ঢাকা   শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মধ্যেও মহীরুহ হয়ে আছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

Daily Inqilab ইনকিলাব

০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম

আজ ৫ অক্টোবর সফল গণবিপ্লবের দুই মাস পূর্তি হয়েছে। ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত বিপ্লবে ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যায় ভারতে। এই বিপ্লবের নেতৃত্ব দেয় দেশের তরুণ প্রজন্মের জেনারেশন জি এবং তাদের এই বিপ্লবে অংশগ্রহণ করে সর্বস্তরের জনগণ। রাস্তায় নেমে আসে অভিভাবক, শিক্ষক, আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা-সৈনিক, মুটেমজুর, রিকশাওয়ালা, হকার থেকে শুরু করে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটানোর জন্য পুরো বাংলাদেশ এক হয়েছিল এবং এক হয়ে আছে। সর্বশক্তি দিয়ে গণহত্যা চালিয়েও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা রক্ষা পাননি। প্রায় ১৬ বছরের ক্ষমতা ছেড়ে তাকে পালিয়ে যেতে হয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে স্বাধীনতার এক নতুন সূর্য উদিত হয়েছে। শেখ হাসিনার নিষ্ঠুর শাসন থেকে মুক্ত হয়ে দেশের মানুষ স্বস্তি ও শান্তিতে বুকভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে। ছাত্র-জনতার বিপুল সমর্থন নিয়ে স্বাধীনতার নতুন সূর্যকে উড্ডীন রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলার নেলসন ম্যান্ডেলা হয়ে ওঠা এবং বিশ্বের অবিসংবাদিত ব্যক্তিত্ব নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অবশ্য অনেকেই বলে থাকেন, তিনি সর্বজন গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে ম্যান্ডেলাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। এই বিশ্বনন্দিত ব্যক্তিত্বের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করছে।

ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর দেশের ক্রান্তিলগ্নে অন্তর্বর্তী সরকারের যে যাত্রা শুরু হয়েছে, তা কুসুমাস্তির্ণ নয়। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার প্রভু মোদি এবং তাদের দোসররা পদে পদে কাঁটা বিছিয়ে যাচ্ছে। সকল বাধা-বিপত্তি, অহযোগিতা, প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি অদ্বিতীয় হয়ে উঠেছেন। তিনি ভালো করেই জানেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার গড়ে তোলা প্রায় ১৬ বছরের জনপ্রশাসনসহ সকল রাষ্ট্রযন্ত্রের অসহযোগিতার মধ্যে রয়েছেন। তবে তিনি বিচলিত নন। বরং দৃঢ় ও সচেতন হয়ে লক্ষ্যে অবিচল রয়েছেন। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, তাঁর সাথে তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের অনেকে তাল মিলাতে পারছেন না। কেউ কেউ বিতর্কিত ভূমিকা পালন করছেন। তারা যেন হাসিনা ও ভারতের দোসরের চেতনা লালন করে চলেছেন। বিপ্লবী ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা ছিল, তারা বিপ্লবী চেতনা ধারন করে অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নেবেন। জনপ্রশাসন, আদালত, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ সর্বস্তরে থাকা ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের ড্রাস্টিক অ্যাকশনের মাধ্যমে দ্রুত অপসারণ করে অন্তর্বর্তী সরকারের চলার পথকে মসৃণ করবেন। তারা এ কাজটি করছেন না। বদলির মতো কিছু রুটিন কাজ করে দায়িত্ব সারছেন। জনপ্রশাসন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা এ ব্যাপারে তেমন কোনো ভূমিকা পালন করছেন না। জনপ্রশাসন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তাকে ওয়ান-ইলেভেনের অন্যতম কুশীলব এবং শেখ হাসিনা ও ভারতীয় মনোভাবাপন্ন মনে করা হয়। আইন উপদেষ্টার বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে, তিনি একটি বিতর্কিত রাজনৈতিক দলের পারপাস সার্ভ করছেন। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের কা-ারি হিসেবে কেবল ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই দেখা যাচ্ছে। ব্যক্তি ড. মুহাম্মদ ইউনূস অনেক আগেই নিজের ক্যারিশম্যাটিক চরিত্রের কারণে সারাবিশ্বে সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্রে পরিণত হয়েছেন। এমন কোনো দেশের সরকার প্রধান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব নেই, যারা তাঁকে সমাদর করেন না। তিনি যখন প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন আমরা দেখেছি, জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, এশিয়া, লাতিন আমেরিকাসহ সারাবিশ্ব থেকে কীভাবে তাঁকে অভিনন্দিত ও অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছে। এমনকি, ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রভু মোদিও তাঁকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন। প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য এবং মধ্যপ্রাচ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। সমগ্র বিশ্বের চোখ এখন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে। তিনি বাংলাদেশের দায়িত্বে আছেন বলেই একে একে সফরে আসছেন বিশ্বের প্রভাবশালী নেতারা। অচিরেই বাংলাদেশ সফল করবেন সউদী আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এখন বাংলাদেশ সফরে আছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তাদের এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের সরকার প্রধান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সফরে বাংলাদেশের মর্যাদা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ও দাঁড়াবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতিকে যে শূন্য অবস্থায় রেখে গেছেন, সেই অবস্থার উত্তরণে শুধু ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কেন্দ্র করেই জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশগুলো, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, জাইকা, এডিবি, ইউএসএইডসহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিয়ে এগিয়ে এসেছে। এমন স্বতঃস্ফূর্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা দেশের ইতিহাসে আর কখনো দেখা যায়নি। এটা কেন হয়েছে? হয়েছে শুধুমাত্র ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারণে। গণবিপ্লবের পর তাঁকে দায়িত্ব দিতে যে ছাত্র-জনতা ভুল করেনি, বিচক্ষণ ও বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা এখন প্রমাণিত। তিনি যে, একাই একশ’ হয়ে উঠবেন, এ ব্যাপারে তাদের বিন্দুমাত্র দ্বিধা ছিল না। তিনি বাংলাদেশের তরুণদের শক্তি মনে ও মননে ধারন করেছেন এবং জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের তারুণ্যের জয়গান গেয়েছেন। তার স্বীকৃতি মিলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের ‘টাইম ১০০ নেক্সট ২০২৪’-এর বিশ্বের উদীয়মান প্রভাবাশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায় ছাত্র-জনতার বিপ্লবের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক এবং তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের স্থান করে নেয়া থেকে। বাংলাদেশের জন্য এ এক অনন্য অর্জন। এর মাধ্যমে নাহিদ ইসলামের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। এ সম্মান তাকে ধরে রাখতে হবে। তারুণ্যের এই জোয়ার এগিয়ে নেয়া এবং তারা যে আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে বিপ্লব সফল করেছে, তা বাস্তবায়নে এখন তাকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ, তরুণদের সম্মিলিত শক্তিতেই গণবিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বিতাড়িত হয়েছে। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ একাধিক আয়াতে বলেছেন, ‘তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে পথ দেখান, যাকে ইচ্ছা তাকে পথ দেখান না। তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে সম্মান দেন, যাকে ইচ্ছা তাকে অসম্মানিত করেন।’ আল্লাহর এই কথা নাহিদ ইসলামকে স্মরণে রাখতে হবে। তিনি তাকে পথ দেখিয়েছেন। এই পথ থেকে যেন তিনি বিচ্যুত না হন। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকেও একই কথা স্মরণে রাখতে হবে। গণবিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী প্রায় দেড়শ’র বেশি সমন্বয়কদের অগ্রভাগে ছিলেন, মো. নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, হাসনাত আবদুল্লাহ, মো. আবু বাকের মজুমদার, নুসরাত তাবাসসুমসহ আরও অনেকে। এদের মধ্যে গণবিপ্লবকে সফল করতে বিভিন্ন কার্যকর কর্মসূচির মাস্টারমাইন্ড হিসেবে ছিলেন মাহফুজ আলম, যিনি এখন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে তিনি নিউইয়র্কের এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছেন। তাকেও এই মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশের তারুণ্যের প্রতিনিধিত্বকারী প্রত্যেকেই একেকজন নাহিদ ইসলাম। দেশের সিনিয়র পলিটিশিয়ান থেকে শুরু করে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিদ, বুদ্ধিজীবীসহ সচেতন মহলের দায়িত্ব এই তরুণদের নার্সিং করা। তাদের বয়স কম। ভুল-ভ্রান্তি হওয়া স্বাভাবিক। তবে তাদের মেধা, মনন ও চিন্তাশক্তির প্রখর। ফলে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগামিতা বজায় রাখতে তাদেরকে দেশের সম্পদে পরিণত করতে হবে। তরুণ সমাজের আদর্শে পরিণত করতে হবে।

