আরও পড়ুন

কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ

বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস

গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস

শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে

শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে

চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক

চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক

পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া

পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া

ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব

ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব

লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল

ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল

‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’

‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’

প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের

প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের

প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া

প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া

মুসলিম চিকিৎসক

মুসলিম চিকিৎসক

শীর্ষে দিল্লি

শীর্ষে দিল্লি

সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা

সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা

বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান

বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান

মানসিক সুস্থতায় কর্মবিরতি

মানসিক সুস্থতায় কর্মবিরতি