ঢাকা   শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিক্ষকদের মধ্যকার বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে

Daily Inqilab অধ্যক্ষ আবদুল খালেক

০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম

মানুষের প্রচণ্ড জ্ঞান তৃষ্ণা নিবৃত্তির প্রচেষ্টা থেকেই শিক্ষার যাত্রা। মানুষ আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিক বা উপানুষ্ঠানিকভাবে যার কাছ থেকে শিখেছে, জেনেছে তিনিই শিক্ষক। শিক্ষক একাধারে মানুষ, সমাজ ও সভ্যতা বিনির্মাণের কারিগর। পিতা-মাতা সন্তানের জন্মদাতা হলেও প্রকৃতপক্ষে শিক্ষকই সন্তানকে মনুষ্য রূপে গড়ে তোলেন। তাইতো সভ্যতার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সকল লেখক, কবি, সাহিত্যিক তাঁদের লেখনির মাধ্যমে শিক্ষকদের মর্যাদা সমুন্নত রাখার প্রয়াস চালিয়েছেন। সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী শিক্ষক সমাজের জন্য বিশেষ একটা দিন বরাদ্দের দাবি অনেক দিনের। অবশেষে সারা বিশ্বের শিক্ষক ও শিক্ষক সংগঠনের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ অক্টোবরকে ইউনেস্কো বিশ্ব শিক্ষক দিবস ঘোষণা করে। সেই থেকে শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে। শিক্ষকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানানো এবং সুস্থ ও সভ্য জাতি গঠনে শিক্ষকের ভূমিকা ও অবদান সর্বস্তরের জনগণের নিকট তুলে ধরার জন্য মূলত বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয়। পৃথিবীর সকল দেশের সর্ব স্তরের শিক্ষকদের নিকট এই দিনটি অত্যন্ত সন্মান ও গৌরবের। কেননা পৃথিবীর অগনিত শিক্ষকের পেশাগত ও আদর্শগত অবদান ও কর্মকা-ের স্বীকৃতি, স্মরণ ও মূল্যায়নের জন্য বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়। জাপানে একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে: Better than a thousand days of dilligent studz is one day with a great teacher.

বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালনে Education International - EI এর সহযোগী ৪০১টি সদস্য সংগঠন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বিশ্বের শতাধিক দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ দিবসটি পালন করা হয়। শিক্ষকতার মহান পেশায় উচ্চ ডিগ্রিধারী, মেধাবী, সৎ ও যোগ্যদের আকৃষ্ট করার মানসে Education International - EI কর্তৃক প্রতিবছর একটি করে প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়। কারণ, নীতি-নৈতিকতা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও অন্যান্য চারিত্রিক গুণাবলীর বিচারে শিক্ষকদের চেয়ে মর্যাদাবান ও শিক্ষকতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কোন পেশা নেই।

বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপনের প্রেক্ষাপটে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের বহুধা বিভক্ত ও হ-য-ব-র-ল শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়টি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। পৃথিবী যখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে তখন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কতটুকু বিপ্লবের অংশীদার হতে পারবে? উন্নত ও পরিবর্তিত বিশ্বের সাথে আমরা আদৌ অভিযোজন করতে সক্ষম হবো কিনা, সে প্রশ্ন খুবই প্রাসঙ্গিক দেশপ্রেমিক, আদর্শবান ও যোগ্য জনবল তৈরিতে যেমন প্রয়োজন আধুনিক চিন্তা চেতনায় সমৃদ্ধ কারিকুলাম, তেমনি প্রয়োজন একদল যোগ্য, মানসম্পন্ন ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আত্মত্যাগী শিক্ষক। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছি। শিক্ষার প্রত্যেক স্তরে বৈষম্য ও অসংগতি প্রকট আকারে বিদ্যমান। সাধারণ শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা ও বিশেষায়িত শিক্ষার সাথে ন্যাশনাল ও ব্রিটিশ কারিকুলাম, ‘এ’ ‹লেভেল ‘ও’ লেভেলতো আছেই। আবার কিন্ডারগার্টেন সিস্টেম, ধর্মীয় শিক্ষার আলিয়া ও কওমী ধারাও আছে। বহু ধারা ও সিস্টেমে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হওয়ায় জাতির মন-মননও বহু ধারায় গড়ে উঠেছে। ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ঐকমত্যের পরিবর্তে মতানৈক্য এবং বিভাজনের পাল্লা ভারী হয়। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো, জাতি বার বার স্বৈরশাসন, নির্যাতন, নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিম-লে চাহিদা সম্পন্ন দক্ষ ও কর্মঠ জনবল তৈরির পরিবর্তে বেকারও মানসিক বিকারগ্রস্ত ও অকেজো লোক তৈরি হয়েছে বেশি।