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশকে যে ধ্বংসস্তুপের মধ্যে রেখে গেছেন, তার উপর দাঁড়িয়েই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নিয়েই তিনি প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগাচ্ছেন। তিনি একাই দেশকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তার একার ইমেজের কারণে বিশ্বে যেমন বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে, তেমনি ধনী দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো অফুরন্ত আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। মোদির সেবাদাসী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দৃঢ়তার সাথে দেশকে রক্ষা করেছেন। তাঁর কারণে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। শালীন ও যৌক্তিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়েছে। সচেতন ব্যক্তি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতপ্রকাশ ও সুষ্ঠু রাজনীতি করতে পারছে। যথাযথ সংস্কারের মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বারবার সংলাপ করেছেন এবং আজ থেকে পুনরায় সংলাপ শুরু করেছেন। অন্যদিকে, অর্থনীতি পুনর্গঠনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর সময়োপযোগী ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার কাজ করে যাচ্ছেন। বলা বাহুল্য, ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুরু থেকেই নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন এবং হচ্ছেন। তিনি যাতে ব্যর্থ হন, এজন্য ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও মোদি যৌথভাবে তাদের দোসরদের দিয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্র করেছে ও করছে। প্রতিবিপ্লবের নামে নানা আন্দোলন করে ব্যর্থ হলেও তাদের চক্রান্ত থেমে নেই। জনপ্রশাসনসহ সকল রাষ্ট্রযন্ত্রে তাদের দোসররা এখনও বহালতবিয়তে রয়ে গেছে। জনপ্রশাসন, আদালত, পুলিশসহ সর্বত্র তারা সক্রিয়। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এসব প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা অনেকটা করব, করছির মধ্যে রয়ে গেছেন। চরম ব্যর্থতার পরিচায় দিচ্ছেন। তারা গণবিপ্লবের স্পিরিট ধারন করেননি। ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও ভারতের প্রতি তাদের দুর্বলতা রয়েছে। তারা হাসিনার আগমনকে প্রশস্ত করে দেয়ার জন্য কাজ করছে। তা নাহলে, জনপ্রশাসন, আদালতসহ সর্বত্র কী করে হাসিনা-মোদির দোসররা অপরিবর্তিত রয়েছে? কেন তাদের টিকিটি স্পর্শ করতে পারছেন না? এই তাদের কারণেই দেশে পুনরায় হাসিনার ফিরে আসার কথা বলা হচ্ছে। এটা এখন স্পষ্ট, মেয়াদের দুই মাস হয়ে গেলেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়া উপদেষ্টাদের কারো কারো জন্য অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবী সরকার হয়ে উঠতে পারেননি। এটা গণবিপ্লবের শহীদ এবং পঙ্গু-অন্ধ হওয়া হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। বাস্তবতা হচ্ছে, চরম অসহযোগিতা ও ষড়যন্ত্রের মধ্যেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একাই এগিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে মহীরুহ হয়ে ওঠা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, তাতে কোনো কাজ হবে না। কারণ, তিনি সঠিক পথে রয়েছেন। তাঁর উদ্যোগ এবং কর্মপ্রক্রিয়া জনগণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বিপুলভাবে সমর্থিত ও সমাদৃত। তিনি নিজেকে ছাপিয়ে জনগণের শক্তি হয়ে উঠেছেন। বলা বাহুল্য, জনগণ যার সাথে থাকে, তাকে কেউ পরাস্ত করতে পারে না। আমরা আশা করব, যেসব উপদেষ্টা ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও ভারতের প্রতি মনে মনে দরদ পুঁষে রেখেছেন, তারা সতর্ক হয়ে যাবেন। গণবিপ্লবকে ধারন করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতকে শক্তিশালী করে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপ্লবী সরকারে পরিণত করবেন। বিএনপিসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উচিৎ, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সফল হতে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মানসিক সুস্থতায় কর্মবিরতি
মুনতাহার মর্মান্তিক মৃত্যু এবং কিছু কথা
ট্রাম্পের বিজয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কি কোনো লাভ হবে?
ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোচালকদের তাণ্ডব রুখতে হবে
স্মৃতির দর্পণে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
আরও

আরও পড়ুন

কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ

বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস

গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস

শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে

শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে

চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক

চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক

পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া

পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া

ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব

ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব

লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল

ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল

‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’

‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’

প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের

প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের

প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া

প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া

মুসলিম চিকিৎসক

মুসলিম চিকিৎসক

শীর্ষে দিল্লি

শীর্ষে দিল্লি

সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা

সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা

বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান

বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান

মানসিক সুস্থতায় কর্মবিরতি

মানসিক সুস্থতায় কর্মবিরতি