স্বাধীনতার পর যতগুলো শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়েছে, কোনো শিক্ষা কমিশনই দেশে মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারেনি। বিজ্ঞান মনস্ক, কারিগরি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন জনবল তৈরির পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে অপরিকল্পিত, স্বেচ্ছাচারী মানহীন পাঠক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের বোঝা। সাথে যুক্ত হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ভয়াবহ অপরাধ, যা শিক্ষার্থীদের মনে সৃষ্টি হয় চরম আত্মবিশ্বাসহীনতা আর হতাশা, তাদেরকে ধাবিত করে অনৈতিক অন্ধকার জগতের দিকে। ২০২৩ সালের নতুন কারিকুলাম পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাশূন্য করার গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র আমাদের কাঁধে সওয়ার হয়েছিল। একদিকে সৎ ও যোগ্য নাগরিক তৈরির প্রত্যাশা অন্যদিকে কারিকুলামে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার অনুপস্থিতি জাতিকে চরম ধোঁকায় ফেলে দিয়েছিল।

স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারসমূহ বহু ধারায় বিভক্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে একীভূতকরণ, সরকার কর্তৃক শতভাগ নিয়ন্ত্রণ, স্তর-পদবী, দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে শিক্ষকদের বেতনভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ, সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে পরিশোধের বিষয়টি বরাবরই এড়িয়ে গেছে। ফলে অদ্যাবধি শিক্ষকতা পেশায় মেধাবী ও যোগ্য ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। তুলনামূলক কম মেধাবী ও দলীয় পরিচয়ে অনেক অযোগ্য লোক শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছে। ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিতে সভাপতি পদে রাজনৈতিক মনোনয়ন, রাজনৈতিক বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অযাচিত হস্তক্ষেপ শিক্ষা ব্যবস্থাকে কলুষিত করেছে নিঃসন্দেহে। এসব কারণে শিক্ষা প্রতষ্ঠানে অস্থিরতা, দলীয় রাজনীতির প্রভাব, ঘুষ ও দুর্নীতি দিন দিন প্রসার লাভ করেছে। অধিকন্তু নোট ও গাইড বই অনুসরণ, প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিকট মানবিক গুণাবলী ও সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের চেয়ে জিপিও আর সার্টিফিকেট অর্জনই একমাত্র লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে পরিণত হয়েছে।

শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি-বেসরকারি পাহাড়সম বৈষম্য জাতির চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে চরম প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। দেশের শতকরা ছিয়ানব্বই ভাগ শিক্ষার্থীর দায়িত্ব পালনকারী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা চরম বৈষম্যের শিকার যুগ যুগ ধরে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে বেসরকারি শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভুক্ত করে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। মূল স্কেলের ৫০% সরকার থেকে অনুদান দেয়ার সিস্টেম চালু করা হয়। পরবর্তীতে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বছরে দুইটি উৎসব বোনাস (শিক্ষক মূল স্কেল এর ২৫% এবং কর্মচারী ৫০%) এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় আনা হয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, অদ্যাবধি চাকরির নিরাপত্তা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাসাভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, আপ্যায়ন ভাতা, বিনোদন ভাতা, বদলী ও প্রমোশন কোনটিই জোটেনি বেসরকারি শিক্ষকদের কপালে!

আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই শিক্ষকদের সন্তানের জন্য নেই কোনো শিক্ষা ভাতা, নেই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোটা, নেই কোনো পোষ্য কোটা। যা অন্যান্য সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান। এসব সমস্যা সমাধানের একমাত্র সমাধান হলো বেসরকারি শিক্ষকদের জাতীয়করণ। আমরা জানি, পৃথিবীর উন্নত দেশসমূহে শিক্ষকদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়। শ্রীলংকায় শিক্ষকদের মন্ত্রীর মর্যাদা দেয়া হয় আর আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে শিক্ষকদের স্বতন্ত্র উচ্চতর বেতন স্কেল প্রদান করা হয়। তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারে উপযুক্ত ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সফলতার অন্যতম পদক্ষেপ হোক শিক্ষকদের সরকারি-বেসরকারি বৈষম্যের অবসান হোক, এটাই প্রত্যাশা।

লেখক: অধ্যক্ষ, হাজিগাঁও বরুমচডা স্কুল এন্ড কলেজ, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মানসিক সুস্থতায় কর্মবিরতি
মুনতাহার মর্মান্তিক মৃত্যু এবং কিছু কথা
ট্রাম্পের বিজয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কি কোনো লাভ হবে?
ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোচালকদের তাণ্ডব রুখতে হবে
স্মৃতির দর্পণে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
আরও

আরও পড়ুন

কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ

বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস

গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস

শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে

শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে

চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক

চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক

পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া

পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া

ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব

ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব

লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল

ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল

‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’

‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’

প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের

প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের

প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া

প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া

মুসলিম চিকিৎসক

মুসলিম চিকিৎসক

শীর্ষে দিল্লি

শীর্ষে দিল্লি

সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা

সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা

বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান

বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান

মানসিক সুস্থতায় কর্মবিরতি

মানসিক সুস্থতায় কর্মবিরতি